আমার ছেলে এটা মোটেই ঠিক কাজ করেনি, তারেক জিয়ার সাথে তার পার্থক্যের উত্তরে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা তুলে সে ঠিক কাজ করেনি, আমাকে খালেদা জিয়ার সাথে তুলনা করতে সারা পৃথিবী যেভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল এবং এখনো যে ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই — কই, আমি তো কোনোদিন সে তুলনার উত্তরে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা তুলিনি। তুলিনি কারণ এ তো সবাই দেখতে পায়, একথা বলে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই তার কোনো ক্ষতি হয় না, ক্ষতিটা হয় যার সেটা আছে। ওবামা জ্ঞানী মানুষ, বুশ, সারাপৃথিবী জানে ছিলেন আমেরিকার সবচেয়ে স্টুপিড প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই জ্ঞানী মানুষ দিয়ে এখনো তো তেমন কিছু হল না, আগের বুশের বাহিনী ও তার ঘটানো সব কার্যকলাপের রিপেয়ারিং করেই যদি তার জীবন কাটে, তার এই জ্ঞান শুধু সুন্দর করে কথা বলার কাজেই যদি ব্যয় হয়, তাহলে পৃথিবীর কোন কাজটাই বা এগোবে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনেও তাই হল, সেই পুরনো সব কথা, উষ্ণায়ন কমানো হবে, কমাতেই হবে। কিন্তু আমার দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে যেখানে ১০৫২ জন লোকের বসবাস, সেখানে উষ্ণায়নের থাবায় শুধু একশ বর্গকিলোমিটার সাগরের পেটে গেলেই আমার দেশের এক লাখ লোক হবে শরণার্থী, আমি একটি তলানির দেশের প্রধানমন্ত্রী, আমি তো এখনো আমার নিজের দেশের ওপর সমুদ্রের এই আগ্রাসন নিয়ে গবেষণার করবার জন্য একটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি পরিষদই গঠন করতে পারলাম না, আর এটা করা ছাড়া আমি বা আমার দেশের সরকার তার যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও প্রতিকারের কী ব্যবস্থা করবে? কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তেমন দেশের গবেষণার জন্যই তো আমরা আছি, আমরা চলে আসব, ফান্ড আসবে, আর ফান্ডের খরচ করাটাই হবে আমাদের কাজ, আপনি শুধু ভাউচারে স্বাক্ষর করার লোক তৈরি রাখুন, তাদের কে কত পাবে, আপনার কত লাগবে এসব ঠিক করে রাখুন। আপনাদের ইচ্ছাপত্রের সাথে আমাদের ইচ্ছাপত্র মিলিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দেব। হ্যাঁ, সবকিছু সেভাবেই হবে — কিন্তু দুর্নীতির দায়ে আমাদের ইচ্ছাপত্রগুলোই শুধু প্রকাশিত হবে, তাদেরগুলো নয়।
আমার বাবার একটা কথা সবসময় শোনা যায়, চাটার দল, কিন্তু এরা এখন আর শুধু চাটে না, এরা এখন খায়, আমার চারপাশে এখন জমিখোর, নদীখোর, শেয়ারখোর, খাদ্যখোরের আড্ডা। বাংলাদেশে এখন একটা কথা উঠেছে উন্নয়নভাবনার সাথে জলবায়ুর ভাবনাও ভাবতে হবে। আমার হাসি পায়, শুধু উন্নয়নের কারণে যদি বাংলাদেশের জলবায়ুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ত, যেমনটি চীনে ঘটেছে, তাহলে জলবায়ুর ক্ষতির পাশাপাশি, উন্নয়নের ফলাফল হিসেবে কর্মসংস্থান থাকত অবকাঠামো থাকত, কোথায় আমার কর্মসংস্থান, কোথায় আমার অবকাঠামো? জমিখোর, নদীখোর, শেয়ারখোর ও খাদ্যখোর এদের সাথে উন্নয়নভাবনার যেমন সম্পর্ক নেই, তেমনি জলবায়ুরও কোনো সম্পর্ক নেই। আমার জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান সে অর্থে শুধু কথা রাখা, আমার সমস্যার সমাধান হজ আর ওমরাতেই ভালো হয়, আমার জলবায়ু তার হাতে, এটাই আমার বিশ্বাস, আমার আশেপাশের খোরগুলোরও তারই ওপর বিশ্বাস, বিশ্বাসে মিলায় হরি, সরি… কী করব আমি যে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির নেত্রী, আর খোরগুলোর প্রধানমন্ত্রী!

