পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তানে তালেবান উত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত ফারুক চৌধুরীর এ লেখাটি আলোচনার জন্য নির্বাচন করা হল। প্রশ্ন হল, পাকিস্তানে সোয়াত উপত্যকার ঘটনাবলী বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ জমার কোন আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে কি?
=================
ঝুঁকির মুখে পাকিস্তান: আতঙ্ক-হতাশার নগর ইসলামাবাদ
লাহোর থেকে ফারুক চৌধুরী
ইসলামাবাদে এখন বসন্ত যাই যাই করছে। তবে ভোরের হাওয়ায় শীতের ছোঁয়া এখনো মিলিয়ে যায়নি। সূর্য এখনো হালকা কুয়াশায় ঢাকা মারগালা পাহাড়ের ওপার থেকে সন্তর্পণে উঁকি দেয়−তারপর বেরিয়ে এসে দিনভর আলো ছড়ায়। দুই হাজার ৩০০ বছর আগে সোয়াত উপত্যকাবিজয়ী আলেকজান্ডারের মুখে, বিংশ শতাব্দীর নাট্যকারের বর্ণনায়, ‘দিনে প্রচণ্ড সূর্যের গাঢ় নীল আলো’ এখনো ইসলামাবাদের ‘আকাশ গুঁড়িয়ে দিয়ে’ যায় না। কল্পনা করতে কষ্ট হয় না মোটেও, যে ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ৬০ মাইল দূরে, সোয়াত উপত্যকার নিচ, প্লমি আর এপ্লিকটের উদ্যানরাজিতেও ভোরের মিষ্টি রোদ এখনই ছড়িয়ে পড়ছে। ভাবতে কষ্ট হয় না এই কারণে যে মাত্র ১০ বছর আগে ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে সোয়াতের মিয়াদাম, পাকিস্তান টুরিজম করপোরেশনের অতিথিশালায় ভোরে জেগে অবলোকন করেছিলাম এমনি এক সুন্দর সকাল। তার পুনরাবৃত্তি, এখন কেন, অদূর ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না। সোয়াত, শুধু সোয়াত কেন, মালাখন্দ এজেন্সির প্রায় সব রাস্তাই এখন বন্ধ।
তালেবানরা স্থানে স্থানে মাইন পেতে দিয়েছে, এলাকার বাসিন্দাদের মালাখন্দের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসতে বাধা দিচ্ছে−রণকৌশলেরই অংশ হিসেবে। নিরস্ত্র জনসাধারণকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করা, তাদের ভাবনায়, ধর্মের পরিপন্থী নয় মোটেও। তবু প্রাণভয়ে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার বাস্তুহারা। তাদের সংখ্যা এখনই পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেরিতে হলেও সক্রিয় হচ্ছে। ইসলামাবাদ শহরের উপকণ্ঠে তো বটেই, শহরের অভ্যন্তরে অভিজাত এফ-৭ এলাকায়ও স্থাপিত হয়েছে একটি বাস্তুহারা ক্যাম্প।
গত ষাটের দশকের কথা মনে পড়ে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ও আরও অনেকের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গিরিরাজির নিরালায়, আইয়ুব খান স্থাপন করেছিলেন কৃত্রিম, নয়নাভিরাম এই জনপদ। এই যুক্তিতে যে করাচির মতো ব্যস্ত শহরের কোলাহল নতুন রাজধানীর হোমরাচোমরাদের দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটাবে না−মিছিল, ঘেরাও, জনসভার মতো ‘অসহ্য’ সব কর্মকাণ্ডের জ্বালা সহ্য করতে হবে না পাকিস্তানের রাজধানীবাসীর। তারপর ছিল আরও একটি অকাট্য যুক্তি। এটা হলো, প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে করাচির মতো প্রান্তিক বন্দরনগর নিরাপদ নয় মোটেও। এদিকে ইসলামাবাদের রয়েছে ‘নিরাপত্তা গভীরতা’ (Depth of Defence)। সোজা কথায়, ইসলামাবাদ করাচির তুলনায় ভারত থেকে দূরে!
