রোম স্ট্যাটিউটের অধীন হেগ এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), যেটি আমাদের দেশের আসামী পক্ষের সবচাইতে বড় "আস্থার স্থান" সেটি সম্পর্কেও বহু সমালোচনা এবং অভিযোগ উঠেছে তাদের সাম্প্রতিক "লুবাঙ্গা মামলা"-র রায়ের পর। বলা হয়েছে - আসামী লুবাঙ্গার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী আনা হচ্ছে সে সাক্ষীদের এবং এই সাক্ষীদের যিনি প্রশ্ন করেছেন তাদের সকলকে অর্থের বিনিময়ে কেনা হয়েছে, পরবর্তীতে যখন এই ইন্টারমিডিয়ারিস দের পরিচয় প্রকাশ করবার জন্য আদালত নির্দেশ দিলো তখন প্রসিকিউটররা তা প্রকাশ করতেও অস্বীকার করেছে, দুই দুইবার মামলা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও লুবাঙ্গার বিচার ৬ বছর ধরে চলছে এই ব্যাপারেও তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠৈছে, লুবাঙ্গার বিরুদ্ধে একপক্ষীয় তদন্ত নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, প্রসিকিউশনের পারদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তারা সব অপরাধের চার্জে আনেনি ফলে সত্যিকারের ভিক্টিমদের সাথে নাকি প্রতারণা করা হয়েছে - এমন অভিযোগও উঠেছে খোদ আইসিসি আদালতের এই মামলাতেই। সত্য কথা হল পৃথিবীর যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার হয়েছে, সেখানকার কোনো ট্রাইবুনালই আসলে সমালোচনার বাইরে ছিলো না। হোক সেটি জাতিসংঘের উদ্যোগে কিংবা নিজেদের দেশে গঠিত কোনো নিজস্ব ট্রাইবুনাল। এতে করে কি সেই বিচার প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে? থেমে গিয়েছে? উত্তর হচ্ছে, না… যায়নি। আমাদের দেশে গঠিত ট্রাইবুনাল নিয়েও চলছে এমন ফালতু সমালোচনা ও জ্ঞানপাপীদের দৌঁড়-ঝাঁপ। আপনি যদি আজকে দাঁড়িয়ে থাকেন তবে অভিযোগ আসবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? যদি বসে থাকেন, তবে অভিযোগ আসবে বসে আছেন কেন? যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তবে অভিযোগ আসবে, “এত ভালো ভালো না কিন্তু”, মোট কথা সমালোচনাহীন কোনো কর্মই আজ পর্যন্ত সম্পাদিত হয়নি। সুতরাং এসব সমালোচকদের সমালোচনা ও অপরাধীদের বান্ধবদের অসার বক্তব্য আসতে থাকবেই। ট্রাইবুনাল যতক্ষণ তার রাস্তামত চলতে থাকবে আইন ও বিধি মেনে এবং রাষ্ট্র যতদিন আইনমাফিক ও প্রয়োজনমত তার দায়িত্ব পালন করবে ততক্ষণ কারো কিছু করবার ক্ষমতা নেই। বিস্তারিত পড়ুন নিঝুম মজুমদারের ব্লগে : পলাতক রাজাকার বাচ্চুর বিচার আইনগতভাবে সঠিক ছিলো কি?।
ট্রাইবুনাল যতক্ষণ তার রাস্তামত চলতে থাকবে আইন ও বিধি মেনে এবং রাষ্ট্র যতদিন আইনমাফিক ও প্রয়োজনমত তার দায়িত্ব পালন করবে ততক্ষণ কারো কিছু করবার ক্ষমতা নেই।[...]