মতিয়া চৌধুরীর আখ্যানের পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনি অনুভব করবেন বাংলার উত্থানের গল্পগুলির শেকড় মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত। সবই প্রতিরোধ ও স্থিতিস্থাপকতার আখ্যান। তার সবই গণমানুষের মনের কথা - যা নীরব ছিল, অথচ ক্রমেই তার মৃত্যুতে আরও সোচ্চার হয়ে উঠছে।

ব-দ্বীপের রাজধানী তিলোত্তমা ঢাকার বুকের ওপর তিলের মতো এই যে স্থানটুকু - এই ভূঁইখানি শহরের ওয়ার্মহোলগুলোর একটি। এটি আক্রান্ত অসুখী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ডাকবাকসো। দুই ভুবনের মেলবন্ধন ঘটাবার দীগন্ত, কিম্বা মহাকালের এ ভাঁজে টুপ করে ঢুকে পড়ে জীবন অন্য টাইমলাইনে চলে যায়। রাজনীতির ভডেভিল ট্রুপগুলোর পান্ডুলিপিবিহীন নাট্য সংলাপ ও রাজপথের স্ট্রিপটিজ এবং ইসলামিক দলের শিল্পবুদ্ধির পরিচয় অঙ্কিত দেয়ালসজ্জা পেরিয়ে এখানে সতেরই অক্টোবর কিছু মানুষ মাতা প্রকৃতির কাছে তাদের কন্যা মতিয়াকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।বাংলার এ দুহিতাটি বড়ো প্রজ্জ্বলন্ত ছিল! বহু আগে, সে হবে বোধহয় ১৯৬৪ সাল - যখন মেয়েরা তেল চুপচুপ চুল বেঁধে পেতলের কাজললতায় প্রদীপের শিখা থেকে গড়া কাজল চোখে লেপ্টে কণে দেখায় আগত সম্ভাব্য পাত্রপক্ষের সামনে হাঁটু-কম্পিত চরণে ভীরু নতমুখে হেঁটে, বসে বিয়ের ভাইবা দিতো; দুরু দুরু বক্ষে বোনদের সাথে এজমালি কক্ষের কোণটিতে বসে অপেক্ষা করতো “আলহামদুলিল্লাহ”, ঘরভরা হাসি, কিম্বা মায়ের মৃদু কান্না শোনার, সেই কালে- একুশ কি বাইশ বছুরে মতিয়া কিনা তরুণ বজলুর রহমানকে বলেছিলেন, “চলো বিয়ে করে ফেলি।” যেই কথা সেই কাজ। ষোল তারিখ থেকেই তার সহোদর দৌড়োচ্ছিলেন মিউনিসিপ্যালিটির

মহামহা কর্তাদের সামনে কাঁচুমাচু হয়ে বোনের জন্য কিনতে - শহীদ বুদ্ধিজীবি গোরস্থানের এক টুকরো মাটি। শহীদদের পাশে নয় তো আর কোথায় মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর শেষ শয়ান হতে পারে? মাটি কেনারই অনুমতি দেয় কে আজ? তার জন্য আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে রাইফেল গর্জে ওঠে নি, হাঁকে নি জলপাই সৈনিকেরা বুটে বুট ঠুকে খটাখট্ স্যালুট। মাথা আমাদের তার কাছে নতই হয়ে রইল, এই ভেবে যে, বাংলার স্বাধীন পলিমাটিটুকুর উত্তরাধিকারী আমাদের রেখে গেলেন মতিয়াদের মতো স্বদেশ মুক্তির ব্রতে প্রাণ বাজি ধরে লড়ে যাওয়া একগুঁয়ে বহু যোদ্ধা। কিন্তু আমাদেরই সন্তানেরা তাদের বিভৎস অসম্মান দিয়ে আঘাত করলো। বহু বছর আগে যার হাত ধরেছিলেন, সেই সঙ্গীর দুধসাদা অস্থি নুহের মহামৎস্যের মতো তাকে নিজ বক্ষে আহ্বান করলে দুধেল জ্যোৎস্নার চাদরে মুখ ঢেকে দর্শনের আলোর বাইরের কোনও ঘেরাটোপে ঢুকে পড়লেন মতিয়া চৌধুরী।তিনি অন্তর্হিত হতেই যেন চাদ্দিক ঘিরে শ্লথপায়ে মুড়ে এলো সুদীর্ঘ রাজনৈতিক উপন্যাসের প্রচ্ছদ, ঘিরে ধরলো তার জীবনের কাব্যিক আখ্যান। দীর্ঘদিনের দলীয় সঙ্গী ও অনুসারীদের চারপাশে ঘনঘোর হয়ে উঠলো মীথিকাল অতীতে ঘটে যাওয়া কোনও দুঃসময়ের চেহারা ধরে…

