আজো বুকটা ভারী হয়ে আছে। ২০০৪ থেকে ২০০৯, হয়তো অনন্তকাল ধরে, এই আঘাত আমরা ভুলতে পারব না, আমরা যারা লেখক বা লেখক হতে চাই, আমাদের ওপর এই আঘাত, এই আঘাতের প্রতীক হয়ে হুমায়ুন আজাদ, প্রতিদিন আমাদের প্রতিক্রিয়াশীলতার হিংস্রতার কথা মনে করিয়ে দেবে। সফদর হাশমি যেমন ভারতে আমাদের দেশে হুমায়ুন আজাদ, আমরা ভুলতে পারব না, ভুললেই শেষ হয়ে যাব, বুকটা ভারী হয়ে আছে, প্রকাশ অক্ষম, কিন্তু সাবধান, শুধুই সাবধান। আমরা আজ ২০০৮-এর নির্বাচনের পর যে সময় কাটাচ্ছি, তাতে নিরাপদ বোধ করলে চরম ভুল করব। তাই ১২ আগস্ট-কে আমাদের আরো ব্যাপক পরিসরে পালন করা উচিত, লেখকদের ‘ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’র মতো একটি আন্দোলনের কথা ভাবা উচিত, আরো ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারে লেখকদের আরো স্বাধীন করতে, তসলিমা নাসরিন-ও দেশে ফেরার আকুতি নিয়ে বাহিরে পড়ে আছেন, কিন্তু কেন এমন হবে? ১২ আগস্ট ‘লেখক দিবস’ হয়ে উঠুক, এবং একে ঘিরে লেখকদের সম্মিলন আন্দোলন সম্ভব হোক, এখনই হোক, না হলে বাংলাদেশে লেখকদের ভবিষ্যৎ আরো ভয়ংকর বিভীষিকাময় হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপরাধের অভিযোগ এনে তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়ার একটি রীতি রয়েছে৷ কয়েক ডজন লোকের বিরুদ্ধে আদালতে এই ধরনের অভিযোগ আছে এবং তারা পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন৷ আকাশের জামিনের পক্ষে শুনানি করা একজন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে র্যাবের প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধেও অপরাধের অভিযোগ এনে তাকে হয়রানি করা হয়৷ জাহাঙ্গীর আলম আকাশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয় - এই অভিযোগটি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়৷ আকাশের মুক্তির পর, র্যাব কর্মকর্তারা জামিন অযোগ্য জরুরি বিধিমালা ব্যবহার করে তার জামিনের আদেশ প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছিলেন৷ তিনি তার চাকরি হারিয়েছেন এবং গ্রেপ্তারের আশংকায় তার নিজ শহর রাজশাহীতে বসবাস করতে ভয় পাচ্ছেন৷ আরো পড়ুন ও উদ্যোগ নিন
মাত্র ছ’সপ্তাহ আগে বিডিআর এর সদর দপ্তর পিলখানায় হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী যৌথ সামরিক মহড়া। কি ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য? এর সরাসরি উত্তর সাংবিধানিক অস্তিত্বহীন এই সরকার দেবে না। চলুন নিজেরাই এর উত্তর সন্ধান করে ফিরি [..]
মাত্র ছ’সপ্তাহ আগে বিডিআর এর সদর দপ্তর পিলখানায় হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী যৌথ সামরিক মহড়া। কি ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য? এর সরাসরি উত্তর সাংবিধানিক অস্তিত্বহীন এই সরকার দেবে না। চলুন নিজেরাই এর উত্তর সন্ধান করে ফিরি। (more…)
কনভেনশনাল পত্র-পত্রিকার সাথে "ব্লগ" (লিন্ক দেখুন) প্রকাশনার একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। "গণসাংবাদিকতা"-র (Citizen Journalism, এখানে দেখুন) একটি ধারা হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই সারা বিশ্বে ব্লগ নামের এই মাধ্যমটি লাভ করছে উত্তরোত্তর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা। সত্যিকার অর্থেই সব ধরণের সেন্সরশিপ এবং বড় পুঁজির আধিপত্য থেকে মুক্ত এই আপাত নতুন মাধ্যমটি 'সাংবাদিকতা', 'লেখক', 'পাঠক', 'তাদের মাঝে সম্পর্ক' এসব বিষয়গুলো সম্বন্ধে আমাদের চিরাচরিত ও সনাতন সব ধ্যান-ধারণাকে পাল্টে দিচ্ছে। (more…)
অভিযোগ উঠেছে (বিডি নিউজ ২৪) যে জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট সচলায়তন বাংলাদেশে ব্লক করে দেয়া হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে। অনেকে মনে করছেন এই সিদ্ধান্তের পেছনে নিগৃহীত মুক্তিযোদ্ধা জনাব শেখ আলী মোহাম্মদ আমানকে নিয়ে সচলায়তনে ছাপানো স্বাধীনতার চেতনার পক্ষে প্রতিবাদী কিছু পোস্ট দায়ী। (more…)