হঠাৎ করেই ইসলামের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র (!!!) হয়ে উদয় হওয়া তথাকথিত ইসলামিক স্কলার ভারতীয় নাগরিক ডা.জাকির নায়েক নাকি আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন[..]

সচলায়তনের একটা পোস্ট থেকে জানলাম যে, জাকির নায়েক ১২ দিনের এক সফরে বাংলাদেশ আসছেন আগামী ৩০ নভেম্বর। হঠাৎ করেই ইসলামের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র (!!!) হয়ে উদয় হওয়া তথাকথিত ইসলামিক স্কলার ভারতীয় নাগরিক ডা.জাকির নায়েক নাকি আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। নিজের মালিকানাধীন পিস টিভির কল্যাণে সারা বিশ্বে নিজেকে পরিচিত করে তোলা এই লোক একজন চিকিৎসক হলেও পেশায় তিনি একজন ধর্মজীবি। ধর্ম বেচে খান। এতদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ালেও এই প্রথম তাঁর মনে পড়েছে বাড়ির পাশে মুসলিম দেশ বাংলাদেশের কথা। আমার মতে, বাংলাদেশ সফরের জন্য এ সময়টা বেছে নেয়ার পিছনে জাকির নায়েকের বিশেষ উদ্দশ্য আছে। আমি জানি না, কার বা কাদের আমন্ত্রণে তিনি এদেশে আসছেন নাকি তার নিজের প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর নিজস্ব উদ্যোগেই এখানে আসছেন। যে ভাবে আসুন না কেন, তিনি যে এদেশে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিরোধী প্রচারণাটা আরেকটু উস্কে দেয়া এবং ধর্মভীরু সরল মানুষদের তার মিথ্যা কথার চাটুকারী ফাদে ফেলে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই করবেন না, তা স্পষ্ট। জাকির নায়েক ইসলাম সম্পর্কে অত্যন্ত কনফিডেন্টলি ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা বলে যান একেবারে রেফারেন্স সহ। আর আমরা আমজনতা তা দেখে ভাবি, আহা! মানুষটা কত জ্ঞানী। একেবারে ইসলামের ত্রাণকর্তা! কিন্তু তার দেয়া রেফারেন্স গুলো নিয়ে একটু স্টাডি করলেই বুঝবেন, অধিকাংশই ভুল। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত জনতাকে বোকা বানানোর জন্য তিনি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এসব রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। এ সংক্রান্ত অজস্র প্রমাণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে। আগ্রহীরা একটা সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ভিডিও সহ এসব প্রমাণ। বিশ্বে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো, সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেয়া সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত জাকির নায়েক। ব্রিটেন এবং কানাডা ইতিমধ্যেই তাদের দেশে জাকির নায়েকের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমেরিকার ইসলামিক শরীয়ত বোর্ড তার বিরুদ্ধে ২০ টিরও বেশি ফতোয়া দিয়েছে। ভারতের দেওবন্ধ থেকেও তার বিরুদ্ধে শত শত ফতোয়া দেয়া হয়েছে। ভারতের মওলানা ইরফান তাকে কাফের বলে রায় দিয়েছেন। অথচ কোন ধরনের শিক্ষাগত ইসলামিক জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও উল্টো জাকির নায়েক নিজেই সারা বিশ্বে নানা রকম মনগড়া ইসলামিক ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপেক্ষায় আছি, দেখি এই ভন্ড বাংলাদেশে এসে কি কি ফতোয়া দিয়ে যায়!!!

bangladesh-water-crisis ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, মানব সভ্যতার বড় বড় চ্যালেঞ্জের সঙ্গে জড়িত ছিল পানি৷ প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে এটি অনন্য৷ পরিবেশ সংরক্ষণ, জীবিকার উন্নয়ন, সর্বোপরি জীবনের প্রয়োজনে পানির প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়৷ এতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ পানিই মানুষের বিপদ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে৷ বিশেষ করে একুশ শতকের প্রথম পর্যায়ে এসে বিশ্বব্যাপী পানি সমস্যার কারণে হুমকিতে রয়েছে মানব উন্নয়নের ভবিষ্যৎ৷ দারিদ্র্য, অশিক্ষা এবং শক্তি ও সম্পদ বণ্টনে অসাম্যই এ সমস্যার মূল কারণ৷ পানিকে সব ধরনের রাহুমুক্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী এখনই চাই সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস [...]

ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, মানব সভ্যতার বড় বড় চ্যালেঞ্জের সঙ্গে জড়িত ছিল পানি৷ প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে এটি অনন্য৷ পরিবেশ সংরক্ষণ, জীবিকার উন্নয়ন, সর্বোপরি জীবনের প্রয়োজনে পানির প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়৷ এতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ পানিই মানুষের বিপদ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে৷ বিশেষ করে একুশ শতকের প্রথম পর্যায়ে এসে বিশ্বব্যাপী পানি সমস্যার কারণে হুমকিতে রয়েছে মানব উন্নয়নের ভবিষ্যৎ৷ দারিদ্র্য, অশিক্ষা এবং শক্তি ও সম্পদ বণ্টনে অসাম্যই এ সমস্যার মূল কারণ৷ পানিকে সব ধরনের রাহুমুক্ত করার জন্য বিশ্বব্যাপী এখনই চাই সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস.... পানি চাই পানি পানির অপর নাম জীবন৷ বেচে থাকার জন্য দরকার পানি৷ কিন্তু এ পানি আবার মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাড়ায়৷ বিশুদ্ধ পানির অপর নাম যেমন জীবন তেমনি যথাযথ পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে পানিই হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ৷ এমনকি পারস্পরিক বৈরিতা থেকে ভয়াবহ যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যাওয়ার নজির রয়েছে পানিকে কেন্দ্র করে। বর্তমান বিশ্বে পানি সমস্যা এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, এ জন্য এখন আর একটি বা দুটি দেশ নয়, পুরো অঞ্চল অস্থির হয়ে উঠেছে৷ এশিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু করে, সাউথ এশিয়া, মিডল ইস্ট, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, লতিন আমেরিকা আজ পানি নিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি৷ আফৃকায় এ সমস্যাটি রীতিমত ভয়াবহ৷ সেখানে পানি যেন দুর্লভ৷ সেখানকার কোনো কোনো দেশে প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানিও জনগণকে কিনে পান করতে হচ্ছে। আর এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের মতো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়ানো আর্থিক সংগঠনগুলো৷ তাদের দেয়া শর্তসাপেক্ষ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে ঘানা সরকার এক সময় দেশের হতদরিদ্র মানুষের কাছে তাদের নিজস্ব উত্সের প্রাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের ওপরও ট্যাক্স বসিয়েছিল৷আবার, পানি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আন্তঃসীমান্ত সমস্যাও কম নয়৷ শুধু আফৃকা নয়, মিডল ইস্ট, এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের মধ্যে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা রয়েছে৷ পানির জন্য একেকটি দেশ নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে অন্য দেশকে ঠেকিয়ে রাখছে৷ পানির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ যেন খর্ব না হয় সে জন্য অনেক দেশ নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর করে তোলার দিকেও নজর দিয়েছে৷ অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হাজার হাজার সৈন্য সর্বক্ষণ পাহারা দিয়ে যাচ্ছে বিরোধপূর্ণ নদীর পানি৷ আবার অপেক্ষাকৃত কম শক্তির প্রতিবেশী দেশকে অভিন্ন…

russelarefinblog_1243860449_4-rail_lg অধিকাংশ ভারতীয়ই মনে করে, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা তাদের জন্য তিনটি জিনিস রেখে গেছে। আর তা হল- ইংরেজী ভাষা, সংসদ ও রেল-পথ। এর মধ্যে, রেল-পথ নির্মাণ হচ্ছে ভারতের জাতীয় অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক যুক্ত।এটিই ভারতের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সবচে্য়ে বড় মাধ্যম। ১৮৫৩ সালে এশিয়ার প্রথম ট্রেন মুম্বাই স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে [...]