সেই ইসলামাবাদ আজ এক আতঙ্ক আর হতাশার নগর। গত তিন দিনে সর্বস্তরের অনেক মানুষের সঙ্গেই কথা হয়েছে। অনিশ্চয়তায় ভরা সবারই মন। হঠাৎ যদি কিছু ঘটে! এক রাতে কজন পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গে নৈশভোজে বসে মনে হয়েছিল, যদি বিকট শব্দে অদূরের কোনো বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ফাটে, আর কেউ বলে ওঠে যে তালেবানরা এল বলে, দুর্বলচিত্তের সবাই দিগ্বিদিক ছিটকে পড়বে।
আইয়ুব খানের সে কালের শত্রু-ভাবনা বর্তমান ঘটনাবলির রূঢ় বাস্তবতার আলোকে হাস্যকর মনে হয়। ঘরের শত্রু অনেক অবস্থাতেই বাইরের শত্রুর চেয়েও ভয়াবহ হয় এবং ভ্রান্ত নীতি এবং যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনীহা একটি রাষ্ট্রের সংহতি এবং নিরাপত্তা বিপন্ন করে, যেমন করেছে পাকিস্তানের।
ধারাবাহিক সামরিক ও সেনাবাহিনী প্রভাবিত শাসন পাকিস্তানের রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে যে ক্রমে ক্রমে দুর্বল করে তুলেছে, এ নিয়ে দ্বিমত এখন পাকিস্তানে প্রায় নেই। কিন্তু পাকিস্তানের দুর্ভাগ্য এই যে বহু প্রতীক্ষার পর এ দেশে সাধারণ নির্বাচন বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুসৃষ্ট একটি অসাধারণ বিয়োগান্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো। এবং প্রধানত আবেগসৃষ্ট কারণেই জারদারি আজ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি। না হলে রাষ্ট্রপতি হওয়ার তাঁর যোগ্যতা মোটেই ছিল না। সুনামও তাঁর নেই। তাঁর সততা ও চারিত্রিক স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ। অতএব বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর আবেগ জাতি যতই কাটিয়ে উঠছে, জারদারি ততোই তাঁর জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। রাষ্ট্রকর্মে তাঁর আন্তরিকতা সম্পর্কেও মানুষ সন্দেহগ্রস্ত। পাকিস্তানের এই ক্রান্তিকালে তিনি একনাগাড়ে ১৭ দিন পাকিস্তান থেকে অনুপস্থিত, যদিও প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারপর্বে পাঁচ দিনের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সম্রাট নিরোর রোম পোড়া আর বাঁশি বাজানোর গল্পটি ইসলামাবাদে আজ অনেকেরই মুখে। আজ যদি আবার এ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে মিয়া নওয়াজ শরিফই যে বিজয়ী হবেন, তা এখন অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তা তাৎক্ষণিক কোনো সুফল বয়ে আনবে না। এ কারণে যে পারভেজ মোশাররফ-প্রণীত সংবিধান আজও বহাল আছে। অতএব ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি পদে, সেই অবস্থায়ও জারদারি সমাসীন রইবেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে জারদারিকে অপসারণ, একমাত্র অভিশংসনের মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু পাকিস্তানের সংসদ সেই অবস্থানে এখন নেই। মধ্যমেয়াদি নির্বাচনই সেই অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে−কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচন দৃশ্যমান নয়। তবুও প্রশাসনের কাছাকাছি নওয়াজ শরিফকে নিয়ে আসার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে বলে অনেকেই ভাবেন। ‘জাতীয় সরকারের’ আলোচনা শোনা যায়। কিন্তু ক্ষমতা যখন প্রেসিডেন্টের হাতে, আগামী দিনের কোনো জাতীয় সরকারে নওয়াজ শরিফ স্বয়ং কি সম্পৃক্ত হতে চাইবেন? অথচ তাঁর জনপ্রিয়তা এখন যে তুঙ্গে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অজানা নেই।
এদিকে সামরিক শাসন এ দেশের বেসামরিক প্রশাসনকে ক্রমে ক্রমে দুর্বল করছে এবং তার দক্ষতা ও মান এখন আশানুরূপ নয় মোটেও। এ দেশের আতঙ্কিত জনগণের রাজনৈতিক চেতনার মূলেও আঘাত হেনে গেছে আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়াউল হক আর পারভেজ মোশারফের সামরিক মদদপুষ্ট শাসন। তাই দেশের এই ক্রান্তিকালেও জনসাধারণের রাজনৈতিক তৎপরতা নজরে আসে না। ভীতি যেন তাদের গ্রাস করে ফেলেছে। নির্বাচিত হয়েও যেন জারদারি আর তাঁর সরকার সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্বমূলক নয়। এই সংকটে তাই পাকিস্তানের জনগণ আজ বিহ্বল।
