পাঠক সুপারিশকৃত এ সপ্তাহের লিংকপ্যালেস্টাইন ও গাজা: এ বিষয়ে একটি কাজের লিংক এখানে দেখুন। [...]

পাঠক সুপারিশকৃত এ সপ্তাহের লিংক প্যালেস্টাইন ও গাজা : এ বিষয়ে একটি কাজের লিংক এখানে দেখুন। ওবামা প্রশাসন : ওপেন ডেমোক্রেসি-র নানা দেশীয় লেখকদের আশা, আশঙ্কা ও পরামর্শ। এখানে দেখুন।

গাজায় ইসরাইলিদের শিশুহত্যা ২০০৯ একজন শিশু যখন তাকিয়ে তাকিয়ে আরেকটি শিশুর মৃতদেহ দেখতে থাকে, মৃত শিশুর চোখেমুখে বিপণ্ন বিস্ময় নিয়ে বেঁচে থাকার সামান্যতম চিহ্ন খুঁজতে থাকে এবং একইসঙ্গে নিজেও অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর জন্যে, তখন এই পৃথিবীর জীবিত পরিণত মানুষ হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কতটুকু অবশিষ্ট থাকে? [...]

একজন শিশু যখন তাকিয়ে তাকিয়ে আরেকটি শিশুর মৃতদেহ দেখতে থাকে, মৃত শিশুর চোখেমুখে বিপণ্ন বিস্ময় নিয়ে বেঁচে থাকার সামান্যতম চিহ্ন খুঁজতে থাকে এবং একইসঙ্গে নিজেও অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর জন্যে, তখন এই পৃথিবীর জীবিত পরিণত মানুষ হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কতটুকু অবশিষ্ট থাকে? জীবন মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ বটে, কিন্তু সেই জীবনের মূল্য কি এতই বেশি যে শিশুদের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সহ্য করেও আমাদের এই জীবনকে বয়ে বেড়াতে হবে? গত দুই সপ্তাহ ধরে কেবল প্যালেস্টাইনীরা নয়, পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিয়ে কেউ আক্ষরিকভাবে কেউ মানসিকভাবে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। প্যালেস্টাইনে এখন যুদ্ধ নয়,- চলছে গণহত্যা এবং এই একতরফা গণহত্যা পরিচালনা করছে ইসরাইল। গত ১৫ দিনে সেখানে ৮২০ জনকে হত্যা হয়েছে, যার মধ্যে তিনশ জনই শিশু আর শ'খানেক নারী। মৃত্যুকে সেখানে সহজলভ্য করে তোলা হয়েছে, বন্ধ সেখানে খাদ্যসরবরাহ। আহত মানুষ, তাদের রক্ত ও আর্তচিৎকারে ভরে উঠেছে হাসপাতালগুলো, কিন্তু চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। কেননা বছরের পর বছর ধরে ইসরাইল যেভাবে গাজাকে অবরোধ করে রেখেছে তাতে অনেক আগেই হাসপাতালগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে, সেখানে ওষুধের সরবরাহ ওষুধ নেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, ডাক্তাররা কোনওমতে টিকে আছেন জীবন বাজি রেখে, আবার কোনও কোনও হাসপাতালে ডাক্তারও নেই। জিম্বাবুয়েতে যদি এরকম ঘটনা ঘটত, তা হলে ব্রিটেনসহ পশ্চিমা সব মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ত, আলোচনার ঝড় উঠত, বিরাট এক মানবিক সংকটকে ঠেকানোর জন্যে তৎপর হয়ে উঠতেন কথিত সভ্য বিবেকমান মানুষেরা। জিম্বাবুয়ের পরিস্থিতিকে আমরা খাটো করে দেখছি না; তারপরও বলতে হয়, প্যালেস্টাইন জিম্বাবুয়ে নয়, তাই ব্রিটেনের নীতিনির্ধারকদের তত মাথাব্যথা নেই। হ্যাঁ, কিছুটা মাথাব্যথা আছে বটে। আর আছে বলেই গত ১০ জানুয়ারি যখন ব্রিটেনের হাইড পার্কে সমবেত হয়েছিলেন প্রতিবাদীরা, প্যালেস্টাইনি পতাকার সমুদ্র হয়ে উঠেছিল স্পিকার্স কর্নার তখন সেই প্রতিবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করেছিলেন ব্রিটেনের সরকার। প্রতিবাদকারীদের মিছিল যখন কেনসিংটন গার্ডেনের দিকে রওনা হয়েছিল, তখন তা যাতে ইসরাইলি দূতাবাসের ধারে কাছে যেতে না পারে, সেজন্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তাই প্রতিবাদকারীরাও বাধ্য হয়ে হাতে তুলে নিয়েছিল মুনতাজারের জুতা, সংঘাত শুরু হয়েছিল পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে এ ঘটনায়, কিন্তু একজন কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গ্রেফতারের সংখ্যা ৪০-এ গিয়ে…

