আমি ইসলাম ঘৃণা করি, হিন্দুত্ববাদ ঘৃণা করি, ঘৃণা করি বৌদ্ধবাদ, খ্রিস্টবাদ, শিখবাদ, জৈনবাদ ও অন্যান্য সব ধর্মীয় অনুশাসন, আমি নাস্তিক্যবাদও ঘৃণা করি। আমি সংস্কৃতি ভালবাসি, আমি সংস্কৃতিতে বাঁচি।
ঘৃণা করি... ভালবাসি... বাঁচি[...]
ঘৃণা করি... ভালবাসি... বাঁচি[...]
আমি ইসলাম ঘৃণা করি, হিন্দুত্ববাদ ঘৃণা করি, ঘৃণা করি বৌদ্ধবাদ, খ্রিস্টবাদ, শিখবাদ, জৈনবাদ ও অন্যান্য সব ধর্মীয় অনুশাসন, আমি নাস্তিক্যবাদও ঘৃণা করি। আমি সংস্কৃতি ভালবাসি, আমি সংস্কৃতিতে বাঁচি।
অবযৌনতা মানুষের বিকল্প যৌনতা। এই যৌনতাই আবার তৈরি করে আছে এক বিশাল শিল্পসাম্রাজ্য। যৌনশিল্প এই অবযৌনতার চাহিদাই মিটিয়ে থাকে।[...]
মানুষের যৌন ইচ্ছার অনুভব ও কর্মকাণ্ডই যৌনতা। নারী পুরুষের বিষমকামকেই আমরা স্বভাবকাম বা স্বাভাবিক যৌনতা বলি। কিন্তু এর বাইরেও মানুষের যৌন অনুভব ও কর্মকাণ্ড ক্রিয়াশীল। উপযৌনতা : পুরুষ সমকাম, নারী সমকাম, উভকাম, পরিবর্তকাম, পশুকাম। অপযৌনতা : শিশুকাম, ধর্ষকাম, মর্ষকাম, বিভিন্ন ধরনের মাদক নির্ভর যৌনতা, সার্বক্ষণিক যৌনাচ্ছন্নতা। অবযৌনতা : যৌনকর্মীর ভোক্তা, পর্নোগ্রাফির দর্শক ও সেক্সশপের ভোক্তা। এর মধ্যে উপযৌনতা মানুষের স্বীকৃত কামানুভূতি ও কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবেই তার এই অনুভব ও কর্মকাণ্ডগুলোকে প্রকাশ করে। অপযৌনতা পুরোপুরিই মানুষের যৌনতার বিকট প্রকাশ। এই অপযৌনতা মানুষের যৌন অনুভব ও কর্মকাণ্ডকে বিকৃত ও বিভৎস করে তোলে। অবযৌনতা মানুষের বিকল্প যৌনতা। এই যৌনতাই আবার তৈরি করে আছে এক বিশাল শিল্পসাম্রাজ্য। যৌনশিল্প এই অবযৌনতার চাহিদাই মিটিয়ে থাকে। যেমন অবসংস্কৃতি* – স্থূল গানবাজনা, স্থূল বইপত্র, স্থূল সিনেমা, মাদকাসক্তি মানুষকে গ্রাস করেছে এবং এক বিশাল বাণিজ্যশক্তি হয়ে উঠেছে, আর এই বাণিজ্যশক্তির নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রতিনিয়ত এর ভোক্তার সংখ্যা বাড়াচ্ছে – একই ভাবে অবযৌনতাকে ঘিরে যে যৌনশিল্প সাম্রাজ্য সেটাও অত্যন্ত আগ্রাসী মোহ বিস্তার করে এর ভোক্তা বাড়িয়ে চলেছে। যৌনচাহিদা আছে তাই যৌনশিল্পের রমরমা, একথা বলে পৃথিবীর সব জায়গায় যে নৈতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করা হয়েছে –অর্থনৈতিক রাজনৈতিক কোনো দুর্যোগই আজ আর অবযৌনতা ও অবসংস্কৃতির মাধ্যমে সৃষ্ট নৈতিক দুর্যোগের সঙ্গে তুলনীয় নয়। অবযৌনতাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে সারা পৃথিবী জুড়ে যৌন উদ্দেশ্যে মানুষ পাচারের এক ভয়ংকর চক্র। এ চক্রের হাত ধরেই আজ মধ্যপ্রাচ্যে, ভারতে, নেপালে, পাকিস্তানে, বাংলাদেশে যৌনকর্মে পর্নোছবিতে ক্যাবারেক্লাবে কখনো বাংলাদেশের কোনো পাড়াগাঁয়ের মেয়ের দেখা পাওয়া যায় দুবাইয়ের অভিজাত হোটেলে, কেরালা বোম্বের কোনো মেয়েকে দেখা যায় নেপালের ক্যাসিনোতে, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মেয়ের দেখা মেলে করাচির পাঁচতারা মেসেজ পার্লারে, ভারতের শ্রমিক অধ্যুষিত কোনো বাজারের ‘মান্ডি’-তে কত জাত-উপজাতের কত দেশ কত অঞ্চলের মেয়ে যে পাওয়া যায় তার সঠিক হিসেব আজ আর কারো কাছেই নেই মনে হয়। মানুষের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অবযৌনতার আকর্ষণীয় বাজার হাতে রাখতে যৌনশিল্পের অপ্রতিরোধ্য পুঁজির মালিকেরা আজ আর কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। কিভাবে আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব? যেমন অপসংস্কৃতি অবসংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে রেহাই পেতে হলে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চার কথা বলা হয়, এক্ষেত্রেও কি আমরা শুধু সুস্থ…
সারাদেশে বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহের নামে উচ্ছৃঙ্খলতা সত্যিই এক নারকীয় তান্ডব ছিল। সেদিন আমি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাশে এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। দুপুরের দিকে আমার এক বন্ধু মোবাইল করে বলে যে, 'ঝিগাতলার দিকে গন্ডগোল হচ্ছে'। তখনও আমরা স্পষ্ট কিছু বুঝিনি (আমি এবং আমার বন্ধু যার বাসায় আমি ছিলাম) এবং প্রায় রওনা দেবো এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন ছুটাছুটি করতে শুরু করল। একে একে সবাই বলাবলি শুরু করল 'বিডিআর আর আর্মিতে মারামারি লাগছে'। তারপর বাসায় ফিরলাম। ফিরে এসে টিভি ছাড়লাম। দেখলাম সত্যিই এক যুদ্ধক্ষেত্র..!! বিকেলে মা ফোন করে আমাকে যা জানালো তার একটি গুছালো বিবরণ নিচে দিলাম: ১৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ন বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে অবস্থানরত। এই ব্যাটালিয়ন বা বিডিআর ক্যাম্পের ভিতরে দুটি স্কুল। একটি প্রাইমারি, নাম 'শহীদ নূর মোহাম্মদ প্রাথমিক বিদ্যালয়'। অপরটি উচ্চ বিদ্যালয়, নাম 'রাইফেলস উচ্চ বিদ্যালয়'। দুটি স্কুলই প্রতিষ্ঠিত হয় ১২ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন এর হাতে। তারপর সেখানে ব্যাটালিয়ন পরিবর্তিত হতে হতে বর্তমানে ১৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন। এতোসব বলছি কারণ- সেদিন বুধবার বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর জওয়ানরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাইফেলস্ স্কুলসহ প্রাইমারি স্কুলটি ছুটি দেয়া হয়। বাচ্চারা ছুটোছুটি করে ফেরার সময় এক আদিবাসী মনিপুরি শিক্ষার্থী যে রাইফেলস স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তার ফ্রক (স্কুল ড্রেস) ফুটো করে এক বুলেট বেরিয়ে যায়। ভাগ্যিস তার কিছু হয়নি। যদি হতো..? শিক্ষার্থীর নাম 'লাইতোঞ্জম ফেন্ডো'। এটি তার ডাকনাম, স্কুলে ব্যবহৃত সঠিক নামটি এখনো জানা হয়নি। সে শিক্ষার্থী বাসায় ফেরার পর নাকি সারারাত জ্বর ছিলো গায়ে। সাথে উদ্বেগ উৎকন্ঠাসহ মা-বাবার চোখে ঘুম হারাম হওয়া এক রাত.. এখন সুপ্রিয় পাঠক বলেন তো, জওয়ানদের এমন বিদ্রোহের ফলে এই যে কোমলমতি শিশুরা যারা স্কুলে লেখাপড়া শিখতে যায়, যারা নিষ্পাপ, যারা কোনদিন কারো কোনো ক্ষতি করেনি তারা কেনো এমন বিদ্রোহের শিকার হবে..? :: স্কুলে ব্যবহৃত সঠিক নামটি জানামাত্র লেখাটিকে আপগ্রেড করা হবে ::