সচলায়তনের একটা পোস্ট থেকে জানলাম যে, জাকির নায়েক ১২ দিনের এক সফরে বাংলাদেশ আসছেন আগামী ৩০ নভেম্বর।
হঠাৎ করেই ইসলামের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র (!!!) হয়ে উদয় হওয়া তথাকথিত ইসলামিক স্কলার ভারতীয় নাগরিক ডা.জাকির নায়েক নাকি আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। নিজের মালিকানাধীন পিস টিভির কল্যাণে সারা বিশ্বে নিজেকে পরিচিত করে তোলা এই লোক একজন চিকিৎসক হলেও পেশায় তিনি একজন ধর্মজীবি। ধর্ম বেচে খান।
এতদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়ালেও এই প্রথম তাঁর মনে পড়েছে বাড়ির পাশে মুসলিম দেশ বাংলাদেশের কথা। আমার মতে, বাংলাদেশ সফরের জন্য এ সময়টা বেছে নেয়ার পিছনে জাকির নায়েকের বিশেষ উদ্দশ্য আছে। আমি জানি না, কার বা কাদের আমন্ত্রণে তিনি এদেশে আসছেন নাকি তার নিজের প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর নিজস্ব উদ্যোগেই এখানে আসছেন। যে ভাবে আসুন না কেন, তিনি যে এদেশে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিরোধী প্রচারণাটা আরেকটু উস্কে দেয়া এবং ধর্মভীরু সরল মানুষদের তার মিথ্যা কথার চাটুকারী ফাদে ফেলে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই করবেন না, তা স্পষ্ট।
জাকির নায়েক ইসলাম সম্পর্কে অত্যন্ত কনফিডেন্টলি ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা বলে যান একেবারে রেফারেন্স সহ। আর আমরা আমজনতা তা দেখে ভাবি, আহা! মানুষটা কত জ্ঞানী। একেবারে ইসলামের ত্রাণকর্তা!
কিন্তু তার দেয়া রেফারেন্স গুলো নিয়ে একটু স্টাডি করলেই বুঝবেন, অধিকাংশই ভুল। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত জনতাকে বোকা বানানোর জন্য তিনি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এসব রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। এ সংক্রান্ত অজস্র প্রমাণ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে। আগ্রহীরা একটা সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ভিডিও সহ এসব প্রমাণ।
বিশ্বে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো, সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেয়া সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত জাকির নায়েক। ব্রিটেন এবং কানাডা ইতিমধ্যেই তাদের দেশে জাকির নায়েকের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমেরিকার ইসলামিক শরীয়ত বোর্ড তার বিরুদ্ধে ২০ টিরও বেশি ফতোয়া দিয়েছে। ভারতের দেওবন্ধ থেকেও তার বিরুদ্ধে শত শত ফতোয়া দেয়া হয়েছে। ভারতের মওলানা ইরফান তাকে কাফের বলে রায় দিয়েছেন।
অথচ কোন ধরনের শিক্ষাগত ইসলামিক জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও উল্টো জাকির নায়েক নিজেই সারা বিশ্বে নানা রকম মনগড়া ইসলামিক ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
অপেক্ষায় আছি, দেখি এই ভন্ড বাংলাদেশে এসে কি কি ফতোয়া দিয়ে যায়!!!
৩১ comments
Sabbir Khan - ১০ অক্টোবর ২০১০ (৯:৫৭ অপরাহ্ণ)
Dear author,
Do you have any idea about what this guy would do in Bangladesh? What programs he has and who are the organizers? If possible please mail me. It is important to block his propaganda against the war crime tribunal in Bangladesh. Please help us. Thanks
Sabbir Khan
রাসেল আরেফিন - ১২ অক্টোবর ২০১০ (৬:১৩ অপরাহ্ণ)
Dear Mr.Khan,
As reviewing the past activities of Zakir Nayek, I and many people like me can naturaly suspect that, the upcomming tour of him most probably belong to the recent activities of such people who are trying to help the war criminals. One strong logic is that, the timing of his tour is most sensetive. We all know that, a good number of foriegn lobby is so active to dismiss the war crime trial.
Like you I am also waiting to know about his work schedule in Bangladesh and who are organizing this event.
Thanks.