ফিলিস্তিন জাতিকে ধ্বংস করতে বদ্ধ পরিকর ইসরাইল এবার আঘাত হেনেছে গাজা উপত্যকায়। স্ব-দেশে পরবাসীতে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনী জনগণ অসহায়ের মত গত সাতদিনের টানা ইসরাইলি হামলায় তাদের শত শত স্বদেশীর মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছে। গত কয়েকদিনের হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫১২ জন ফিলিস্তিনি যাদের অধিকাংশই বেসামরিক জনগণ বলে জানা গেছে। বাড়ি-ঘর, হাসপাতাল, ব্যাংক, সরকারি অফিস, স্কুল, রাস্তাঘাট ইত্যাদি কিছুই বাদ যায়নি ইসরাইলি হামলা থেকে। রক্ত লোলুপ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ইতোমধ্যে স্থলপথে আক্রমণ শুরু করেছে। কার্যত গাজা শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলিরা। শত শত শিশু ও নারী প্রতিদিন হতাহত হচ্ছে। হাসপাতাল ভরে উঠছে আহতদের আহাজারিতে। গাজার হাসপাতালগুলোতে ওষুধ নেই, নেই ব্যান্ডিজসহ পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সরঞ্জাম। গত কয়েক মাস ধরে গাজায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। চাকরি বা জীবিকার জন্যও শহরের বাইরে বের হবার অধিকার নেই ফিলিস্তিনিদের। পশ্চিম তীর থেকে বিচ্ছিন্ন এই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অধিকাংশ মানুষ ইসরাইল রাষ্ট্রের গোড়া পত্তনের পর উচ্ছেদ হয়ে পরিণত হয়েছেন উদ্বাস্তুতে। গাজা শহরের লক্ষাধিক লোক শরণার্থী শিবিরে বসবাস করে। ইসরাইল রাষ্ট্র এদেরই বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তথাকথিত হামাস দমনের নামে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বিশ্বের সবচেয়ে অসম ও সবচেয়ে নৃশংস এই যুদ্ধ। এ হলো দানবের মিসাইলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পাথর হাতে শিশুর যুদ্ধ। ফিলিস্তিনি শিশুরা এই ভয়াবহ পরিবেশে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই লড়াইয়ের কী কোনো পরিণতি নেই! দক্ষিণ আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে কী ফিলিস্তিনিরা। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে ইসরাইল ইতিহাস ভুলে গেছে। নিজেদের উপর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় নাৎসি হলোকাস্টের স্মৃতি তো তাদের ভুলবার কথা নয়। গণহত্যার মাধ্যমে যে কোনও জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করা যায় না, আজকের শক্তিশালী ইসরাইল রাষ্ট্রই তো তার প্রমাণ। সুতরাং ইতিহাস বলে ফিলিস্তিনিরা এমন মৃত্যুর প্রত্যাঘাত দেবেই। এ মৃত্যুর প্রতিধ্বনি শোনা যাবে গোটা মধ্যপ্রাচ্য এমন কী পৃথিবীব্যাপী। এখন যেটা প্রথমত প্রয়োজন তা হলো শান্তি, কেবলমাত্র শান্তি। ইসরাইলি ট্যাংক ও মিসাইলবাহী বিমান যে উদ্দেশ্য নিয়ে গাজায় ঢুকেছে সে উদ্দেশ্য সাধিত হবে না। গাজার শিশুরা, যুবকেরা রাতারাতি ভুলে যাবে না নিজেদের হারানো ভিটে-মাটির কথা। এই যুদ্ধ তাদের ক্রোধের আগুনকে বরং বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবী…

