তো এখন শচীন তেণ্ডুলকরের অবসর নেয়ার ঘোষণা এসে গেল [...]

ভারতের দুজন ক্রিকেটারের নাম বলতে বললে, না একজন বলতে বললে হবে না, আমি কপিল দেব আর শচীন তেণ্ডুলকরের নামই বলব। তো এখন শচীন তেণ্ডুলকরের অবসর নেয়ার ঘোষণা এসে গেল, ভাবছি নিজে কত বুড়ো হয়ে গেলাম, আমাদের প্রজন্মের মহানতম ধারাবাহিকতম ব্যাটসম্যানটিরও সময় শেষ হয়ে গেল? শচীন যতদিন খেলেছে ততদিন নিজেকে বুড়ো মনে হয়নি কিন্তু শচীনের অবসরের ঘোষণার পর থেকে আড়ষ্টতা হুমকিই দিচ্ছে বলা যেতে পারে। এক তিল আন্দু খেলতে দেখলাম না কোনোদিন তাকে #SachinTendulkar— masud karim (@urumurum) October 11, 2013 Did you know @mid_day recorded Sachin Tendulkar's first ever TV interview in 1989. Here it is: http://t.co/T5VbA2bIQv #SachinTendulkar— Sachin Kalbag (@SachinKalbag) October 10, 2013 Sachin Tendulkar's highs: Here are some of his milestones over the years as covered by our writers http://t.co/jGmCjAKirK #SachinTendulkar— Mid Day Infomedia (@mid_day) October 11, 2013 #SachinTendulkar: The man who turned stones into milestones http://t.co/YKqiY3T8Kc @sachin_rt— EconomicTimes (@EconomicTimes) October 11, 2013 Harsha Bhogle tweets: "You knew it was coming, it was inevitable, then why Sachin do you still produce this numbness?" #SachinTendulkar— CNN-IBN News (@ibnlive) October 10, 2013 I never think of landmark, will think about 200th Test when I reach there: Sachin Tendulkar #SachinTendulkar— CNN-IBN News (@ibnlive) September 3, 2013 These records may be broken may not be but nobody can beat him or replace him!! #SachinTendulkar pic.twitter.com/EY3UTl4JS4— ●•ρяαтソυѕнαツ (@pratyusha) September 16, 2013 শচীন যতদিন খেলেছে ততদিন নিজেকে বুড়ো মনে হয়নি #SachinTendulkar— masud karim (@urumurum) October 11, 2013

বইটি পড়ে ইস্তক শৈশবে বিচরণ করছি । দক্ষিণের বারান্দা । লেখক, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি, মোহনলাল গঙ্গোপাদ্যায় । একজন আত্মীয়াকে দিয়েছিলাম পড়তে, বললেন, শিশুদের জন্যে লেখা মনে হলো । একটু অবাক হলাম । শৈশবের কথা লিখলেই সেটা কি শিশুদের? নাকি আমরা বুড়ো হয়ে শৈশবে ফিরতে ভুলে গেছি! অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় সকলকার মত, ক্ষীরের পুতুল, বুড়ো আংলা, রাজকাহিনী বা নালক পড়ে, ছোট বয়েসেই । আমার বুড়ো প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ আমাকে মার্জনা করুন, কিন্তু অবনীন্দ্রনাথের হাতে বাংলা কিশোর-সাহিত্যের শতদল সম্পূর্ণ বিকশিত হয়েছে বলে মনে হয় | কিশোরদের মন ধরতে তিনি বেশি সক্ষম, অন্য তত্কালীন লেখকের চেয়ে । তারপর আরো লেখক এসে তুলি ধরেছেন, শব্দ দিয়ে ছবি এঁকেছেন, তবে গোড়ার কাজটা অনেকটাই তাঁর। ভাষার স্বচ্ছতা, সাম্পান-ঋজুতা, মিষ্টি স্বকীয়তা, বৈঠকী ইনফরমাল চাল, শব্দ দিয়ে ছবি আঁকা, এই সব নিয়ে কৈশোরক স্রোতস্বিনী থেকে সর্বহৃদয়-গ্রাহ্য সমুদ্রে পৌঁছেছেন অবন ঠাকুর । তাঁর সেই প্রিয় পাঁচ নম্বর বাড়ি, (জোড়াসাঁকোর পাশের বাড়ি) তাঁর জীবন নিয়ে কৌতুহল ছিল খুব । বইটি anecdotes এ ভরা, কিন্তু তার ভেতর থেকে সম্পূর্ণ মানুষটাকে চোখের সামনে পেতে একটুও অসুবিধে হয় না । স্মৃতিমেদুর বাড়িটি তাঁদের, যেদিন বিক্রি করে দিয়ে চলে যেতে হলো, সেইদিন সেই ঘটনায় অনুরণিত হয়ে নাতি মোহনলাল তার গভীর ও অমূল্য স্মৃতির খনি থেকে তাঁর শৈশব কৈশোর ও প্রথম তারুণ্য বিজড়িত সেই বাড়িটি, এবং বাড়িতে যাঁরা ছিলেন সেই তিন ভাই - অবনীন্দ্র, সমরেন্দ্র ও গগনেন্দ্রর স্মৃতিময় খনিজ উদ্ধার করেছেন । রীতিমত ঝরঝরে স্ফটিক-গদ্যে । শৈশবে কি কি করেছিলেন, তাই শুধু দেখা হয় না, শৈশব বিকশিত হতে হলে কেমন মানুষের দরকার আশেপাশে, তারও একটা ছোটখাটো দৃষ্টান্ত বোধ হয় পাওয়া যায়। অবনীন্দ্রনাথ যে অবনীন্দ্রনাথ, এ কথা ভুলে গিয়েই পাঠকের বেশি আনন্দ; নাতির সঙ্গে 'স্বপ্ন-মোড়কে' স্বপ্ন লিখে হাতেলেখা একটি পত্রিকা চালু করতে উত্সাহ দিচ্ছেন, নিজে লিখছেন, পাথর কোড়াচ্ছেন, যাত্রা পালা লিখছেন, যাত্রায় সবাইকে ঢুকিয়ে নিয়ে উত্সাহ দিচ্ছেন, বাগানে জাপানি মালিকে দিয়ে বনসাই করাচ্ছেন, ভাঙ্গা পাথরবাটি দিয়ে চমত্কার ভাস্কর্য বানিয়ে ফেলছেন, আরব্য রজনীর গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে ছবি আঁকছেন, বাগানে বিদেশী পাখি আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছেন, তাদের ছেড়ে দিচ্ছেন -- যেন তারা পাঁচ নম্বরের বাগান আলো করে থাকে, লবন…