পাশ্চাত্যের ক্ষমতাধর একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের (তাঁর পরিচয় প্রকাশে আমি অপারগ) কথায় আগামী দিনেও সোয়াত, তথা মালাখন্দ অঞ্চলে সংঘাত তীব্রতর হয়ে উঠবে। তাঁর মতে, প্রথাগত রণকৌশলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীকে তালেবান গেরিলাদের সঙ্গে সংঘাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। সেই অঞ্চলে সংঘাতের কোনো চূড়ান্ত ফলাফল সময়সাপেক্ষ।
যেকোনো যুদ্ধেই প্রথম শিকার হয় সত্য ভাষণ। অতএব রেডিও আর টেলিভিশনে যুদ্ধের যে সামগ্রিক চিত্র আমরা পাই এবং পাব, তা এফএম রেডিও নেটওয়ার্ক মারফত তালেবান যোদ্ধাদের পাওয়া খবরের চেয়ে ভিন্নতরই হবে। তা ছাড়া উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানজুড়ে তালেবানদের নিরাপত্তা-গভীরতা ব্যাপক। এই সংঘাত তাই স্বল্পস্থায়ী হওয়ার নয়।
যুদ্ধে পাকিস্তান বিমানবাহিনীকে আকাশ থেকে হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করতে হচ্ছে, করতে হচ্ছে বোমাবর্ষণ। তাতে সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থাটি রহস্যজনক ড্রোন বিমান আক্রমণ এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণের মতো সাধারণ মানুষের মনে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। তা ছাড়া লাখ লাখ অভ্যন্তরীণ বাস্তুহারার মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে এবং তা সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবেই।
সোয়াতের ওয়ালি অর্থাৎ শাসনকর্তা মিয়াগুল আওরংজেবের সঙ্গে আমার পরিচয় বহু বছরের। তিনি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের জামাতা। ১৯৬৯ সাল থেকে সোয়াত পাকিস্তানের ওতপ্রোত অংশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছিল। সোয়াতের ওয়ালি তাঁর সিংহাসন হারিয়ে পাকিস্তান সরকারের অধীনে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ছিলেন বেলুচিস্তানের গভর্নর। তখন নওয়াজ শরিফ ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এই দায়িত্ব তিনি বছর দুয়েক পালন করেন। তারপর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব তিনি পালন করেন মাত্র মাস দুয়েকের জন্য। প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ক্ষমতায় আসার পর তিনি চাকরিচ্যুত হন। তবে সোয়াতে তাঁর যথেষ্ট জায়গাজমি রয়েছে, রয়েছে বসতবাড়ি। ইসলামাবাদে তাঁর আবাস হলেও সোয়াতে তিনি প্রায়ই ফিরে যেতেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও তিনি সোয়াত সফর করেছেন। সত্তরের দশকে লন্ডনে তাঁর সঙ্গে পরিচয় ক্রমে বন্ধুত্বে পরিণত হয়। আইয়ুব খানের জামাতা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরোচিত আচরণের তীব্র নিন্দা করতেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোকে দায়ী করতেন ইয়াহিয়া খানকে বিপথে চালিত করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধ ছিল এবং আগস্ট ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি এবং তাঁর প্রয়াত স্ত্রী নাসিম আওরংজেব (আইয়ুব খানের কন্যা) আমাদের কাছে লন্ডনে তাঁদের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তাঁর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৯৯ সালে আমার সোয়াত ভ্রমণের সময়টিতে। সে অন্য কথা।
ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে, ইসলামাবাদের এফ-৬/৪-এর তাঁর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম গত ৭ এপ্রিলের ভোরে।
বর্তমান অবস্থার ওপর তাঁর কথা হলো যে ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানে যোগদানের পর থেকেই সোয়াতের জনগণ পাকিস্তানের অদক্ষ, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যয়বহুল বিচারব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। তারা ফিরে যেতে চাইছিল পুরোনো দিনের পাহাড়ি বিচারব্যবস্থায়, যা ছিল স্থানীয় প্রথা এবং ইসলামিক আইনের একটি গ্রহণযোগ্য সংমিশ্রণ। যার ফলে সোয়াতের জনগণ দ্রুত বিচার পেত এবং তারা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সেই বিচারব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দাবি তোলে। এই দাবিতে মালাখন্দ অঞ্চলের সাধারণ মানুষও যোগ দেয়। তারা তাদের দাবিকে ‘শরিয়াহ আইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু তাদের দাবির কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল না। মিয়াগুল আওরংজেবের মতে, তাদের দাবির প্রতি সরকারের চরম নির্লিপ্ততার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় মোল্লারা কঠোর ইসলামিক অনুশাসনের দাবি তোলে এবং তাদের দাবিকে সহিংস রূপ দিয়েছে তালেবানরা, তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের ইচ্ছায়।
