বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা আসাম এই চারটি অবস্থানের বাংলা ভাষা চার রকমের সাহিত্য সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে [...]

বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা আসাম এই চারটি অবস্থানের বাংলা ভাষা চার রকমের সাহিত্য সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে, আরেক রকমের সাহিত্য সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লি বোম্বে পুনার মতো ভারতীয় শহরে পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা আসাম থেকে যাওয়া বাংলাভাষী বসবাসকারীদের দ্বারা, আরেক রকমের সাহিত্য সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা আসাম তথা ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে অভিবাসী বাংলাভাষী বসবাসকারীদের দ্বারা - এভাবে বলা যায় বাংলা ভাষা বহুজাতিক সাহিত্যের ভাষা না হলেও বহুবিধ সাহিত্যের ভাষা হয়ে উঠেছে। এই বহুবিধতাকে উদযাপন করতে হবে সবাইকে। এবং একটি কেন্দ্র প্রয়োজন হবে এই বহুবিধতাকে বুঝতে, সেই কেন্দ্র জোর করে আরোপিত হলে হবে না, এখন পর্যন্ত কলকাতা ও ঢাকা দুটোই বিচ্ছিন্নভাবে ভগ্নকেন্দ্র হিসেবেই চলছে বলা যায়, আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত ঢাকা অনেক এগিয়ে থাকবে একক কেন্দ্র হওয়ার দিকে - যদিও ঢাকা নিয়ে একটা আশঙ্কা এই থেকে যায় ঢাকা শেষ পর্যন্ত আদৌ মুক্তচিন্তার জায়গা থাকবে কিনা, আর কলকাতা নিয়ে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা তো এই বাস্তবতা যে কলকাতায় বাংলা কতটা কর্মচঞ্চল। কিন্তু সংহত পরিপ্রেক্ষিতকে বুঝতে ও বিপণনের সামগ্রিক সুযোগ নিতে এই বহুবিধতার একটি কেন্দ্র খুব প্রয়োজন এবং সময়ও চলে এসেছে একটি কেন্দ্র গড়ে উঠবার, তা যদি শেষ পর্যন্ত গড়ে না ওঠে তাহলে আমার মতে বাংলা ভাষা আরেকটি বিস্তার থেকে থমকে যাবে, আমি এখনো মনে করি বাংলা ভাষার বিস্তারে উপরে উল্লেখিত প্রতিটি সাহিত্যের অবদানকে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে, এবং আমি এও বিশ্বাস করি সেই সম্ভাবনা ঢাকার দুয়ারেই আঘাত হানছে, এখন এটা সময়ই বলবে ঢাকার দুয়ার খুলবে কিনা, ঢাকা বাংলা ভাষায় রচিত সব রকমের সাহিত্যের কেন্দ্র হতে পারবে কিনা।

