আইসিএসএফ @আইসিএসফোরাম [...]

#shahbagh 05 february at the very beginning it was a protest of handful of activists by the night it grown to some five thousands...— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 #shahbagh 06 february protest gathers strength and some ten thousands protesters roared and demonstrted, no one really noticed when ...— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 #shahbagh at the last minutes of 07 february became a mass of nearly one hundred thousands of people and are growing every moment.— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 they say #SeventyOne is dead #LiberationWar is dead but #shahbagh say liberation war is revived and recharged. its immortal.— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 #shahbagh night, waiting for the wave of grand rally at 08 february 2013. twitter.com/icsforum/statu…— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 yep, thats it, that is the opinion of public from #shahbagh protest. twitter.com/icsforum/statu…— ICSF (@icsforum) February 7, 2013 #shahbagh grand rally starts with national anthem aamaar sonaar bangla.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #shahbagh #শাহবাগ মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে ও জয় বাংলা স্লোগানে।— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #joybangla the immortal slogan of bangladesh in every minutes of #shahbag grand rally.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 as every corner of #bangladesh every corner of world #shahbag protest spreaded with same enthusiasm of #joybangla— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #BTV telecast directly the #shahbag grand rally.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #ekattor #GTV #Channel24 #channeli telecast #shahbag grand rally also.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #ProfJafarIqbal arrives at #shahbag grand rally.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #DU vc #JU vc and some two others universite vc is in #shahbag grand rally stage.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #deshtv #ekusheytv #maasranga #banglavision also telecasting directly #shahbag grand rally.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #JagoBahe #KuntheSobai #FhanshiChai grand rally at #shahbag grand chorus.— ICSF (@icsforum) February 8, 2013 #shahbag grand rally wants #jamatshibir to be banned. listen #GoB to people at rally and everywhere.— ICSF…

অনেক তপ্ত খবর আমাদের আশপাশে : আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের ট্রাইব্যুনাল ভেঙে না দিলে এবং তাদের দলের অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি না দিলে গৃহযুদ্ধ শুরু করবে জামায়াতে ইসলামী, হরতালের পর হরতালের মধ্যে দিয়ে ‘জ্বালাও পোড়াও পুলিশ পেটাও’ নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে তাদের সব নেতাকর্মী, এ দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে দ্য ওয়াশিংটন টাইমসে একটি অভিমত-নিবন্ধ লিখেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় প্রত্যাশিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দেশের মানুষ-রাজপথে নেমে এসেছে তরুণ...

অনেক তপ্ত খবর আমাদের আশপাশে : আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচারের ট্রাইব্যুনাল ভেঙে না দিলে এবং তাদের দলের অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি না দিলে গৃহযুদ্ধ শুরু করবে জামায়াতে ইসলামী, হরতালের পর হরতালের মধ্যে দিয়ে ‘জ্বালাও পোড়াও পুলিশ পেটাও’ নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে তাদের সব নেতাকর্মী, এ দেশের গণতন্ত্রকে নিরাপদ করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে দ্য ওয়াশিংটন টাইমসে একটি অভিমত-নিবন্ধ লিখেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় প্রত্যাশিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দেশের মানুষ-রাজপথে নেমে এসেছে তরুণ সমাজ, ওদিকে এতসব ঘটনার ডামাডোলের মধ্যে ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের দূতিয়ালি করতে গোপনে গোপনে জোর তৎপরতা শুরু করেছে কর্পোরেট শক্তি। তা হলে কোনপথে এগিয়ে চলেছে এ দেশ? সবাই জানেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২ একাত্তরের গণহত্যা বিচারের আরেকটি মামলার রায় দিয়েছে। এতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। লেখাই বাহুল্য, জামায়াতে ইসলামীর নেতা হওয়ার জন্যে তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়নি; বিএনপি কিংবা জামায়াতে ইসলামীর নেতা হওয়ার জন্যেও কাউকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়নি-ট্রাইব্যুনাল থেকে যাদের এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে কিংবা যাদের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাদের প্রত্যেককেই আন্তর্জাতিক অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধের এসব অভিযোগ আজকের নয়, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এসব অভিযোগ সচেতন ও ভুক্তভোগী মানুষজন বার বার করে আসছেন। অধুনাবিলুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রার পাঠকপ্রিয়তার একটি অন্যতম কারণ ছিল এই যে সত্তর ও আশির দশকে এ পত্রিকাটি এসব যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধগুলি সম্পর্কে, তাদের রাজনৈতিকভাবে সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টাগুলি সম্পর্কে জনগণকে বিভিন্ন সময় অবহিত করেছে। যুদ্ধাপরাধী কেউ বিএনপি কিংবা জামায়াতে ইসলামীর নেতা হলেই তারা ওই সব অভিযোগের সূত্রে পরিচালিত বিচারের উর্ধ্বে উঠে যায় না। কিন্তু বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জনগণকে বার বার এরকমই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের উদ্দেশ্যে না কি এ বিচার হচ্ছে। এইভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টা করেছে তারা। ট্রাইব্যুনালে কয়েকটি মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার দিকে এগুতে শুরু করতেই মরণছোবল দিতে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির সহযোগী ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবির। পুলিশের ওপর অব্যাহত হামলার মধ্যে দিয়ে তারা চাইছে পরিস্থিতি…

সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে পারে- গত ২১ ডিসেম্বর এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ফরেন পলিসির অনলাইন সংস্করণে, জোসেফ অলচিনের ‘দ্য মিডলাইফ ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। অথচ ২০১২ সালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই হলো, একটি সামরিক ক্যু-এর অপচেষ্টাকে নসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে সত্যিই কি এমন কিছু ঘটবে?[...]

সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে পারে- গত ২১ ডিসেম্বর এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ফরেন পলিসির অনলাইন সংস্করণে, জোসেফ অলচিনের ‘দ্য মিডলাইফ ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। অথচ ২০১২ সালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই হলো, একটি সামরিক ক্যু-এর অপচেষ্টাকে নসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে সত্যিই কি এমন কিছু ঘটবে? বাংলাদেশের রাজনীতিকে যেসব ঘটনা, সংশয় ও গুঞ্জন অস্বচ্ছ করে রেখেছে, রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের অন্ধকারে রেখেছে, সেসবের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এই গুঞ্জনভিত্তিক প্রতিবেদন। আর সে প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে ফরেন পলিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্বি-মাসিক পত্রিকার ওয়েবসাইটে। এ রকম একটি নয়, অসংখ্য গুঞ্জন ও অপপ্রচার অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট করে রেখেছে আমাদের রাজনীতিকে। দিন আনি দিন খাই মানুষদের কাছে এখন তাই একটি বড় প্রশ্ন, আমাদের এ রাজনীতির গন্তব্য কোথায়? রাজনীতি নিঃসন্দেহে গতিশীল ও প্রবহমান, কিন্তু তার তো একটি গতিমুখ থাকে, লক্ষ্য থাকে। কিন্তু তেমন কিছু কি আছে চলমান রাজনীতির? অনেক উত্তর দেয়া যাবে এই প্রশ্নের, কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখতে পাব, সেসব উত্তরও প্রশ্ন হয়ে ছুটে আসছে আমাদের দিকে। এই রাজনীতি কি চায় আমাদের গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে? তা হলে সাংবিধানিকভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ হলেও এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কেন নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে জাতীয় সংসদকে? এই রাজনীতি কি চায় আমাদের জীবনযাপনের নিরাপত্তাব্যূহ তৈরি করতে? তা হলে কেন বিশ্বজিতের মতো জীবন ঝরে যায় রাজপথে? এই রাজনীতি কি চায় আমাদের ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা দিতে? সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠবে, আমাদের রাষ্ট্র কি আদৌ বোঝে ব্যক্তির স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা? আর আমরাইবা কতটুকু প্রস্তুত রয়েছি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যক্তির ও বাকস্বাধীনতার অনুশীলন করতে? এই রাজনীতি কি চায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে? তা হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কেন এত সমালোচনা, কেনইবা এত ষড়যন্ত্র? এই রাজনীতি কি চায় সবার অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে? তা হলে কেন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে, কর্মসূচিতে কোনো প্রতিফলন নেই সেসবের? প্রধান রাজনৈতিক কোনো দল একটি হরতালও কি করেছে খাদ্য সঙ্কট কিংবা দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি নিয়ে? এ রকম অনেক প্রশ্নই আমরা করতে পারি। আর সেসবের উত্তরের জের ধরে আমাদের মনে দেখা দেয় আরো অজস্র প্রশ্ন। যদিও এক অর্থে বলতে গেলে, এসব প্রশ্ন এবং উত্তরও হয়তো অর্থহীন; কেননা যেসব রাজনৈতিক দল…

দ্য ট্রায়াল অব দ্য বার্থ অব আ নেশন -- সোজা বাংলায় বলতে গেলে একটি রাষ্ট্রের জন্মবিচার; লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইকোনমিস্ট-এর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল এটি। ইকোনমিস্ট কি তাদের এই শিরোনাম বুঝেশুনে দিয়েছে? জানা নেই আমাদের। তবে বুঝে হোক আর না-বুঝে হোক, ইকোনমিস্ট একটি নির্মম সত্যই বলে বসেছে, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত অর্থে এই রাষ্ট্রের জন্মের বিচারকাজ চলছে। [...]

