৭৮৯ আর্ট জোনের প্রতীকচিহ্ন 'সেভেন নাইন এইট' একটি কারখানার নাম -- একসময় শ্রমিকের কোলাহলে মুখরিত হতো, কারখানার বাঁশি বেজে উঠলে শ্রমিকেরা দল বেঁধে কাজে যেত, ইঞ্জিনের ঘড়্ ঘড়্ শব্দ ছিল অতি পরিচিত, হাতুড়ির তালে তালে গান গেয়ে উঠত শ্রমিকের দল। সে ছিল এক অন্য রকম সময়। আজ আর এই চত্বরটি কারখানার শ্রমিকের পদধ্বনিতে মুখরিত হয় না, অনেক আগেই থেমে গেছে কারখানার বাঁশি। তবে এই পরিত্যক্ত চত্বরটির পুনর্জাগরণ ঘটেছে অন্যভাবে -- এখন এটি চারুশিল্পের এক অভাবনীয় জগৎ। বিশ্ব জুড়ে পরিচিত একটি নাম : 'বেইজিং আর্ট জোন সেভেন নাইন এইট।'

যখন থেমে গেল কারখানার বাঁশি 'সেভেন নাইন এইট' একটি কারখানার নাম -- একসময় শ্রমিকের কোলাহলে মুখরিত হতো, কারখানার বাঁশি বেজে উঠলে শ্রমিকেরা দল বেঁধে কাজে যেত, ইঞ্জিনের ঘড়্ ঘড়্ শব্দ ছিল অতি পরিচিত, হাতুড়ির তালে তালে গান গেয়ে উঠত শ্রমিকের দল। সে ছিল এক অন্য রকম সময়। আজ আর এই চত্বরটি কারখানার শ্রমিকের পদধ্বনিতে মুখরিত হয় না, অনেক আগেই থেমে গেছে কারখানার বাঁশি। তবে এই পরিত্যক্ত চত্বরটির পুনর্জাগরণ ঘটেছে অন্যভাবে -- এখন এটি চারুশিল্পের এক অভাবনীয় জগৎ। বিশ্ব জুড়ে পরিচিত একটি নাম : 'বেইজিং আর্ট জোন সেভেন নাইন এইট।' ১৯৫১ সালে গড়ে উঠেছিল কারখানাটি, মূলত সামরিক সরঞ্জামাদি ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরির লক্ষ্য নিয়ে। বিশ্বব্যাপী তখন সমাজতন্ত্রের জয় জয়কার, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর বন্ধুত্ব যেন লৌহকঠিন দৃঢ়তায় আবদ্ধ। বিশ্বকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন পৃথিবী গড়ার। এটি সেই সময়ের কাহিনী। তদানীন্তন পূর্ব জার্মানি ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল কারখানাটি। আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পূর্ব জার্মানির। কারখানার নকশা তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত বাউহাউস স্কুলের প্রেরণায়। খোলামেলা চত্বর এবং সর্বত্র আলোর আধিক্য – এই হচ্ছে মূল বৈশিষ্ট্য। কারখানার র্কমকাণ্ড থেমে গেলেও স্থাপত্যর্কমটি এখনো অক্ষুণ্ণ আছে, তাও যেন এক র্দশনীয় বিষয়। সত্তরের দশকে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ে এই কারখানাটি বিপ্লব র্চচার একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, এখনো তার প্রমাণ মেলে বিভিন্ন দেয়াল-লিখনে। এখনো চোখে পড়ে মাও স্তুতির বিভিন্ন স্লোগান। যেমন, ‘মাও টুশি ওয়ামেন দা থাইয়াং’ (চেয়ারম্যান মাও আমাদের সূর্য)। এই দেয়াল-লিখনগুলো মুছে ফেলা হয়নি, বরং সংরক্ষণ করা হয়েছে অতীত স্মৃতি হিসাবে। আশির দশকে যেন সমস্ত পৃথিবী ওলট পালট হয়ে যায় -- পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ঘটে নতুন পালাবদল, পতন ঘটে বিশ্ববিখ্যাত বার্লিন প্রাচীরের, পূর্ব জার্মানি থেকে বিদায় নেয় সমাজতন্ত্র। আশির দশকে চীনও নতুন যুগে প্রবেশ করে। তেং শিয়াও পিং (চীনাদের উচ্চারণে ‘তেং শিয়াও ফিং’)-এর নেতৃত্বে শুরু হয় অর্থনৈতিক সংস্কার ও খোলা দুয়ার নীতি। ধীরে ধীরে ৭৯৮ কারখানাটির কার্যকারিতা হ্রাস পেতে লাগল। এবং একসময় পুরো কারখানাটি যেন অনেকটাই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। গড়ে উঠল শিল্পের ভুবন গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষার্ধে এবং নব্বই দশকের শুরুতে চীনদেশে নানা ক্ষেত্রে এক ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়; মূলত তেং শিয়াও পিং-এর অর্থনৈতিক…