১. একদল হিংস্র পশু এবং একদল হিংস্র মানুষের মধ্যে সভ্য আচরণের তুলনামূলক বিচার করলে পশু সমাজ যে এগিয়ে থাকবে তা আমরা এখন আর কেউ অস্বীকার করতে পারি না। পশুর হিংস্রতা কোন একটি মৌলিক চাহিদা পূরণ ঘটিত সমস্যা থেকে উদ্ভুত হয় এবং সেই হিংস্রতা প্রয়োগের একটা মাত্রা থাকে একটা যুক্তি থাকে। কিন্তু মানুষ কোন রকম যৌক্তিক কারণ ছাড়াই স্বজাতির উপর চড়াও হয়ে চরম নির্মমতার পরিচয় দিতে পারে খুব অনায়াসে। বাঘ সিংহ গণ্ডার কয়োট হায়েনা বেড়াল কুকুর যেই হোক, সবাই নিজ নিজ সীমানাটা মেনে চলে। সিংহ কখনো বেড়ালকে কামড়ে দিয়ে বলে না তোর কেন কেশর হয় না, কিংবা হাতি কখনো কুকুরকে লাথি দিয়ে বলে না তুই কেন শুড় দিয়ে মাংস খাস না। আন্তঃপশু সংঘর্ষের কোন সংবাদ আমরা তেমন দেখি না। পশুরা কী করে যেন একটা সুশৃংখল সভ্যতা গড়ে তুলেছে সেটা খুব আশ্চর্যের। অথচ তাদের কোন রাষ্ট্রনায়ক নেই, মহামানব নেই, অবতার নেই, দেবতা নেই, পথ নির্দেশক নেই। তাদের নেই কোন রাষ্ট্র, ধর্ম, বিজ্ঞান, দর্শন, বিদ্যালয়, উপাসনালয়। এসব কিছু না থেকেও ওরা আদি থেকে এই সভ্যতা ধরে রেখেছে। প্রাণীজগতের মধ্যে মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের রাষ্ট্র, নেতা, ধর্ম, মহামানব, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সবকিছু আছে। এই সব কিছুর যোগফল নিয়ে মানবকূল পৃথিবীটা দখল করে শাসন করছে এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাকী প্রাণীসমাজ অবশ্য জানে না 'মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব', জানার মতো শিক্ষাদীক্ষাও তাদের নেই। জানলে এই শ্রেষ্ঠত্ব বিনাতর্কে মেনে নিতো কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু মানব সমাজের বাইরে একটা তৃতীয় অবস্থান নিয়ে যদি আমি মানুষ এবং অন্য প্রাণীদের তুলনামূলক অবস্থানটা দেখি, তাহলে দেখবো, প্রযুক্তি, জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ক্ষমতার দিক থেকে মানুষ বর্তমানে শ্রেষ্ঠ অবস্থানে আছে (৫০ হাজার বছর আগে হলে এটা বলতে পারতাম না) এটা সত্যি হলেও যাকে আমরা গড়পড়তা 'মানবতা' বলি, সেই হিসেবে মানুষ পশুদের চেয়ে সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে। মানুষকে বাই ডিফল্ট শ্রেষ্ঠ ধরে ভালো গুন সমৃদ্ধ অর্থে 'মানবতা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। মানবতা বলতে মায়া দয়া স্নেহ মমতা সমৃদ্ধ একটি উদার একটি চরিত্রের নিদর্শনকে বুঝি। অথচ মানুষের ভেতরে যে চরম স্বার্থপর হিংস্রতম নির্দয় চরিত্রের অন্ধকার বিষয় লুকিয়ে আছে তাকে প্রকাশ করতে গেলে আমরা পশুর নামানুসারে আখ্যায়িত…

বাংলাদেশে বইয়ের দোকান ও বইয়ের প্রকাশক আছে। সংখ্যায় কম বা মানে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে কিন্তু বইয়ের দোকান ও বইয়ের প্রকাশনা এখানে মোটেই অপরিচিত বা বিলুপ্ত কোনো উদ্যোগ নয়। বাংলাদেশে বইয়ের পরিবেশনা একটা ভাল ব্যবসাই ছিল কিন্তু এব্যবসাটা কেন বিলুপ্ত উদ্যোগের তালিকায় চলে গেল আমার জানা নেই [...]

