৫ জানুয়ারির নির্বাচন শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মেরুকরণ সুস্পষ্ট করে তোলেনি, পরাশক্তিগুলোর ভূমিকাও বিন্যস্ত করেছে নতুন করে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সহিংসতার মধ্য দিয়ে একটি বিতর্কিত নির্বাচনপদ্ধতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে গত কয়েক মাসে অসংখ্য হত্যার পাশাপাশি ৩৫ হাজার কোটি টাকার ধ্বংসস্তূপ তৈরি করে একটি মূল্যহীন নির্বাচনকে ‘বড় বেশি’ মূল্যবান করে তুলেছে নির্বাচনবিরোধী বিরোধী দলগুলো। [...]

৫ জানুয়ারির নির্বাচন শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মেরুকরণ সুস্পষ্ট করে তোলেনি, পরাশক্তিগুলোর ভূমিকাও বিন্যস্ত করেছে নতুন করে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সহিংসতার মধ্য দিয়ে একটি বিতর্কিত নির্বাচনপদ্ধতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে গত কয়েক মাসে অসংখ্য হত্যার পাশাপাশি ৩৫ হাজার কোটি টাকার ধ্বংসস্তূপ তৈরি করে একটি মূল্যহীন নির্বাচনকে ‘বড় বেশি’ মূল্যবান করে তুলেছে নির্বাচনবিরোধী বিরোধী দলগুলো। নির্বাচন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ে মোটামুটিভাবে তিনটি ভাগে; যেগুলোর একটিতে রয়েছে ‘সেক্যুলার’ কিংবা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শক্তি হিসেবে ধর্মীয়-মৌলবাদী-জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির কাছে অভিযুক্ত ডানপন্থী আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি বাম-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামরিক শাসনকালীন সময়ে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এবং কয়েকটি ধর্মবাদী দল। এ ধারার প্রত্যক্ষ প্রতিপক্ষ হল নির্বাচন বর্জনকারী ধর্মীয়-মৌলবাদী-জাতীয়তাবাদীদের ডানপন্থী রাজনৈতিক জোট, যেটির মধ্যমণি বা নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। এর বাইরে রয়েছে আরেকটি ক্ষীণ রাজনৈতিক স্রোতধারা, যেটিতে অবস্থান করছে বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক দল। এই ধারায় সংঘবদ্ধভাবে নির্বাচন বর্জনকারীদের সারিতে রয়েছে সিপিবি-বাসদের ঐক্যজোট– যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির সূত্রে বিএনপিসহ বিভিন্ন ধর্মবাদী-মৌলবাদী-জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে অভিন্ন অবস্থানে থাকলেও, মৌলবাদী রাজনীতির বিরোধী হওয়ায় ঐক্যবদ্ধ কিংবা যুগপৎ আন্দোলন থেকে দূরে ছিল। তা ছাড়াও রয়েছে কয়েকটি বামপন্থী দল– যারা তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির কারণে নয়, বরং নীতিগত কারণেই যে কোনো নির্বাচন বর্জন করে থাকে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাদের সে সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় ঘটেনি। ২ সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে ‘নির্বাচনের পদ্ধতিগত বিতর্ক’ হিসেবে চিহ্নিত ও সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছে। তাই নির্বাচন বর্জনকারীরা ভবিষ্যতে যুদ্ধাপরাধী বিচারের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি দিলেও, বর্জনকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতিনিধিত্বশীল কোনো কোনো ব্যক্তি সে সম্পর্কে নিরব থেকেছেন। দেশজুড়ে গাছকাটার নৃশংস উন্মত্ততা চললেও গাছের গোড়া জড়িয়ে ধরে কাঁদতে সক্ষম কোনো সুশীলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির সিদ্ধান্ত (পরে যা কার্যকরও হয়েছে) ঘোষণার পর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীদের দৃষ্টিকটূ তৎপরতা দেখা গেলেও, বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় ঘোষণার পর তাদের কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কোনো প্রাণদণ্ডের বিরুদ্ধে বলে দাবি করলেও তারা আসলে কখন সক্রিয় হন, কখন চুপ মেরে যান তা এখান থেকেই বোঝা সম্ভব। নির্বাচন কিংবা…

আইসিএসএফ-এর এই পোস্টারগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চায় আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে কী গ্রহণযোগ্য কী গ্রহণযোগ্য নয়। [...]