নুর নবী দুলাল - ১১ অক্টোবর ২০১০ (১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ)
যে মহুর্তে সরকার দেশে জাতির এক কলংকজনক অধ্যায় অর্থ্যাৎ, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে চুড়ান্ত পর্যায়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মহুর্তে ডাঃ জাকির নায়েকের মত বিতর্কিত একজন ধর্মজীবির বাংলাদেশ সফর আমাদেরকে অবশ্যই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ করে তোলে। কেননা, যুদ্ধ অপরাধীদের অধিকাংশই সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় রাজনীতিবিদ অথবা ডাঃ জাকির নায়েকের মতো ধর্মজীবি।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বড়মাপের এই ধর্মজীবির বাংলাদেশ সফর কোন দুরভিসন্ধিমুলক কিনা, তা দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে সরকারের পর্যবেক্ষন ও প্রতিকার করা উচিৎ। সাথে সাথে এই ধর্মজীবির কোন দুঃশ্চক্রান্তের ফাদেঁ আমাদের ধর্মপ্রান বাঙালী যেন পা দিয়ে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া কোনভাবেই বাঁধাগ্রস্থ না হয় সেদিকে আমাদের সকলকেই সচেতন থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।
রাসেল আরেফিন - ১২ অক্টোবর ২০১০ (৬:১৪ অপরাহ্ণ)
আপনি সঠিক পয়েন্ট টি ধরতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
রায়হান রশিদ - ১৩ অক্টোবর ২০১০ (৬:৪১ পূর্বাহ্ণ)
জাকির (নাকি জোকার?) নায়েকের সবচাইতে বড়ো গুণ তিনি ইংরেজীতে ওয়াজ করেন। অর্ধ শিক্ষিত কাঠমোল্লাদের সাথে এটাই তার পার্থক্য। আর ইংরেজীতে কি কেউ আর মিথ্যে বলে?!! পিলখানার পর আমরা দেখেছি – সেনাবাহিনীর জেনারেলের নাম ভাঁড়িয়ে যখন কেউ দু’পাতা দুর্বল ইংরেজীতে একগাদা গাঁজাখুরি গপ্প ফাঁদেন, তখনও দলে দলে আপাত বুদ্ধিমান শিক্ষিত মানুষের হৃদয় সমর্থনের উচ্ছাসে উদ্বেল হয়ে ওঠে। এ তো আর নতুন কিছু না। ফেসবুক ঘেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে জড়িত কিছু মানুষের প্রোফাইলেও দেখছি তারা এই জোকার এর মুরিদ/ভক্ত হয়ে দিব্যি বসে আছেন! এখনো যারা জাকির-অন্তঃপ্রাণ, তাদের জন্য শিক্ষানবিস এর এই পোস্টটি অবশ্য পাঠ্য:
জাকির নায়েকের মিথ্যাচার: প্রসঙ্গ ‘বিবর্তন’
ধন্যবাদ রাসেল আরেফিন বিষয়টি নিয়ে লিখবার জন্য।
মাসুদ করিম - ১৩ অক্টোবর ২০১০ (৬:২১ অপরাহ্ণ)
আরো একটি মোক্ষম গুণ তার আছে, এক বন্ধুর পারিবারিক আড্ডায় বছর দুই আগে তার নায়েক ভক্ত দুই চাচার সাথে কথা না হলে এগুণের কথা আমার অজ্ঞাত থেকে যেত,– কোথায় জন্মেছেন নায়েক? — ভারতে। এক চাচা বলছেন, এটা আল্লাহর এক কুদরত তিনি এই অসীম জ্ঞানী লোকটিকে ভারতে জন্ম দিয়েছেন। হিন্দুদের বাবাদের তর্কে হারিয়ে দিয়ে তিনি ইসলামের সম্মান অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।
জানি না তেমন তর্কযুদ্ধ হিন্দু বাবা আর নায়েকের মধ্যে হয়েছে কি না। আর হলেও আমাদের কী? কিন্তু আমাদের এক শ্রেণীর মুসলমানের ওপর এই ভারতীয় ওয়াজওয়ালার ভাল প্রভাব আছে।
আর তার ‘পিস’ টিভি আরো সহজে বাঙালিদের মধ্যে ওয়াজ ছড়িয়ে দেবে, কারণ এ বছরের শেষে ‘পিস’ টিভি বাংলার সম্প্রচার শুরু হবে কলকাতা থেকে, এখন যদি সে উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশে আসেন তাহলে তেমন কিছু বলার নেই, কিন্তু তার উদ্দেশ্য যদি হয় আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে ওয়াজ করা তাহলে তার বাংলাদেশ সফরের ওপর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা এখন থেকেই করা উচিত।
রাসেল আরেফিন - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:১৮ অপরাহ্ণ)
জাকির নায়েকের ভক্ত শ্রেণী সমাজের অত্যন্ত উচু স্তরেও কম না। তার অনেক জ্ঞানী ভক্তের সাথে আমার বিতর্কের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, জাকির নায়েক প্রসঙ্গে তাদের সবারই- “তাল গাছটা আমার” টাইপের মনোভাব।
রায়হান রশিদ - ১৪ অক্টোবর ২০১০ (৭:০৫ অপরাহ্ণ)
@রাসেল আরেফিন,
অনুরোধ থাকবে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে প্রকৃত/প্রাসঙ্গিক তথ্যসূত্র এবং লিন্ক যুক্ত করার জন্য। এই আলোচনায় আপনি জাকির নায়েকের ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের মতামতগুলো তুলে ধরেছেন; তাই মতামতগুলোর অর্থবহতার জন্য তথ্যসূত্র জরুরী। নাহলে পুরো আলোচনাটিই সাবজেক্টিভ বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ তৈরী হয়।
ধন্যবাদ।
রাসেল আরেফিন - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:২৭ অপরাহ্ণ)
http://en.wikipedia.org/wiki/Zakir_Naik
রায়হান রশিদ - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:৪৯ অপরাহ্ণ)
@ রাসেল আরেফিন #৪.১
সূত্র/লিন্কগুলো পোস্টের সুনির্দিষ্ট বক্তব্যের বিপরীতে দিলে পড়তে এবং বুঝতে আরেকটু সুবিধে হতো হয়তো, লেখাটির মানও হয়তো বাড়তো। পোস্টটিতে এখনো আপনি চাইলে প্রয়োজনীয় সম্পাদনাটুকু করে নিতে পারেন। আরেকটি বিষয়, হয়তো খেয়াল করেননি, মুক্তাঙ্গন এ পোস্টের সাথে সুনির্দিষ্টভাবে ফুটনোট বসানোর কারিগরি সুব্যবস্থা রয়েছে। কারিগরি সাহায্য পাতার ৪ নম্বর এন্ট্রিটি দেখুন। ব্লগাররা এই ব্যবস্থাটির সুবিধা নেবেন, সেটাই আশা করা হয়।
যে কারণে আপনাকে এই অনুরোধ করা সেটা একটু ব্যাখ্যার দাবী রাখে। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের সমান্তরালে চলছে বলে ব্লগগুলোর পক্ষ থেকে দাবী করা হয় সবসময়। রেফারেন্সিংসহ সাধারণ কিছু বিষয় তাই নজরে আনা জরুরী, যাতে কেবল সমান্তরালে চলা না, মূল ধারার থেকে এগিয়েও যাওয়া সম্ভব হয় প্রকাশ এবং গ্রহণযোগ্যতার বিচারে।
ধন্যবাদ।
রাসেল আরেফিন - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৭:০৩ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ। আগে ছবি সরাসরি আপলোড করা যেত, এখন যায় না। লিংক হিসেবে দিতে হয়, যা ছবি দেয়ার জন্য একটু অসুবিধাই মনে করি। আশাকরি ব্যাপারটি দেখবেন।
আর, মাঝখানে অনেকদিন কোন ব্লগেই আসিনি, তাই ব্লগ লিখতে গেলে যতটা পারি ছোট রাখআর চেষ্টা করি। কেমন যেন অধৈর্য লাগে।
আর আগে আমি নির্মানে কোন নতুন ব্লগ এলে ফেসবুকে মেসেজ পেতাম। এখন পাই না। দয়াকরে গ্রুপটির আবার লিংকটা ধরিয়ে দিবেন। আর সম্ভব হলে আপনি একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিয়েন।
ধন্যবাদ।
মুক্তাঙ্গন - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (৩:৩১ পূর্বাহ্ণ)
@ রাসেল আরেফিন,
সমস্যা অবহিত করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার একাউন্ট যে-পর্যায়ের তাতে সরাসরি ছবি আপলোড করতে পারার কথা। দয়া করে সমস্যাটি আরও বিস্তারিত জানালে বুঝতে সুবিধা হবে, যেমন: ছবি আপলোড করতে গিয়ে কোন্ পর্যায়ে ঠিক কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ইত্যাদি।
ধন্যবাদ।
রাসেল আরেফিন - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (১২:২৬ অপরাহ্ণ)
ছবি আপলোড জনিত সমস্যাটার সমাধান হয়েছে, ধন্যবাদ।
ফেসবুকে আবারও মেসেজ দেয়া শুরু করেছেন দেখে ভাল লাগল। এটা অনেক কার্যকর পদ্ধতি। ধন্যবাদ আবারও।
মুক্তাঙ্গন - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (১:০৬ অপরাহ্ণ)
@ রাসেল আরেফিন,
সমস্যার সমাধান হয়েছে জেনে আশ্বস্ত হলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ।
মুক্তাঙ্গন
পৃথিবী - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (৭:৩০ অপরাহ্ণ)
জাকির নায়েক বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা দিতে আসছেন, এমন অনুমান আমার কাছে খুবই অমূলক মনে হচ্ছে। জাকির নায়েকের জ্ঞানের গন্ডি মুখস্থবিদ্যা আর মৌখিক কসতরতবাজিতে সীমাবদ্ধ, এটা অবিসংবাদিত। কিন্তু তিনি পশ্চিমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর হঠাত করে বাংলাদেশে চলে এসে বলবেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ইসলামবিরোধীতা করা হচ্ছে না তো?” আর লোকজনও সেটা গিলবে, এমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম মনে হচ্ছে।
তবে যাই হোক, তাঁর আগমন উপকার করার চেয়ে অপকারই করবে বেশি। ধর্মীয় এপোলজেটিক্সের সমস্যা হল এটি নিজে মারাত্মক না হলেও ধর্মীয় মৌলবাদকে পরিপুষ্ট করে। জানেন নিশ্চয়ই, জামায়াতিরা জাকির নায়েককে শুধু মানুষের ইসলাম-সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে না, নিজেদের কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যও ব্যবহার করে।
রায়হান রশিদ - ১৮ অক্টোবর ২০১০ (১:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
@ পৃথিবী