আওরংজেব আমার প্রশ্নের উত্তরে বললেন, সপ্তাহ, মাস কেন, এমনকি তাঁর জীবদ্দশায়ও তালেবানদের সেই সব অঞ্চল থেকে নিমর্ূল করা যাবে না (তিনি অবশ্য আমার সমবয়সী−অতএব তাঁর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার প্রয়োজন না-ও হতে পারে!)। শুধু তাই নয়, এখন উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ভূতপূর্ব ব্রিটিশশাসিত জেলাগুলো, যথা ডেরা ইসমাইল খান, কোহাট, বান্নু ও হাংগু জেলায় তালেবানরা ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি মনে করেন, তালেবানরা আফগানিস্তানে আবার ক্ষমতায় ফিরবে−যতই সময় লাগুক না কেন তাতে, এবং তাদের সঙ্গে পাকিস্তানি তালেবানদের রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে, যেখানে পাকিস্তানের দুর্নীতিপরায়ণ শাসকেরা সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করছেন, সেখানে তালেবানরা সাধারণ মানুষকে অর্থদানে বাধ্য করছে। তালেবানরা মানুষ হত্যা করছে, সরকারও তো নিরীহ মানুষের প্রাণ নিতে কুণ্ঠিত নয়। অতএব তালেবানদের আমরা যে দৃষ্টিতে দেখি, পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষ তাদের ঠিক সেই দৃষ্টিতে দেখে না, যদিও তালেবানদের সামাজিক কড়াকড়ি তারা পছন্দ করে না।
মিয়াগুল আওরংজেব মনে করেন, এই যুদ্ধে, ভূখণ্ডের হাতবদল প্রায়ই ঘটবে এবং কোনো একটি অঞ্চল থেকে তালেবানদের উৎখাত করলে তারা আবার সুযোগমতো সেই স্থানে ফিরে আসবে। সেই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি স্থাপন সময়সাপেক্ষ হবে, বললেন আওরংজেব। সোয়াতে তাঁর বিষয়সম্পত্তি এখন তাঁর কর্মচারীরাই দেখাশোনা করছে, তবে তালেবানরা চাইলে নিমেষেই এ অবস্থা বদলে যাবে−হতাশায় দুই হাত তুলে কথাগুলো বললেন মিয়াগুল আওরংজেব। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর উক্তি হলো, যে সরকারের দুর্নীতি এবং ব্যয়বহুলতা ব্যাপক, তাকে নিরাপত্তার জন্য বিদেশি প্রভাব মেনে নিতেই হবে। ‘এ কোন ধরনের স্বাধীনতা?’ বললেন মিয়াগুল আওরংজেব।
ইসলামাবদ থেকে মোটরপথে লাহোরের সাড়ে তিন শ কিলোমিটার অনায়াসেই পাঁচ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যায়। লাহোরের পথে ঝিলাম আর রাবি নদী পেরোতে পেরোতে মনে হলো, ‘পঞ্চনদীর তীরে’ তালেবানদের মন্ত্রে ‘নির্মম নির্ভীক’ পাঞ্জাবিরা আবার জেগে উঠবে না তো? শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর আক্রমণ আর তারপর লাহোরের শিক্ষক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ওপর তালেবান আঘাত কি তার অশনিসংকেত নয়? সেই সম্পর্কে ধারণা নিতেই লাহোর আসা।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৭৯ comments
Dablu - ১০ মে ২০০৯ (৫:৩১ অপরাহ্ণ)
জনাব চৌধুরী চিরকাল আমার অত্যনত্ প্রিয় লেখক। তালেবানরা পাকিসতানের নিজসব্ সৃষট Frankestein । সুতরাং ভোগানতি্ তাদের হবেই, আমাদের করার কিছুই নেই কেবল সহানুভূতি প্রকাশ ছাড়া। তবে আমাদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে বাংলাদেশ যাতে তালেবান মুকত্ থাকে। যেকোন ধরণের শৈথিল্য সমূহ বিপদের কারন হতে পারে।
মাসুদ করিম - ১০ মে ২০০৯ (৬:৩০ অপরাহ্ণ)
dailytimes.com.pk-র এডিটরিয়াল পাতা থেকে নেয়া ফারিহা জাফরের লেখাটিও পড়া যেতে পারে।
Opinion: Beyond belief —Dr Fareeha Zafar
A clear and consistent policy is required from the key decision makers, one that is not held hostage by personal agendas. How quickly we are able to move beyond our beliefs and recognise the danger to ourselves, the community and the state will determine our future
The area that is now Pakistan has repeatedly been invaded, mostly through its northern and western passes. Since 1800 BC, when the Aryans came to this part of the subcontinent, Persians, Greeks, Sakas, Parthians, Kushans, Huns, Arabs, Afghans, Turks, Mongols and the Mughals have followed suit.
