এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। [...]

বিএনপির চেয়ারম্যান ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান। [ বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ‘ইসলামি’ তকমায় দ্বীন = রাষ্ট্র করে তোলা যাবে না। ইসলামি মাওবাদের সেটাই লক্ষ্য। ] আমার খুব মনে হয় যারা ‘জামাত ছাড়া বিএনপি’কে সমাধান ভাবছেন তারা ভুল করছেন, জামাত ছাড়া বিএনপির জন্য অসম্ভব আমি এদিক থেকে কথাটা বলছি না, আমি বলছি এদিক থেকে যে সেই অসম্ভবকে বিএনপি সম্ভব করেই ফেলল তা ধরে নিয়েই, আমি এটাও ধরে নিচ্ছি শুধু নিবন্ধন বাতিল নয় জামাতের রাজনীতিই নিষিদ্ধ করে দেয়া হল, কিন্তু বিএনপি ইসলামি মাওবাদের পৃষ্টপোষকতা ছাড়ল না, তাহলে তো সন্ত্রাসবাদ গেল না, বরং ইসলামি মাওবাদ বিএনপির নেটওয়ার্ক ধরে তলে তলে বিকট ব্যাপ্তিতে ছড়িয়ে গেল, কাজেই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে গেলে যা এখনি করতে হবে — বিএনপির চেয়ারম্যানকে ইসলামি মাওবাদের চেয়ারম্যান হতে কোনোভাবেই আর দেয়া যাবে না, বালুর ট্রাক জলকামান তুলে জাল দিয়ে চেয়ারম্যানকেই মাছের মতো তুলে নিতে হবে। এবং এটাকে এরকম কোনোভাবেই ভাববেন না জামাতকে আড়াল করার জন্য এসব বলা হচ্ছে, আমার মতে বাংলাদেশে জামাত ইসুটা নিয়ে একটাই কথা হবে একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপরাধের কারণে দলটি নিষিদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যখন হবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা তখন শুধু এটুকুতেই কাজ হবে না। ইসলামি মাওবাদকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এবং সেকাজ করার সময় হাতে আছে তিন বছর, ২০১৬এর শেষে বর্তমান প্রক্ষেপ অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই একাজ সম্পন্ন করতেই হবে। হিলারি ক্লিনটন হবেন আমেরিকার রকস্টার প্রেসিডেন্ট, এবং তিনি অনেক সিদ্ধান্তগ্রহণ তুড়ির দ্রুততায় নিজের দিকে আনার দক্ষতা দেখাবেন উন্মাদের মতো, তারপাশে আরো দুটো প্রক্ষেপ ভেবে নিন — একজন মমতা ও আরেকজন সুকি, একজন ২৫ ভাগ মুসলিম ভোটের জন্য আল্লামামুফতিইমামদের কব্জায় পুরোপুরি তখন হবেন পর্যবসিত আরেকজন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হবেন চূড়ান্ত নাস্তানাবুদ, এদুজনকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে নিজের মন্ত্রে চালিত করতে চাইবেন হিলারি — একবার ভাবুন তখনও যদি একই দুর্বলতা থেকে যায় আমাদের সাতক্ষীরা রামুতে, বুঝতে পারছেন কত দাপটে তখন খেলবেন হিলারি? কাজেই প্রাণপ্রিয় দেশের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করুন — বিএনপির হাতের মোয়া ইসলামি মাওবাদ এখনই বিনষ্ট করুন — আর দেরি না করে সংকল্পবদ্ধ হয়ে হিলারি আসিবার পূর্বে সন্ত্রাসবাদ মারিয়া ফেলুন।

২০১৪এর জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকে প্রতিহত করুন, একমাত্র এই পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। আর কোনো পথের দিশা এই মুহূর্তে খুঁজে বাংলাদেশের কোনো লাভ নেই। [...]