একমত, যোগসূত্রটি একটু দূরবর্তীই হয়তো। তবে যুদ্ধাপরাধী চক্র, যাদের উদ্দীপনার একটা বড় উৎস ধর্মীয় রাজনীতি, তারা নায়েককে সামনে রেখে নিজেদের ঈমানের জোরটুকু একটু ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতেই পারেন। আবার নায়েকের সফরকে ঘিরে যদি কোন বাদানুবাদ বা সংঘাত লাগে তখন সে ঘটনার সাথে দেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের কথিত ষড়যন্ত্র-তত্ত্বটিকে টেনে আনার একটা সুযোগও হয়তো তৈরী হয়। দু’বছর আগে থেকে যুদ্ধাপরাধী চক্র এবং তাদের দোসররা দেশে বিদেশে এই মর্মে প্রচারকার্য চালিয়ে আসছে যে – ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার আসলে দেশের সাচ্চা মূসলমানদের হয়রানীর ষড়যন্ত্র, ইসলাম নির্মূল এর ষড়যন্ত্র’।
নুর নবী দুলাল - ১৮ অক্টোবর ২০১০ (২:২১ অপরাহ্ণ)
@ পৃথিবী,
জাকির নায়েক বাংলাদেশে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় হয়ত সরাসরি কোন বাধা সৃষ্টি করবেনা। কিন্তু, জাকির নায়েকের সফরকে পুঁজি করে যুদ্ধ অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার বিরোধী শক্তি একটি সুযোগ নিতে পারে বলে আমি মনে করছি। তাই আপনার কথার উদ্বৃতির
আমিও সহমত পোষন করে বলছি, তার আগমন যেহেতু আমাদের কোন উপকারেই আসবেনা, বরং একটি বিশৃংখলা সৃষ্টির সম্ভবনা থেকে যায়, সেহেতু তার আগমনকে এই মহুর্তেই ঠেকানো উচিৎ।
রাসেল আরেফিন - ১৮ অক্টোবর ২০১০ (৩:৫৭ অপরাহ্ণ)
@ পৃথিবী,
আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশটির সাথে পুরোপুরি একমত।
প্রথম অংশটার ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি। আপনি হয়ত একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে, জাকির নায়েক “বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা দিতে আসছেন” – এই ধরনের কোন সিদ্ধান্তে আমি উপনীত হই নি। আমি শুধু আশংকার কথা বলেছি মাত্র। আর সেকারনেই পোস্ট টির শিরোনাম প্রশ্নবোধক রাখা হয়েছে।
তবে আশংকাটি যে একেবারেই অমূলক নয় তার প্রমান হল, জাকির নায়েকের পিস টিভির হয়ে কাজ করছেন মাওলানা জালালুদ্দিন উম্রি যিনি নিখিল ভারত জামাতে ইসলামীর আমীর।
মাওলানা এজাজ আসলাম যিনি নিখিল ভারত জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী।
ডঃ ইসরার আহমেদ যিনি ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত জামাতে ইসলামীর সাথে জড়িত ছিলেন।
তাঁর আশেপাশে এত সব জামায়াতী লোক। তাহলে তাঁকে কী করে বিশ্বাস করা যায় যে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বাগড়া দিতে যে আসছেন না????
সাঈদ - ২৬ মার্চ ২০১১ (১০:০৫ অপরাহ্ণ)
The lecture of jakir naik are very authentic because he always use reference and he is also very logical. May allah bless him.
So pls criticise him logically not like you.
জাহিদ - ২৭ মার্চ ২০১১ (১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ)
@ সাঈদ
রেফারেন্স দিলেই কি বক্তব্য সঠিক হয়? ভুল রেফারেন্স দিতে কিংবা রেফারেন্স দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিতে জাকির নায়েকের তুলনা হয় না।
জাকির নায়েকের মিথ্যাচার এই লিংকের লেখাটি পড়লে এবং তাতে ব্যবহৃত ইউটিউবের লিংকগুলি দেখলে খানিকটা বুঝতে পারবেন, জাকির নায়েক যুক্তিবাদীর ছদ্দাবরণে একজন কুতার্কিক।
syed - ২৯ মার্চ ২০১১ (১:৫৯ পূর্বাহ্ণ)
During my hons level (LL.B from DU) I prepared a thesis paper subjected “law and major religious”. Almost every lecture of Dr. naik I have listened on those time. At least i never found any false reference which he used from Quran, Veda and Bible ( If u found pls inform me).
And the writer of জাকির নায়েকের মিথ্যাচার,this link attacked Dr. naik intentionally or may be he failed to understand dr. naik’s pronunciation.Anyone who read the article and listen Dr. naik’s lecture can understand it. And every well educated person know that the theory of evolution is a SUBJECT OF DEBATE.Even Darwin himself pointed out that there were some parts of this theory that he found weak. thanks.
শিক্ষানবিস - ২৯ মার্চ ২০১১ (৯:৩৯ অপরাহ্ণ)
লিংকে জাকির নায়েকের যে বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে তাতে প্রায় ২৫ টি ভুল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উচ্চারণ সংক্রান্ত ভুল হাতে গোনা কয়েকটি। বাকিগুলোর কি ব্যাখ্যা আছে আপনার কাছে?
