আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-এ চলমান বিচার সম্পর্কে নিজেদেরকে সর্বাবস্থায় ওয়াকিবহাল রাখতে চাইলে এই ওয়ার্কশপগুলোর কোন বিকল্প নেই। [...]

আইসিএসএফ : পাক্ষিক অনলাইন কর্মশালা সিরিজ (২য় পর্ব)!! [স্কাইপ : ৩ নভেম্বর ২০১২, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে] এই পর্বের নির্ধারিত আলোচ্যসূচী: ট্রাইবুনালের সাক্ষী সংক্রান্ত বিষয়গুলো, যেমন: — সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান — সাক্ষীদের মান — সাক্ষীদের ভয়ভীতি, লোভ এবং হয়রানীর ঘটনাসমূহ — অত্যধিক সংখ্যক সাক্ষী পেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো — বিদেশী বিশেষজ্ঞ সাক্ষী: আইনে তার সুযোগ আসলে ঠিক কতটুকু? (গোলাম আযম মামলার দু'জন বিদেশী বিশেষজ্ঞ সাক্ষী প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিসমূহ) — সাঈদী মামলার সেই ১৫ জনের সাক্ষ্য — বিভিন্ন মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং বিচারের গতি — সাম্প্রতিকতম বিভ্রান্তি এবং অপ-প্রচারমূলক তৎপরতাসমূহ — অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন এবং মতামতের মাধ্যমে অন্যান্য আরও যে কোনো বিষয় যুক্ত হতে পারে কিভাবে ওয়ার্কশপে নিবন্ধন করবেন? সদস্য এবং অ-সদস্য নির্বিশেষে উভয়ের জন্যই অনলাইন ও ডাউনলোডযোগ্য (গুগল ডক কোনো কারণে কাজ না করলে) নিবন্ধন ফর্মগুলোর লিংক দেয়া হলো: ১) মেম্বারদের জন্য অনলাইন ফর্মের লিংক: https://docs.google.com/spreadsheet/viewform?formkey=dHBvVW56d3pyMWFOYm9RUTNEWi1YUnc6MQ ২) নন-মেম্বারদের জন্য অনলাইন ফর্মের লিংক: https://docs.google.com/spreadsheet/viewform?formkey=dHhWV2hiRkRLUUVPM2Y1TGFpQktDQlE6MQ ৩) মেম্বারদের জন্য ডাউনলোডেবল ফর্মের লিংক: http://www.mediafire.com/?axcz8hg78n6f86l ৪) নন-মেম্বারদের জন্য ডাউনলোডেবল ফর্মের লিংক: http://www.mediafire.com/?3552uf39945afab [যারা অনলাইনে ফরম পূরণের পরিবর্তে ডাউনলোডকৃত ফর্ম পূরণ করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকলো - পূরণকৃত ফর্ম <icsf-recruitment@googlegroups.com> ঠিকানায় ইমেইল করবার] ফর্মটি পুরণ করে ওয়ার্কশপে স্থান নিশ্চিত করার শেষ সময় আগামী ৪৮ ঘন্টা। অর্থাৎ, আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যেই পূরণ করা ফর্মটি পাঠাতে হবে। সুতরাং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্রহীদের প্রতি লিঙ্ক থেকে ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ওয়ার্কশপগুলোর রূপরেখা: প্রতি দু'সপ্তাহ একবার। ওয়ার্কশপগুলো হবে স্কাইপে, যেখানে অংশগ্রহণ করতে হলে নিচের অনলাইন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নিজ নিজ স্থান আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। কি বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বা হতে পারে, তা ফর্ম পূরণের সময় অংশগ্রহণে আগ্রহীরাও সুপারিশ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, ICSF তার সদস্যবৃন্দের বাইরেও এই কর্মশালাগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য অ-সদস্যগণকেও আহ্বান জানাচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের সুযোগ মূলত সর্বনিম্ন ৫ জন থেকে অনূর্ধ ২০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা হচ্ছে। তবে, পূরণকৃত ফর্মগুলোর তথ্যাদি বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই কেবল প্রতি ওয়ার্কশপের ডেলিগেট লিস্ট প্রস্তুত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রস্তুতিমূলক কাগজপত্র সরবরাহ করা হবে। ফর্মপূরণ ব্যতীত কেউ কোনোভাবেই ওয়ার্কশপে অংশ নিতে পারবেন না। আইসিএসএফ এর সদস্যরা যরা…

