শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন শর্মাকে নিয়ে এ লেখাটি লিখেছিলাম অনেক আগে, ১৯৯৮ সালে। কয়েকদিন হলো তাঁকে খুব মনে পড়ছে... আপনাদেরও মনে পড়ুক, এই প্রত্যাশায় লেখাটা তুলে দিচ্ছি। (more…)
মাহমুদ দারবিশকে নিয়ে কিছু একটা লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার উপর। অথচ গত কিছুদিন পূর্বেও তার সম্পর্কে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। মাত্র গত ৯ আগস্ট থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। টেক্সাসের একটি হাসপাতালে এদিন তার মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যু সংবাদটি পত্রিকার দু’কলাম জুড়ে ছাপা হবে পরদিন। ইন্টারনেট ঘেঁটে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদনটি তৈরি করতে গিয়ে পড়ে ফেল্লাম তার কয়েকটি কবিতা। এরপর নতুন করে আবার তাকাতে হলো সংবাদপত্রের দিকে। গত কয়েকবছরে যে খবরগুলো আমি ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাই সে খবরগুলো খুঁটিয়ে পড়তে লাগলাম আবার।
মাহমুদ দারবিশকে নিয়ে কিছু একটা লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার উপর। অথচ গত কিছুদিন আগেও তার সম্পর্কে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। মাত্র গত ৯ আগস্ট থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। টেক্সাসের একটি হাসপাতালে এদিন তার মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যু সংবাদটি পত্রিকার দু’কলাম জুড়ে ছাপা হবে পরদিন। . . . (more…)
গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মবার্ষিকীতে জনসংস্কৃতি মঞ্চ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় আমি একটি আলোচনা করি। সেটার শ্রুতিলিখনটি প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় তুলে দিলাম।
গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মবার্ষিকীতে জনসংস্কৃতি মঞ্চ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় আমি একটি আলোচনা করি। সেটার শ্রুতিলিখনটি প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় তুলে দিলাম। * * * প্রথম কথা হচ্ছে যে, উপন্যাস ব্যাপারটি আমাদের দেশে কোথা থেকে এলো। এবং যেটা মুহম্মদ আজম ব্যাখ্যা করেছেন যে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে; আধুনিকতা গণতন্ত্র উন্নয়ন ইত্যাদির মতো এই জিনিসটিও আমাদের দেশে আমদানি করা হয়েছে। সেই আমদানির আগের ইতিহাসের একটা বড় দাগ হচ্ছে ১৮০০ সাল -- যখন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর পরই যা হয়, তা বোধহয় পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আর সম্ভব নয়। একটি কলেজ ও তার কয়েকজন মাস্টার মিলে একটি প্রাচীন ভাষার ওপর দর্জিগিরি ফলালেন। ভাষা সংস্কার করলেন। এ কাজে বাংলা তেমন কোনো ব্যকরণ বই পাননি। তাঁরা পেয়েছেন সংস্কৃত পুস্তক ও সংস্কৃত ব্যাকরণশাস্ত্র। আর মাথায় করে বয়ে এনেছিলেন ইউরোপীয় বিদ্যা। এই দুইয়ের মিলনে যে ঘটনাটি ঘটলো, সেটাকেই আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে আধুনিক যুগের সূত্রপাত বলে ধার্য করা হলো। যদিও বাংলা সাহিত্যের শুরু আরো অনেক আগে বলে সাহিত্যের ইতিহাসকাররা স্বীকার করেন। তাঁরা সাহিত্য পাচ্ছেন কিন্তু গদ্য পাচ্ছেন না। তাই চিন্তা ও সামাজিক আদানপ্রদানের ভাষা হিসেবে গদ্যকে তাঁরা সাজালেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। কিন্তু রহস্যটা এই যে ১৮৭০ থেকে ১৮৭৭ সাল নাগাদ এইরকম নবীন একটি গদ্যে রবীন্দ্রনাথের জন্ম হলো কীভাবে! কিংবা মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবির্ভূত হলেন। তাহলে নতুন গদ্যের জন্মের মাত্র ৫০-৭০ বছরের মাথায় কিভাবে এরকম দুজন পরিণত লেখকের জন্ম সম্ভব হচ্ছে! এর একটা ব্যাখ্যা হচ্ছে, ভাষাও আবদুল কাদের জ্বিলানী হতে পারে। এই অলৌকিকে বিশ্বাস না করলে আমাদের মানতে হয় যে, এই ভাষায় সাহিত্যের দীর্ঘ চর্চা ছিল। এবং ভাষার দর্জিগিরি শুরুর আগে থেকেই তা বহমান ছিল। দেবেশ রায় তাঁর সামায়িকপত্রে বাংলা গদ্য বিষয়ক আলোচনায় প্রাচীন বাংলা গদ্যের আড়াই হাজার বিধি পাওয়ার প্রমাণ পেশ করছেন -- আঠারশ সালের আগের। এবং সেই গদ্য সব সময় যে কাহিনী ছিল তাও নয়। জমিদার চিঠি পাঠাচ্ছে নায়েবের কাছে, নায়েব তার জবাব দিচ্ছে, বিবিধ সামাজিক আদান প্রদান, কন্যার বিবাহ নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি। আরও পেছনের দিকে গেলে সিরাজউদদৌলারও একশ বছর আগের দলিল পাওয়া…
কবিতা নিয়ে, তা যে বা যার কবিতাই হোক না কেন, কিছু লিখা বেশ বিপজ্জনক। আমার সবসময় মনে হয়েছে কবিতার গঠন এবং প্রকৃতিতে এত বেশি সম্ভাবনা, প্রতি-সম্ভাবনা এবং বিমূর্ততা রয়ে যায় যে কবিতাকে সুনির্দিষ্টায়িত এলাকাভিত্তিক করার চেষ্টা পন্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সময়ে সময়ে এ-বোধটুকু থাকা সত্ত্বেও কবিতার মানে বের করে ফেলার একটা চেষ্টা থেকেই যায়। . . . (more…)
সেরা রাঁধুনী-১৪১৪ বিজয়ীর পুরস্কার ১০,০০,০০০ টাকা, পড়তে কষ্ট হচ্ছে তো, আমারও হয়েছিল, দশ লক্ষ যে হতে পারে ভাবিনি। 'প্রথম আলো' সেরা বইয়ের পুরস্কারের অর্থমূল্য সম্ভবত ৪০,০০০ টাকা, খুব সহজেই পড়া যাচ্ছে তাই তো, চল্লিশ হাজার, এতো সহজে পড়বার মতো পুরস্কার হয়তো আমাদের দেশে আর নেই। (more…)