বাংলাদেশি জাতীয়াবাদের ঝাণ্ডা নিয়ে পাকিস্তান কায়েমের লক্ষ্যে বাংলাদেশের একটা বৃহৎ রাজনৈতিক অংশের পদচারণা বাংলাদেশে অক্লান্ত অকপটভাবে চলছে। এই প্রচেষ্টার ৪০ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২০১৫ সালের ১৫ই আগস্টে। ২০১৪ সালে এই বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকেই কি আবার ক্ষমতায় দেখতে হবে আমাদের? আমরা কি সেভাবেই সবকিছু হতে দেব যেন ২০১৫ সালে তারা তাদের ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান করতে পারে পুরো বাংলাদেশ দাপিয়ে? জাতীয় নির্বাচনের আর ঠিকমতো ছয় মাসও নেই -- আমাদের তো এখনই নির্বাচনের ভাষায় নির্বাচনের প্রচারণাধর্মী কথাবার্তা বলা শুরু করে দেয়া উচিত। এই কাজে আওয়ামী লীগ তো পিছিয়ে পড়েই আছে তাদের অন্তর্কোন্দল আর সাংগঠনিক শৈথিল্যের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে। কিন্তু আমরা তো বসে থাকতে পারি না। অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের, সাংস্কৃতিক অ্যাকটিভিস্টদের, গণজাগরণমঞ্চের অ্যাকটিভিস্টদের এবং সারা দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদার প্রগতির পথের অ্যাকটিভিস্টদের তো আর এক মুহূর্ত সময়ও নেই বসে থাকার। এবং আওয়ামী লীগকেও এই লক্ষ্যেই পথে নামতে হবে যে তারা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান প্রতিহত করবেই। এবং তার নিজের অস্তিত্বের জন্যই তাকে সেটা করতেই হবে। তাকে মনে রাখতে হবে তার সব অপূর্ণতা অসভ্যতা অরাজকতার পরও বাংলাদেশকে বাংলাদেশ রাখার কাজে, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উদার প্রগতির পথ রচনার কাজটা এখনো সামনে থেকে তাকেই করতে হচ্ছে এবং আরো কয়েক দশক করতে হবে। শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানো নয় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান বাংলাদেশের সমাজব্যাবস্থারই আমূল পরিবর্তন অব্যাহত রাখবে যেমন ১৯৭৫এর পর থেকে তারা অনবরত তাই করেছে যা যা করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তান কায়েম করা যাবে। ২০১৪এর জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পাকিস্তানকে প্রতিহত করুন, একমাত্র এই পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। আর কোনো পথের দিশা এই মুহূর্তে খুঁজে বাংলাদেশের কোনো লাভ নেই।

তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত![...]

স্থান : চট্টগ্রামের মহানগর বিএনপি অফিসের ঠিক উল্টা দিকে। রিকশা টেক্সির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক ও কিছু রিক্সা। কাল : ২৯ রোজা ২০১০, দুপুর, একেবারেই কড়া দুপুর, জোহরের নামাজের ঠিক পরপর। পাত্র : একজন রিক্সাওয়ালা (*) বড় খোঁচা খোঁচা দাড়ি, রিক্সাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে দরাদরি করছে (**) সাদা চাপদাড়িওয়ালা একজন ছোটো দোকানি। ** গোলপাহাড়ের মোড়ে যাবি? * ২৫ টাকা। ** তুই বেডা রাজাকার! তোর রাজাকারের চেহারা, তোর ইনসাফ নাই, গোলপাহাড়ের মোড় এখান থেকে এখানে, ২৫ টাকা! * দেশে কার ইনসাফ আছে? কারো ইনসাফ নাই। দেশে শুধু ফাঁসির গল্প, ফাঁসির ধান্দা। ** তোর তো সাহস বেশি, তুই রাজাকার ন, তুই বেডা জামাত! * হাসিনার… রিক্সাওয়ালা এপর্যায়ে হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটা অশ্রাব্য গালি চার্জ করে বসে। ** তোর সাহস রাজাকার জামাতের তুনও বেশি, তুই বেডা বিএনপি! * বিএনপিই তো, বিএনপি অইলে কি অইছে! এপর্যায়ে সবাই রিক্সাওয়ালাটাকে সামনে থেকে সরে যেতে বলে, রোজা রমজানের দিন মারামারি করা ঠিক হবে না – এই তাদের মতামত। রিক্সাওয়ালা ওইখান থেকে সরে সামনে চলে যায়।

দুইজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল গত ১৬ আগস্ট। এ চ্যালেঞ্জের মীমাংসা হাইকোর্টে কীভাবে হতো, তা আমাদের আপাতত অজানাই রয়ে গেল রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেয়াতে। এটি স্পষ্ট যে বিপত্তি ঘটতে পারে বলেই তারা একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে পিছিয়ে গেছেন এবং সুবিধাজনক সময়ে এরপর আবারও কোনও একদিন কোনও এক বেঞ্চে এই রিট আবেদন আবারও তোলা হবে। কি জামায়াতে ইসলামী, কি বিএনপি,- মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার নিয়ে অপপ্রচারে কেউই পিছিয়ে নেই। কিন্তু আইনি যুদ্ধ ঘোষণা করে সেখান থেকে তাদের এই পিছিয়ে আসার মানে, সত্যিকার অর্থে তাদের ওই চ্যালেঞ্জের কোনও অর্থ নেই, কোনও যৌক্তিকতাও নেই।

দুইজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল গত ১৬ আগস্ট। এ চ্যালেঞ্জের মীমাংসা হাইকোর্টে কীভাবে হতো, তা আমাদের আপাতত অজানাই রয়ে গেল রিট আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেয়াতে। ২২ আগস্ট সকাল বেলা দুই দিনের শুনানির পর হঠাৎ করেই ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, যাকে না কি জামায়াতে ইসলামী তাদের এই আইনি যুদ্ধের প্রধান প্রতিরক্ষা কাউন্সেল নিয়োগ করেছেন, তিনি আবেদন করে বসলেন রিট আবেদনটি ফেরৎ নিতে। এ পর্যায়ে বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি উঠানো হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দেন। আবদুর রাজ্জাক অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন, রুল জারি করার বিষয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রিটটি ফেরৎ নেয়ার জন্যে আদালতে আবেদন করা হয়। রিপোর্টারদের সামনে আবদুর রাজ্জাক যাই বলুন, এটি স্পষ্ট যে বিপত্তি ঘটতে পারে বলেই তারা একটি অজুহাত দাঁড় করিয়ে পিছিয়ে গেছেন এবং সুবিধাজনক সময়ে এরপর আবারও কোনও একদিন কোনও এক বেঞ্চে এই রিট আবেদন আবারও তোলা হবে। কি জামায়াতে ইসলামী, কি বিএনপি,- মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার নিয়ে অপপ্রচারে এসব দলের কোনওটিই পিছিয়ে নেই। কিন্তু আইনি যুদ্ধ ঘোষণা করে সেখান থেকে যুদ্ধাপরাধী চক্রের এই পিছিয়ে আসার মানে, সত্যিকার অর্থে তাদের ওই চ্যালেঞ্জের কোনও অর্থ নেই, কোনও যৌক্তিকতাও নেই। কিন্তু তারপরও তারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার পণ করে বসে আছে, কেননা তাদের প্রকৃত লক্ষ্য পাকিস্তান রাষ্ট্রটির আদলে বাংলাদেশকে দাড় করিয়ে রাখা, আর ওই কাজে তাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা যুদ্ধাপরাধীরাই। অথচ পাকিস্তানের মতো হয়ে কোনও রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, বিকশিত হতে পারে না, জনগণের মঙ্গল করতে পারে না- পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটিই যার সবচেয়ে বড় সাক্ষী। আইনী তৎপরতার পাশাপাশি তারা তাই খুলে বসেছে অসংখ্য অপপ্রচারের দোকান। এই অপপ্রচারের একটি সামান্য উদাহরণ হল, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচার থেকে যুদ্ধাপরাধ বিচারকে আলাদা করে দেখা, একটিকে আরেকটির বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর আপ্রাণ অপচেষ্টা। এই কথাটা যে কোনও আইন-বিশেষজ্ঞই জানেন এবং বোঝেন, যুদ্ধাপরাধ অথবা যুদ্ধাপরাধীর বিচার কথাটি ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ বিচারের ব্যাপকতাকে পুরোপুরি ধারণ করা সম্ভব নয়। ওই ব্যাপকতা ধারণ করার জন্যে তাই ব্যবহার করা হয় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রত্যয়টিকে। কিন্তু মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যেহেতু যুদ্ধাপরাধীরাই করে থাকেন, সে কারণে সাধারণভাবে…