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১৪ comments

  1. রায়হান রশিদ - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ)

    উন্নয়নের কারণে যদি বাংলাদেশের জলবায়ুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ত, যেমনটি চীনে ঘটেছে, তাহলে জলবায়ুর ক্ষতির পাশাপাশি, উন্নয়নের ফলাফল হিসেবে কর্মসংস্থান থাকত অবকাঠামো থাকত, কোথায় আমার কর্মসংস্থান, কোথায় আমার অবকাঠামো? জমিখোর, নদীখোর, শেয়ারখোর ও খাদ্যখোর এদের সাথে উন্নয়নভাবনার যেমন সম্পর্ক নেই, তেমনি জলবায়ুরও কোনো সম্পর্ক নেই।

    তাতে কিন্তু উন্নয়নের সাথে জলবায়ুর এবং এমনকি দারিদ্রের যোগাযোগটাও মিথ্যে হয়ে যায় না মাসুদ ভাই। এটা ঠিক, চোখে পড়ার মতো উন্নয়নটা আমাদের নেই, কিন্তু উন্নয়নের উছিলায় চোখ-রাঙ্গানিটা ঠিকই আছে। অনেকটা কাঠি-লজেন্সের মতো একটা ব্যাপার। লজেন্সটা অন্যদের আর আমাদের ভাগে কেবল শুকনো কাঠিটা!

    ২০০৭ সালে চ্যানেল ফোর “The Great Global Warming Swindle” নামে অত্যন্ত বিতর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন-কেন্দ্রিক বানিজ্য সম্ভাবনা, উন্নয়ন রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রচলিত কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত ধ্যান ধারণার সমালোচনা করে ভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার ভিত্তিতে প্রামান্যচিত্রটি তৈরী। চিন্তার খোরাক জোগায়। সবার প্রতি দেখার আহ্বান রইলো:

    কয়েকটি পর্বে ভাগ করা পুরো প্রামান্য চিত্রটির লিন্কগুলো নিচে তুলে দেয়া হল:

    পর্ব: এক
    The Great Global Warming Swindle – Part 1

    পর্ব: দুই
    The Great Global Warming Swindle – Part 2

    পর্ব: তিন
    The Great Global Warming Swindle – Part 3

    পর্ব: চার
    The Great Global Warming Swindle – Part 4

    পর্ব: পাঁচ
    The Great Global Warming Swindle – Part 5

    পর্ব: ছয়
    The Great Global Warming Swindle – Part 6

    পর্ব: সাত
    The Great Global Warming Swindle – Part 7

    পর্ব: আট
    The Great Global Warming Swindle – Part 8

    পর্ব: নয়
    The Great Global Warming Swindle – Part 9

    এবার, উপরের নয় খন্ডে পুরো প্রামাণ্যচিত্রটি দেখা হয়ে গেলে তা নিয়ে নিচের বিতর্কটিও মনযোগের সাথে দেখা‍ যেতে পারে:

    বিতর্ক: পর্ব এক

    বিতর্ক: পর্ব দুই

    বিতর্ক: পর্ব তিন

    বিতর্ক: পর্ব চার

    বিতর্ক: পর্ব পাঁচ

    বিতর্ক: পর্ব ছয়

    বিতর্ক: পর্ব সাত

    বিতর্ক: পর্ব আট

  2. Pingback: হন্যতে : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোপন ডায়েরি | মাসুদ করিম

  3. মাসুদ করিম - ১৫ মে ২০১৪ (৩:১৫ অপরাহ্ণ)

    পরিবেশ রক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধারের কথাও বলেছেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকে বলেন, সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের অনেকাংশ তলিয়ে যাবে। এজন্য, নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে। যেন পানির প্রবাহ বাড়ে।

    “এছাড়া সমুদ্রে জমি উদ্ধার করতে হবে। প্রচুর ডুবোচর জেগেছে। আরেকটি বাংলাদেশ পেতে পারি। ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ করে জমি উদ্ধার করতে হবে।”

    সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অপরিকল্পিতভাবে খাল ও জলাশয় ভরাট এবং বক্স কালভার্ট নির্মাণে অসন্তোষও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    “যেখানে সেখানে খালের মধ্যে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে কী যে সর্বনাশ করা হয়েছে। পান্থপথ এবং সেগুনবাগিচা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খালের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ না করে, খালের দু’পাশে রাস্তা করা যেত।”

    পুকুর ভরাট করে ভবন তৈরি ঠেকাতেও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শেখ হাসিনা।

    কাকরাইলে পুকুর ভরাট করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় নির্মাণ করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য এতই সচেতন যে পুকুর ভরাট করে বিল্ডিং করেছে!