যুদ্ধাপরাধী বিচারের রাজনীতি ৪ দ্য ট্রায়াল অব দ্য বার্থ অব আ নেশন -- সোজা বাংলায় বলতে গেলে একটি রাষ্ট্রের জন্মবিচার; লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইকোনমিস্ট-এর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল এটি। ইকোনমিস্ট কি তাদের এই শিরোনাম বুঝেশুনে দিয়েছে? জানা নেই আমাদের। তবে বুঝে হোক আর না-বুঝে হোক, ইকোনমিস্ট একটি নির্মম সত্যই বলে বসেছে, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত অর্থে এই রাষ্ট্রের জন্মের বিচারকাজ চলছে। এই জনপদের মানুষ তখন চেয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও দ্বিজাতিতত্ত্বভিত্তিক রাষ্ট্রের বাইরে এসে গণতান্ত্রিক ও সেক্যুলার একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। অন্যদিকে, এরকম রাষ্ট্র যাতে মুক্তিকামীরা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্যে বিরোধীরা সবরকম সহিংস পথ বেছে নিয়েছিল। ইকোনমিস্টের শিরোনাম তাই পুরোপুরি ইঙ্গিতময় : এই রাষ্ট্রে কি তারা আইনের উর্ধ্বে থাকবে, যারা একদিন এই রাষ্ট্রের জন্ম ঠেকানোর জন্যে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে সব কিছু করেছে? ওরাই করবে রাষ্ট্র পরিচালনা যারা একাত্তরে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করেছে একটি রাষ্ট্রের জন্মযন্ত্রণা? আর এর বিপরীতে তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে ন্যায় বিচার, যারা একদিন এই রাষ্ট্রের জন্যে স্বজন হারিয়েছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে আর পালিয়ে থেকে জীবন বাঁচিয়েছে? না কি বাংলাদেশ একাত্তরের সেইসব পরিবারের জন্যে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রমাণ করবে, যারা ম্যাসাকারের শিকার হওয়ার মধ্যে দিয়ে খুব সরল সিধা এই সত্য তুলে ধরেছিল যে, তাদের আকাঙ্ক্ষিত নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্মের জন্যে যে কোনও পরিণতি বরণ করতে রাজি তারা? যেমনটি বলেছিলেন খান সারওয়ার মুরশিদ একাত্তরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের শপথবাণীর একটি বাক্য হিসেবে : ‘আমরা অঙ্গীকার করছি স্বাধীনতার জন্য জীবন সম্পদ সব দেব।’ আজ হয়তো অনেকে কথাটি মানতে রাজি হবেন না, কিন্তু ভবিষ্যত প্রমাণ করবে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যে দিয়ে ইকোনমিস্ট পৃথিবীর সাংবাদিকতার ইতিহাসে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জঘন্য কালো একটি অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে মিশন নিয়ে ইকোনমিস্ট এখন মাঠে নেমেছে সে মিশনকে বৈধতা দিতে তারা মীমাংসিত বিষয়কেও অমীমাংসিত করে তোলার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। যেমন, প্রতিবেদনের প্রথম পরিচ্ছেদেই তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা উল্লেখ করতে গিয়ে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা তিন লাখ থেকে বর্তমান সরকারের দাবি অনুযায়ী ত্রিশ লাখের মধ্যে একটা কিছু হবে। যুদ্ধাপরাধীদের…

দেশের দুর্গতিতে প্রবাসী-প্রাণ কাঁদে, ফেলে এসেছিস কারে মন মন রে আমার করেই কাঁদে। ফেলে আসেনি, সঙ্গে করে প্রাণভোমরার মতন বয়ে এনেছে জেনেও কাঁদে। ঝড়-বন্যা-ক্ষরা-দুর্ভিক্ষ-ভোট-ভোটদুর্নীতি সব খবরেই বিচলিত হয়। মাঝে মাঝে যখন পার্কের বিজনে সাইপ্রাসের ডালপালায় বাতাসের ঝরঝর-থরথর-কাঁপে পাতাপত্তর শুনতে পাই, আমার মনে পড়ে আমাদের বাড়ির নিমগাছে সকালের বাতাসের কথা। [...]