(পূর্ব প্রকাশিতের পর. . .) আজকের পথ গত দু'দিনের পথের চেয়েও খানিকটা দীর্ঘ এবং সময়ও লাগলো বেশি। মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম। সকালের খাবারটাও একটু ভারী হলো। আগের দিনের রাস্তার মতোই পরিবেশ। তবে নদীটা পার হবার পর থেকে বেশ চড়াই শুরু হলো। আর প্রথম চড়াইটা বেশ বড়। ওঠার গতি মন্থর সবার। শেষ মাথার কাছাকাছি এসে দেখতে পেলাম আমাদের ঘোড়ার বহর হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে ব্রিজের দিকে। চারদিকে সবুজ রঙের ছড়াছড়ি, ঈষৎ ধূসর রঙের নদী, মেটে ট্রেইলের উপর বহরটা দেখতে সারিবাঁধা পিঁপড়ের দলের মতোই মনে হবে। পিছন থেকে এগিয়ে যাওয়ার গুঁতো খেয়ে সংবিৎ ফিরল। সময় কম [...]

প্রথম পর্ব / দ্বিতীয় পর্ব / তৃতীয় পর্ব -------------------- (পূর্ব প্রকাশিতের পর. . .) ঠাকুরকুয়া : ৩৫৩৫ মিটার আজকের পথ গত দু'দিনের পথের চেয়েও খানিকটা দীর্ঘ এবং সময়ও লাগলো বেশি। মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম। সকালের খাবারটাও একটু ভারী হলো। আগের দিনের রাস্তার মতোই পরিবেশ। তবে নদীটা পার হবার পর থেকে বেশ চড়াই শুরু হলো। আর প্রথম চড়াইটা বেশ বড়। ওঠার গতি মন্থর সবার। শেষ মাথার কাছাকাছি এসে দেখতে পেলাম আমাদের ঘোড়ার বহর হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে ব্রিজের দিকে। চারদিকে সবুজ রঙের ছড়াছড়ি, ঈষৎ ধূসর রঙের নদী, মেটে ট্রেইলের উপর বহরটা দেখতে সারিবাঁধা পিঁপড়ের দলের মতোই মনে হবে। পিছন থেকে এগিয়ে যাওয়ার গুঁতো খেয়ে সংবিৎ ফিরল। সময় কম। রওনা হয়েছিলাম আটটার দিকে। এখানে দুপুর গড়াবার আগেই সন্ধ্যা নামে এবং শুরু হয়ে যায় ঝড়-বৃষ্টি। সে আশঙ্কা মাথায় রেখে প্রত্যেকেই নিজের সর্বোচ্চ গতিতে এগিয়ে চলেছে। চড়াইটা ধরে উঠে এলে দারুণ একটা সমতল ভূমি। পুরোটাই ঘাসে ঢাকা। গাছের উচ্চতা কমে যেতে শুরু করেছে; কেননা আমরা প্রায় তিন হাজার মিটার বা ১২ হাজার ফুট উচ্চতা অতিক্রম করতে চলেছি। জুনিপারের ঘন ঝোপ আর পাথরের পাতার মতো শক্ত ঘাস। গাছগুলোকে যখন ছাড়িয়ে এলাম তার খানিক বাদেই আবহাওয়ার পরিবর্তনটা প্রকাশ পেল। বুঝতে পারলাম আমরা ট্রি লাইন অতিক্রম করেছি। পায়ের তলায় মাটি শক্ত হতে হতে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রথমে মোরেইন এলাকায় প্রবেশ করলাম। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পথের মধ্য দিয়ে কখনো একা আবার কখনো দলের সাথে এগিয়ে যেতে থাকলাম। এই জায়গাটা আমাকে নেপালে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যাওয়ার পথে লেবুচের পরের এমনই এক সমতল বিশাল ভূখণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুপুরের কড়া রোদে অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এ পথে খুব বেশি চড়াই ছিল না। তবে আজকের রোদের ঝাঁঝটা একটু বেশি। সাড়ে দশটার দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম। ক্যাম্প স্পট খানিকটা নীচের দিকে। উপর থেকে পার্বত্য নদীপাড়ের সবুজ ঘাসে মোড়া অদ্ভুত সুন্দর একটা মালভূমি। মাঝে মাঝে ছোপ ছোপ হয়ে ফুটে আছে ফুল। কতকগুলো হলুদ, কতকগুলো বেগুনি। মাদার ইন ম্যানভিল-এ পড়া রডোডেনড্রনের বাহার দেখলাম। কতই-না শোনা এই ফুলের নাম। আবেশে জড়িয়ে রেখেছে সারা পথ। এগিয়ে যেতে যেতে মন-ভোলানো রূপে কাছে টানে গাছের ছায়া, ক্লান্ত শরীর যেন…

পরীক্ষামূলক পোস্ট১

স্বাগতম।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.