বাংলাদেশে বইয়ের দোকান ও বইয়ের প্রকাশক আছে। সংখ্যায় কম বা মানে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে কিন্তু বইয়ের দোকান ও বইয়ের প্রকাশনা এখানে মোটেই অপরিচিত বা বিলুপ্ত কোনো উদ্যোগ নয়। বাংলাদেশে বইয়ের পরিবেশনা একটা ভাল ব্যবসাই ছিল কিন্তু এব্যবসাটা কেন বিলুপ্ত উদ্যোগের তালিকায় চলে গেল আমার জানা নেই – যদিও আমার মতে বইয়ের পরিবেশনা ব্যবসা ছাড়া বইয়ের প্রকাশনা ব্যবসা ও বইয়ের দোকানের ব্যবসা ঠিকমতো চলার কথা নয়, এবং বইয়ের বাজারের দিকে ভাল করে তাকালে আমরা দেখতে পাব তা ঠিকঠাক চলছেও না। বই প্রকাশনার ব্যবসায়ী যদি হয় পণ্যের উৎপাদক এবং বইয়ের দোকানের ব্যবসায়ী যদি হয় উৎপাদিত পণ্যের বিক্রেতা তাহলে উৎপাদিত পণ্য উৎপাদকের কাছ থেকে বিত্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়ার সরবরাহকারী হল বইয়ের পরিবেশনার ব্যবসায়ী। এখন এই সরবরাহকারী যখন বিলুপ্তের পথে চলে গেছে ফলে বইয়ের সরবরাহের ব্যবসার যে সক্ষমতার জায়গা ছিল তাও অবলুপ্ত হয়েছে, অর্থাৎ উৎপাদিত বই বিক্রেতার কাছে সরবরাহ করার দক্ষতার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, ধরুন, খুব চলে এরকম ভোগ্যপণ্যের সরবরাহকারীরা বিলুপ্ত হয়ে গেলে কিন্তু খুব চলে এরকম ভোগ্যপণ্যের উৎপাদক ও বিক্রেতা রয়ে গেল, আমি নিশ্চিত, আপনি সাবান টুথপেস্ট আর নিয়মিত ব্যবহার না করে কিভাবে চলা যায় সেই উপায়ই খুঁজবেন কারণ উৎপাদক ও বিক্রেতার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করার কাজে নিয়োজিত পরিবেশকের অনুপস্থিতিতে পণ্য সরবরাহের সক্ষমতার যে ঘাটতি তৈরি হবে তাতে আপনি হাতের কাছে সাবান টুথপেস্টের যে বহর দেখতে পেতেন তা আর দেখতে পাবেন না। এখন এই বই পরিবেশকের বিলুপ্তিতে তাই ঘটেছে আর এখন এই বই পরিবেশক গোষ্ঠীকে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে না পারলে বইয়ের বাজারে ওই সামান্য সংখ্যক বই ছাপিয়ে তা বিক্রির ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার এই চক্র থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না। এবং এর ফলে বই লিখে জীবিকা উপার্জনের সম্ভাবনা কোনোদিনই বাস্তবতার মুখ দেখবে না। কাজেই বইয়ের বাজারকে যদি সত্যিই জাতীয় উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে হয় তাহলে বই পরিবেশনার বিলুপ্ত ব্যবসাকে আবার চালু করার পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু আমি এখন বই সম্পাদকের কথা যদি বলতে চাই, আমি বলব বাংলাদেশে এটা সম্পূর্ণভাবে অপরিচিত একটা পেশা। বই সম্পাদক কী করে? এটা বলার চেয়ে যদি আপনি এটা ভাবেন, একজন পত্রিকা সম্পাদক কী করে? তাহলে সম্ভবত পুরো…

অনেক বছর আগে রঞ্জন বাগচীর লেখা ‘গ্যাংগ্রীন’ নামের একটি অসামান্য গল্প পড়েছিলাম দেশ পত্রিকায় (বর্ষ ৫৭, সংখ্যা ২৮, ১২ মে ১৯৯০)। গল্পে বর্ণিত নাগকেশর সম্পর্কিত তথ্যগত ভুল ধরিয়ে দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন বেলুড় মঠ থেকে ভিক্ষু বুদ্ধদেব। [...]