    “শুরু সেই আইয়ুব খানের সময় থেকে। মতিঝিল ভারট করা করা হল, সেগুনবাগিচার সেই বিরাট পুকুর ভরাট করা হল। অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা আমাদের দেশে ঘটে।”

    বর্জ্য এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকলপনা গ্রহণের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

    “পরিকল্পিতভাবে এগোলে কোনো সমস্যা থাকে না। আমাদের পরিকল্পিতভাবে কিছু হয়নি। মাস্টার প্লান করলে কোনো অসুবিধা হবে না।”

    বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে পরিবেশ ও বন, নৌ-পরিবহন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
    “বুড়িগঙ্গা দেখলে চোখে পানি চলে আসে,” নিজের আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, নদীর পার সংরক্ষণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে।

    “ভালো করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিতে হবে, যাতে সব বর্জ্য এক পয়েন্টে এটিপিতে যায়। টাকা কিছুটা খরচ হবে, কিন্তু তা দূষণের তুলনায় কিছুই না।”

    বন গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “কোন ধরনের গাছ আমাদের বেশি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করতে হবে।”

    তিন দশক আগে উত্তরবঙ্গে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা মাটির রস চুষে খায়। এটা কেনো উত্তরবঙ্গে লাগানো হলো- তা বোধগম্য নয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া টিস্যু কালচার পদ্ধতির মাধ্যমে বনজ, ফলজ বৃক্ষ ও ১২ প্রজাতির বাঁশের বংশ বৃদ্ধির কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে।

    বায়ু দূষণের মাত্রা হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তিতে ইট নির্মাণের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    পরিবশে ও বন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন।

  4. মাসুদ করিম - ২০ আগস্ট ২০১৪ (১০:০৭ পূর্বাহ্ণ)

  5. মাসুদ করিম - ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (৬:০৭ অপরাহ্ণ)

    About HE Sheikh Hasina

    For outstanding leadership on the frontline of climate change

    HE Sheikh Hasina became Prime Minister of Bangladesh for the second time in 2009, following a period in office between 1996 and 2001, and immediately set about tackling the issue of climate change.

    With a population of 140 million, Bangladesh is one of the world’s most populated countries. It is also one of the most vulnerable to the impacts of climate change. Cyclones, floods and droughts have long been part of the country’s history but they have intensified in recent years. Her vision is to turn Bangladesh into a middle-income country by 2021 and a developed one by 2041 through implementing environmentally aware policies.

    The Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan of 2009 made Bangladesh the first developing country to frame such a coordinated action plan. Bangladesh is also the first country to set up its own Climate Change Trust Fund supported by nearly US$300 million of domestic resources from 2009-2012.

    Her government earmarks 6-7 per cent of its annual budget on climate change adaptation.

    In addition, the Bangladesh Constitution was amended in 2011 to include protection of the environment and safeguarding natural resources for current and future generations. Prioritized in the constitution along with wetlands and wildlife, the forestry policies initiative by Prime Minister Hasina has provided a natural barrier from some extreme weather events and the country’s forests cover has increased by almost 10 per cent.

    Notable awards she received include UNESCO’s Houphouet-Boigny Peace Prize 1998; Pearl S Buck Award 1999; FAO’s CERES Medal; Indira Gandhi Peace Award 2009; and Visionary Award by the Global South-South Development Expo-2014.

    Sheikh Hasina—who overcame huge adversity when her father Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman (the country’s first president), her mother and three brothers were assassinated in 1975— sets the example for other leaders, proving that investing in the environment can achieve social and economic development. As we embark on the 2030 Agenda for Sustainable Development, such examples are to be cherished.

  6. মাসুদ করিম - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (১১:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    In just a few weeks, the world will adopt the 2030 Agenda for Sustainable Development. For my country, Bangladesh, the goal of combatting climate change and its impacts is crucial, as we are on the frontline of this global threat.

    Bangladesh is one of the most densely populated countries in the world (1,218 people per sq km), with the lowest quantity of per-capita arable land (0.05 hectares). Although we made considerable progress on the Millennium Development Goals (MDGs), climate change in the form of extreme-weather events, tidal surges, and erratic rainfall has negatively impacted agricultural production, industrial development and social structures.