Marauding, killing and imposition of the invaders’ culture and value systems has been part and parcel of these incursions. However, with the exception of a few, the invaders did not aim to decimate the local population, which to a large extent continued to follow its own customs and traditions, in addition to assimilating what they saw as beneficial.
Thus the more positive aspects of these invasions remain with us today in the form of monuments and artifacts, together with language, literature, music and dance.
Though from the same direction, the current wave of Talibanisation is in no way as benign as what had occurred in the past. For one, it is using religion to win hearts and minds; and second, it seeks to destroy what exists and to enforce a primitive mandate as determined by them.
In that, the Taliban are somewhat akin to the Huns and the Mongols, who devastated communities, burnt and pillaged settlements and fields, and ransacked libraries and sites of education. Furthermore, the Taliban have, over the years, sunk their roots in this region and have access to better, more sophisticated weapons than the civilian security institutions.
Notwithstanding the games being played by different national and international actors, the clear and present danger is from the Taliban, who are a threat to all sections of society. For the better off, the Taliban are threatening their way of life, but for the poor and marginalised, they are an even greater danger as they target potential earning hands and send them to their death.
Having come of age in an inhuman environment, it is irrational to expect the Taliban to sit around a table and resolve contentious issues through discussion and dialogue. Anarchy, not order, suits them; treachery, not honesty, feeds them; and violence, not peace, is what they understand.
This is epitomised by the virulent propaganda launched against the West by the Taliban while they increasingly rely on the products of western science and technology, from AK-47s, grenades and rocket launchers to mobile phones, computers, automobiles and even medicines. None of these were invented by them or the Muslims whose cause they claim to espouse. The Taliban’s only innovation has been to transform poor, young and illiterate boys into human bombs, making a mockery of the golden age of Islam.
It is difficult to comprehend how anyone can justify such acts in the name of religion. Can anyone use the term sharia to justify beheading and flogging people, taking away all freedoms, especially from women, and burning schools? What happened to the free will so oft quoted as the sine qua non of Islam? That in no district of the NWFP has the local population welcomed the Taliban is prima facie evidence that rather than capitulating, the government should not have legitimised the illegal actions and demands of the Taliban.
The impact of decades of poor quality education coupled with daily sermons from bigoted mullahs whose only focus has been to terrorise and divide communities using different versions of the same religion is evident from the irrational reaction of many believers to the mention of ‘sharia’. Fear has replaced the spiritual comfort generally sought from religion. And for some, this fear is greater than the guns of the Taliban.
The inability to question or think, arising from ignorance and a herd mentality that has overtaken many god-fearing people, is what the Taliban are taking advantage of. That they are able to use a pre-Islamic version of religion to paralyse the people, the economy and the state points to the confusion that exists at all levels. Meanwhile, leaders of the main political parties are unable to settle their differences to jointly meet this threat, and elected representatives continue to vie for petty positions and perks.
Clearly, in a country that is 98 percent Muslim, the issue is not one of religion but of power. If a group of bandits wants power, should it just be handed over as has been done in Swat?
The expansionist designs of the Taliban have been exposed as has been the rationale behind it, which is to spread an ideology based on violence, intolerance, ignorance, and the reduction of women and girls to sex objects by barring them from the outside world. In short, they select the worst the West has to offer while rejecting the best. In the language of the Taliban, jihad, shahadat, and izzat have acquired a different meaning with the gun replacing the book as the symbol of Islam.