আমায় তুমি অলস করেছ[...]

বর্ষায় বিহার শীতে নিদ্রা, কাজ করার কোনো ইচ্ছে নেই আমার, হেমন্তে গান গরমে স্নান, শরৎ নৌকায় বসন্ত ভাষায়।

আমরা সত্যই কি জানি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হবার ইতিহাসটুকু? ইন্টারনেটে সার্চ করুন। এ নিয়ে কোন তথ্যই আপনি পাবেন না। এমনকি আন্তজার্তিক ভাবে পালিত ইউনেস্কোর পোষ্টার লিফলেট কিংবা নিউজ লেটারে কোথাও বাংলাদেশের ১৯৫২ সনের এই আত্মত্যাগের সংবাদটি আপনার চোখে পড়বে না [...]

(লেখাটি একটি ভিন্ন শিরোনামে আমি আমার ব্লগসাইটে পোস্ট করেছি। আশা করব, বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনায় এডমিন লেখাটিকে মুক্তাঙ্গনের নীতির পরিপন্থি বলে বিবেচনা করবেন না। সম্প্রতি মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ের দলিলাদি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমি মনে করি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস নিয়ে যারা ভবিষ্যতে গবেষণা করবেন, যারা উইকিপিডিয়াতে কিংবা অন্যান্য জায়গায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাসকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে সন্নিবেশিত করতে চান - তাদের কাছে এই দলিলটি একদিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই আমার বিশ্বাস)। বাঙালি বড় বিস্মৃতিপরায়ণ জাতি। নিজেদের ইতিহাস ভুলে বসে থাকে। কখনো বিকৃতও করে অহর্নিশি। বাঙালি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে, শেখ মুজিবের অবদান নিয়ে… এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে বাঙালি বিতর্ক করে না। সেই বিস্মৃতিপরায়ণ জাতি হিসেবে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করি, উল্লাসে একে অভিহিত করি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে, কিন্তু আমরা সত্যই কি জানি একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হবার ইতিহাসটুকু? ইন্টারনেটে সার্চ করুন। এ নিয়ে কোন তথ্যই আপনি পাবেন না। এমনকি আন্তজার্তিক ভাবে পালিত ইউনেস্কোর পোষ্টার লিফলেট কিংবা নিউজ লেটারে কোথাও বাংলাদেশের ১৯৫২ সনের এই আত্মত্যাগের সংবাদটি আপনার চোখে পড়বে না। বাহান্নের কথা নাহয় বাদই দিন। এমনকি আপনি জানবেন না কিভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারির এই দিনটি কোন যাদুবলে হঠাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে গেল ২০০০ সাল থেকে। জানার কোন উপায় নেই - কারা ছিলো এর পেছনে। ব্যতিক্রম বোধ হয় শুধু এই লেখাটি। হাসান মাহমুদের (ফতেমোল্লার) The Makers of History: International Mother Language Day নামের এই লেখায় ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে কি অক্লান্ত পরিশ্রম করে দু'জন পরবাসী বাঙালি একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত করেছিলেন। ছোট্ট একটা লেখা ইংরেজীতে। কিন্তু অসামান্য দলিল। দলিলটি হারিয়ে যাবার আগেই আমার মনে হল একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনে সেই গৌরবময় উপাখ্যানটুকু বাংলায় বয়ান করা যাক। বিগত নব্বই দশকের শেষ দিক। সবকিছুর পুরোধা ছিলেন রফিক (রফিকুল ইসলাম) নামের এক ক্যানাডা নিবাসী বাঙালি। চেহারা ছবিতে অসাধারাণ কিছু মনে হবে না দেখলে। চিরায়ত বাঙালি চেহারা, আলাদা কোন বিশেষত্ব চোখে মুখে নেই। কিন্তু যে কেউ একটু…