আজকে বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭১ এর চিহ্নিত অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে অবধি একে আমরা গাল ভরে বলি "দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ", বলি "অসমাপ্ত কাজ"। যদি তাই সত্য হয়ে থাকে তাহলে ৪১ বছর আগেকার মতো এখনও আজাদ-রুমিরা আবারও নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে চারপাশের নিম্ন-মাঝারী বৃত্তগুলো ভেঙ্গে। বিশ্বাস করতে চাই, বিশ্বাস রাখতে চাই [..]

নিচের এই দৃশ্যগুলো অসম্ভব এবং অলীক ছিলো বলেই আমাদের আজকে একটা দেশ আছে। অনেক কমতি, অনেক ঘাটতি, অনেক সীমাবদ্ধতা - তারপরও তো একটা দেশ, আমাদের দেশ! অথচ আমরা জানি - বহু তালেবর মানুষের পক্ষেই সময়ের সেই সন্ধিক্ষণে - বিদেশী বৃত্তির মোহ, উঁচু পদে চাকরীর অভ্যাস, ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ, গোলামীর মোহ, পরিবারের সদস্যদের চোখের জলের হাতছানি অনুযোগ উপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি সেদিন। এর বিপরীতে নিচের এই মানুষগুলো, এবং তাদেরই মতো আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন প্রচলিত বৃত্তের গন্ডি থেকে বেরিয়ে না আসলে কি হতে পারতো, এবার আসুন একটু কল্পনা করার চেষ্টা করি: দৃশ্য এক: ---------- সকাল বেলা বঙ্গবন্ধু সু্যুট প্যান্ট জুতা পরে রেডি, বেগম মুজিব উনার টাই বেঁধে দিচ্ছেন। ভাবছেন - ছেলেমেয়েগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে, ওদের ভাল জায়গায় পড়াশোনা, ভাল জায়গায় বিয়ে-শাদী দিতে হলে, আরেকটু ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে থাকতে হলে - আয় রোজগারটা আরেকটু না বাড়ালেই চলছে না! বারবার নার্ভাস হয়ে ঘড়ি দেখছেন বঙ্গবন্ধু, বড় সাহেবের সাথে মিটিংটা না দেরী হয়ে যায়, ক্যারিয়ারের জন্য আজকের মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৃশ্য দুই: --------- তাজউদ্দিন আহমেদ মাল্টি ন্যাশনাল কোনো কোম্পানীর একজিকিউটিভ - রিভলভিং চেয়ারে বসে পুত্র কন্যাদের ভবিষ্যত নির্বিঘ্ন করার কাজে রাত দিন খাটছেন। দৃশ্য তিন: --------- আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পাকা। বিমান বন্দরে ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করছে রুমি, একটু পরেই ফ্লাইট, বিদায় জানাতে এসেছেন জাহানারা ইমাম, বলছেন - "বাবা তুই ঠিকই সিদ্ধান্ত নিয়েছিস, বাকিরা মরুক, তুই লেখাপড়া কর আর ক্যারিয়ার গোছা, সেটাই দরকারী!" সেদিন সঠিক পথ আসলে কি ছিল সেটা বুঝতে আজ আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আজকে বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৭১ এর চিহ্নিত অপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে অবধি একে আমরা গাল ভরে বলি "দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ", বলি "অসমাপ্ত কাজ"। যদি তাই সত্য হয়ে থাকে তাহলে ৪১ বছর আগেকার মতো এখনও আজাদ-রুমিরা আবারও নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে চারপাশের নিম্ন-মাঝারী বৃত্তগুলো ভেঙ্গে। বিশ্বাস করতে চাই, বিশ্বাস রাখতে চাই।

আমাদের হাতে সময় নেই। ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করে বিচার প্রক্রিয়াকে মানবাধিকার বিরোধী বলে যে পেশাদারী চর্চায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নেমেছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতেই হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষের প্রতিটি মানুষকে। [...]