অনেক বছর আগে রঞ্জন বাগচীর লেখা ‘গ্যাংগ্রীন’ নামের একটি অসামান্য গল্প পড়েছিলাম দেশ পত্রিকায় (বর্ষ ৫৭, সংখ্যা ২৮, ১২ মে ১৯৯০)। গল্পে বর্ণিত নাগকেশর সম্পর্কিত তথ্যগত ভুল ধরিয়ে দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন বেলুড় মঠ থেকে ভিক্ষু বুদ্ধদেব, গল্পের প্রশংসা করেই তিনি লিখেছিলেন : ‘নাগকেশর’ বলে যে গাছটিকে বলা হয়েছে তার বাংলা স্ট্যান্ডার্ড নাম ‘নাগলিঙ্গম’ (Couroupita guianensis)। বহু গাছের স্ট্যান্ডার্ড বাংলা নাম না থাকলেও ‘নাগকেশর’ও (Mesua ferrea) একটি স্ট্যান্ডার্ড নাম। ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত দেশ-এর বিশেষ সংখ্যায় (বর্ষ ৫৭, সংখ্যা ৩৯, ২৮ জুলাই ১৯৯০) ছাপা হয়েছিল ভিক্ষু বুদ্ধদেবের এই চিঠি, যিনি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত ফুল ফোটানোর সহজ পাঠ বইয়েরও লেখক। নাগকেশরের যে-বৈজ্ঞানিক নাম তিনি লিখেছেন, তা অবশ্য নাগকেশরের নয়, নাগেশ্বরের―নাগকেশর, নাগেশ্বর ও নাগলিঙ্গম তিনটি ভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ। রঞ্জন বাগচীর গল্পে নাগকেশরের কী বিবরণ ছিল সে-কথায় পরে আসছি, আগে বলে নিই, বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বা নাগলিঙ্গম নামটি মেনে নিলেও গল্পরসে কোনও ঘাটতি দেখি না। গল্পটি দাঁড়িয়ে আছে মানবিক ভালোবাসার উর্বর মাটিতে। মৌড়ীগ্রামের এক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কালো পরিদা। সারাদিনে প্রচুর অবসর আর অবসরটুকু সে ভরিয়ে তোলে বাগানের পরিচর্যায়। গাছগুলো তার সন্তানের মতো। পায়ের আঙুলের কড়া কাটতে গিয়ে ঘা বাধিয়ে বসে কালো, সে ঘা আর শুকোয় না। রক্তপরীক্ষায় ধরা পড়ে ডায়াবেটিস। বড় ডাক্তার দেখেশুনে জানান যে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে, কেটে ফেলতে হবে পা। ডায়াবেটিসের কারণে অস্ত্রোপচারও অসম্ভব। শুশ্রূষার লোক নেই বলে কলকাতার হাসপাতালে কালোকে না রেখে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গল্পকথক মহিম। যাত্রাপথে কালোর পায়ের ব্যান্ডেজ বদলানো, ওষুধ খাওয়ানো, ইনসুলিন দেওয়া সবই আন্তরিকভাবে করে মহিম। অনেক দূরের পথ―লোকাল বাসে খড়্গপুর স্টেশন, সেখান থেকে নিজামুদ্দিন উৎকল এক্সপ্রেস ট্রেনের বার্থে শুয়ে শুয়ে কটক, কটকে নেমে আবার বাসে জগৎসিংপুর যেতে লাগবে ঘণ্টাখানেক, তারপর রিকশায় আর পায়ে হেঁটে হরিদাসাই গ্রামে কালোর বাড়ি। গ্রামে কালোর মেয়ে সারদাকে দেখা যাবে, যদিও মহিম আত্মীয়স্বজনের কথা জানতে চাইলে হাহা করে হেসে উঠেছিল কালো : অনেক কি বলছ মাষ্টার। হরিদাসাই গ্রামটাই তো আমাদের আত্মীয়স্বজনে ভর্তি। ওখানে পরিদা আছে, প্রধান আছে, সোয়াই আছে। সবাই কায়স্থ। সকলে মিলেই একটা বড় সংসার বলতে পার।…

এখানে এই শেষ সাইটটার নাম দেখে আমার ভাবনা হয়, বাংলাদেশে প্রশাসনের কাজ নিয়ে প্রায়ই একটা মজার কথা বলা হয় 'ধরে আনতে বললে বেঁধে নিয়ে আসে', আমার মনে হতে থাকে 24banglanewsblog.wordpress.com বন্ধ করতে গিয়ে সব .wordpress.com সাইটই কি বন্ধ করে দিল? [...]

