নাই দেখে খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে।
থাকলে কোথায় পেতে।[...]
থাকলে কোথায় পেতে।[...]
নাই দেখে খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে।
২৮ জুলাই ২০০৮; সাধারণ একটি দিন। ওইদিন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল রাজাকার-আলবদর-আলশামসসহ সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে। সেই মানববন্ধনে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী আমান, যিনি সম্প্রতি নিগৃহীত হন মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার জামাতিদের সমাবেশে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে। আরও ছিলেন ড. আনোয়ার হোসেন, যাকে ১১ জানুয়ারিতে ক্ষমতাদখলকারী সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নই’ বলে আশ্বস্ত করে নির্যাতনের নিকৃষ্টতম স্থান ব্ল্যাকহোলে নিয়ে গিয়েছিল। (more…)
সন্দেহ নেই, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়, তাঁর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের শ্লোগান হলো ‘আলোকিত মানুষ চাই’। কিন্তু এই শ্লোগানটিকে এখন একটু বদলে নিতে হবে, বলতে হবে ‘আলোকিত খুনী চাই’, কারণ তার দেয়া বক্তব্য [..]
গ্যাটকো মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী হওয়ার পরও তাকে দেখা গেছে বাংলাদেশ থেকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যুহ পেরিয়ে বিমানে চড়ে তুরস্কে উড়ে যেতে। সাবেক খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দলের লোকজন দেখা করতে পারেন না, কিন্তু তার সঙ্গে সাবজেলে আরাম করে বসে তিনঘন্টা ধরে দেনদরবার করেছেন ক্ষমতাধর সেই ব্যক্তি। তারপর তারেক রহমান যখন জেল থেকে বের হয়ে হাসপাতালে গেলেন, তখন দলের নেতাকর্মীরা তার মুখটা শুধুমাত্র একবার দেখার জন্যে একজন আরেকজনের সঙ্গে ঠেলাঠেলি শুরু করেও কোনও কূল পায়নি, কিন্তু এই ব্যক্তি ধীরেসুস্থে হাঁটতে হাঁটতে তার কেবিনে গিয়ে ঢুকেছেন এবং টানা একঘন্টা দরবার করেছেন। এরকম একজন বিশেষ লোককে পুলিশের মতো সাধারণ বাহিনীর সদস্যদের খুঁজে না পাওয়ারই কথা। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতে ১২ অক্টোবর ঠিকই বলেছে পুলিশ; বলেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও ঠিক ওইদিনই তিনি উচ্চকণ্ঠে ভাষণ দিয়েছেন চারদলের এক সভাতে। তবে ব্যাপার হলো কী জানেন, বক্তৃতা শোনা এক কথা, চেহারা দেখা এক কথা, সামনাসামনি পড়ে যাওয়া এক কথা আর খুঁজে পাওয়া হলো একেবারেই আরেক কথা। এত কিছু ঘটার পরও তার ক্ষমতার পরিধি নিয়ে বোধকরি কারও কারও সংশয় ও সন্দেহ ছিল। তাই তিনি মহাসমারোহে একদিন পর ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে এলেন। তার যাত্রাপথে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। এমনকি বের হয়ে আসার পরও কোনও বাধা পাননি তিনি। বরং এই ব্যক্তি যাতে বিব্রত না হন, এই ব্যক্তিকে যাতে বিব্রত করা না হয় সেজন্যে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েই বাণিজ্য উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান ঘোষণা দেন, একটির বেশি প্রশ্ন করা যাবে না। আর মতিউর রহমান নিজামী বলেন, আমাদের নামাজ পড়তে হবে। নিজামীর একপাশে বসেছিলেন ক্ষমতাধর সেই সুসন্তান, আরেকপাশে বসেছিলেন বাংলাদেশের আরেক সুসন্তান হোসেন জিল্লুর রহমান, যার ওপর এখন ড. কামাল হোসেন কেন জানি খাপ্পা ভীষণ। কিন্তু কে জানত, আলোচনার সংক্ষিপ্তসার বলার সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ওই একটি প্রশ্নই হবে ক্ষমতাধর ওই সুসন্তানটিকে নিয়ে! কে জানতো, বেরসিক সাংবাদিকরা প্রথম চোটেই জানতে চাইবে, পুলিশ যাকে খুঁজে পায় না, তার সঙ্গে আপনাদের বৈঠক হয় কেমন করে! প্রশ্ন শুনে বাক্যবাগীশ হোসেন জিল্লুর রহমানও অসহায়ের মতো মাইক ঠেলে দিয়েছিলেন নিজামীর দিকে আর নিজামী আবার সেটি ঠেলে দিয়েছিলেন সেই লোকটির দিকে।…
প্রেসিডেন্ট বুশ জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছেন তা মার্কিনি জনগণের মনে মোটেই রেখাপাত করতে পারেনি। তার কারণ একটিই। আট বছরের শাসনামলে বুশ গণ উন্নয়নের কোনো স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। যা বলেছেন সবই ফাঁকা বুলি। ছিল মিথ্যাশ্রিত নানা ফন্দিফিকিরও। তাই মার্কিনিরা খুবই ক্ষিপ্ত। বুশের বিদায় নিতে মাত্র ক'মাস বাকি। তাই তার কোনো দম্ভোক্তিই মানুষ আর শুনতে চাইছে না। বুশের এবারের জাতিসংঘ ভাষণকে রুটিন ওয়ার্ক বলেই বিবেচনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা। (more…)
১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব / এর পর থেকে . . . এই পোস্টে আজ দেওয়া হলো চতুর্থ এবং শেষ পর্ব। এই পর্বগুলির সাথে বিজ্ঞ পাঠকের পর্যবেক্ষণ, অর্থাৎ যার কাছে এ ধরণের অত্যাচারের বিবরণ বা মনে থাকা ঘটনা আছে তাঁরা সেগুলি দিলে একটা পূর্ণাঙ্গ লেখা দাঁড় করানো যাবে। একেবারে নিখুঁত সন-তারিখ মিলতেই হবে এমন নয়। সম্ভাব্য মাস এবং বছর উল্লেখ করলেই হবে। আশা করি আপনাদের স্মৃতিতে বা রেকর্ডে ছোট ছোট কৃষক নিপীড়ন বা অত্যাচারের যে টুকু বর্ণনা বা ইতিহাস আছে সেটা এই লেখাটা পূর্ণাঙ্গ করতে সাহায্য করবে। (more…)