সত্তুরের দশকে অনেক উঠতিযুবক আর পড়তিযুবকের কাফেলার সাথে আমাদের মামা-চাচারাও পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে, জীবনবদলের হাতছানি/নিশির ডাকে সাড়া দিয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি যখন তাঁরা ছুটিতে বাড়ি ফিরতে লাগলেন, আমরা স্কুলফেরতা এসে তাঁদের আশ্চর্য সাবান আর ট্যাল্কগন্ধী লাগেজের ডালা খোলা দেখতে লাগলাম, তখন থেকে আমরা/আমি একটি অদ্ভূত বিষয়ের সাথে পরিচিত। সেটা হচ্ছে, এইসব আর কোনোদিন দেশে ফিরতে না চাওয়া কৃতসংকল্প মানুষের বিরাগ, দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি। আমরা তখন স্কুলে পড়ি, আমাদের তখন প্রতি বিকেলেই বিটিভির সঙ্গে সঙ্গে ‘দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন’, শ্যামল কোমল পরশ ছাড়া সত্যি আর কিছু প্রয়োজন নেই। আমরা তখন দ্বিজেন্দ্রলালের ‘আমরা হাতে খেতে বড় ডরাই/আমরা স্ত্রীকে ছুরিকাঁটা ধরাই/আমরা মেয়েদের জুতোমোজা আর দিদিমাকে জ্যাকেট-কামিজ পরাই’ ইত্যাদি বলে বলে ‘বিপদেতে দেই বাঙালিরই মতো চম্পট পরিপাটি’তে এসে পাঁই-পাঁই দৌড় লাগাই। ‘নিবেদন’ নামের একটি অনুষ্ঠান হয় ছুটির দিনে দুপুরবেলা, তাতে দীনবন্ধু মিত্রের নাটক দেখে আমাদের নাতিশীতোষ্ণ রক্ত উষ্ণ হয়ে ওঠে। দেশের বিপক্ষে, দেশের মানুষের বিপক্ষে আমরা তখন কিছুমাত্র শুনবার জন্যে রাজি নই। অতএব এইসব মানুষের আহাজারি শুনে আমরা বাঁকা হাসতাম, সোশ্যাল সিকিউরিটি সে আবার কি? সেটা তো আম্মা, বাসায় ফিরে আম্মা আর আম্মার হাতের রান্না ভরা খাবার টেবিল দেখতে পাওয়া। মনে মনে আমরা ভেবে ফেলেছিলাম, এইরকম করে কখনও দেশকে দুষবো না। বলার অপেক্ষা রাখে না, স্কুলের গন্ডী ছাড়াবার আগেই দেশের প্রতি আমার এই একগামিতার অবসান ঘটে, আমি বিপন্ন বিস্ময়ে আবিষ্কার করি, ব্যক্তির বিকাশ-প্রয়াস এবং সিদ্ধিসাধনের পথে সর্বোচ্চ বিরোধিতা করে আমারই রাষ্ট্র। আমরা পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়েই যন্ত্রণা দিতে, নিতে এবং বজায় রাখতে ভালবাসি, যন্ত্রণাই আমাদের মোক্ষ, আনন্দ আমরা নিতেই পারি না, শারীরিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-মানসিক যেকোনো আনন্দ, আমাদের আনন্দের চরম প্রকাশ অন্যের গায়ে রঙ ছুঁড়ে দেয়া।‘আজ সবার রঙে রঙ মেলাতে হবে’, আশ্চর্য, আমার রঙ আলাদা হলেও তাই করতে হবে? ব্যক্তির বিকাশের পুর্বশর্ত ব্যক্তিস্বাধীনতা, তার রূপের সাথে আমরা পরিচিত নই। আমরা যেকোনো স্থানে খ্যাক-থু করে থুথু ফেলতে পারি, শারীরিক পয়োনিষ্কাশনার্থে বসে পড়তে পারি যেকোনো নালায়, কিন্তু আমরা সীমানা বুঝিনা, অন্যের সম্পত্তিকে শত্রুসম্পত্তি বানিয়ে গ্রাস করি, রাষ্ট্রের যেকোনো ভূখন্ড আমার খাসজমি, রাষ্ট্রের নাগরিকের ব্যক্তিগত সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার বলবার আছে, শোনাবারও আছে,…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.