আজকের বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট এর পূর্ববর্তী ৫২টি বিজয় দিবস থেকে ভিন্ন। আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়, রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হয় একটা রিসেট বাটন প্রেস করার নিরলস প্রচেষ্টা। ধ্বংসপ্রায় মুক্তিযুদ্ধের বহু ভাস্কর্য এবং স্মৃতিচিহ্ন, যার বিবরণ ৯ ডিসেম্বরের সমকাল পত্রিকায় প্রতিবেদন থেকে খুবই পরিষ্কার। মুজিবনগরের স্মৃতিস্তম্ভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর, অসংখ্য উদাহরণের মাত্র দুটি।

প্রথমেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লাখ শহীদ ও ৪ লাখ মা-বোনকে, যাদের অপরিসীম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। শ্রদ্ধা জানাই অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে, নিজ-নিজ অবস্থান থেকে, যার যা আছে, তাই নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখেছিলেন। সব সেক্টর কমান্ডারকে জানাই আমার শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুদীর্ঘ ২৩/২৪ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ (Epic Liberation War) ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১, বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটা এক মিনিটে দেশ হানাদার মুক্ত হয়, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দীর্ঘ পটভুমিতে রয়েছে ধারাবাহিক গণসম্পৃক্ত আন্দোলন। বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রপথিকের ভূমিকায় ছিলেন শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। একজন তরুন নেতা হিসেবে

সব আন্দোলনেই সরব উপস্থিতি ছিলো শেখ মুজিবুর রহমানের। বিশেষত ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে তাঁর ভূমিকা ছিলো সর্বাধিক সুস্পষ্ট এবং তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার অসন্দিগ্ধু প্রতিভূ। তাঁর অবর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাস অত্যন্ত প্রতিকুল সময়ে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তাঁদের সবার প্রতি আমার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা। আজকের বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট এর পূর্ববর্তী ৫২টি বিজয় দিবস থেকে ভিন্ন। আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়, রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হয় একটা রিসেট বাটন প্রেস করার নিরলস প্রচেষ্টা। ধ্বংসপ্রায় মুক্তিযুদ্ধের বহু ভাস্কর্য এবং স্মৃতিচিহ্ন, যার বিবরণ ৯ ডিসেম্বরের সমকাল পত্রিকায় প্রতিবেদন থেকে খুবই পরিষ্কার। মুজিবনগরের স্মৃতিস্তম্ভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর, অসংখ্য উদাহরণের মাত্র দুটি। বিজয় দিবসের সরকারী ব্যানারে ২০২৪ জুলাই গণঅভুত্থানে নিহত আবু সাঈদের ছবি সাঁটানো কতটা শোভন, কতটা প্রাসঙ্গিক? আবু সাঈদ কতটা শ্রদ্ধা পেলেন। বিজয় মহিমা ও গৌরবকে ছোট করতে কেন এই ব্যর্থ প্রয়াস? এসব করে কি একাত্তরকে মুছে ফেলা যাবে? আর…

তাদের মধ্যে আজ এক জনের কথা খুব মনে পড়ছে, পণ্য বর্জনের কথায় তার কথা মনে পড়ে গেল, জীবনে তার সাথেই প্রথম আমার পণ্য বর্জন নিয়ে কথা হয়, তার কাছেই প্রথম শুনি আমরা পণ্য বর্জন করতে পারি, তার একটা মুদ্রা দোষ ছিল কথায় কথায় একটা গল্প বলি বলা, ব্লগপোস্টটার শিরোনামটা তার মুদ্রাদোষ দিয়েই। [...]

