|| কাব্য এবং কবিকুল || প্রেমের কবিতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ আর লোকজনের পছন্দের হলেও রোমক লেখকরা সেটাকে সর্বোচ্চ আসনে বসাননি, যা আসলে নির্দিষ্ট ছিল মহাকাব্যের জন্য। এবং সম্রাট অগাস্টাসের আমলেই রচিত হয়েছিল সবচেয়ে বিখ্যাত লাতিন কাব্য। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর কাব্য এবং কবিকুল লাতিন সাহিত্যের এক অসাধারণ বিকাশ ঘটে ১০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে, যেটাকে সাধারণত সে-সাহিত্যের ধ্রুপদী যুগ বলা হয়। এ-হচ্ছে সেই সময় যখন রোমক সাম্রাজ্য সবচাইতে দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে, অর্জন করছে তার সেরা সব সাফল্য। কিন্তু কি লিখেছিল রোমকরা, জানতেই চাইতে পারেন অনেকে। তার উত্তর হলো, তারা খুব মন দিয়ে গ্রীক সাহিত্যের সেরা কীর্তিগুলো অধ্যয়ন করেছিল, আর তারপর এক-ই ধরনের গ্রন্থ রচনা করেছিল। প্রথমে তারা গ্রীক রচনাগুলোর অনুবাদ-অনুকরণ আর ছায়াবলম্বন করেছিল অনেক, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা আরো উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠে, এবং নিজেদের ‘মৌলিক’ রচনায় হাত দেয়, যদিও অনেক দিক থেকেই সেগুলো গ্রীকদের প্রবর্তন করা লক্ষণগণ্ডির ভেতরেই রচিত হয়েছিল। এভাবে বললে কথাটা কেমন কেমন শোনালেও লাতিন সাহিত্য কিন্তু আসলেই যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছিল। রোমকরা যে গ্রীকদের উদাহরণ অনুসরণ করেছিল তাতে কোনো বিতর্ক নেই; এবং তাতে করে অসাধারণ কিছু নমুনা পেয়েছিল তারা তাদের সামনে, আর তারপরে তারা চেষ্টা করেছিল লাতিন ভাষায় একইরম, চাইকি তার চাইতে ভালো কিছু সৃষ্টি করতে। এই পদ্ধতিকে তারা বলত ‘aemulátio’, যার মানে কোনো কিছু অনুকরণ বা তার চাইতে ভালো কিছু তৈরি করা। এবং অনেক ক্ষেত্রেই লাতিন রচনাগুলো তাদের নমুনার সমকক্ষতা অর্জন করেছিল, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ছাড়িয়েও গিয়েছিল সেগুলোকে। গ্রীক আর রোমকরা যে সাহিত্য রচনা করেছিল সেরকমের সাহিত্য আজকালকার বইয়ের দোকানে দেখা যায় না। আজ যা লেখা হয় তার বেশিরভাগই উপন্যাস, অর্থাৎ গদ্যে রচিত আখ্যানমূলক লেখা। উপন্যাস কিছু রোমকরাও লিখেছিল, কিন্তু সেগুলো প্রাচীনকালে বা তার পরেও কখনো জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। অষ্টাদশ শতকের আগে উপন্যাস তুমুলভাবে জনপ্রিয় হয়নি, এবং তখন ইংরেজি ও ফরাসির মতো আধুনিক ভাষায় তা লেখা হতে থাকে। অথচ প্রাচীনকালে সৃজনশীল বেশিরভাগ লেখাই রচিত হতো পদ্যে। সাদামাটা গদ্যে লিখিত হতো বক্তৃতা, ইতিহাস, আর বিভিন্ন ধরনের নন-ফিকশন; সেসবের কথা পরে আসবে। যা কিছু আখ্যান বা কাহিনীমূলক বা বিনোদনমূলক তা লেখা হতো পদ্যে বা কাব্যে, যেখানে টেক্সটকে কঠোরভাবে ছন্দোবদ্ধ হতে হতো; তার কিছু উদাহরণ নিচে দেয়া হলো। লেখকেরাও খুব সতর্ক তাঁদের শব্দের…

এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয় [...]