সময় এসেছে বাস্তবের জমিনে পা রেখে কথা বলার। মাস দুয়েক আগে মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নিউইয়র্ক প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সন্তানবাৎসল্যের নানা উদাহরণ দিয়ে সে তার পিতার মানবিক রূপটি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জানায় একজন ইসলামী রাজনীতিবিদ হওয়াটাই তার অপরাধ। বর্তমান সরকার বিরোধী দলের নেতাদের রাজনৈতিক নিপীড়নের জন্য যেসব মাধ্যম ব্যবহার করছে তার মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল অন্যতম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের নামে এতে যাবতীয় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। উপস্থিত সাংবাদিকদের কেউ যদি আগ্রহী হয়ে তখন গুগলিং করেন, বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল লিখে সার্চ দেন, নিশ্চিতভাবেই প্রথম যে ১০০টি লেখা এ বিষয়ে তার সামনে আসবে, তা এই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে লেখা। যদি কেউ উইকিপিডিয়া সার্চ দেন, দেখবেন আলবদর নামে যে সংগঠনটির নেতা হিসেবে নিজামীর বিচার হচ্ছে সেই আলবদর সম্পর্কে লেখা আছে এরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে স্বল্প সময়ের জন্য ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় এবং দেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।হ্যাঁ, উইকিপিডিয়ায় আপনি যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে কোনও তথ্য পাবেন না। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের শীর্ষে থাকা চৌধুরী মঈনউদ্দিনকে যুদ্ধাপরাধী লেখার দায়ে বিশাল অঙ্কের মানহানির মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছিলো উইকিপিডিয়াকে। তাই তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো তার সম্পর্কে যাবতীয় অভিযোগ। একই ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান এবং টেলিগ্রাফ পত্রিকার ক্ষেত্রেও। আইনি হুমকির কারণে এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে তারা কোনও লেখা ছাপাতে নারাজ। অন্যদিকে শুরুতে বলা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বর্তমান সরকারকে দুর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী বলে প্রতিষ্ঠিত করার অভিপ্রায়ে লেখা বিভিন্ন অভিযোগের বিশাল বিশাল ফাইল জমা হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তরে। প্রতিদিন এসব ফাইল আরও মোটা হচ্ছে। মোটের উপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আসলে একটি রাজনৈতিক দমন প্রক্রিয়া এবং এরসঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক নাই এমন দাবি করে দাতা দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মিথ্যে প্রতিবেদন বানিয়ে, ভিডিও বানিয়ে সেগুলো পাঠানো হচ্ছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, যেখানে আমাদের জনশক্তির একটা বড় অংশ কর্মরত আছে।হিসেবটা পরিষ্কার, নানা রকম আন্তর্জাতিক চাপের মাধ্যমে এই বিচারে বিঘ্ন ঘটানো এবং জনমত তৈরি করে এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে একে বিতর্কিত করা। তাই আমরা জিততে জিততে আসলে হেরে যাচ্ছি। কারণ এসবের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও…

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘Operation Searchlight’-এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী বেসামরিক বাঙালিদের উপর আক্রমণ শুরু করে যা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৯ (নয়) মাস অব্যাহত থাকে। এই সময়টিই হল অপরাধ সংঘটনের কাল। [...]