অধিকাংশ ভারতীয়ই মনে করে, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা তাদের জন্য তিনটি জিনিস রেখে গেছে। আর তা হল- ইংরেজী ভাষা, সংসদ ও রেল-পথ। এর মধ্যে, রেল-পথ নির্মাণ হচ্ছে ভারতের জাতীয় অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক যুক্ত।এটিই ভারতের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সবচে্য়ে বড় মাধ্যম। ১৮৫৩ সালে এশিয়ার প্রথম ট্রেন মুম্বাই স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। পরের ১৪০ বছরে ভারত 'এশিয়ার রেল-পথ নেটওয়ার্কে প্রথম সারির দেশ' ও 'বিশ্বের রেল-পথের মধ্যে সবচে' বেশী দৈর্ঘ্যের দেশে পরিনত হয়েছে। চার দিকে ছড়িয়ে থাকা রেল নেটওয়ার্ক ভারতের শহর ও গ্রামকে যুক্ত করার পাশাপাশি, বিভিন্ন ভাষা, রীতিনীতি ও ধর্মের মানষের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরী করেছে।   ভারতের রেল-পথের উন্নয়নের ইতিহাস উপলব্ধি করতে চাইলে, সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কেন্দ্রে অবস্থিত রেল যাদুঘর। ভারত সরকার ১৯৭৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে এ যাদুঘরটি চালু করে। এ পর্যন্ত এশিয়ার রেল-পথের এটাই একমাত্র যাদুঘর। এতে একটি বৃহদাকার আভ্যন্তরীণ প্রদর্শনী ঘর, প্রাচীন ও পুরানো বগি আর রেল লাইনের বেলের পাতি এবং রেল লাইনের ওপর দক্ষিণ এশিয় উপমহাদেশের ট্রেন রয়েছে। এ সব কিছুই আগের ইতিহাসের কথা বলছে। নয়াদিল্লির রেল যাদুঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনটি হচ্ছে এখনও যাত্রীসেবা দিয়ে চলা বাষ্পচালিত 'কাসিওপেয়া' রেল ইনজিন। এটা হচ্ছে যাদুঘরের একমাত্র ট্রেন যেটি এখনও কাজে লাগছে। ১৮৫৫ সালে, কাসিওপেয়া বাষ্পচালিত রেল ইনজিন ব্রিটেন থেকে ভারতে আসে এবং পূর্ব ভারতের কোম্পানির রেল লাইনে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ১৯০৮ সালে, কাসিওপেয়া বাষ্পচালিত রেল ইনজিনকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিলো, পরে ১৯৯৭ সালে, এই ট্রেন আবারও যাত্রীসেবা শুরু করে যাদুঘরের ২০তম বার্ষিকীতে। সে দিন থেকেই প্রতি শনিবার ও রবিবার কাসিওপেয়া বাষ্পচালিত রেল ইনজিন দশ বারোটি বগিতে পর্যটকদের নিয়ে নয়াদিল্লী থেকে রাজস্থানে যায়। ফলে কাসিওপেয়া বাষ্পচালিত রেল ইনজিন বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ট্রেন হিসেবে খুব সহজেই গিনেস বুকে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এই যাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের রেল লাইন ও বাষ্পচালিত রেল ইনজিন রয়েছে এবং এ সবই হচ্ছে বর্তমানে ভারতের রেল পথ চালু হওয়ার সত্যিকারের ঐতিহাসিক প্রতিফলন। তবে এটাও ঠিক যে, প্রশাসন ও সরঞ্জামাদির অভাবের কারণে ভারতে রেল দুর্ঘটনা কোন ভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।কিন্ত ভারতের রেল পথের দেড়শ' বছরের ইতিহাস এখনও সেদেশের মানুষের…

আজ আমার ২৩ তম জন্মদিন। কিন্তু বাইরে আকাশের অবস্হা এত খারাপ যে সারাটা দিন কিছুই করতেও পারলাম না, কোথাও যেতেও পারলাম না। বলুন তো কেমন লাগে ? (more…)

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.