It is now common knowledge that the American and Pakistani establishments created the Taliban, but their willingness to contain them has been less evident. Even though the intelligence services knew how many Taliban had entered an area, they were at times reluctant to apprehend them. And a military trained in conventional warfare did not change its direction, strategy and approach despite this growing threat, though there seems to be a shift given the recent developments in Swat. Nor have they recognised the fact that the real threat to the state is from the western border. Despite being porous, the Durand Line is, nonetheless, shifting eastwards. ‘Strategic depth’ has not gone according to plan.
A clear and consistent policy is required from the key decision makers, one that is not held hostage by personal agendas. How quickly we are able to move beyond our beliefs and recognise the danger to ourselves, the community and the state will determine our future.
Dr Fareeha Zafar is director of the Society for the Advancement of Education
মাসুদ করিম - ১১ মে ২০০৯ (৪:০১ পূর্বাহ্ণ)
রিফিউজি ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো না হলে তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হেরে যেতে হবে। আজকরে এডিটরিয়াল পাকিস্তানের ডেইলি টাইমসে:
Editorial: We may be defeated by refugee camps
Prime Minister Yousaf Raza Gilani says the Swat operation is a fight for the “survival of Pakistan”. True. But we could be defeated in this fight by the developing crisis of the refugee camps in Mardan and elsewhere in the NWFP unless we do some emergency reorganisation. When the provincial government asked the people of the Malakand region to leave their homes to give the Pakistan Army a chance to take on the Taliban without too much collateral damage, the local population readily agreed. But their reception at the camps is turning out to be a trauma they did not anticipate.
The camps have been hurriedly put together in Mardan, Swabi and other places in the NWFP, and first reports are not very heartening. Around 200,000 have moved out of the target areas; an additional 300,000 are on the move and are expected to reach the camps by the beginning of the week. They will have joined the earlier 500,000 that fled the conflict zone and have been absorbed in various parts of the province, including the old deserted refugee camps used by the Afghan refugees in the past. That makes a total of one million refugees. The NWFP government projects a figure of 1.5 million as the war in Swat goes into attrition.
The National Disaster Management Authority (NDMA) disagrees with the numbers on the basis of registration because registration is the only way you can officially compute the size of displacement. It is true that many Swatis and people from other areas have moved in with their relatives outside the region but the coming flood of refugees is mostly going to be looked after by the state of Pakistan. The prime minister has already given Rs 1 billion to the NWFP government but it is organisation and expert handling that is missing. The first images appearing on the TV channels tell us that both are in short supply.
If this is the case, we may be defeated by the Taliban because of the refugee camps. We had a much better record of handling the displaced persons after the 2005 earthquake in Azad Kashmir and parts of the NWFP. Have we forgotten the lessons? The 2005 earthquake was a sudden natural calamity and we could not have organised rescue and settlement beforehand. Adverse publicity of government performance went on for weeks before organisation caught up with the homeless. Beyond 2005, we had decades of experience of handling the Afghan refugees most of whom were lodged in the NWFP. Where has that expertise gone?
The plight of the first arrivals in the camps in Swabi and Mardan is quite pathetic. Coming from a cold area they are specially affected by the hot weather. The camps are pitched in open fields with only tent canvas to fend against the summer sun. Despite claims by officers, there is no clean drinking water, which is what the refugees need in the scorching heat to which they are not used. Children are specially affected by the new conditions but medical facilities are absent at the camps. Registration itself is problematic. Because each family has to be issued a special permit before facilities can be made available, hundreds are lining up in front of a single man registering them and issuing permits. This in itself is suffering.
All this could have been avoided. The plan to take military action should have included detailed plans of looking after the displaced population. And that could have been prepared in light of the experiences of the Afghan refuge camps and the 2005 earthquake. More significantly, the NWFP government could have studied the flaws in the policy of looking after the displaced people of Bajaur after the recent operations there. There were positive and negative lessons to be learned there. Unfortunately, Pakistan has once again been found standing dazed with its pants down before a population of refugees.
The so-called “national consensus” against the Taliban is not total, but it is quite broad and inclusive. The plight of the refugee camps will not only strengthen the Taliban, it will erode the national consensus too. No major politician has visited the refugee camps as they painfully come into existence.
Editorial: We may be defeated by refugee camps
Prime Minister Yousaf Raza Gilani says the Swat operation is a fight for the “survival of Pakistan”. True. But we could be defeated in this fight by the developing crisis of the refugee camps in Mardan and elsewhere in the NWFP unless we do some emergency reorganisation. When the provincial government asked the people of the Malakand region to leave their homes to give the Pakistan Army a chance to take on the Taliban without too much collateral damage, the local population readily agreed. But their reception at the camps is turning out to be a trauma they did not anticipate.