অপরাধ সংঘটনের কাল ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘Operation Searchlight’-এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী বেসামরিক বাঙালিদের উপর আক্রমণ শুরু করে যা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৯ (নয়) মাস অব্যাহত থাকে। এই সময়টিই হল অপরাধ সংঘটনের কাল। এক নজরে অপরাধ সংঘটনকারী পক্ষসমূহ আগ্রাসী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগী বাহিনী হিসেবে আবির্ভাব হওয়া জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র সংঘ, রাজাকার বাহিনী, শান্তি কমিটি, আল-বদর, আল-শামস, আল-মুজাহিদ বাহিনী ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্যসহ শিগগিরই স্টেটাস দেয়া হবে। চোখ রাখুন এই পাতায়। কৃত অপরাধসমূহ ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তার সহযোগী বাহিনী আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ এর ৩(২) ধারার অধীনে মানবতা বিরোধী অপরাধ (crimes against humanity), যেমন হত্যা (murder), সমূলে নিধন (extermination), ধর্মান্তরিতকরণ (forced conversion), দাসত্বে বাধ্যকরণ (enslavement), দেশত্যাগে বাধ্যকরণ (deportation), বন্দীকরণ (imprisonment), অপহরণ (abduction), আটক (confinement), নির্যাতন (torture), ধর্ষণ (rape), পারসিকিউশন (persecution), অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ইত্যাদি অপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা (genocide), যুদ্ধাপরাধ (war crimes), শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ (crimes against peace) এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধসমূহও সংঘটন করে। কৃত অপরাধসমূহের বিবরণ (তাদের জ্ঞাতার্থে যারা এসব অপরাধের অস্তিত্বই অস্বীকার করে) যুদ্ধকালীন নয় মাস বেসামরিক নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি জনগণের উপর অব্যাহতভাবে চলে নারকীয় নির্যাতন। বাঙালিদের হত্যা, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় এক বীভৎস পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিকামী বাঙালিদের দমনের নামে এই নির্মূল অভিযানের শুরু। অভিযানের সূচনায় সেনাবাহিনীর প্রতি জেনারেল টিক্কার আদেশে বলা হয়, ‘আমি মানুষ চাই না, ভূমি চাই’। ঢাকায় জেনারেল টিক্কার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চালানোর নীলনকশা হল: "Burn everything, kill everyone in sight." [Lawrence Lifschultz, Bangladesh: The Unfinished Revolution, p. 77] International Commission of Jurists (ICJ) তাদের ‘Report of the Commission of Inquiry into the events in East Pakistan, 1971’-এ অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস-এর বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে : ... West Pakistan army systematically massacred tens of thousands of Bengalis. He described how one Major Iftihar set fire to a row of houses…

পাখির মতো কখনো সময়ের হিসাব ভুল করেননি, আপন মনে সবসময় ঠিক জায়গায় সমাবেশ করেছেন [...]

১৯৩৯এ তার বয়স ১০ ১৯৪৯এ ২০, এই তো আমাদের কবি, দেশচেতনার বাংলাদেশের কবি, ১৯৫২ থেকে ২০০৬এর কবি, ৫৪ বার তাকে দরকার ছিল আমাদের, পাখির মতো কখনো সময়ের হিসাব ভুল করেননি, আপন মনে সবসময় ঠিক জায়গায় সমাবেশ করেছেন, আমাদের বাংলাদেশ বাংলা ভাষায় স্বাধীনতার এক অদম্য ছাপ এঁকে দিয়েছে, তার প্রাণে এই ছাপের ভাষার ছবি অনন্য রূপে আরো বড় বাংলা ভাষায় তাকে অভিষিক্ত করেছে, আর আমরা এক নতুন কালপরিধির চারণকে দেখলাম, সব কালপরিধির কবি থাকে না, কিন্তু আমাদের এই হাজারো অভাবের মধ্যে, শামসুর রাহমান এই একটি অভাব আমাদের রাখলেন না, তিনি বাংলাদেশের নতুন কালপরিধির কবি হলেন, প্রতিশ্রুতি প্রস্তুতি সংগ্রাম স্বাধিকার কালোথাবা ক্ষয় অবক্ষয় গণতন্ত্র আঘাত, তার জীবনহ্রদে, আমাদের দেশ পরিক্রমায়, এই পরিস্থিতিগুলোর প্রকাশ দিনলিপির মতো প্রাণসংহারের আগ পর্যন্ত চলেছে, তিনি থেমে গেছেন, কাল পরিক্রমা তো থামবে না আমরা জানি, কিন্তু এই ১৯২৯এর ২৩ অক্টোবরের কথা আমরা মনে রাখব, আমাদের কবি এসেছিলেন, আমরা জানি চলে যেতেও দুঃখময় আগস্টেই গেলেন, কারণ তিনি আমাদের কবি, আজন্ম যুদ্ধকে ঘৃণা করেছেন, বাঙালি শবের স্তূপ দেখে বাণীহীন বিমর্ষ

যন্ত্রণাজর্জর হয়েছেন, বিকল হয়ে যাননি, আমাদেরও অবিকল সেপথে নেমে নরপিশাচের বিচারের পরোয়ানা হাতে তুলে নিতে হবে, যেমন নিতেন তিনি, যিনি ছিলেন আমাদের, কবি, কালপরিধির অদম্য স্বাধীন কবি।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.