    This can create millions of environmental refugees, even though Bangladesh’s contribution to climate change in terms of greenhouse-gas emissions is negligible. And the situation will worsen without urgent action. Studies estimate that a meter rise in sea level would submerge one fifth of the country, displacing over 30 million people. Mass migration to cities is inevitable, impacting livelihoods, biodiversity, food, water, sanitation and basic infrastructure.

    That is why we are keen to see the Sustainable Development Goals (SDGs), and the upcoming climate agreement in Paris, adopted and moving into implementation. But Bangladesh has not been sitting around waiting for the world to save us. We are fighting for our own future, albeit with limited resources and technologies.

  7. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০১৫ (৬:৫৫ অপরাহ্ণ)

  8. মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১৫ (৫:৫৭ অপরাহ্ণ)

  9. মাসুদ করিম - ২ ডিসেম্বর ২০১৫ (৩:৩০ অপরাহ্ণ)

    Bangladesh Not Waiting for the World to Save Us

    Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina

    Posted: 09/18/2015 9:16 am EDT Updated: 09/23/2015 11:59 am EDT

    In just a few weeks, the world will adopt the 2030 Agenda for Sustainable Development. For my country, Bangladesh, the goal of combatting climate change and its impacts is crucial, as we are on the frontline of this global threat.

    Bangladesh is one of the most densely populated countries in the world (1,218 people per sq km), with the lowest quantity of per-capita arable land (0.05 hectares). Although we made considerable progress on the Millennium Development Goals (MDGs), climate change in the form of extreme-weather events, tidal surges, and erratic rainfall has negatively impacted agricultural production, industrial development and social structures.

    This can create millions of environmental refugees, even though Bangladesh’s contribution to climate change in terms of greenhouse-gas emissions is negligible. And the situation will worsen without urgent action. Studies estimate that a meter rise in sea level would submerge one fifth of the country, displacing over 30 million people. Mass migration to cities is inevitable, impacting livelihoods, biodiversity, food, water, sanitation and basic infrastructure.

    That is why we are keen to see the Sustainable Development Goals (SDGs), and the upcoming climate agreement in Paris, adopted and moving into implementation. But Bangladesh has not been sitting around waiting for the world to save us. We are fighting for our own future, albeit with limited resources and technologies.

    In 2011, we amended the constitution to protect and improve the environment and preserve and safeguard natural resources, biodiversity, wetlands, forests and wildlife for present and future citizens. In line with this policy, at least eight new laws were enacted or amended since 2009 to preserve forestlands in the country. Forest coverage rose to 17.08 percent in 2014-15 from a mere seven to eight percent in 2005-06, thanks to the introduction of initiatives such as the Social Afforestation Programme, which ensures people’s participation in planting and raising trees in every available space, both urban and rural. Currently, more than 120 million saplings are raised and distributed every year among the people, compared to 40 million in 2001-2006.

    Bangladesh was the first developing nation to create a Climate Change Strategy and Action Plan. From 2009-2010 to 2014-15, the government allocated Tk 30.30 billion (US$ 385 million) to our climate-change trust fund. All of our activities have been targeted toward adaptation to environmental changes with a view to protecting human lives from floods and hurricanes, and protecting the environment from pollution caused by rapid urbanization and unsustainable industrialization.

    There are so many examples of specific actions we undertook as part of our policy framework. We have built about four million solar-home systems in off-grid areas and 1.5 million improved cook stoves to decrease indoor air pollution.

    We created the Coastal Greenbelt Project to protect the southern part of Bangladesh, which is surrounded by the Bay of Bengal, from cyclones. Dense forest covers along the coastline, particularly mangroves, form an effective buffer. By boosting this cover, we helped reduce the death toll to about 200 from the hurricanes Aila in 2009 and Mahasen in 2013 combined, compared to 140,000 in a single cyclone in 1991.

    We have also made remarkable progress in food production. Bangladesh has become a food-exporting country from a food-importing country over the last six years. Our scientists have developed almost 200 varieties of crops that are resilient to changing climactic conditions and techniques to grow crops in less fertile soil. Rice production was 33.30 million metric tons in 2008-09. It was 38.34 million metric tons in 2013-14.