টুইট করতে করতে অনেক সময় এমন কিছু গুচ্ছ টুইট হয়ে যায় যেগুলোকে পোস্টের রূপ সহজে দেয়া যায়। সেকাজটাই এখানে করা হল। আগে এরকম প্রচুর টুইট কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন থেকে ভাবছি, এরকম টুইটগুলোকে ‘টুইট থেকে পোস্টে’ সিরিজে সংগ্রহ করে রাখব। তেলের উৎপাদক বেড়েছে চাহিদা সামান্য বেড়েছে তেলের দাম তো কমবেই— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 উৎপাদকদের সর্বনাশ হলেও বাংলাদেশের মতো সরকারগুলোর এখন দাপটে থাকার সময় - এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয়, মাঝারি ও বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প গিয়ে রেন্টাল বন্ধ করার এমন ভাল সুযোগ আর আসবে— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 না - কিন্তু সরকার যদি অতি লোভে এগুলি থেকে সরে না এসে আরো রেন্টালে ডুবে যায় তাহলে কিন্তু সরকার তাড়াতে রাজনীতি লাগবে না - তেলনীতি দফারফা— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 দেবে, কাজেই লোভে পড়বেন না কৌশলী হয়ে বড় প্রকল্পের দিকে চলে যান, কোনো নীতিই তখন আপাতত সরকার তাড়াতে পারবে না।— MasudKarimমাক (@urumurum) January 7, 2015 তেলের উৎপাদক বেড়েছে চাহিদা সামান্য বেড়েছে তেলের দাম তো কমবেই – উৎপাদকদের সর্বনাশ হলেও বাংলাদেশের মতো সরকারগুলোর এখন দাপটে থাকার সময় – এসময়ে সবচেয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে, তেলের থেকে সব প্রাপ্তি যেন সরকার এদেরকে খাইয়ে না দেয়, মাঝারি ও বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পে গিয়ে রেন্টাল বন্ধ করার এমন ভাল সুযোগ আর আসবে না – কিন্তু সরকার যদি অতি লোভে এগুলি থেকে সরে না এসে আরো রেন্টালে ডুবে যায় তাহলে কিন্তু সরকার তাড়াতে রাজনীতি লাগবে না – তেলনীতি দফারফা করে দেবে, কাজেই লোভে পড়বেন না কৌশলী হয়ে বড় প্রকল্পের দিকে চলে যান, কোনো নীতিই তখন আপাতত সরকার তাড়াতে পারবে না।

|| লাতিন হয়ে উঠলো ইউরোপের ভাষা || শহরে-নগরে লাতিনের প্রধান ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে খুব একটা সময় লাগেনি সম্ভবত। বহু স্থানেই চালু হয়েছিল স্কুল, আর সেসব স্কুলের ভাষা ছিল লাতিন, কখনো গ্রীক, কিন্তু স্থানীয় ভাষা? নৈব নৈব চ। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর   লাতিন হয়ে উঠলো ইউরোপের ভাষা অগাস্টাসের শাসনামলে রোমক সাম্রাজ্যের আয়তন যা দাঁড়ায় তা চারশ বছর ধরে টিকে ছিল। রাইন নদীর পুবের আর দানিউব নদীর দক্ষিণের সমস্ত ভূভাগ, এবং ভূমধ্যসাগরের পুব ও দক্ষিণ উপকূলের সব দেশ এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেকারণে ভূমধ্যসাগরকে কখনো কখনো ‘mare nostrum’ বা ‘আমাদের সাগর’ বলা হতো, এবং রোমকদের হাতেই ছিল সেটার সমস্ত উপকূলের নিয়ন্ত্রণ। সাম্রাজ্যের দাপ্তরিক ভাষা ছিল লাতিন আর, পুব দিকে, গ্রীক, যে-কথা আগেই বলা হয়েছে। তারপরেও, অগাস্টাসের সময় জনসংখ্যার বেশিরভাগ-ই নিশ্চয়ই এই দুই ভাষার বাইরে অন্যান্য আরো অনেক ভাষায় কথা বলত। পুবদিকটাতে  লাতিন কখনোই জেঁকে বসতে পারেনি, তবে পশ্চিমের জনগণ ধীরে ধীরে লাতিনকেই তাদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে নেয়। আগেই বলা হয়েছে ইতালি ছিল বহুভাষিক। এখন যা ফ্রান্স তা তখন মাত্র বিজিত হয়েছে, আর সেখনাকার বেশিরভাগ লোক কথা বলত কেল্টিক ভাষায়। স্পেন আর পর্তুগালেও ছিল কেল্টিক নানান ভাষাভাষী অনেক মানুষ, তবে সেই সঙ্গে ছিল বহু লিগুয়ারীয় (Liguarians) আর ভাস্কোন-ও (Vascones) — যারা আজকের বাস্কদের পূর্বসূরী — তাদের নিজস্ব ভাষা নিয়ে। উত্তর আফ্রিকায় — অধুনা মরক্কো আর আলজেরিয়ায় — সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সম্ভবত ‘বারবার’ (Berber) ভাষায় কথা বলত; সেই ভাষাগোষ্ঠীর নানান ভাষায় আজও সেসব দেশের এন্তার মানুষ কথা বলে। আজ যেখানে তিউনিসিয়া তার মাঝবরাবর ছিল কার্থেজ, যে-নগরীর পত্তন করেছিল সিরিয়া থেকে আসা ফিনিশীয়রা; ফলে সেখানকার অগুনতি মানুষ ফিনিশীয় ভাষায় কথা বলত। প্রাচীন হিব্রু-র সঙ্গে সম্পর্কিত এই ভাষাটি নগর পত্তনকারীরা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। এই সমস্ত এলাকাই রোমের শাসনাধীনে চলে আসে পরে। ইতালির অবশ্যই একটা আলাদা অবস্থান ছিল, কিন্তু বাকি সব এলাকা পেল প্রাদেশিক মর্যাদা, যার মানে, রোম থেকে নিযুক্ত এক একজন প্রশাসক সেসব প্রদেশ শাসন করতেন। স্বভাবতই, সেই প্রশাসকদের কিছু রোমক কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকত, এবং সেই সঙ্গে যা সবসময়-ই থাকত তা হলো এক বা একাধিক সেনা ছাউনি। অবশ্য নতুন কোনো প্রদেশে সব সময়ই যে লাতিনভাষী লোকজন খুব বেশি থাকত তা নয়, যদিও সাম্রাজ্যের অগ্রযাত্রা কয়েকশ শতাব্দী ধরে অব্যাহত থাকায় একটা…

মাত্র ৫ জন আগ্রহী পাঠকও কি নেই বাংলাদেশের এক-একটি জেলায়? তাঁদের কাছে পৌঁছানোর কথা আমরা ভাবছি কি? প্রতি জেলায় গড়ে যদি ৫ কপি করেও বিক্রি হয়, ৩২০ কপি বই বিক্রি হতে ৩ বছরের বদলে বড়োজোর ৩ সপ্তাহ, মানসাঙ্কের হিসাবে এমনকী ৩ মিনিট লাগার কথা! [. . .]

কোনো একটা বই বা লিটল ম্যাগাজিন বের করার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট-কুমিল্লার দু-চারটা চেনা দোকানে ৫/১০ কপি দিয়ে আসা, এখন ফেসবুকেও একটু শেয়ার-টেয়ার করা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে জড়ো হওয়া — অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিনকর্মী হিসেবে আমাদের অপেশাদার বিপণনের দৌড় এই পর্যন্তই। (অবশ্য কেউ কেউ নিশ্চয়ই আরো গুছিয়েই করেন কাজটা।) বগুড়ার বা রাজশাহীর বা বরিশালের বা নোয়াখালির পাঠক-পাঠিকাদের হাতের নাগালে আমাদের প্রকাশনাগুলি পৌঁছে দিতে পারলেই কি ভালো হয় না? দেশের ৬৪ জেলায় না হোক, অন্তত বেশ কিছু জেলা শহরেই নিশ্চয়ই এমন একাধিক  সুপরিচিত বইবিপণি আছে যেখান থেকে বই বা লিটল ম্যাগাজিন সচরাচর বিক্রি হয়, এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও যাঁরা আন্তরিক। মাত্র ৫ জন আগ্রহী পাঠকও কি নেই বাংলাদেশের এক-একটি জেলায়? তাঁদের কাছে পৌঁছানোর কথা আমরা ভাবছি কি? প্রতি জেলায় গড়ে যদি ৫ কপি করেও বিক্রি হয়, ৩২০ কপি বই বিক্রি হতে ৩ বছরের বদলে বড়োজোর ৩ সপ্তাহ, মানসাঙ্কের হিসাবে এমনকী ৩ মিনিট লাগার কথা! পাঠকের কাছে পৌঁছানো না গেলে ‘লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলন’, ‘মুদ্রণশিল্পের বিপ্লব’ ইত্যাদি গালভরা কথারও তো কোনো মানে থাকে না। নিজস্ব বিপণন-ব্যবস্থা আর বিজ্ঞাপনের জোরে কেবল  বড়ো প্রকাশকরাই তাহলে টিকে থাকবে? আমাদেরও কি কিছুই করণীয় নেই? জনপ্রিয় লেখকদের বই বাদ দিলে অধিকাংশ বইয়েরই মুদ্রণ সংখ্যা কমতে কমতে এখন ৩০০-তে এসে দাঁড়িয়েছে। বই বিক্রি হয় না বলে কম ছাপা হয়, আর কম ছাপা হলে বইপিছু খরচ বেড়ে যাওয়ায় বইয়ের দামও যায় বেড়ে। এই দুষ্টচক্রেই আমরা ঘুরপাক খেয়ে মরব? সেজন্যই প্রত্যেক জেলার চিহ্নিত বইবিপণিগুলোর একটা তালিকার দরকার এখন। আর সে-তালিকা ধরে সমন্বিত উদ্যোগে বিকল্প বিপণনের একটা দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাও সম্ভব। লেখক-পাঠক-প্রকাশক সবারই এই ‘সামাজিক নেটওয়ার্ক’ কাজে লাগবে।