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার ও দার্শনিক। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। ১৯১৩ সালে তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য প্রথম এশীয় হিসাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি তার সারা জীবনের কর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি বিশ্বকবি ও কবিগুরু হিসেবে সম্মানিত ও খ্যাত। তিনি বিশ্বের একমাত্র কবি যিনি দু'টি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি' এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা' উভয়টির রচয়িতাই রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের হাতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে ও নতুনরূপে বিকশিত হয়েছে। কলকাতার পিরালী ব্রাহ্মণ সমাজের অন্তর্গত রবীন্দ্রনাথ প্রথম কবিতা লিখেছিলেন মাত্র ৮ বছর বয়সে। ১৮৭৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথম ছোট গল্প ও নাটক লিখেন। এর আগেই প্রথম প্রতিষ্ঠিত কাব্যের জন্ম দিয়েছিলেন যা ভানুসিংহ ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়। পারিবারিক শিক্ষা, শিলাইদহের জীবন ও প্রচুর ভ্রমণ তাকে প্রথাবিরুদ্ধ এবং প্রয়োগবাদী হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। তিনি ব্রিটিশ উপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শাসন-শোষণের প্রবল বিরোধিতা করেন ও মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করেন। তার পুরো পরিবারের পতন ও বাংলার বিভক্তিরেখার নিদর্শন তাকে দেখতে হয়েছিল অনেকটা অসহায়ের মতোই। এদিক থেকে তার জীবনকে দুঃখী বলতেই হয়। কিন্তু তার কবিতা, অন্যান্য সাহিত্য আর বিশ্বভারতী প্রতিণ্ঠা তার জীবনকে মহিমান্বিত করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদা দেবীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন ১৩তম । জন্মের সময় তার ডাক নাম রাখা হয় রবি। ১১ বছর বয়সে তার উপনয়ন সম্পন্ন হওয়ার পর ১৮৭৩ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুর তার বাবার সাথে কলকাতা ত্যাগ করেন ভারত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে যান তারা। এর মধ্যে ছিল শান্তিনিকেতনে দেবেন্দ্রনাথের নিজস্ব সম্পত্তি, অমৃতসর ও হিমালয় অধ্যুষিত পাহাড়ি স্টেশন ডালহৌসি। সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির জীবনী, ইতিহাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান, আধুনিক বিজ্ঞান ও সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি কালিদাসের ধ্রুপদি কাব্যের সাথে পরিচিত হন ও এর বিভিন্ন পর্যালোচনা করেন। ১৮৭৭ সনে তিনি প্রথম জনসম্মুখে…

স্মৃতিকে হাতড়ে বেড়ানো্র মতো কষ্টকর বিষয় আর নেই, আর তা যদি হয় বেইজিং-এর মতো শহরে। কারণ এই শহর এতটাই বদলে গেছে যে এক যুগ আগে যিনি এই শহরে এসেছেন তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে এক কঠিন ধাঁধা। নিজের চোখকে বিশ্বাস করা কঠিন। যাকে বলে খোলনলচে পালটে যাওয়া। অবশ্য এর একটি প্রধান কারণ হতে পারে দু’ হাজার আটের অলিম্পিক আয়োজন। পৃথিবীর কাছে একটি ঝকঝকে শহর উপহার দেয়ার বাসনা। সে চেষ্টায় চীনারা যেন অনেকটাই সফল, অলিম্পিকে আগত বিদেশী অতিথিরা সত্যিই মুগ্ধ হয়ে দেখলো বেইজিং-এর এই নব রূপ। অলিম্পিক একটি উপলক্ষ মাত্র, এমনিতে চীনাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর, তারই প্রতিফলন রাজধানী বেইজিং-এ। চীনাদের আয় উন্নতি যে যথেষ্ট হয়েছে তার ছাপ সর্বত্র। আজ থেকে বিশ বছরের বেশি সময় আগে বেইজিং শহরে এসেছিলাম। [...]