স্কুলে থাকতে বছরে ২/৩ বার তো বাড়ি যেতামই কখনো কখনো বছরে ৪/৫ বারও গেছি, ক্লাস সিক্স সেভেন থেকে ক্লাস নাইন টেন পর্যন্ত যখনি গ্রামের বাড়ি যেতাম এদিক ওদিক আপন মনে ঘুরতাম, তার আগে বাড়িতে দাপাদাপি কারো সাথে আত্মীয় বাড়ি এই করেই সময় কাটত। তো এই ৩/৪ বছর আপন মনে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে গ্রামের প্রকৃতিটাকে যেমন আপন করে পেয়েছি তেমনি কিছু ব্যতিক্রমী লোকের সাথেও পরিচয় কথাবার্তা হয়েছে যা আমার মনের উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। দুঃখজনক হল গ্রামের বাড়িতে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আত্মীয় নয় এমন যেসব মানুষের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল এদের কারো সাথেই আর আমার যোগাযোগ থাকেনি এবং পরবর্তীতে কে কোথায় আছে গেছে তারও কোনো খবর রাখা সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে আজ এক জনের কথা খুব মনে পড়ছে, পণ্য বর্জনের কথায় তার কথা মনে পড়ে গেল, জীবনে তার সাথেই প্রথম আমার পণ্য বর্জন নিয়ে কথা হয়, তার কাছেই প্রথম শুনি আমরা পণ্য বর্জন করতে পারি, তার একটা মুদ্রা দোষ ছিল কথায় কথায় একটা গল্প বলি বলা, ব্লগপোস্টটার শিরোনামটা তার মুদ্রাদোষ দিয়েই। তিনি বলছিলেন পড়াশোনার অনেক গল্প তিনি শুনেছেন কিন্তু নিজে তেমন একটা পড়াশোনা করতে পারেননি, তবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দেখা পেলেই তিনি তাদের সাথে কথা বলেন, প্রথমত একটা উপদেশ দেয়ার জন্য - কোনো কিছু মুখস্থ করবেন না, মুখস্থ করলে পড়ার স্বাদ চলে যায়, ওই যে সাত আট ক্লাস পাস দিয়েও আজো যে তিনি যেকোনো কিছু নিয়ে বসে পড়তে শুরু করতে পারেন তার পেছনের শক্তিটা হল তিনি ক্লাসের পড়া কখনো মুখস্থ করতেন না ভাবতেন বুঝতেন তাই তার পড়ার রুচি কোনো দিন মরে যায়নি, দ্বিতীয়ত দুইটা কথা মনে রাখার অনুরোধ জানানোর জন্য - বাঙালির শত্রুকে ঘৃণা করতে হবে আর জবরদখলকারি আর উচ্ছেদকারীকে সারাজীবন ঘৃণা করতে হবে, তৃতীয়ত একজন মানুষের ঋণ শোধ কোনো দিন করা যাবে না এটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য - শেখ মুজিবুর রহমান। আমাকে তিনি বলেছিলেন এপর্যন্ত একথাগুলো তিনি যত লোককে বলেছিলেন আমাকেই তার মনে হয়েছে আমি তার কথা শুধু মনোযোগ দিয়ে শুনিনিই মনেও রাখব। কিন্তু আজ তাকে মনে পড়েছে আমার অন্য কারণে, প্রথমবারের ওই সেশনের পর…

আমার মনে হয় না বিএনপির আর কোনো আশা আছে।[...]

আমার মনে হয় না বিএনপির আর কোনো আশা আছে। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে বিএনপির সব শীর্ষ নেতা যতই বলে বেড়ান না কেন তারা নিজেরাও জানেন তারা ফাঁকা আওয়াজ তোলা ছাড়া আর সব রাজনীতি ভুলে গেছেন তাই যত দিন ফাঁকা আওয়াজ তুলে মিঠিয়া পাড়া, আমবেচাধর পাড়া ও সুশীলং পাড়ায় শোরগোল জারি রাখা যায় তত দিন তারা এসব বলে যাবেন আর তলে তলে তাদের লন্ডনি ওস্তাদের সন্ত্রাসের তরিকা নিয়ে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকবে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির অনুপস্থিত থাকাটাই আমার কাছে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত মনে হচ্ছে এবং আমাদের জাতীয় জীবনে আবারো দুইহাজারতেরোচৌদ্দপনেরো ধরনের বিএনপি পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত গণসন্ত্রাসের আশঙ্কা করাটাই আমার কাছে খুব সম্ভব মনে হচ্ছে। এখন বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি এই পথেই রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি তাকে সব দিক থেকে যতটুকু সম্ভব এই গণসন্ত্রাস ঠেকানোর আগাম সতর্ক অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ কৌশল ভেবে রাখতে হবে পাশাপাশি বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাকে নির্বাচনে হারানোর প্রস্তুতিও সম্পূর্ণভাবে নিয়ে রাখতে হবে। দুইহাজারআঠারো সালের নির্বাচনী রাজনীতিতে আওয়ামি লিগকে যেটা আমি মনে করিয়ে দিতে চাই

