প্রথম পর্ব / দ্বিতীয় পর্ব / তৃতীয় পর্ব -------------------- (পূর্ব প্রকাশিতের পর. . .) ঠাকুরকুয়া : ৩৫৩৫ মিটার আজকের পথ গত দু'দিনের পথের চেয়েও খানিকটা দীর্ঘ এবং সময়ও লাগলো বেশি। মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম। সকালের খাবারটাও একটু ভারী হলো। আগের দিনের রাস্তার মতোই পরিবেশ। তবে নদীটা পার হবার পর থেকে বেশ চড়াই শুরু হলো। আর প্রথম চড়াইটা বেশ বড়। ওঠার গতি মন্থর সবার। শেষ মাথার কাছাকাছি এসে দেখতে পেলাম আমাদের ঘোড়ার বহর হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে ব্রিজের দিকে। চারদিকে সবুজ রঙের ছড়াছড়ি, ঈষৎ ধূসর রঙের নদী, মেটে ট্রেইলের উপর বহরটা দেখতে সারিবাঁধা পিঁপড়ের দলের মতোই মনে হবে। পিছন থেকে এগিয়ে যাওয়ার গুঁতো খেয়ে সংবিৎ ফিরল। সময় কম। রওনা হয়েছিলাম আটটার দিকে। এখানে দুপুর গড়াবার আগেই সন্ধ্যা নামে এবং শুরু হয়ে যায় ঝড়-বৃষ্টি। সে আশঙ্কা মাথায় রেখে প্রত্যেকেই নিজের সর্বোচ্চ গতিতে এগিয়ে চলেছে। চড়াইটা ধরে উঠে এলে দারুণ একটা সমতল ভূমি। পুরোটাই ঘাসে ঢাকা। গাছের উচ্চতা কমে যেতে শুরু করেছে; কেননা আমরা প্রায় তিন হাজার মিটার বা ১২ হাজার ফুট উচ্চতা অতিক্রম করতে চলেছি। জুনিপারের ঘন ঝোপ আর পাথরের পাতার মতো শক্ত ঘাস। গাছগুলোকে যখন ছাড়িয়ে এলাম তার খানিক বাদেই আবহাওয়ার পরিবর্তনটা প্রকাশ পেল। বুঝতে পারলাম আমরা ট্রি লাইন অতিক্রম করেছি। পায়ের তলায় মাটি শক্ত হতে হতে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রথমে মোরেইন এলাকায় প্রবেশ করলাম। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পথের মধ্য দিয়ে কখনো একা আবার কখনো দলের সাথে এগিয়ে যেতে থাকলাম। এই জায়গাটা আমাকে নেপালে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যাওয়ার পথে লেবুচের পরের এমনই এক সমতল বিশাল ভূখণ্ডের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুপুরের কড়া রোদে অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এ পথে খুব বেশি চড়াই ছিল না। তবে আজকের রোদের ঝাঁঝটা একটু বেশি। সাড়ে দশটার দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম। ক্যাম্প স্পট খানিকটা নীচের দিকে। উপর থেকে পার্বত্য নদীপাড়ের সবুজ ঘাসে মোড়া অদ্ভুত সুন্দর একটা মালভূমি। মাঝে মাঝে ছোপ ছোপ হয়ে ফুটে আছে ফুল। কতকগুলো হলুদ, কতকগুলো বেগুনি। মাদার ইন ম্যানভিল-এ পড়া রডোডেনড্রনের বাহার দেখলাম। কতই-না শোনা এই ফুলের নাম। আবেশে জড়িয়ে রেখেছে সারা পথ। এগিয়ে যেতে যেতে মন-ভোলানো রূপে কাছে টানে গাছের ছায়া, ক্লান্ত শরীর যেন…
(পূর্ব প্রকাশিতের পর. . .) আজকের পথ গত দু'দিনের পথের চেয়েও খানিকটা দীর্ঘ এবং সময়ও লাগলো বেশি। মানসিকভাবে নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম। সকালের খাবারটাও একটু ভারী হলো। আগের দিনের রাস্তার মতোই পরিবেশ। তবে নদীটা পার হবার পর থেকে বেশ চড়াই শুরু হলো। আর প্রথম চড়াইটা বেশ বড়। ওঠার গতি মন্থর সবার। শেষ মাথার কাছাকাছি এসে দেখতে পেলাম আমাদের ঘোড়ার বহর হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে ব্রিজের দিকে। চারদিকে সবুজ রঙের ছড়াছড়ি, ঈষৎ ধূসর রঙের নদী, মেটে ট্রেইলের উপর বহরটা দেখতে সারিবাঁধা পিঁপড়ের দলের মতোই মনে হবে। পিছন থেকে এগিয়ে যাওয়ার গুঁতো খেয়ে সংবিৎ ফিরল। সময় কম [...]