বিজয়ের ৪২ বছর পর অবশেষে অনেক প্রতীক্ষা ও নানামুখী চাপ প্রতিহত করে ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধে দণ্ডিত কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সমাপ্তির সূচনা হয়েছে বাংলাদেশে। এই পথে হাঁটতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসর লবিস্ট অনুসারী এবং সর্বোপরি বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নীতি আদর্শের নামে অনেক কুতর্ক শুনতে হয়েছে। এই পোস্টারগুলো স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চায় আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে কী গ্রহণযোগ্য কী গ্রহণযোগ্য নয়। http://www.flickr.com/photos/muktangon/sets/72157638771117565/show

দেশ এবং দেশের বাইরে যত মিডিয়া এবং পত্রিকার প্রতিনিধিরা রয়েছেন, আশা করি তারা বিষয়গুলো আরও গভীরতার সাথে বিবেচনায় আনবেন। কারণ, বিচারের বিপক্ষ শক্তির রয়েছে লাখো ডলারের প্রচারযন্ত্র। তাই তাদের মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিপূর্ণ তথ্য প্রচারের কাজটুকুতে ১৯৭১ এর বিচারের পক্ষের মানুষের সক্রিয় সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দেখি না [..]

এ বছর শীত একটু দেরীতে আসলেও নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এসে এখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। সেই শীতকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের পীঠস্থান ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে একে একে সমবেত হয়েছিলেন আজ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা ১৯৭১ এর বিচারপ্রার্থী মানুষেরা। ৭৫টি প্রগতিশীল সংগঠনের মোর্চা 'আইসিটি সাপোর্ট ফোরাম' এর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ সবাই একত্রিত হয়েছিলেন একটিমাত্র দাবীকে তুলে ধরতে, আর তা হল - আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দোষী সাব্যস্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনউদ্দিনকে যেন অবিলম্বে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই পোস্টটির বিষয়বস্তু আজকের সমাবেশ নিয়ে নয়, চৌধুরী মুঈনউদ্দিন নিয়ে। ১৯৭১ এর ইতিহাস জানেন এমন কারও কাছেই আল-বদর কমানড্ার মুঈনউদ্দিনের বুদ্ধীজীবি হত্যাকান্ডে সরাসরি ভূমিকার কথা অজ্ঞাত নয় তাই সে পূনরাবৃত্তিমূলক আলোচনায় এখন যাচ্ছি না। আরও একটি কারণেও সে আলোচনা এখন নিষ্প্রয়োজন, আর তা হল - মুঈনউদ্দিনের অপরাধের বিষয়গুলো এখন আর কেবল 'কথিত' কিংবা 'অভিযোগ' এর পর্যায়ে নেই; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যে এখন তা আইনগতভাবেও প্রমাণিত সত্যে পরিণত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, সাক্ষী নিজে যদি প্রত্যক্ষদর্শী হন, তাহলে তার সাক্ষ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সে প্রত্যক্ষদর্শী যদি নিজেও ভিকটিম হন, তাহলে সে সাক্ষ্যের গুরুত্ব আর সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়, যা মুঈনউদ্দিনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে ঘটেছে। মুঈনউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের মধ্যে এমন সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী ভিকটিম সাক্ষীও রয়েছেন (সূত্র: এখানে এবং ট্রাইবুনালের রায় দ্রষ্টব্য)। এই পোস্টটি মুঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর সংক্রান্ত আইনী-কূটনৈতিক জটিলতা, কিংবা ব্রিটিশ প্রশাসনের দিক থেকে প্রায় দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে নানা দেশের যুদ্ধাপরাধীদের লালন করা নিয়েও নয়। এই পোস্টের বিষয়বস্তু - লন্ডনে বিডিনিউজ২৪ প্রতিনিধি সৈয়দ নাহাস পাশার নেয়া চৌধুরী মুঈনউদ্দিনের একটি 'এক্সক্লুসিভ' সাক্ষাৎকার। সাফাইমূলক এই সাক্ষাৎকারটির লাইনে লাইনে মিথ্যাচার এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা - মূলত সে কারণেই এই পোস্টটি লিখতে হচ্ছে। এই সাক্ষাৎকারটির প্রতিটি লাইন ধরে আলোচনার পরিবর্তে মূলত কয়েকটি প্রধান মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রয়াসকে সচেতন পাঠকের কাছে তুলে ধরাটাই যথেষ্ট বলে মনে করছি। ১. স্বঘোষিত এক 'মৃত্যুঞ্জয়ী মহাপুরুষ' এর অসংলগ্ন বয়ান সাক্ষাৎকারটিতে একদিকে মুঈনউদ্দিন যেমন একের পর এক দম্ভোক্তি করে গেছেন, অন্যদিকে প্রমাণিত এবং সর্বজনবিদিত কিছু সত্যকে তার বিকৃতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টাটাও লক্ষণীয়।…

দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল? ১৯৭১ এর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা আজকে বিচারপতিদের বাসায় আড়িপাতা যন্ত্র বসায়, ইমেইল একাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করে, তারপর সেটা আবার দম্ভ ভরে প্রচার করে! বছর ঘোরে, পরিস্থিতি বদলায় না।

১৯ জানুয়ারী ২০১৪ Post by Rayhan Rashid. ৬ অক্টোবর ২০১৩ Post by Rayhan Rashid. ৯ ডিসেম্বর ২০১২ Post by Rayhan Rashid.

দণ্ড ঘোষণার আগে বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গীতে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য করছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাসছিলেন বক্র হাসি। ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পরও তিনি একবার হেসেছিলেন। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, উই আর সারপ্রাইজড। তারপর তার মুখে ঘন অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করে। চেয়ারের দুই হাতলে দুই হাত রেখে পেছনে হেলান দিয়ে বসেন তিনি। সামনের আসনে বসে থাকা আত্মীয়স্বজনদের মুখের হাসিও উবে যায় ওই সময়ে।...

দণ্ড ঘোষণার আগে বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গীতে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য করছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাসছিলেন বক্র হাসি। ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পরও তিনি একবার হেসেছিলেন। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, উই আর সারপ্রাইজড। তারপর তার মুখে ঘন অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করে। চেয়ারের দুই হাতলে দুই হাত রেখে পেছনে হেলান দিয়ে বসেন তিনি। সামনের আসনে বসে থাকা আত্মীয়স্বজনদের মুখের হাসিও উবে যায় ওই সময়ে। মুখের হাসি কেন উবে গিয়েছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর? এবং তার আত্মীয়স্বজনেরও? ‘উই আর সারপ্রাইজড’ কথাগুলো কেন বেরিয়ে এসেছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুখ থেকে? তিনি কি অন্য কোনও রায় প্রত্যাশা করেছিলেন? অন্য রায়ের প্রত্যাশা ছিল বলেই আগের দিন অনলাইনের একটি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছিল কথিত অংশবিশেষ রায়- কিন্তু ছিল না কেবল রায়ের অংশটুকু? এরকম প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে। কেননা বিচারের পথে দেয়াল তুলতে, বিচারকে হাস্যকর করে তুলতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রথম থেকেই দুর্বিনীত আচরণ করে আসছেন। ‘আমার না হলে ফাঁসি কারও হবে না’- একথা তিনি বলেছিলেন গত ১৭ জুনে। খুবই স্বাভাবিক যে তিনি ফাঁসির হাত থেকে বাঁচার জন্যে চেষ্টা চালাবেন এবং সেই চেষ্টার অনিবার্য ফল হিসেবে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীরাও রেহাই পাবেন, এরকমই ছিল তার ঘোষণা। বিচার শুরুর প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন উদ্ধত, মারমুখো। সাক্ষীদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন তিনি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন বিচারক এবং প্রসিকিউটরদের সঙ্গে। জেলের ডাক্তার থেকে শুরু করে রক্ষীদের ওপর তিনি চড়াও হয়েছেন শারিরীকভাবে। বার বার বিচার বিভাগকে হেয় করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি, এমনকি গত এক অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার সময়েও। ট্রাইব্যুনালকে একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করার মানসিকতাও কাজ করেছে তার আচরণে। গত ৪২ ধরে এ দেশের সবাইকে নিয়ে তামাশা করে আসছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এবং সবশেষে গত এক অক্টোবরেও তামাশা করেছেন। শুধু সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নয়, পুরো পরিবারই ছিল তামাশাকারী। ছেলে হুম্মাদ কাদের চৌধুরী মামলার রায় ঘোষণা শুরু হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের কাছে বলেন তিনি, ‘রায় গতকালই পইড়া ফালাইছি। আজ তামশা দ্যাখতে আইছি।’ কীভাবে এই রায় পড়েছেন তিনি? এর জবাবে হুম্মাদ কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, জাস্টিস কনসার্ন ডট অর্গ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে তিনি তা পাঠ করেছেন। রায় আগেই জেনে ফেলার কথা জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও। রায় পড়া শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই তিনি…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.