চলে গেলেন মাহমুদুল হক

তাঁর প্রথম উপন্যাস গ্রন্থাকারে বেরোবার আগেই, পত্রিকায় পড়েই, বাংলা কথাসাহিত্যের ভুবনে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে প্রবন্ধ লিখেছিলেন অগ্রজ কথাসাহিত্যিক রশীদ করীম। তারপর একে একে বেরিয়েছে তাঁর গোটা সাতেক উপন্যাস, ছোটগল্পের একটি সংকলন আর একটি কিশোর উপন্যাস।

দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন — লেখালিখির জগৎ থেকে। ক্রমেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর লেখকের স্বাভাবিক সামাজিক জীবন থেকেও সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। আর গত ২১ জুলাই চলে গেলেন আমাদের চেনাজানা জগতেরও বাইরে। মাত্রই ৬৭ বছর বয়সে!
বছর দশেক আগে একবার তাঁকে ফোন করেছিলাম। নম্বরটা নিয়েছিলাম তাঁর সুহৃদ সম্পাদক মীজানুর রহমানের কাছ থেকে। যদি আমাদের প্রিয় এই লেখককে কাছ থেকে দেখার সুযোগ মেলে। না, ভাগ্য প্রসন্ন ছিল না।

সাক্ষাৎকারে নিজেই একবার বলেছিলেন, নতুন করে লিখতে শুরু করলে পাঠক অন্য এক মাহমুদুল হককে পাবে। তাঁর সেই পর্বান্তরও দেখা হলো না আমাদের। নতুন আর লেখেননি কিছুই।

অনুর পাঠশালা (আদিনাম : যেখানে খঞ্জনা পাখি), নিরাপদ তন্দ্রা, জীবন আমার বোন, কালো বরফ, খেলাঘর, মাটির জাহাজ, অশরীরী, প্রতিদিন একটি রুমাল আমাদের চিরসঙ্গী হোক।

সাবস্ক্রাইব করুন
অবগত করুন
guest

3 মন্তব্যসমূহ
সবচেয়ে পুরোনো
সাম্প্রতিকতম সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত
Inline Feedbacks
View all comments
3
0
আপনার ভাবনাগুলোও শেয়ার করুনx
  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.