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালানোর পর শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল বাংলাদেশেই ফিরে আসতে হয়েছে। অনেক আগে থেকেই যেমনটি আমাদের অনেকে ধারণা করছিলেন, ঘটনা ঠিক সেরকমই ঘটেছে- দু’জন যুদ্ধাপরাধীর (যারা একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীরও গুরুত্বপূর্ণ নেতা) পক্ষ থেকে গতকাল ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এ দু’জন হলো যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামীর কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা।[...]

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালানোর পর শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীকে গতকাল বাংলাদেশেই ফিরে আসতে হয়েছে। অনেক আগে থেকেই যেমনটি আমাদের অনেকে ধারণা করছিলেন, ঘটনা ঠিক সেরকমই ঘটেছে- দু’জন যুদ্ধাপরাধীর (যারা একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীরও গুরুত্বপূর্ণ নেতা) পক্ষ থেকে গতকাল ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী এ দু’জন হলো যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামীর কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা। তাদের হয়ে আজ ১৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদনটি পরিচালনা করবেন বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অঘোষিত মুখপত্র ‘আমার দেশ’-এ আজ প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, যুদ্ধাপরাধী বিচারকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে ১৯৭৩-এর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্টকে পরিবর্তন করতে হবে। এই ১৯৭৩-এর অ্যাক্টকে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি বছরখানেক সময় ধরে এমনভাবে প্রচার চালিয়েছে যে, কারো কারো কাছে মনে হতে পারে, এ অ্যাক্ট বোধহয় ধরে-বেধে মানুষকে প্রহসনের বিচার করার আইন। পাশাপাশি, বাংলাদেশে বিশেষ বিশেষ ধারা অনুযায়ী অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকার বিষয়টিকেও এ সময়ে ব্যাপক নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে অনেকেরই মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে, কিন্তু বিষয়টিকে রদ করার জোর প্রচারণা এমন এক সময় চালানো হচ্ছে, যখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যাশা করছি; চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটির বিরুদ্ধে প্রচারণার আড়ালে আসলে চেষ্টা চলছে ১৯৭৩-এর এই অ্যাক্টটি সম্পর্কেই জনমনে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার। যাই হোক, আমার মনে হয় না যে আমাদের সবাই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চিঠি পড়ে কিংবা যুদ্ধাপরাধী দু’জনের রিট আবেদন দেখে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের মতো আবেগপ্রবণ হয়ে উঠবেন, বলবেন যে, ৩৯ বছর আগে কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার? আমি যে-টুকু বুঝি এবং আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের সপক্ষে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, যে-সব ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচারের জন্যে অপেক্ষা করছেন তারাও এটা বোঝেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের এসব দিকগুলির চুলচেরা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পেশাদারি বিশ্লেষণ ও যুক্তিবিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। পল্টনের ময়দানে, জনসভার মঞ্চে কিংবা পথসভায় দাঁড়িয়ে সেটি করা…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.