    Despite these efforts, climate change continues to affect the lives and livelihoods of millions in our unique and active delta. This year, we experienced 50 percent more rainfall than average, inundating vast areas of the country and damaging crops. Climate change may threaten our wheat and major rice-crop (Boro) production. Studies suggest that two to three percent of our Gross Domestic Product may be wiped out because of climate change.

    We cannot do it alone, which is why we need the international community to stand up for nations such as ours through the SDGs and the climate-change process. In order to address climate change, a critical balance between adaptation (adjusting to the impacts of climate change) and mitigation (reducing the scale of climate change) will have to be maintained. The pledges on reducing emissions submitted for the Paris climate meeting must be measurable and verifiable. The world should pay attention to carbon budgeting and de-carbonization pathways. For adaptation planning, adequate and predictable financing is essential.

    Bangladesh has been leading by example, and we are ready to share our experiences on climate resilience with rest of the world. I hope that the United Nations Environment Programme honouring me with the Champions of the Earth award this year will draw attention to Bangladesh’s efforts, which show that we can make a difference, and encourage developed nations to bring their resources to bear on the greatest challenge of our time.

    Sheikh Hasina is a 2015 winner of the Champions of the Earth award, the UN’s top environmental prize

    This post is part of a series produced by The Huffington Post, “What’s Working: Sustainable Development Goals,” in conjunction with the United Nations’ Sustainable Development Goals (SDGs). The proposed set of milestones will be the subject of discussion at the UN General Assembly meeting on Sept. 25-27, 2015 in New York. The goals, which will replace the UN’s Millennium Development Goals (2000-2015), cover 17 key areas of development — including poverty, hunger, health, education, and gender equality, among many others. As part of The Huffington Post’s commitment to solutions-oriented journalism, this What’s Working SDG blog series will focus on one goal every weekday in September. This post addresses Goal 13.

    DECISION-MAKERS
    SHEIKH HASINA | PRIME MINISTER
    BANGLADESH
    FOR ADAPTING TO THE CHALLANGE AS HER COUNTRY DROWNS
    GlobalThinkers in 2015 by FOREIGN POLICY magazine

  10. মাসুদ করিম - ২০ জানুয়ারি ২০১৬ (৯:১২ পূর্বাহ্ণ)

    Climate change after Paris

    The Global Climate Risk Index ranks Bangladesh as one of the 10 nations most vulnerable to climate change. Each year, the impact of the global shift wipes out 2 to 3 percent of the country’s Gross Domestic Product and some 900,000 Bangladeshis have died over the past 35 years because of severe storms and natural disasters attributable to global warming.

    By 2050, a predicted one-to-three-foot rise in sea levels caused by global warming will submerge 17 percent of the entire country’s land mass and affect 35 million people. This is a huge threat and as a result, Bangladesh has made the fight against climate change and the protection of its citizens a national priority on the same level as defense, security and economic growth.

    That’s why Bangladesh is encouraged by – though not entirely satisfied with – the progress made at the United Nations climate summit in Paris last month. It is vital that nations agreed to work together to rein in man-made emissions that contribute to global warming.

    In particular, the world’s richest nations must help the poorest ones pay for new technology that will enable them to generate more energy from renewable sources and also save energy by using energy-efficient appliances. Another area of support from wealthier nations should come from the field of scientific research aimed at smarter and cheaper means of mitigation and adaptation. All nations, big or small, need to put their heads together to combat this global threat.

    Paris created positive momentum – the newly concluded agreement features commitments to balanced financing, with rich countries contributing to the cost of battling climate change that affects developing countries. In addition, the world’s leaders agreed to share and develop technology that will allow developing nations to move more quickly to sustainable energy sources such as solar and wind.

    Many developing nations, including Bangladesh, have actually been leading the battle against climate change in recent years. We are showing what can be done by embracing scientific facts, crafting smart policies and demonstrating political will.

    In 2012, Bangladesh pledged to keep its per capita emissions below the average of the developing world. We have installed more than four million solar home systems, generating 150 megawatts of electricity. About 15 million people in Bangladesh now get their electricity entirely from renewable sources. Bangladeshi scientists have also developed flood, drought and saline-resistant varieties of rice to withstand radical climate change and increased freshwater salinity, an inevitable consequence of the ocean encroaching on land. Each year, Bangladesh spends $1 billion – or more than 1 percent of its GDP – fighting climate change. In 2009, we used our own money to create a $400 million Climate Change Trust Fund.

    At the same time, in all fairness, low-income, developing nations such as ours must depend on fossil fuel to increase our standard of living and sustain our peoples’ livelihood.

