রক্ষা হলেও হতে পারে একমাত্র এই উপায়ে। প্রাকবুথ সমীক্ষা বুথফেরত সমীক্ষা এসব ভাল, এসব যথেষ্ট মনোযোগের সাথে পড়া আমার অনেক দিনের অভ্যাস, এবং এটা পশ্চিমে বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে আজকাল, পরিসংখ্যানের এই বিশেষ তথ্যবিশ্লিষ্ট হাতে পাওয়া জ্ঞান কখনো কখনো অতিমাত্রায় অমোঘ হতেও দেখা গেছে সেখানে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো শেষ মুহুর্তের বেনিফিটঅফডাউটের আনুকূল্যটাই অর্জিত সিদ্ধান্তের মোক্ষম দাগটা উপহার দেয় সঙ্গতভাবেই। কাজেই একরৈখিক উদ্দীপক সিটিকর্পোরেশন ইয়াবা এবং প্রনিধাণযোগ্য পোলভল্ট প্রত্যয় দুটোই সত্য এবং এর উপর ভিত্তি করেই নির্বাচনী শক্তিগুলো এগুবে কিন্তু সুনিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না ইয়াবার দ্রব্যগুণে সাফল্য আসবে বা প্রত্যয়ের মুখ লক্ষ্যে পৌঁছে শেষ হাসি হাসবে। এই বলতে না পারাকে যে যত বেশি গুরুত্বের সাথে নেবে, এই অনিশ্চয়তার শক্তিকে যে যত বেশি স্নায়ুতে ধারণ করতে পারবে, সংখ্যাতত্ত্বের পাশাপাশি যে মনস্তত্ত্বকে ও নিজের কাজের নিষ্ঠা ও কূটকৌশলকে অনিশ্চিত পথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রাখতে পারবে চূড়ান্ত মুহূর্তের সমীকরণ তার দিকেই হেলে থাকবে। যে যত বেশি দূরবর্তীতে আঘাত হানতে পারবে, মহাবিশৃঙ্খলাকে যে যত বেশি ম্যাট্রিক্সে ধরতে পারবে, নিউইয়র্কে প্রজাপতির পাখা ঝাপটানোতে কোপাকাবানার সমুদ্রসৈকতে বাতাসের গতি যে বাড়তে পারে, কাশীধামে কাক মরেছে কামরূপেতে হাহাকার যে সত্যিই হয়, মস্কোতে বৃষ্টি হলে ঢাকাতে ছাতা খোলার যে আসলেই প্রয়োজন আছে – এসব আন্তসম্পর্কের যে যত বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পারবে সে তত এগিয়ে থাকবে। কারণ কেন্দ্রে বসেও ঊর্ণনাভ প্রান্তিকের টানাপোড়েন টের পায় নাভির সক্ষমতায় – ওই প্রান্তিকের হিসাব যার যত সূক্ষ্ণ হবে, ব্যাটের কোনাকাঞ্চির জ্ঞান যার যত বেশি, দৌড়ে পৌঁছে যাওয়ার জীবনীশক্তি ও স্পৃহা যার যত বেশি অনিশ্চিতের ফলে তার তত হাত।
রক্ষা হলেও হতে পারে একমাত্র এই উপায়ে। [...]