তা হল খালেদা জিয়া কিন্তু এবার আর নিজের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের জন্য নির্বাচন মিশনে থাকবেন না এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তিনি নির্বাচন মিশনে প্রক্সি দিতে নামবেন তার ছেলে তারেক জিয়ার হাতে বাংলাদেশ তুলে দেয়ার জন্য কারণ তারেক জিয়ার হাতে বাংলাদেশ তুলে দিতে পারলেই সেবাংলাদেশ আবার খুব সহজেই তার ও যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠীর হয়ে যাবে। কাজেই সবাই সাবধান বিএনপির ফখরুলরা আশি আশি করবেই কিন্তু তারা যেন আর তলে তলে পরিকল্পনা করে গণসন্ত্রাস করতে না পারে তারা যেন নির্বাচনে এসে আর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসে না পড়ে সেদিকে সংশিষ্ট সবারই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে এই কঠিন বাস্তবতা চট্টগ্রাম অঞ্চল যেন মোকাবেলা করতে পারে তার জন্য শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাজ করলেই চলবে না জাতিসংঘকে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বড় ভূমিকা রাখতে হবে [...]

শুনতে করুণ লাগতে পারে আত্মঘাতী মনে হতে পারে কিন্তু এটা মেনে নিতেই হবে দুসপ্তাহের মধ্যে যদি বার্মার রাখাইন প্রদেশের তিন ভাগের এক ভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসতে পারে তাহলে দেড় মাসের মধ্যেই সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই বসবাস শুরু করে দিতে পারে এবং এই পুরো চাপটি চট্টগ্রাম অঞ্চলকেই বহন করতে হবে এবং এটাও স্বীকার করে নিতে হবে রাখাইনবাসী রোহিঙ্গাদের গন্তব্য এখন চট্টগ্রাম। ২০১২ সালে এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেইসাথে রাখাইনে রোহিঙ্গাদেরও আশা ছিল বার্মার ওই প্রদেশে তাদের সাময়িক নিবন্ধন সনদ নাগরিক সনদে রূপ না নিলেও অন্তত স্থায়ী নিবন্ধন সনদে উন্নীত হবে এবং তারা রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী থেকে রাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করবে। রোহিঙ্গাদের এটাও আশা ছিল ২০১২ ও ২০১৬ সালের এআরএসএ-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী আগ্রাসন ও তা দমনে বার্মার সিভিল ও সামরিক প্রশাসনের ঢালাও গ্রামের পর গ্রামে অবরোধ অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ নির্যাতন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক উজ্জীবনের মধ্য দিয়ে কমে আসবে। কিন্তু বার্মার রাখাইন প্রদেশে এবং বার্মার কেন্দ্রীয় সরকারে কোনো কিছুই সাধারণ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাশার অনুকূলে চলেনি। প্রাদেশিক সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে উদাসীনতার মাত্রা বাড়িয়ে সামরিক নজদারির মাত্রা চড়িয়ে রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রচ্যূত জনগোষ্ঠীর দিকে ঠেলে দিতে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে লাগল এবং রাখাইন প্রদেশের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের সাথে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ধর্মগত ও জনজাতিগত ব্যবধানের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাখাইন প্রদেশকে মা বা থা চরমপন্থা ও এআরএসএ-এর সশস্ত্র চরমপন্থার নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেঁসে ধরল। গত কয়েক বছরের আন্তর্জাতিক ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিকট বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এআরএসএ হয়ে উঠল এমন সংগঠন যারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উদ্ধারের কথা বলে বেড়ে উঠলেও সন্ত্রাসবাদের সাধারণ নিয়মে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে থাকা মুসলিমদেরও শেষ করে দিতে বদ্ধপরিকর এবং তাদের কার্যকলাপ এমন হয়ে উঠল যাতে অং সান সু কি সহজেই বলতে পারছেন যেখানে মুসলমানরাও মুসলমানকে মারছে সেখানে আরাকানের সমস্যা সমাধান করা অনেক অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে যার ফলে এটা বলা অনেক সহজ আজকে এআরএসএ বার্মার গণতান্ত্রিক নেতার ও সামরিক প্রশাসনের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের অনিচ্ছার পক্ষেই কাজ করছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রচ্যূত করার নিয়ামক হিসেবেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এবং এখন এই যে রোহিঙ্গারা তাদের গন্তব্য চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.