    Wealthier countries should assume a greater responsibility to reduce carbon output and help developing nations do the same by helping them build technological capacity to expand clean energy. Draconian carbon-reduction goals imposed on poorer countries by richer ones without adequate economic and technological support will hurt the poorer nations, putting excessive strain on the world’s overall efforts to fight global warming.

    At the heart of the climate change battle is the fight to ensure human rights, justice and fundamental freedoms, particularly for people at the bottom. Climate change must be seen in the wider narrative as a global threat to peace, stability and prosperity.

    The world admires Bangladesh for its remarkable social and economic transformation and resilience since its independence in 1971. All these accomplishments will be at risk unless the world seriously tackles climate change. Bangladeshis have fought for freedom, for democracy, for women’s rights and against terror and extremism on our own. But climate change is not a fight we can win alone.

    The Paris climate change summit is now behind us. We have some – but not all – of the tools needed to escalate the battle against global warming. Bangladesh will do its part. We hope the world’s richest countries will do their part too.

  11. মাসুদ করিম - ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ (১১:৫২ পূর্বাহ্ণ)

    Prime Minister Sheikh Hasina for transboundary water ties for economic development

    Prime Minister Sheikh Hasina underlined today the importance of greater collaboration on development and utilising transboundary freshwater resources for economic development.

    “Water is wealth. For us, water is about everyday sustenance – in cities, across villages – over the ages. So we need to understand the ‘value’ of water,” she said while addressing a discussion on World’s Underwater on the sidelines of World Economic Forum (WEF) meeting here today.

    Sheikh Hasina said trans-boundary rivers, wetlands, watersheds are precious wealth in any region.

    Trans-boundary waters drive economic growth, ensure social development, secure political stability and determine cross-border engagements, she said.

    ‘We also see an urgent need to address pollution, declining environmental flows, watershed degradation to secure river basin resources and eco-systems.’

    Highlighting settlement of the Ganges water between Bangladesh and India in 90s, the prime minister said we would need more efforts to facilitate trans-boundary agreements and joint governing institutions for all basin and aquifers.

    The prime minister said water can no longer be a ‘free input’ and ‘infinite resource’ to production or development. Water has to be approached as a most critical ‘global common’ in respect of sustainable development, she said.

    Sheikh Hasina said cooperation in freshwater and oceanic resources can serve as an equalizer in addressing inequalities. For countries like Bangladesh and many coastal and island countries, ability to tap and utilise freshwater and marine resources define bulk of people’s living existence, she added.

    Appreciating the role of private sector’s increasing interest in water resources, she said many businesses hold critical knowledge – science – data that we need desperately.

    “Any solution will have to be beneficial, affordable and sustainable to large majority of our poor and marginal people,” she said adding that Bangladesh is ready to consider any form of partnership between global capital and knowledge providers and our local and community actors on waters.

    The Prime Minister, however, said any collaboration on water demands ‘mutual trust’ and ‘respect’ among peoples, states and business. We must approach collaboration on in terms of securing “shared prosperity” through “shared responsibility”, securing win-win outcome and equitable benefit-sharing among the all states and communities.

    Pointing out the peacefully delimited our maritime boundary with Myanmar and India in the Bay of Bengal, she said adding Bangladesh industry is trying to source cost-effective solutions and technologies to transform and be responsible partner in global supply chains.

    But, if innovative solutions or technologies are prohibitive, then neither States nor business gain, she said.

    Terming the technology as crucial for water conversation, she said with rapid changes in our economies and vertical transformation of agriculture, demand for water in agriculture is rising whereas freshwater sources and groundwater resources continue to deplete.

    “We need greater access to technologies, support to develop adaptive solutions in improving water use efficiency across the entire chain of production and processing. In climate change context, that is when we can develop less water-intensive, stress-tolerant varieties,” she said.