উচ্চারণ সংক্রান্ত ভুলগুলোও উল্লেখযোগ্য। কারণ জাকির নায়েক চাইনিজ বা আরব দেশীয় না যে তার উচ্চারণ বুঝতে আমাদের অর্থাৎ ভারতের প্রতিবেশী দেশের মানুষের এতো কষ্ট হওয়ার কথা। তার উচ্চারণগুলোকে কোনভাবেই সঠিক তথ্যের সাথে মেলানো যায় না। কোনভাবেই না। তিনি একবারও “গালাপাগোস” দ্বীপের নাম উচ্চারণ করেননি। এমন সব মানুষের নাম বলেছেন যাদের অস্তিত্বই নেই। বিবর্তনবিরোধী কয়েক শত নোবেল বিজয়ী আছে বলে প্রায় একজনেরও নাম করতে পারেননি।
আর বিবর্তনের বিতর্ক নিয়ে যে কথা বললেন তা জীববিজ্ঞান বিষয়ে চরম অজ্ঞতার প্রকাশ। বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান বিষয়ের উপর লেখা গ্র্যাজুয়েট লেভেলের একটা পাঠ্যবই অধ্যয়ন সমাপ্ত করে এসে তারপর কথা বলুন প্লিজ।
মোহাম্মদ মুনিম - ৩০ মার্চ ২০১১ (৮:১৬ পূর্বাহ্ণ)
উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির সময় শিবিরের কোচিং সেন্টারে ক্লাস করার ‘সৌভাগ্য’ হয়েছিল। সেই ক্লাসের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এক শিবির নেতা (পরবর্তীতে শুনেছিলাম তিনি রগ কাটাতে বিশেষ পারদর্শী)। তিনি বলতেন যেহেতু গত একশ বছরে কোন বানরের মানুষে রূপান্তরিত হওয়ার কথা শোনা যায়নি, সেটাই ডারুইনবাদকে মিথ্যা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। জাকির নায়েকের ডারুইনবাদ বিরোধিতাও সেই শিবির নেতার চেয়ে উন্নত কিছু নয়।
আধুনিক জীব বিজ্ঞানের অভাবিত উন্নয়নের সাথে সাথে ডারুইনবাদের পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছে, কিন্তু বিবর্তনবাদের যে school of thought, সেটা পালটে যায়নি। বিশ্বের প্রতিটি বিজ্ঞানী তাঁদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে কিছু school of thought এর মাঝে কাজ করেন, তা না করলে বিজ্ঞানী হওয়া যায় না। কোন জীব বিজ্ঞানী নতুন কোন জন্তুর সন্ধান পেলে সেই জন্তুর বৈজ্ঞানিক নাম কি হবে সেটা একটা নিয়ম মেনেই করতে হয়, সেই জন্তুর সাথে ডাইনোসর, বাঘ, না ভাল্লুক কিসের মিল আছে সেটা গবেষণা করেই সেই জন্তুর নামকরণ করা হয়। এখানে বিবর্তনবাদ চলেই আসে। সাম্প্রতিক কালে প্রাগৈতিহাসিক মানবের ফসিলের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তনের ফলে আধুনিক মানুষের উদ্ভব হওয়ার অনেক missing linkএরই সমাধান করা হয়েছে। এভাবেই বিবর্তনবাদ দিনে দিনে আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের আগে (মানে রেনেসাঁর আগে) যারা বিজ্ঞান চর্চা করতেন (এর মধ্যে অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীও ছিলেন) তারা মোটামুটি এরিস্টটলের মডেল মেনে কাজ করতেন, যা অনেকাংশেই পরে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এর ফলে এরিস্টটল হাসাহাসির পাত্রে পরিণত হননি, তাঁকে এখনও আদি বিজ্ঞানের জনক বলেই মেনে নেওয়া হয়। একই ভাবে ডারউইনের তত্ত্বের অনেক কিছুই হয়তো ভুল প্রমাণিত হবে, কিন্তু তার ফলে জীববিজ্ঞান ডারউইনের আগের অবস্থাতে ফিরে যাবে না।
জাকির নায়েকের ডারউইন বিরোধিতা গলাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়, মূলত গলাবাজিই এই ব্যক্তির মূল অস্ত্র। তার বক্তৃতা শুনে তার রাজনৈতিক কোন দর্শন আছে বলেও মনে হয়নি। মূলত বক্তৃতার মঞ্চে কোরান এবং অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তাক লাগানো, কিছু শান্তি বাদী কথাবার্তা বলা, একই সাথে ওসামা বিন লাদেন কে জড়িয়ে কিছু বিতর্কিত কথা বার্তা বলা (যেমন বিন লাদেনকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন না, সুতরাং তিনি জানেন না, ওসামা বিন লাদেন টেরোরিস্ট কিনা) এইসব করে দু পয়সা কামানো, এই হচ্ছে জাকির নায়েক।
faysal - ১১ এপ্রিল ২০১১ (১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