স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানোর মতো কষ্টকর বিষয় আর নেই, আর তা যদি হয় বেইজিং-এর মতো শহরে। কারণ এই শহর এতটাই বদলে গেছে যে এক যুগ আগে যিনি এই শহরে এসেছেন তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে এক কঠিন ধাঁধা। নিজের চোখকে বিশ্বাস করা কঠিন। যাকে বলে খোলনলচে পালটে যাওয়া। অবশ্য এর একটি প্রধান কারণ হতে পারে দু’ হাজার আটের অলিম্পিক আয়োজন। পৃথিবীর কাছে একটি ঝকঝকে শহর উপহার দেয়ার বাসনা। সে চেষ্টায় চীনারা যেন অনেকটাই সফল, অলিম্পিকে আগত বিদেশী অতিথিরা সত্যিই মুগ্ধ হয়ে দেখলো বেইজিং-এর এই নব রূপ। অলিম্পিক একটি উপলক্ষ মাত্র, এমনিতে চীনাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর, তারই প্রতিফলন রাজধানী বেইজিং-এ। চীনাদের আয় উন্নতি যে যথেষ্ট হয়েছে তার ছাপ সর্বত্র। আজ থেকে বিশ বছরের বেশি সময় আগে বেইজিং শহরে এসেছিলাম। তখন বেইজিং-এর সাইকেলের যুগ, শহর জুড়ে শুধু সাইকেল আর সাইকেল। বড় বড় রাস্তাগুলো যেন খাঁ খাঁ করতো। কিছু ট্যাক্সি, পাবলিক বাস আর সরকারি গাড়ি -- এই ছিল পথের সাথী। বরং সাইড লেন-ই ছিল জমজমাট, সারি সারি সাইকেলের মিছিল। তখন এটিই ছিল একমাত্র সমাজতান্ত্রিক বাহন। উঁচু-নিচু ভেদাভেদ নেই, সবারই এক বাহন -- সাইকেল। আর এই সাইকেলের কত গুণগান। আমার মনে আছে, আমাদের চীনা ভাষা শিক্ষা ক্লাসে সাইকেল চালানোর সুফল নিয়ে একটি প্রবন্ধ ছিল। তাতে শরীরচর্চা থেকে শুরু করে পরিবেশ-বান্ধব হিসাবে সাইকেলের নানান গুণপনার বিবরণ ছিল। এখনো অবশ্য কিছু লোককে সাইকেল চালাতে দেখা যায় কায়ক্লেশে, যারা প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি, ধরতে পারেনি সম্ভাবনার প্রথম ট্রেনটি। প্রায় পনেরো বছর পর বেইজিং-এ এসে যখন এক চীনা বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলাম তখন তার আচার-আচরণে দেখি বিশাল পরিবর্তন, চালচলনে বন্ধুটি এখন পুরো বুর্জোয়া, গাড়ি ছাড়া এক পা-ও চলতে পারে না, অথচ আগে দেখেছি তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল একটি ভাঙাচোরা সাইকেল। যে-বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় অধ্যয়ন করেছি তার সামনে মোটরগাড়ির সারি, আগে যেখানে শোভা পেত শুধু সাইকেল আর সাইকেল। চীনারা যে-দিকে ঝোঁকে একেবারে বিপ্লব করেই ছাড়ে, এখানেও ঘটে গেছে এক মোটরগাড়ি বিপ্লব । চীনারা তাদের উন্নতির যে-তরিকা, তার নামকরণ করেছে সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি। অর্থাৎ পুঁজিবাদি ঘুড়ি যত উপরেই উঠুক তা নিয়ন্ত্রিত হবে সমাজতান্ত্রিক লাটাইয়ে। এক দেশ দুই নীতি – সমাজতন্ত্র আর…

রচনাঃ হাসান মাহমুদ পরিচালনাঃ রাকিবুল হাসান অভিনয়ে শ্রেষ্ঠাংশে: রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং ইলোরা গওহর। কপিরাইট সৌজন্যে: আমারব্লগ.কম

রচনাঃ হাসান মাহমুদ পরিচালনাঃ রাকিবুল হাসান অভিনয়ে শ্রেষ্ঠাংশে: রাইসুল ইসলাম আসাদ এবং ইলোরা গওহর। কপিরাইট সৌজন্যে: আমারব্লগ.কম =ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের সর্বত্র অলাভজনক বিতরণ এবং প্রচারের জন্য উম্মুক্ত= হিল্লা: প্রথম পর্ব হিল্লা: দ্বিতীয় পর্ব হিল্লা: তৃতীয় পর্ব হিল্লা: চতুর্থ পর্ব হিল্লা: পঞ্চম পর্ব হিল্লা: ষষ্ঠ পর্ব হিল্লা: সপ্তম পর্ব হিল্লা: অষ্টম ও শেষ পর্ব দ্রষ্টব্য: ১) হাসান মাহমুদের 'ইসলাম ও শরিয়া' বইটি এখন পাওয়া যাবে পাঠক সমাবেশ লাইব্রেরীতে (আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা)। ২) লেখকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে এই লিন্কটি ব্যবহার করুন: hasan.mahmud@hotmail.com

