Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর বিপ্লবের কাল শত শত বছর ধরে রোমে কার্যত একইরকম শাসন বহাল ছিল; গণপরিষদের হাতে নির্বাচিত কর্মকর্তা আর সিনেটররাই ছিলেন দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। কিন্তু ধীরে ধীরে খুবই বিশাল হয়ে পড়েছিল সাম্রাজ্যটি। তারপরেও গণপরিষদের সদস্য ছিলেন কেবল রোমের মুক্ত মানুষেরা, আর সত্যি বলতে সিনেটররা আসতেন রোমের খুব অল্পসংখ্যক অত্যন্ত ধনী পরিবার থেকে। কাজেই, সব ক্ষমতা আর প্রায় সমস্ত অর্থ-সম্পদই কুক্ষিগত ছিল একটি মাত্র শহরের গুটিকতেক মানুষের হাতে। রোমের দরিদ্র জনসাধারণ ও গোটা সাম্রাজ্যের সবার মাঝে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে এ-বিষয়টি। এবং শেষ পর্যন্ত অকার্যকর হয়ে পড়ে ব্যবস্থাটি। অথচ তারপরেও সেটা বদলানো সহজ ছিল না খুব একটা। এক শতকের অল্প কিছু বেশি সময় ধরে গুরুতর এক ক্ষমতার লড়াই চলে রোমে। সেটার শুরু হয় প্রস্তাবিত এক ভূমি সংস্কার নিয়ে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ধনীরা আর বড় বড় জমির মালিক হতে পারবেন না এবং দাসদের দিয়ে সেগুলো চাষবাদ করাতে পারবেন না। উল্টো, অনেক জমিই তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে, এবং সেগুলো তখন ছোট ছোট ভাগ করে গরীবদের মধ্যে, বিশেষ করে সেই সব সৈন্যর মধ্যে বিলি করে দেয়া হবে যাঁরা সেনাবাহিনীতে তাঁদের কাজের মেয়াদ শেষ করেছেন। এই ভূমি সংস্কারের প্রস্তাব যিনি করেন তাঁর নাম তাইবেরিয়াস গ্রকাস (Tiberius Gracchus)। ১৩৩ খৃষ্ট পূর্বাব্দে খুন হয়ে যান তিনি। শুধু তিনিই নন, দশ বছর পর খুন করা হয় তাঁর সহোদরকেও, যিনি ঠিক একই ধ্যান-ধারণার প্রবক্তা ছিলেন। তাঁদেরকে হত্যা করা হলেও তাঁদের চিন্তাকে কিন্তু হত্যা করা যায় নি। আর তা জন্ম দিল কিছু মানুষের ছোট একটি দলের, যদিও তাঁরা যে খুব সংগঠিত ছিলেন সেকথা বলা যাবে না। তাঁরা নিজেদেরকে বলতেন 'populares', আর এ-শব্দটা এসেছে 'populus', বা 'জনগণ' (people) থেকে, যার অর্থ, 'জনগণের দল' (the people's party)। তাঁদের বিরোধী পক্ষে ছিলেন ধনী সব সিনেটর আর তাঁদের অনুসারীরা, আর নিজেদেরকে তাঁরা বলতেন 'optimates', বা, 'সেরা' (the best)। তো, এক অর্থে রোমে তখন দেখা দিলো একটি পরিবর্তনকামী বা, প্রগতিবাদী, বা চরমপন্থী দল, আরেকটি রক্ষণশীল দল। একদিকে এই দুই দলের দ্বন্দ্ব নানান…
|| বিপ্লবের কাল || শত শত বছর ধরে রোমে কার্যত একইরকম শাসন বহাল ছিল; গণপরিষদের হাতে নির্বাচিত কর্মকর্তা আর সিনেটররাই ছিলেন দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। কিন্তু ধীরে ধীরে খুবই বিশাল হয়ে পড়েছিল সাম্রাজ্যটি। [. . .]