সাইদ আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। বিবর্তন এখন আর বিতর্কের কোন বিষয় নয় বরং আজকের বিজ্ঞানের যুগে তা পুরোপুরি অগ্রহনযোগ্য মতবাদ হীসেবে ইতিমধ্যেই প্রমানিত। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই তাদের পাঠ্যবই থেকে এই থিওরি বাদ দিয়েছে। তবে ভিত্তাহীন ভাবে কিছু লোক এখনও এই থিওরি প্রমান করতে চাই শুধুমাএ কতিপয় ধর্মের অসারতা প্রমান করার জন্য।
আর বিতকটা যখন গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে তখন বিবর্তন বিষয়ক গ্র্যাজুয়েট লেভেলের এর বই পড়তে বলাটা হাস্যকরই বটে । গ্র্যাজুয়েট লেভেলের এর ইসলাম শিহ্মা বই পড়ে কেউ যদি এই ধর্মের সত্যতা যাচাই করতে চাই তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তাই বলছি আগে আপনার শিক্ষানবিসকালটা পার করুন তারপর কথা বলতে আসুন।
শিক্ষানবিস - ১২ এপ্রিল ২০১১ (১:৩৪ পূর্বাহ্ণ)
http://www.eric.ed.gov/ERICWebPortal/search/detailmini.jsp?_nfpb=true&_&ERICExtSearch_SearchValue_0=EJ890630&ERICExtSearch_SearchType_0=no&accno=EJ890630
এখানে দেখুন: ১8টি দেশের (১২টি ইউরোপীয়, ৬টি অ-ইউরোপীয়) পাঠ্যবইয়ে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি দেশের পাঠ্যবইয়ে বিবর্তন নিয়ে আলাদা অধ্যায় আছে। ৪টি দেশের পাঠ্যইয়ে অন্য অধ্যায়ের মাঝে বিবর্তন অন্তর্ভুক্ত আছে। আর কেবল ২টি দেশের পাঠ্যবইয়ে বিবর্তন নিয়ে কোন কিছু নেই: মরক্কো এবং আলজেরিয়া (যথারীতি মুসলিম এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে একটু অনগ্রসর দেশ)।
তবে আপনি কি আপনার এই মন্তব্যটি সংশোধন করবেন দয়া করে: “পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই তাদের পাঠ্যবই থেকে এই থিওরি বাদ দিয়েছে।”
বিংশ শতকের অন্যতম সেরা জীববিজ্ঞানী থিওডসিয়াস ডবজানস্কি বলেছেন, “বিবর্তনের আলোয় না দেখলে জীববিজ্ঞানের কোন কিছুরই কোন অর্থ হয় না।” অ্যাস্ট্রোবায়োলজি তথা জ্যোতির্জীববিজ্ঞানে বিবর্তনের অ আ ক খ থেকেই সব শুরু করা হয়। শুধু পৃথিবী নয়, মহাবিশ্বের অন্য কোন গ্রহেও প্রাণের উৎপত্তি ঘটলে তা বিকাশের গ্রহণযোগ্য মডেল হচ্ছে বিবর্তন। ডারউইনের ক্লাসিক্যাল বিবর্তন তত্ত্বের বর্তমান রূপ হচ্ছে “আধুনিক এভল্যুশনারি সিন্থেসিস”। যারা কম জানেন তারা বলবে ডারউইনের তত্ত্বকে তো সংশোধন করতে হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলবেন, নিউটন বা এমনকি আইনস্টাইনের তত্ত্বকেও সংশোধন করতে হয়েছে। বিবর্তন নামক ফ্যাক্টটি ঠিকই আছে, সেটা ব্যাখ্যার জন্য ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের পাশাপাশি আরও কিছু তত্ত্ব এখন পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক নির্বাচন যে সিংহভাগ বিবর্তনের জন্য দায়ী তা নিয়ে এখন কোন সংশয় নেই।
আর ইসলাম শিক্ষা অধ্যায়নের সাথে বিজ্ঞান অধ্যয়নের তুলনা করে ঠিক করেননি। এটা ঠিক খাটে না।
বিজ্ঞান: পর্যবেক্ষণ, হাইপোথিসিস, পরীক্ষণ, প্রমাণ, তত্ত্ব।
ধর্ম: ব্যাখ্যাহীন অলৌকিকত্ব, যুক্তিহীন বিশ্বাস, সকল পর্যবেক্ষণকে সেই যুক্তিহীন বিশ্বাসের আলোকে জোরপূর্বক ব্যাখ্যা।
বোঝাই যাচ্ছে, দুইয়ের মধ্যে তুলনা চলে না।
শিক্ষানবিস - ১২ এপ্রিল ২০১১ (১:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
সংশোধন: ১৪টি নয় ১৮ টি দেশ। ১২+৬।
hasan - ১৬ এপ্রিল ২০১১ (১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
বাস্তবতা হচ্ছে বিবর্তনবাদের বিতর্কে আপনি কোন সমাধানে পৌছতে পারবেন না। বিতর্ক চলতেই থাকবে।নাস্তিকরা যেমন সবসময় এই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে তেমনি আস্তিকরা চেয়েছে তা ভুল প্রমান করতে। এই মতবাদের পক্ষে যেমন strong যুক্তি প্রমান দেয়া যায় তেমনি এই মতবাদের অনেক দুর্বল দিকও রয়েছে।তবে কিছু দুর্বলতা সত্তেও অধিকাংশ জীববিজ্ঞানী এই মতবাদের যুক্তিকতা খুজে পেয়েছেন। তাই ইতিমধ্যেই এই মতবাদ অগ্রহনযোগ্য হীসেবে প্রমানিত হয়েছে এমনটা যেমন তার মনগড়া কথা তেমনি এটাও সত্য যে নিউটন ম্যাক্রওয়েল বা আর্কিমিডিসের সূত্রর ন্যায় এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত নয়।
