এই দিনে ইয়াসির আরাফাত মারা গিয়েছিলেন, কিংবা যে পূর্বঘোষিত মৃত্যুর দিকে তাঁকে তিলে তিলে টেনে নেওয়া হচ্ছিল , এই দিনে তা পূর্ণতায় পৌঁছে। আধুনিক ফিলিস্তিনি জাতির এই পুরোধা পুরুষের মৃত্যুর নয় মাস পর ইসরায়েলের প্রধান পত্রিকা হারিতজ পত্রিকা তাদের শিরোনাম করে: “আরাফাত মারা গেছেন এইডস অথবা বিষপ্রয়োগে: চিকিতসকগণ”। এইডস এসেছে প্রথমে। (more…)

বাংলাদেশে ইসলামপন্থী কারা? বহু বছর আগে বঙ্গিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায় সেসময়কার শিক্ষিত মধ্যশ্রেণীকে সনাক্ত করেছিলেন এভাবে, "যে টেবিলে খায়, চোঙ্গা পড়ে, কমোডে হাগে কাগজে মোছে; সে-ই বাবু।" অন্যত্র বলেছিলেন, "যে পিতার কাছে হিন্দু, কেশব সেনের সামনে ব্রাহ্ম, ইয়ং বেঙ্গলের কাছে বিদ্রোহী, ভিখারির কাছে নাস্তিক, বামুনের সামনে ধর্মচারি, স্ত্রীর কাছে বীর আর সাহেবের সামনে নতজানু...সেই বাবু।" সেই বাবুরাই আজকের যুগে মধ্যবিত্ত। এখন সে সমাজে মুসলিম, রাষ্ট্রে পুঁজিবাদী, বিশ্বব্যাংকের কাছে উন্নয়নবাদী, এনজিওর কাছে সিভিল সোসাইটি, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ওয়ার অন টেররিজমের টেররিস্ট, বিশ্বায়নের মোহে দেশবিরোধী। (more…)

রিফাত হাসানের ফাজলামোর একটা সীমা থাকা দরকার http://www.somewhereinblog.net/blog/rifathasanblog/28855751 লেখাটি আমার দৃষ্টি থেকে মস্তিষ্ক মায় মন পর্যন্ত আকর্ষণ করে ফেলেছে। সত্যিই তো ফাজলামোর একটা সীমা থাকা দরকার। কিন্তু সীমাটা কে ঠিক করবে? উত্তর হবে, যার সেই ক্ষমতা আছে। বাংলাদেশে সীমা ঠিক করবার মতা কার আছে? রাষ্ট্রের_ যে রাষ্ট্র লুটেরা পুঁজিপতিদের ক্লাব, এবং যে রাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদের লিঙ্গও বটে, তা বঙ্গবাসী নারী-পুরুষকে সামনে-পেছনে, মুখে-চোখে ধর্ষণ করে। সুতরাং তারা তো সীমা ঠিক করবেই। (more…)

গত কয়েক বছরে আমেরিকার থেকে ভারত অনেক এগিয়েছে। অবুঝ মার্কিনভক্তদের মধ্যেও ‘আমেরিকা গণতন্ত্রের বাতিঘর’ এই গল্প আর চলে না। অন্যদিকে গত এক দশকে ভারত দারুণভাবে জনমতের মধ্যে ক্যু ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে যে, ‘ভারত আফগানিস্তান নয়’, ‘ভারত পাকিস্তান নয়’, ‘ভারত হলো এক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র’। অথচ বিশ্বে সরকারি হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যায় ভারত এক নম্বরে। (more…)

গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মবার্ষিকীতে জনসংস্কৃতি মঞ্চ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় আমি একটি আলোচনা করি। সেটার শ্রুতিলিখনটি প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় তুলে দিলাম।

গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ২০০৮ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মবার্ষিকীতে জনসংস্কৃতি মঞ্চ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই সভায় আমি একটি আলোচনা করি। সেটার শ্রুতিলিখনটি প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় তুলে দিলাম। * * * প্রথম কথা হচ্ছে যে, উপন্যাস ব্যাপারটি আমাদের দেশে কোথা থেকে এলো। এবং যেটা মুহম্মদ আজম ব্যাখ্যা করেছেন যে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে; আধুনিকতা গণতন্ত্র উন্নয়ন ইত্যাদির মতো এই জিনিসটিও আমাদের দেশে আমদানি করা হয়েছে। সেই আমদানির আগের ইতিহাসের একটা বড় দাগ হচ্ছে ১৮০০ সাল -- যখন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর পরই যা হয়, তা বোধহয় পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আর সম্ভব নয়। একটি কলেজ ও তার কয়েকজন মাস্টার মিলে একটি প্রাচীন ভাষার ওপর দর্জিগিরি ফলালেন। ভাষা সংস্কার করলেন। এ কাজে বাংলা তেমন কোনো ব্যকরণ বই পাননি। তাঁরা পেয়েছেন সংস্কৃত পুস্তক ও সংস্কৃত ব্যাকরণশাস্ত্র। আর মাথায় করে বয়ে এনেছিলেন ইউরোপীয় বিদ্যা। এই দুইয়ের মিলনে যে ঘটনাটি ঘটলো, সেটাকেই আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে আধুনিক যুগের সূত্রপাত বলে ধার্য করা হলো। যদিও বাংলা সাহিত্যের শুরু আরো অনেক আগে বলে সাহিত্যের ইতিহাসকাররা স্বীকার করেন। তাঁরা সাহিত্য পাচ্ছেন কিন্তু গদ্য পাচ্ছেন না। তাই চিন্তা ও সামাজিক আদানপ্রদানের ভাষা হিসেবে গদ্যকে তাঁরা সাজালেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। কিন্তু রহস্যটা এই যে ১৮৭০ থেকে ১৮৭৭ সাল নাগাদ এইরকম নবীন একটি গদ্যে রবীন্দ্রনাথের জন্ম হলো কীভাবে! কিংবা মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবির্ভূত হলেন। তাহলে নতুন গদ্যের জন্মের মাত্র ৫০-৭০ বছরের মাথায় কিভাবে এরকম দুজন পরিণত লেখকের জন্ম সম্ভব হচ্ছে! এর একটা ব্যাখ্যা হচ্ছে, ভাষাও আবদুল কাদের জ্বিলানী হতে পারে। এই অলৌকিকে বিশ্বাস না করলে আমাদের মানতে হয় যে, এই ভাষায় সাহিত্যের দীর্ঘ চর্চা ছিল। এবং ভাষার দর্জিগিরি শুরুর আগে থেকেই তা বহমান ছিল। দেবেশ রায় তাঁর সামায়িকপত্রে বাংলা গদ্য বিষয়ক আলোচনায় প্রাচীন বাংলা গদ্যের আড়াই হাজার বিধি পাওয়ার প্রমাণ পেশ করছেন -- আঠারশ সালের আগের। এবং সেই গদ্য সব সময় যে কাহিনী ছিল তাও নয়। জমিদার চিঠি পাঠাচ্ছে নায়েবের কাছে, নায়েব তার জবাব দিচ্ছে, বিবিধ সামাজিক আদান প্রদান, কন্যার বিবাহ নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি। আরও পেছনের দিকে গেলে সিরাজউদদৌলারও একশ বছর আগের দলিল পাওয়া…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.