The camps have been hurriedly put together in Mardan, Swabi and other places in the NWFP, and first reports are not very heartening. Around 200,000 have moved out of the target areas; an additional 300,000 are on the move and are expected to reach the camps by the beginning of the week. They will have joined the earlier 500,000 that fled the conflict zone and have been absorbed in various parts of the province, including the old deserted refugee camps used by the Afghan refugees in the past. That makes a total of one million refugees. The NWFP government projects a figure of 1.5 million as the war in Swat goes into attrition.
The National Disaster Management Authority (NDMA) disagrees with the numbers on the basis of registration because registration is the only way you can officially compute the size of displacement. It is true that many Swatis and people from other areas have moved in with their relatives outside the region but the coming flood of refugees is mostly going to be looked after by the state of Pakistan. The prime minister has already given Rs 1 billion to the NWFP government but it is organisation and expert handling that is missing. The first images appearing on the TV channels tell us that both are in short supply.
If this is the case, we may be defeated by the Taliban because of the refugee camps. We had a much better record of handling the displaced persons after the 2005 earthquake in Azad Kashmir and parts of the NWFP. Have we forgotten the lessons? The 2005 earthquake was a sudden natural calamity and we could not have organised rescue and settlement beforehand. Adverse publicity of government performance went on for weeks before organisation caught up with the homeless. Beyond 2005, we had decades of experience of handling the Afghan refugees most of whom were lodged in the NWFP. Where has that expertise gone?
The plight of the first arrivals in the camps in Swabi and Mardan is quite pathetic. Coming from a cold area they are specially affected by the hot weather. The camps are pitched in open fields with only tent canvas to fend against the summer sun. Despite claims by officers, there is no clean drinking water, which is what the refugees need in the scorching heat to which they are not used. Children are specially affected by the new conditions but medical facilities are absent at the camps. Registration itself is problematic. Because each family has to be issued a special permit before facilities can be made available, hundreds are lining up in front of a single man registering them and issuing permits. This in itself is suffering.
All this could have been avoided. The plan to take military action should have included detailed plans of looking after the displaced population. And that could have been prepared in light of the experiences of the Afghan refuge camps and the 2005 earthquake. More significantly, the NWFP government could have studied the flaws in the policy of looking after the displaced people of Bajaur after the recent operations there. There were positive and negative lessons to be learned there. Unfortunately, Pakistan has once again been found standing dazed with its pants down before a population of refugees.
The so-called “national consensus” against the Taliban is not total, but it is quite broad and inclusive. The plight of the refugee camps will not only strengthen the Taliban, it will erode the national consensus too. No major politician has visited the refugee camps as they painfully come into existence.
নীড় সন্ধানী - ১১ মে ২০০৯ (৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তান সম্পর্কে আজ দুটি কথা বেশী বলতে ইচ্ছে হয়ঃ