১ম ও ২য় পর্বের পর দুই দলে ভাগ হয়ে গেছি আমরা। পাঁচ-পাঁচ করে। টিম এ আর টিম বি। প্রথম দলে আমি, সাগর ভাই, তন্ময়, বসন্তদা আর বিশ্বদা। টিম বি আমাদের ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করবে। তাই আজ আমাদের সাথে তারা আসলেও লোড রেখে আবার ফিরে যাবে বেস-ক্যাম্পে। আমরা থেকে যাব। বেশ পরিষ্কার আবহাওয়ার মধ্যে ক্যাম্প ১-এর তাঁবুগুলো দেখতে পেলাম কিছুটা আগে থেকেই। [...]

১ম ও ২য় পর্বের পর ক্যাম্প ১ (৪৪৮৫) দুই দলে ভাগ হয়ে গেছি আমরা। পাঁচ-পাঁচ করে। টিম এ আর টিম বি। প্রথম দলে আমি, সাগর ভাই, তন্ময়, বসন্তদা আর বিশ্বদা। টিম বি আমাদের ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করবে। তাই আজ আমাদের সাথে তারা আসলেও লোড রেখে আবার ফিরে যাবে বেস-ক্যাম্পে। আমরা থেকে যাব। বেশ পরিষ্কার আবহাওয়ার মধ্যে ক্যাম্প ১-এর তাঁবুগুলো দেখতে পেলাম কিছুটা আগে থেকেই। শেরপারা আমাদের আগেই রওনা হয়েছিল আমাদের এই বাড়তি সুবিধাটুকু দেয়ার জন্য। কারণ যদি তুষারপাত শুরু হয়ে যেত তবে তার মধ্যে তাঁবু খাটানোটা বেশ কঠিনই হয়ে পড়ত। মালপত্র গুছিয়ে রাখার পর আর হাতে কোনো কাজ নেই। রান্নার কাজে সাহায্য করার নামে কিচেন শেডের বাড়তি গরমটুকু পাওয়ার জন্য খুব বেশি হলে মাটি থেকে চার ফুট উঁচু শেডের নীচে গাদাগাদি করে বসে থাকা। খাওয়ার পর তাঁবুতে। তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে। চাইলেও আর বাইরে থাকার জো নাই। দেখতে দেখতে কালচে হলুদ রঙের পাথরগুলোর উপর শুভ্র বরফের কুচি পুরো পরিবেশটাকে পাল্টে দিল নিমিষেই। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। যেন থামতেই চায় না। স্লিপিং ব্যাগে গুটিশুটি মেরে বসে থাকা আর ডায়েরির পাতা ভরানোই যেন জগতের একমাত্র কাজ। সাগর ভাই তার বিখ্যাত লাল রঙের ট্রাউজারটা মেরামতে ব্যস্ত। সুঁইয়ে সুতা পরাতে গিয়েই ঘাম ঝরার উপক্রম। উচ্চতার সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্যই এখানে থাকা । ধীরে ধীরে উচ্চতা অতিক্রম করা পর্বতারোহণে বাধ্যতামূলক। মাত্র তিনটা টেন্ট। তাই প্রথমবারের মতো বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগল। কেননা এখন পর্যন্ত সবাই একসাথেই ছিলাম। এখানেই প্রথম। রাত নামার পর একটু করে বের হলাম সবাই। চাঁদের ঈষৎ নীলাভ আলোয় পরিবেশটা কেমন ভূতুড়ে মনে হলো। দিনের চেনা আলোয় দেখা আর এখনকার পরিবেশ যেন খুব অচেনা। হাড় কামড়ানো ঠাণ্ডা! বেশিক্ষণ বাইরে টিকতে পারলাম না কেউ। খাবার নিয়ে তাঁবুতে ঢুকে গেলাম। গরম জলের বোতলটাকে ভালো করে মুছে স্লিপিং ব্যাগের উষ্ণতা বাড়ানোর জন্য ভিতরে ঢুকিয়ে দিলাম। প্রতিদিনের নিয়ম এটা। অন্তত কিছুক্ষণ তো এর উষ্ণতা উপভোগ করা যাবে। এতে অবশ্য আরেকটা উপকার হয়; সকালে সাধারণ তাপমাত্রার এক বোতল পানি পাওয়া যায়। কারণ তাঁবুর ভিতরের রাখলেও সেই পানি সকালবেলায় পানের উপযোগী থাকে না। ক্যাম্প ১ (৪৪৮৫) ২য় দিন রাতে ঘুম…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.