  12. মাসুদ করিম - ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ (৬:৩৬ অপরাহ্ণ)

    ‘নিরাপদ পৃথিবী’ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রত্যাশা হাসিনার

    ফ্রান্সের প্যারিসে ওয়ান প্লানেট সামিটে নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অভিন্ন প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সম্মেলন হচ্ছে।

    বিশ্বের ১৮৮টি দেশের ঐকমত্যে ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির দুই বছরের মাথায় মঙ্গলবার প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অংশ নিয়েছেন।

    প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বিশ্ব নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগে নেওয়া হবে, যাতে তা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়।

    জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমি আহ্বান জানাতে চাই, জলবায়ু সঙ্কটে সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাসের দায় মেটাতে তারা যেন তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন। কেবল যৌথ প্রেচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা এই পৃথিবীকে নিরাপদ করতে পারি।

    “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জলবায়ু প্রশ্নে আমাদের যৌথ অঙ্গীকার ও উদ্যোগ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে, সাম্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।”

    প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় উদ্যোগ গ্রহণে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের উদ্যোগে জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল প্যাক্ট ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট’ চালুর কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ এ ভয়াবহ আপদের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রতিরোধ ও অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে যাচ্ছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে আমাদের টেকসই উন্নয়ন কৌশলে এটিকে মূল ধারায় রাখা হয়েছে।”

    এই সম্মেলন থেকে শেখ হাসিনা বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ২ শতাংশ বনাঞ্চল বৃদ্ধি করে বিদ্যমান ২২ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে উন্নীতে ঘোষণা দেন।
    তিনি বলেন, “দেশের মোট আয়তনের ২২ শতাংশ বনভূমিকে আগামী পাঁচ বছরে ২৪ শতাংশে নিয়ে যেতে সরকার প্রয়োজনীয় বনায়ন কর্মসূচি নেবে।”

    জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের জিডিপির এক শতাংশ ব্যয় হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের কৃষিকে আমরা জলবায়ু সহিষ্ণু করছি। আমরা শহরে পানি সরবরাহে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে কাজ করছি।”

    সহিংসতার মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক জনগণকে আশ্রয় দিতে গিয়ে দেশের উপকূল অঞ্চলের জলবায়ু অভিযোজনের বিষয়টি ‘বিরাট’ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি নাগরিক আশ্রয় নেওয়ায় বাংলাদেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে কক্সবাজারে এক হাজার ৭৮৩ একর বনভূমিতে এসব বাস্তুচ্যুত মানুষকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রলম্বিত এই উদ্বাস্তু সমস্যা ওই অঞ্চলে আমাদের বন ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে সেখানে পরিবেশ সুরক্ষা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়েছে।”

    জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বনায়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বৃক্ষ রোপনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।”

    ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন সংরক্ষণে পাঁচ কোটি সাড়ে ৭ লাখ ডলারের প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অংশীদার ছাড়াও নিজস্ব সম্পদ দিয়ে লক্ষ্য পূরণে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমি ক্ষয়, লবণাক্ততা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করতে শুরু করেছি। এ অঞ্চলে প্রায় ৬৭ হাজার হেক্টর ভূমি বনায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।”

    এর আগে ওয়ান প্লানেট সামিটে আসা নেতৃবৃন্দের সম্মানে এলিসি প্রাসাদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সকালে এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

    Rohingya influx causes severe effect on environment: PM

    Prime Minister Sheikh Hasina today said influx of a huge number of Rohingyas from neighbouring Myanmar has caused severe effect on Bangladesh’s forest and environment, creating a major challenge to climate adaptation.

    “Bangladesh has been facing a huge challenge owing to the influx of over one million forcibly displaced Rohingyas from Myanmar. On humanitarian grounds, we have given them shelter on 1,783 hectares of our forest land in Cox’s Bazar,” she said, adding the Rohingya crisis has severely affected forest and environment in that area.

    The prime minister said this while delivering a statement at the High-Level Segment of the One Planet Summit here this afternoon.

    The One Planet Summit is an alliance of hundreds of global leaders from all sectors for accelerating the collective actions against climate change, particularly to find new means of financing for adaptation and mitigation.

    The Bangladesh premier joined the “One Planet Summit” at the invitation of three co-organisers — French President Emmanuel Macron, UN Secretary General Antonio Guterres and World Bank President Jim Yong Kim.

    Sheikh Hasina reiterated her call to the developed countries to fulfill their commitments in bringing climate justice and meeting historical responsibility.

    “We can secure the world only through shared responsibility … our collective commitments and actions for resilience and adaptation would contribute to peace, stability and prosperity as well as addressing inequalities across societies,” she said.

    Sheikh Hasina said Bangladesh is one of the most vulnerable countries to the impact of climate change although it’s not responsible for this threat. “Yet, with our limited resources, we are addressing the consequences of climate change by mitigation and adaptation,” she said.

    The premier said climate change issues have been mainstreamed in Bangladesh’s sustainable development strategy aimed at becoming a middle-income country by 2021. “Despite being a developing country, Bangladesh spends over one percent of its GDP in combating climate change,” she said.