ওয়ার্ডপ্রেসে wordpress.comএ কয়েকটি ব্লগ আমি নিয়মিত পড়ি, এবং আমার নিজেরও একটি ব্যক্তিগত ব্লগ ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে চলে, ৪ আগস্ট রাতে https://sandrp.wordpress.com/ পড়তে চাইলে আমি প্রথম খেয়াল করি আমি সাইটটিতে ঢুকতে পারছি না, আমি ভাবলাম কোনো ইন্টারনেট কানেকশন ঘটিত ঝামেলা, কিছুক্ষণ পর আমি https://imtiar.wordpress.com/ পড়তে গিয়ে যখন দেখলাম তাও পড়তে পারছি না তখন আমি আমার ব্যক্তিগত ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটি পড়ার চেষ্টা করি - কিন্তু দেখা গেল আমি তাতেও ঢুকতে পারছি না। এবার আমার মনে হল ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয়। আমি বিডিনিউজ২৪.কম-এ ঢুকলাম এবং একটি খবর খেয়াল করলাম। বাংলাদেশে নিউজ পোর্টালসহ ৩৫টি ওয়েবসাইট বন্ধ বিটিআরসির নির্দেশে ইন্টারনেট গেটওয়েগুলো ওয়েবলিংক আটকে দেওয়ায় বাংলাদেশে অনলাইন সংবাদ পোর্টাল শীর্ষনিউজ ও আমার দেশ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া আরও ৩৩টি ওয়েবসাইট বাংলাদেশে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই অনলাইন নিউজ পোর্টাল। একাধিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটর বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিটিআরসির ‘নির্দেশনা পেয়ে’ তারা ৩৫টি ওয়েবলিংক ‘ব্লক’ করেছেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে বলেন, “সরকারের নির্দেশে শীর্ষনিউজ বিডি ডটকম বন্ধ করা হয়েছে।” তবে কী কারণে বন্ধ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। শীর্ষনিউজের সম্পাদক একরামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের সাইট দেখা যাচ্ছে না। শুনতে পেয়েছি, বিটিআরসি আমাদের সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কেন বন্ধ করা হয়েছে, তা আমাদের জানানো হয়নি।” ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো আমার দেশ বাংলাদেশে বন্ধের কথা জানালেও বিটিআরসি চেয়ারম্যান এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে শীর্ষনিউজের পাশাপাশি আমার দেশের ওয়েবসাইটও বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ থেকে খোলা যায়নি। ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে থাকা মুদ্রিত সংবাদপত্র আমার দেশের প্রকাশনার অনুমোদন কয়েক বছর আগে বাতিল করা হয়। এরপর এটি শুধু ইন্টারনেট সংবাদপত্র হিসেবে চলছিল। অন্য যে ওয়েবসাইট বাংলাদেশে বন্ধ করতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- আরটিনিউজ২৪, হককথা, আমরা বিএনপি, রিয়েল-টাইম নিউজ, বিনেশন২৪, নেশন নিউজ বিডি, ভোরের আলাপ, বাংলাপোস্ট২৪, ডেইলি টাইমস২৪, মাইনিউজ বিডি, লাইভ খবর, রিখান, নেচারের ডাক, সিলেট ভয়েস২৪, সময় বাংলা, প্রথম-নিউজ, বাংলা লেটেস্ট নিউজ, বিডি মনিটর, বিডিআপডেট নিউজ২৪, নিউজ ডেইলি২৪বিডি, অন্যজগত২৪, দেশ-বিডি, ক্রাইমবিডিনিউজ২৪,…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.