অভিজিৎ - ২১ এপ্রিল ২০১১ (১২:০৩ পূর্বাহ্ণ)
আপনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়। বিবর্তন বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত একটি তত্ত্বই। বিবর্তন নিয়ে যে বিতর্কের কথা বলছেন, সেটা তৈরি করেছে মূলতঃ ধর্মবাদীরা – এদের অধিকাংশই বিবর্তন না বুঝে এ ধরনের বিতর্ক তৈরি করেছে। জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে বিবর্তন নিয়ে কোন সংশয় নেই। জেনেটিসিসস্ট ডবঝানস্কি অনেক আগেই বলে গেছেন, ‘নাথিং ইন বায়োলজি মেক সেন্স এক্সেপ্ট ইন দ্য লাইট অব ইভলুশন’।
আর আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি পাবমেডে সার্চ করে দেখুন – ১৯৭৩ সালের পর থেকে ১০০,০০০ পিয়ার রিভিউড জার্নালে নিও-ডারউইনিজমের দৃষ্টিকোন থেকে বিবর্তনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেতুলনায় আইডির উপর একটি পেপারও নেই। মাইকেল বিহের একটি পেপার আইডি-ওয়ালারা হোলি গ্রেইল হিসেবে দাবী করলেও সেটাও রিফিউটেড হয়েছে (M. D. Lynch., Simple evolutionary pathways to complex proteins. Protein Science, 14 (2005) : 2217-25)।
বিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তৈরই হয়েছে কারণ সেটা ধর্মবাদীদের আদম হাওয়ার মত বিশ্বাসনির্ভর গল্পগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে, আর্কিমিডিসের তত্ত্ব বা নিউটনের তত্ত্ব তা করেনি। তাই ওগুলো নিয়ে ধর্মবাদীরা অযথা বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেনি। কিন্তু ধর্মবাদীরা বিতর্ক করলেই সেটা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সত্য হয় না। জাকির নায়েক বিবর্তন নিয়ে যা বলে তা শুধু ভুল নয় রীতিমত হাস্যকর। এক লেকচারেই তিনি প্রায় ২৮ টা ভুল করেছেন, এমনকি গ্যালাপেগস দ্বীপের নামও তিনি ঠিক করে বলতে পারেন নি বলেছেন ক্যালেট্রপিস্ট। এই লিঙ্ক থেকে দেখে নিন –
The Rising Star of Incompetent Muslim Science
জাকির নায়েকের কোন কথার রেফারেন্সই বায়োলজিকাল জার্নালে পাওয়া যাবে না, কিন্তু বিবর্তনের কথা আছে। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব না হলে সেটা বিজ্ঞানের জার্নালে থাকত না। প্রক্ষান্তরে জাকির নায়েকের ভুল ভাল জিনিসগুলো কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালের রেফারেন্স হাজির করে দেখানোর অনুরোধ রইলো।
syed - ২০ এপ্রিল ২০১১ (১:০০ পূর্বাহ্ণ)
নিশ্চয়ই আমিও একমত যে বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের তুলনা চলে না। কারন বিজ্ঞান প্রায়ই তার সিদ্ধান্ত বদল করে। বিজ্ঞান দারা যা ছিল প্রতিষ্ঠিত আজ তা ভুল প্রমানিত এমন অনেক উদাহরন আমি আপনাকে দিতে পারি। একদিকে মহাকর্ষ বল আর অন্যদিকে মহাবিশ্বের ক্রমবর্ধমান প্রসারন- এর কি ব্যাক্ষা আছে বিজ্ঞানে। অথচ দুটো বিষয়ই প্রতিষ্ঠিত।এখানে বিজ্ঞানও মেনে নেয় এক সক্রিয় অন্ধকার শক্তির অস্তিত্ব যা শুধু ঢোকে না নাস্তিকদের মাথায়। এরিস্টটলের মতে যখন আপনি বিজ্ঞান কম জানবেন তখন আপনি হবেন নাস্তিক আর যখন পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখবেন তখন হবেন আস্তিক। আইনসটাইন বলেছেন ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান হল পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম তা হল অন্ধ ।
আপনি এত দূরে যাচ্ছেন কেন কারন গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় খোদ আমাদের দেশেই বিবর্তনবাদ পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আপনি আমাকে বলেন তো পৃথিবীর কোন দেশে বিগব্যাং,গ্যালিলিও বা নিউটেনর গতি সূত্র(এমন আরো কিছু প্রতিষ্ঠত থিওরি)পড়ানো হয় না। অথচ আপনি মাত্র ১৪টি দেশের নাম উল্লেখ করেছেন যেখানে বিবর্তনবাদ পড়ানো হয়। বিবর্তনবাদ কিছু দেশে পড়নো হয় ঠিকই তবে তা as a hypothesis. (hypothesis usually based on an observation and the indication of a relationship).
