আনন্দবাজার পত্রিকায় ৫ অগাস্ট ২০০৮ এ সলঝেনিৎসিন মারা যাবার পর প্রতিবেদন। এই লিন্কটি দেখুন। সেইসাথে পড়ুন একই দিনের আনন্দবাজার পত্রিকায় "শান্তিনিকেতন: ওল্ড মাস্টার্স, অ্যালামনি এন্ড ইয়ং আর্টিস্টস" শীর্ষক খবরটি। এই লিন্কটি দেখুন।
রবীন্দ্রনাথ আজ আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। এই বেঁচে না থাকা রবীন্দ্রনাথ সেই ১৯৪২ থেকে বছরে দুদিন তাঁর জন্মমৃত্যুর তারিখ ঘোষণায় আমাদের পত্রপত্রিকায় উপস্থিত আছেন। আমরা তাঁকে নিয়ে গর্বিত। আমরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করি এবং তাঁকে নিয়ে আমাদের উচ্ছ্বাস আমাদের সাংষ্কৃতিক অবস্থানকে উচ্চকিত করে। কিন্তু আমরা কি রবীন্দ্রনাথকে ছেনে দেখছি? কিন্তু আমরা কি আমাদের হাতে ছেনে আমাদের রবীন্দ্রনাথকে তৈরী করছি? কিন্তু আমরা কেন ওপথে যাচ্ছি না, যখন সে পথে না গেলে, আমরা জানি, অন্তত বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। (more…)
তাঁর প্রথম উপন্যাস গ্রন্থাকারে বেরোবার আগেই, পত্রিকায় পড়েই, বাংলা কথাসাহিত্যের ভুবনে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে প্রবন্ধ লিখেছিলেন অগ্রজ কথাসাহিত্যিক রশীদ করীম। তারপর একে একে বেরিয়েছে তাঁর গোটা সাতেক উপন্যাস, ছোটগল্পের একটি সংকলন আর একটি কিশোর উপন্যাস। (more…)
বাংলাদেশে 'সচলায়তন' নিষিদ্ধ হবার পর ওই ব্লগে আরিফ জেবতিক জার্মান কবি মার্টিন নিয়েমোলার (১৮৯২--১৯৮৪)-এর '১৯৩৮' কবিতাটির একটি ঈষৎ পরিবর্তিত পাঠ উদ্ধৃত করেছেন। এই নাৎসি-বিরোধী ধর্মতাত্ত্বিক ও যাজক ১৯৩৭ সালে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন; ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মিত্রবাহিনী তাঁকে মুক্ত করে। অপর এক জার্মান-ভাষী কবি এরিশ ফ্রীড (১৯২১--১৯৮৯)-এর একটি কবিতা আমার অক্ষম অনুবাদে এখানে নিবেদন করছি। (more…)
আলোচনার সুবিধার্থে ব্লগপোস্টটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে নিচ্ছি। প্রথমভাগের আলোচনাটি কমরেড জামানের মূল্যায়নটির সুনির্দিষ্ট বক্তব্যনির্ভর, পাঠকের সুবিধার্থে মূল্যায়নটির কিছু কিছু অংশ সেখানে সরাসরি উদ্ধৃত। পাশাপাশি, যেখানে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সাম্প্রতিক কিছু উদাহরণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় অংশটি বৃহত্তর দৃশ্যপট নিয়ে, যেখানে চেষ্টা করেছি সমাজতান্ত্রিক দল এবং আদর্শকে ঘিরে আবর্তিত "পার্টি সাহিত্যে"র ধারণা এবং আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার।
কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যুর পর কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্বি-মাসিক "পথিকৃৎ"-এর পক্ষ থেকে প্রয়াত কবির উপর একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখা ছাপাবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লেখাটি চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল - বাসদ-এর আহ্বায়ক কমরেড খালেকুজ্জামানের কাছে। কমরেড জামান-কৃত কবির মূল্যায়নটি পড়তে হলে এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন। সুন্দরভাবে টাইপ করা তথ্যসমৃদ্ধ মূল্যায়নটি পড়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে, যে কারণে এই ব্লগ লেখা। শুরুতে বুঝতে পারিনি যে লেখাটি এত দীর্ঘ হয়ে যাবে; তাই পাঠকের কাছে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তাঁদের অনেকটা সময় নিয়ে নেয়ার জন্য। আমার জানা নেই কমরেড খালেকুজ্জামানের সাহিত্য সমালোচনার কোনো প্রশিক্ষণলব্ধ যোগ্যতা (যেমন: সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি), কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা (যেমন: দীর্ঘদিন কোনো পত্রিকার সাহিত্য পাতা সম্পাদনার সাথে সম্পৃক্ততা), কিংবা একজন সাহিত্যিক বা সাহিত্য সমালোচক হিসেবে সর্বজনগ্রাহ্যতা আছে কিনা। ধরে নিতে হচ্ছে, এই তিন দলের অন্তত যে-কোনো একটির মধ্যে তিনি পড়েন; আর তা নাহলে কেনই-বা "পথিকৃৎ" নামের এই সাহিত্য পত্রিকাটি তাঁর কাছেই কবি শামসুর রাহমানের মূল্যায়ন চাইবে ? আর যদি তিনি এই তিনটি দলের কোনোটির ভেতরই না পড়েন, তখন পুরো বিষয়টিকেই একটু অন্যভাবে দেখার অবকাশ থাকে বৈকি। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, "পথিকৃৎ" পত্রিকার এই মূল্যায়ন চাওয়ার বিষয়টিও কিছুটা কৌতূহলোদ্দীপক। কেন একটি সাহিত্য পত্রিকা একজন অসাহিত্যিকের কাছ থেকে শামসুর রাহমানের মূল্যায়ন চাইবে, সে বিষয়টা আমার এবং আরো অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। একজন কবি, তা-ও শামসুর রাহমানের মাপের একজন কবি কোনো দেশ, কাল বা সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকেন না; কোনো দল বা মতাদর্শের মধ্যে তো নয়ই। তাঁর মতো কবিরা পৃথিবীর সম্পদ। তাঁকে নিয়ে মূল্যায়নধর্মী কাজ দাঁড় করানোর মতো প্রয়োজনীয় মাল-মশলা-তথ্যাদি পশ্চিমবঙ্গে দুর্লভ নয়। আমার জানা মতে, পশ্চিমবঙ্গে শামসুর রাহমানের প্রায় সমস্ত কবিতার বই-ই পাওয়া যায়। "পথিকৃৎ" পত্রিকা যদি নিউ ইয়র্ক কিংবা ব্রাসেলসের হতো, তাহলেও কথা ছিল। এও ধরে নিতে পারি যে, "পথিকৃৎ"-এর সদস্যরা পড়তে লিখতে পারেন এবং সাহিত্য বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ-ও ধারণ করেন। সুতরাং এত কিছু থাকতে কেন যে তারা জনৈক অসাহিত্যিক রাজনৈতিক নেতার মতামত জানতে এত আগ্রহী হলেন, সে বিষয়ে যত ভাবি, ততই বিস্মিত হই। যাই হোক, মূল্যায়নটিকে একটু কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করা যাক। আলোচনার সুবিধার্থে ব্লগপোস্টটিকে দুই…