|| বছর ও মাস || যতদূর মনে হয়, গোড়াতে ছিল কেবল দশটি মাস, যেগুলোকে আমরা মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখি এখন; জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি যুক্ত হয়েছিল পরে। কেমন করে সেই দশ মাসের পদ্ধতি চালু হয়েছিল সেটা ঠিক করে বলা মুশকিল, কিন্তু এটা একেবারেই নিশ্চিত যে [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর বছর ও মাস সময় পরিমাপের এক নিজস্ব উপায় ছিল রোমকদের যা আজও কৌতূহলের উদ্রেক করে, তার কারণ আজও প্রধানত আমরা তাদের পদ্ধতিই, তাদের দেয়া মাসের নামই ব্যবহার করি। রোমে যখন রাজতন্ত্র চলছিল সেই তখনই প্রাচীনতম রোমক ক্যালেন্ডারটি প্রচলিত ছিল, এবং সম্ভবত এই ক্ষেত্রে তারা অনুপ্রেরণাটি পেয়েছিল এট্রুস্কানদের কাছ থেকে। যতদূর মনে হয়, গোড়াতে ছিল কেবল দশটি মাস, যেগুলোকে আমরা মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখি এখন; জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি যুক্ত হয়েছিল পরে। কেমন করে সেই দশ মাসের পদ্ধতি চালু হয়েছিল সেটা ঠিক করে বলা মুশকিল, কিন্তু এটা পুরোপুরি নিশ্চিত যে আদি রোমক বছর শুরু হতো পয়লা মার্চ থেকে; ব্যাপারটা সেই চারটে মাসের নাম থেকেই বুঝে নেয়া যায় যে-মাসগুলোকে লাতিনে বলা হতো ‘mensis September’, ‘mensis October’, ‘mensis November’, ‘mensis December’। ‘Mensis’ মানে ‘মাস’, আর নামগুলোর অন্যান্য অংশ এসেছে, স্পষ্টতই, এই সংখ্যাগুলো থেকে: ‘septem’ (সাত), ‘octo’ (আট), ‘novem’ (নয়) আর ‘decem’ (দশ)। সংখ্যা থেকে যেসব নাম আসেনি সেগুলো এসেছে, প্রায়ই, রোমক ধর্ম থেকে। এখানে একটা অবাক করা বিষয় হলো, মাসের নামগুলো হচ্ছে বিশেষণ, আর সেগুলো জুড়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ্য ‘mensis’-এর সঙ্গে। ‘Mensis Martius’ মানে অনেকটা ‘মার্সীয় মাস’ (Martian Month)। ‘Martius’ হলো যুদ্ধ দেবতা ‘Mars’-এর বিশেষণ। একইভাবে, ‘mensis Maius’ হলো দেবী ‘Maia’-র মাস, আর ‘mensis Ianuarius’ দেবতা ‘জানুস’ (Janus)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত মাস। এই দেবতাকে সাধারণত দুটি মুখবিশিষ্ট করে আঁকা বা দেখানো হয়, একটি মুখ সামনের দিকে, অন্যটি মাথার পেছনে। এই দেবতার কাজ শুরু আর শেষ নিয়ে। এবং আমরা ধরে নিতে পারি যে ‘Ianuarius’ মাস-নামটা নতুন বছরের শুরু বোঝাতেই রাখা হয়েছিল। এখানে লক্ষণীয় যে, আমরা আরো ভেবে নিতে পারি যে, জানুসের দ্বিতীয় মুখটা, যেটা মাথার পেছনে রয়েছে, সেটা তাকিয়ে আছে বিগত বছরের দিকে, অর্থাৎ যা ফেলে আসা হয়েছে, যা শেষ করে দেয়া হয়েছে তার দিকে। সেদিক থেকে, বছরের পয়লা মাসের নাম এর চাইতে ভালো আর কোনোটি হতো পারতো না। দুটো মাসের নাম সিনেটের দেয়া। যে-মাসের আদি নাম ছিল  ‘Quintilis’ (quintus, ‘পঞ্চম’…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.