আর Please অপপ্রচার চালাবেন না। আপনি বলছেন জাকির নায়েক বিবর্তনবিরোধী কয়েক শত নোবেল বিজয়ী আছে বলে প্রায় একজনেরও নাম করতে পারেননি। আমি sure আপনি লেকচারটি শুনেছেন। নোবেল বিজয়ী এবং জীব বিজ্ঞানীসহ ছয়জের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন। এদের তিনজনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও দিয়েছেন।
শিক্ষানবিস - ২০ এপ্রিল ২০১১ (১০:৫২ অপরাহ্ণ)
জনাব, আপনার কোন কথাই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কি জানেন? আপনি কোন রেফারেন্স দিচ্ছেন না। বলছেন পৃথিবীর এই দেশগুলোতে বিবর্তন হাইপোথিসিস হিসেবে পড়ানো হয়। প্রমাণ দেন দেখি… আমি যা বলেছি তা প্রমাণ সহ বলেছি, আপনি নিজের মন থেকে কথা বললে কি বিতর্ক চালানো সম্ভব? আপনি এক কাজ করুন: বিশ্বের সব দেশের জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই জোগাড় করুন, তারপর তালিকা করুন এভাবে: বিবর্তন আছে, বিবর্তন নেই, আছে তবে প্রমাণিত তত্ত্ব হিসেবে নয় প্রকল্প হিসেবে। তারপর পরিসংখ্যানটা করে এখানে ছেপে দিন। আশাকরি এতে আপনি নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন।
আরেকটি ভুল বুঝেছেন: আমি বলিনি মাত্র ১৪ টি দেশে বিবর্তন পড়ানো হয়। আমি বলেছি, যে ১৮টি দেশে জরিপ চালানো হয়েছে তার মধ্যে ১৪টি। বুঝলেন তো এবার? আর হাইপোথিসিস হিসেবে পড়ানো হয় এই কথার রেফারেন্স দিন দয়া করে।
জাকির নায়েক কাদের নাম বলেছেন সেটা নিয়ে তো আমি লেখাটিতেই বিস্তারিত লিখেছিলাম। আপনি কি সেটাও পড়ে দেখেননি। তিনি ক্রিক এবং ওয়াটসনের নাম করে বলেছেন তারা নাকি বিবর্তনে বিশ্বাস করতেন না, যা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। আর যে তিন জনের নাম বলেছেন তার মধ্যে ফ্রেড হয়েল সাহেব নোবেল পুরস্কার পাননি, এবং তিনি আপাদমস্তক জ্যোতির্বিজ্ঞানী। বিবর্তন নিয়ে একাডেমিক কথা বলার যোগ্যা এমন কেবল একজনের নামই নায়েক উল্লেখ করেছেন যার সম্পর্কেও আমি বিস্তারিত লিখেছি।
আর আস্তিক-নাস্তিক এর কথাবার্তা উত্থাপন না করলেই কি ভাল নয়? আমি আস্তিক না নাস্তিক তার সাথে বিবর্তন সত্য না মিথ্যা তার কোন সম্পর্ক নেই। বুঝলেন?
আর আইনস্টাইন ধর্মে বিশ্বাস করতেন না, এবং ব্যক্তি ঈশ্বরেও বিশ্বাস করতেন না। রেফারেন্স ঝালাই করে দেখুন। উইকিপিডিয়ায় আইনস্টাইনের জীবনীটা পড়ে দেখলেই তো হয়ে যায়। ধর্ম বলতে তিনি কি বুঝিয়েছিলেন তাও তবে পরিষ্কার হয়ে যাবে। নেট ঘাটতে না চাইলে বলুন আমি নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স দেই, সেটা পড়ে দেখুন।
বিজ্ঞান কোন অন্ধকার শক্তিকে মেনে নেয় না। না বুঝে বলেছেন কথাটা। বিজ্ঞানে ডার্ক এনার্জি বলতে শূন্যস্থানের শক্তিকে বোঝায় যার সুস্পষ্ট গাণিতিক ব্যাখ্যা আছে। ডার্ক ম্যাটার ও এনার্জি নিয়ে সব ধারণা স্পষ্ট নয় এখনও। কিন্তু কিছু আবিষ্কার করতে না পারলে বিজ্ঞানীরা বলেন, আমি জানি না। কখনও যাচ্ছেতাই কিছু একটাতে বিশ্বাস স্থাপন করে বসে থাকেন না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে পর্যবেক্ষণ, পরে হাইপোথিসিস, পরে পরীক্ষণ, প্রমাণিত হলে তত্ত্ব। মনে রাখবেন বিবর্তন একাডেমিক অর্থে কোন তত্ত্ব নয়। বিবর্তন প্রকৃতির একটি পর্যবেক্ষণ। এই পর্যবেক্ষণকে ব্যাখ্যা করার জন্য ডারউইন দিয়েছিলেন প্রাকৃতিক নির্বাচন নামের হাইপোথিসিস যাকে তিনি নিজেই যথেষ্ট প্রমাণের মাধ্যমে তত্ত্বে রূপ দিয়েছিলেন। বর্তমানে বিবর্তন ব্যাখ্যার জন্য ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচনের পাশাপাশি আরও কিছু তত্ত্ব আছে। একেকটি অংশ ব্যাখ্যার জন্য একটি সামগ্রিক তত্ত্বের একেকটি রূপ ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞান সিদ্ধান্ত বদল করে না, বিজ্ঞান তার সিদ্ধান্তকে দিনদিন আরও পরিশুদ্ধ করে। তার মানে এই নয় যে পূর্বেরটি বাতিল হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে অনেকে বলেন, নিউটনের তত্ত্বকে আইনস্টাইন ভুল প্রমাণ করেছেন। কিন্তু আসলে ব্যাপারটি হল- নিউটনের তত্ত্বের দুর্বলতা আইনস্টাইন আবিষ্কার করেছেন এবং আরও সাধারণ একটি তত্ত্বের জন্ম দিয়েছেন যার নাম সাধারণ আপেক্ষিকতা। এখনও সকল পর্যায়ের পাঠ্যে নিউটনের গতি এবং মহাকর্ষ সূত্র পড়ানো হয় এবং বলবিদ্যার অধিকাংশ গবেষণায় তা ব্যবহৃতও হয়। তবে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সারকথা হচ্ছে: তাকে ভুল প্রমাণ করার উপায় বলা থাকতে হবে।
মোহাম্মদ মুনিম - ২০ এপ্রিল ২০১১ (১১:২৪ অপরাহ্ণ)
আইনস্টাইন “ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু…….” এই উক্তিটি কোথায়, কেন করেছিলেন এবং ধর্ম বিষয়ে আইনস্টাইনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি লিঙ্ক এখানে।