    Reiterating Bangladesh’s commitment to prioritizing the water sustainability issues in all of its economic, social and environmental actions, she said as a member of the UN-WB High Level Panel on Water, Bangladesh is firmly committed to addressing the issue.

    “We are making our agriculture climate resilient and reducing dependency on ground water for urban water supply,” she said.

    The summit kicked off at La Seine Musicale, a music and performing arts center, located at Ile Senguin island in the western suburbs of the French capital.

    Over 100 world leaders along with 2,000 participants from non-governmental organisations, foundations, public and private sectors are taking part in the summit.

    The Bangladesh prime minister renewed her commitment for implementation of the Paris Agreement and praised French President Macron’s leadership on climate change issues.

    Sheikh Hasina said one of the means to address the challenges of climate change and environmental degradation is afforestation. “So our government has already undertaken massive projects for plantation programmes,” she said.

    The premier said a flagship project costing USD 50.76 million is underway for conservation of the “Sundarbans” – the largest mangrove forest and a UNESCO world heritage site in Bangladesh.

    In the coastal region, she said, green belt is being created for protecting people from cyclones and tidal surges, coastal erosion and saline water intrusion. “Around 67,000 hectares of land has been identified for afforestation in this region,” she said.

    Sheikh Hasina said her government would take necessary programmes for increasing two percent tree coverage in Bangladesh, from the existing 22 percent to 24 percent within the next five years.

    “We’ll intensify our efforts to meet the target from our own resources as well as support from partners,” she said.

  13. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০২০ (২:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    PM’s emphasis on green recovery

    In her article published in The Financial Times, London, on September 28, 2020, Prime Minister Sheikh Hasina has identified ‘green recovery’ as a panacea for the world’s present afflictions. The publication of the article coincided with the Seventy-fifth Session of the United Nations General Assembly. As a statesman well versed in the planet’s basic existential problems, the premier in her article has charted out the solutions as systemic shift in governments’ policies on environment and climate, business practices, cutting carbon emission to the corona pandemic. She has lauded the European Union (EU) for its stress on the ‘green recovery’ as a means to coming free of the pandemic. In her article the Prime Minister referred to the recent analysis of the response to the pandemic by Vivid Economics. She has said she salutes the EU for prioritising a green recovery.

    The country’s tree lovers attach great importance to the concept of ‘greening’. Barring the syndicates involved in encroaching on forests and impeding social forestry, there are many who passionately love planting and growing trees. A proof of this passion for trees, plants, orchids etc can be seen in a photograph published on the front page of the FE recently. The photo shows a young woman purchasing tree saplings at a popular roadside nursery in the city’s Curzon Hall area. It is the motorbike-straddled woman’s love for trees which has apparently prompted her to visit the outlet following the relaxed corona restrictions. This is but a lone example of the young generation’s passion for trees. Vast tracts in the rural areas are found covered with roadside trees grown by local youths as part of social forestry. Against this encouraging backdrop, the Prime Minister can muster the moral strength to claim Bangladesh as a land of green. But environmental degradations in recent decades have detracted a lot from this greenness. This process has been exacerbated by climate change.

    Being aware of these developments, she has urged the EU countries to go for a ‘green recovery’, while they planned strategies for an earth free of the climate change fallout. Alongside highlighting the natural disasters wreaking havoc on Bangladesh of late, the premier has also referred to the calamities increasingly battering the developed West. Without mincing words, she observed Bangladesh was not alone in going through the wrath of nature. She referred to the recent wildfires ravaging different parts of the planet. She has pointed out the calamitous cyclones and hurricanes hitting the US, the Caribbean and a large swathe of Asia. The premier has not forgotten to mention the UK, host of the COP26 climate summit next year, which was stricken by floods. In short, the Bangladesh PM has said that no countries, businesses or financiers are immune to the ‘climate crisis’. It’s only together can the mankind face up to the global crises, the fight against the corona pandemic showing the way.

    The Prime Minister was forthright in pointing the finger at the G20 countries for about 80 pc carbon emissions, adding the bottom 100 countries emitted only 3.5 per cent. The responsibility for cutting emissions, thus, lay with the large emitters through capping the global temperature rise at 1.5C. The PM has claimed Bangladesh to be one of the best prepared among the vulnerable countries to confront extreme weather conditions. But it needs all kinds of support, especially from the EU.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.