আমরা, বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স (BCBA) দেশব্যাপী চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। একই সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি। [...]

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু জনগোষ্ঠীর শত শত ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে বসবাসকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন, অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা, বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স (BCBA) দেশব্যাপী চলমান এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। একই সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তি রোধ করতে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি যে এই ঘৃণ্য তৎপরতা চালাচ্ছে সেটা একটি প্রকাশ্য সত্য। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জামায়াত-বিএনপি একজোট হয়ে সারাদেশে একের পর এক সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। অসংখ্য প্রাণহানি, সম্পদ ধ্বংশ এবং লাখ লাখ বৃক্ষ কর্তনের পাশাপাশি তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর আঘাত হানছে। আমরা, বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স (BCBA) এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা, বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স (BCBA) অত্যন্ত হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর একটি প্রধান অংশ এই সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটারবিহীন ছবি ছাপলেও, যে কেন্দ্রে লাইন ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোট দিয়েছে সেসব কেন্দ্রের ছবি প্রথম আলো এবং কালের কণ্ঠসহ কিছু পত্রিকা ফলাও করে ছেপেছে। এমনকি প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ছবি সম্পাদনা করে ভোটারদের কপালে সিঁদুর এবং টিপ বসিয়ে দেওয়ার বা সেগুলোকে হাইলাইট করে ‘প্রধানত হিন্দুরাই এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছে’ এই বার্তাটি ধর্মীয় মৌলবাদী তথা জামাত-শিবির-বিএনপি চক্রর কাছে পৌঁছে দেওয়ার। দেখা গেছে এরকম ছবি প্রকাশের পরপরই দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর উপর হামলা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নির্যাতন শুরু হয়। ফলে সাম্প্রতিক এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না প্রথম আলো, কালের কণ্ঠসহ দেশের প্রধান পত্রিকাগুলো। যেমনটি এড়াতে পারেনি রুয়ান্ডা আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে গণহত্যার উস্কানীদাতা ‘কাংগুরা’ পত্রিকা। আমরা আগেও দেখেছি, এই পত্রিকাগুলো, বিশেষ করে প্রথম আলো জামাত শিবির বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডগুলোকে ‘দুর্বৃত্ত’দের কাজ বলে চালিয়ে দিয়েছে বেশিরভাগ সময়। আমরা, বাংলা কমিউনিটি ব্লগ এলায়েন্স…

আমরা এখনো আদমশুমারি ২০১১-এর ফলাফল পাইনি তবে ধারণা করা হয় বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭ থেকে ৮ ভাগ হতে পারে। তার মানে বাংলাদেশের ৪০ বছরে হিন্দুদের শতকরা হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।[...]

বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘু হচ্ছে হিন্দু জনগোষ্ঠী। ১৯৪১ সালে আমাদের এই অঞ্চলে হিন্দুরা ছিলেন জনসংখ্যার ২৮ ভাগ, ১৯৫১ সালে এসে হল ২২ ভাগ। এভাবে ১৯৬১ সালে ১৮.৫০ ভাগ, ১৯৭১ সালে ১৩.৫০ ভাগ, ১৯৮১ সালে ১২.১৩ ভাগ, ১৯৯১ সালে ১১.৬২ ভাগ, ২০০১ সালে ৯.২০ ভাগ। এই ষাট বছরে প্রায় ১৯ ভাগ হিন্দু জনগোষ্ঠী কমে গেল আমাদের মোট জনসংখ্যা থেকে – তারমধ্যে প্রায় ১৫ ভাগই কমে গিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগের ৩০ বছরে এবং আরো ৪ ভাগ কমেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের ৩০ বছরে। আমরা এখনো আদমশুমারি ২০১১-এর ফলাফল পাইনি তবে ধারণা করা হয় বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭ থেকে ৮ ভাগ হতে পারে। তার মানে বাংলাদেশের ৪০ বছরে হিন্দুদের শতকরা হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। কেন কমে যাচ্ছে হিন্দুরা? পাকিস্তান আমলে হিন্দুদের ভাগ কমে যাওয়ার মূল কারণ যদি হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও রাজনৈতিক হিংসা তাহলে বাংলাদেশ আমলেও হিন্দুদের ভাগ কমে যাওয়ার অন্য কোনো কারণ থাকার কথা নয় – ওই একই কারণে কমে যাচ্ছে বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘুর শতকরা অবস্থান। আর এই যদি হয় বড় সংখ্যালঘুর অবস্থা তাহলে ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থা যে এর চেয়ে শোচনীয় হবে তাতে তো আর কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর কতদিন ‘ভোটব্যাংক’ হয়ে থেকে নিজেদের রাজনৈতিক শক্তির চর্চা করবেন বাংলাদেশের বড় সংখ্যালঘুরা, যাদের চিহ্নিত ‘ভোটব্যাংক’ হয়ে থাকেন তারা সেই আওয়ামী লীগের আমলেও তো অত্যাচারের সংখ্যা কমলেও অত্যাচার তো বন্ধ থাকে না। বরঞ্চ বিএনপি আমলে অত্যাচার হলে অন্তত আওয়ামী লীগকে বলতে পারেন কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলে হলে তো আর কাউকেই বলতে পারেন না তাদের অত্যাচারের কথা। হ্যাঁ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আছে – কিন্তু এটি তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা বড় জোর রাজনৈতিক তদবির করতে পারেন সংখ্যালঘুদের পক্ষে। কিন্তু আর কতকাল কাটবে রাজনৈতিক তদবিরে, যদি এই অব্যাহত অত্যাচারে রাজনৈতিক দলের কথা ভাবেন বড় সংখ্যালঘুরা – সাথে যদি নেন অন্য সংখ্যালঘুদেরও তখন বাংলাদেশের যা একটু ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির চেহারা আছে তার কী অবস্থা হবে?

পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাপঞ্জীর কালানুক্রমিক গ্রন্থণা এবং সে বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য ব্লগবাড়ীতে যে সব আলোচনা চলছে: (more…)

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.