উৎসের রূপকথা কবে এবং কোথায় মানুষ প্রথম কফিগাছটিকে তার একটি প্রধান পানীয়ের উৎস হিসেবে চিনে নিয়েছিল এ বিষয়ে সঠিক জানাশোনা মানুষের ইতিহাসে নেই। এবং কেউই এখন আর জানে না কে ছিল সে মানুষ, যে এই উদ্ভিজ্জ পদার্থটিকে এক উষ্ণ সমৃদ্ধ সৌরভময় পানীয়ে রূপান্তর ঘটিয়েছিল। তাই এ বিষয়ে রূপকথার প্রচলনটাই বিশেষ। আর আমাদের একালে এর প্রতিটিকেই কমবেশি রম্য মনে হয়। এর মধ্যে যেটি বহুল প্রচলিত, এবং সবগুলোর মধ্যে বেশি সমৃদ্ধ, সেটি আমরা জানতে পেরেছি এক মারোনিৎ সন্ন্যাসীর কাছ থেকে, যখন তিনি সরবনের ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হয়ে এলেন আঠার শতকের গোড়ায়। তিনি প্রচার করলেন যে, এক খ্রিষ্টীয় বিহারের পাদ্রি মৃতসাগরের তীরগুলোর কাছাকাছি থাকা ছোট্ট টিলাগুলোতে বসে অবসর যাপন করতেন, একবার সেখানে তিনি চরে বেড়ানো ছাগলগুলোর মধ্যে আশ্চর্য এক আচরণ খেয়াল করলেন। তিনি দেখলেন এ ছাগলগুলো একজায়গায় বেশিক্ষণ না থেকে খালি ঘুরে বেড়ায় এবং সারা রাত জেগে কাটায়—এভাবে তিনি এও খেয়াল করলেন এ ছাগলগুলো একধরনের ঘন বেঁটে গুল্মের কাছে একত্র হয়, যে গুল্মের পাতা ঘনসবুজ শক্ত এবং উজ্জ্বল আর সমস্ত গুল্ম ভরে থাকে এক

প্রকার দানায় যা দেখতে বেগুনী, খুবই জীবন্ত এবং ছোট্ট চেরিখণ্ডের মতো। তিনি দেখলেন ছাগলগুলো এসবই চিবুচ্ছে। বুড়ো পাদ্রি এই দেখে এই দানাগুলো পানিতে সিদ্ধ করতে লাগলেন ভেবে দেখলেন হয়তো এভাবে পান করে তিনি intoxicated হতে পারবেন। বেশ করে ফুটালেন তিনি, ঐ ফুটন্ত পানীয়ই তিনি যন্ত্রণা নিয়ে পান করলেন, আশ্চর্য! এ তাকে নিয়োজিত করল এক মাতাল অবস্থায়—কিন্তু তার আনন্দের হাবভাব একটুও নষ্ট হলো না—তার চেতনার কিঞ্চিৎ লোপও তিনি অনুভব করলেন না। পক্ষান্তরে তার মানসিক অবস্থান আরো তীক্ষ্ণ হয়ে উঠল আর ভাবগুলোকে দেখতে পেলেন স্বচ্ছতম দশায়—বেশ প্রাণবন্ত আর গতিময়। তিনি উপলব্ধি করলেন সান্দ্রতায় তার চিন্তাগুলোর জট খুলছে কী বিশুদ্ধ একেকটি পদক্ষেপে। আশেপাশের বস্তুজগত আর ভূমিচিত্র যা তাকে ঘিরে আছে হয়ে উঠল চরম প্রেরণাদায়ী। যে জিনিসটির প্রতি তিনি তাকাতেন বা যে চিন্তাটির মধ্যে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করতেন, তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, শেষ মুহূর্তে তিনি তার থেকে আবিষ্কার করতেন এক অপ্রত্যাশিত গুরুত্ব। প্রত্যঙ্গগুলো হতো হালকা, মস্তিষ্ক হতো সকল ভারমুক্ত, ধর্মতত্ত্ব হয়ে উঠত মানসিক মত্ততার এক অভিজ্ঞতা যা তন্দ্রাকে দূরীভূত করত এবং ফিরিয়ে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.