১. পাকিস্তানের আকাশে এখন আফগান আবহাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে।
২. পাকিস্তান এখন ভুতের পায়ে হাঁটছে।
জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তান একটা অভিশপ্ত অবাস্তব রাষ্ট্র। ধর্মের লেবাসে শকুনের দল বারবার ক্ষমতায় এসেছে। পঞ্চাশ বছর ধরে পাকিস্তান সেই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়নি। আগামী পঞ্চাশ বছরেও হবে কিনা সন্দেহ আছে।
আজকের আফগানিস্তানের সৃষ্টি পাকিস্তানের মতলববাজ শাসকদের হাতেই। তালিবান পাকিস্তানেরই সৃষ্ট ফ্রাংকেনষ্টাইন। মেরী শেলী বেঁচে থাকলে তার কাল্পনিক সৃষ্টির রাষ্ট্রীয় রূপ দেখে শিউরে উঠতেন নিঃসন্দেহে।
পাকিস্তানের আকাশে যখন মার্কিন বিমান উড়াউড়ি শুরু করেছে, ৬ মাসের মধ্যে পাকিস্তান ইরাক পরিনতির দিকে এগিয়ে গেলে বিস্মিত হবার কিছু নেই। ইরাক অভিযানে পরমানু বোমার অস্তিত্ব একটা অজুহাত ছিল, এখানে সত্যি পরমানু বোমা নিয়ে বসে আছে পাকিস্তান। মার্কিন হাত তাই অনেক গভীরে ঢুকে যাবে। পাকিস্তানকে স্বাধীন(!) করার জন্য মেরিন সেনারা অবতরন করা হয়তো সময়ের ব্যাপার।
সে যাকগে।
পাকিস্তান নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু পাকিস্তানের এদেশীয় প্রেমিকদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা হয়। এদেশের নিরক্ষর ভন্ড উগ্র ইসলামী শক্তি বাংলাদেশকে জেগে ঘুমিয়ে তালেবানী রাষ্ট্র বানাবার স্বপ্নে বিভোর। তারা ইসলামের কোন উপকার করতে না পারলেও বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে দিতে ওস্তাদ।
আমাদের এখন ঘর সামলাতে হবে। ঘর গুছিয়ে রাখতে হবে। মন্দার তাড়নায় অস্থির আমরা আর জঙ্গী উৎপাত সহ্য করতে পারবো না। ঘরের শত্রুদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। যদি না ওদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে পোষাক পাল্টে মুজিবকোটের ভেতর ঢুকে না যায়।
মাসুদ করিম - ১৪ মে ২০০৯ (৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
ফারুক চৌধুরীর লেখাটির আজ শেষ কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোয়।
কিছুদিন আগে কোথায় যেন ভারতীয় লেখক রামচন্দ্র গুহের ‘লাহোর ডায়েরি’ পড়েছিলাম, এতই ভালো লেগেছিল আমার কম্পিউটারে এই ছোট্ট অংশটুকু সেইভ করে রেখেছিলাম।
নিজামউদ্দিন - ১৭ মে ২০০৯ (১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ)
রামচন্দ্র গুহ-র লেখায় অদ্ভুত এক প্রাণশক্তি আছে। ব্যর্থ রাষ্ট্র হলো পশ্চিমা প্রোপাগান্ডা। আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ব্যাপারে সবসময় উদ্বিগ্ন হতে চাই। রাজু নামে এক পাক মেরিন এঞ্জিনিয়ার আমাদের সমুদ্র উপকূলে বহির্নোঙর করেছে। তার সাথে যখন কথা বলি, আমি তার মধ্যে আমার মতোই কাউকে খুঁজে পাই।
মোহাজের, পাঞ্জাবি, বালুচ — সবার জীবনধারা আর ধর্মচর্চা এক না। আমাদের দেখতে হবে মানুষ আর মানবতা। ধর্ম কখনোই বিচারের মাপকাঠি হতে পারে না। শিগগিরই রাজু চট্টগ্রামে আসছে। অপেক্ষা করছি কবে তার কাছ থেকে তার দেশের গল্প শুনব। সে যখন কথা বলে, আমার প্রাণে উষ্ণতাই অনুভব করি।
মাসুদ করিম - ২১ মে ২০০৯ (১:৩৬ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের ডেইলি টাইমসে পাকিস্তানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাজম শেঠির আজকের সম্পাদকীয়।আলোচনা করেছেন কেন ফ্রান্স পাকিস্তানের সাথে পারমাণবিক প্রযুক্তির কৌশলগত অংশীদারিত্ব চাইছে, যেমন আমিরিকা ভারতের পারমাণবিক প্রযুক্তির কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে।আমার প্রশ্ন অবশ্য Nuclear Non-Proliferation Treaty (NPT)-কে এড়িয়ে আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন কেন ইদানিং অনবরত পছন্দের দেশের কৌশলগত অংশীদার হওয়ার ঝুঁকছে? এটা কি NPT-র পাঁচ সদস্য আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়া–এদের মধ্যে আভ্যন্তরীন কোন্দলের ফলাফল?
দ্বিতীয় সম্পাদকীয় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে। তবে আমার মনে হয় না মনমোহন সিং-কে যত শক্তিশালী ভাবা হচ্ছে তিনি তত শক্তির পরিচয় দিতে পারবেন। তাকে আজ্ঞাবহ চরিত্রেই দেখা যাবে। তিনি আজীবন তাই ছিলেন। তার চরিত্রের অসাধারণত্ব হচ্ছে তিনি সততার অবতাররূপী চিরন্তন আজ্ঞবাহী। তিনি সেই মনমোহন যিনি বুশকে বলেছিলেন”ভারতবাসী আপনাকে ভালোবাসে। সিং গান্ধী ডাইনেষ্টির প্রায়শ্চিত্তের পুতুল, শিখ নির্যাতনকারীরা তাকে শ্রেষ্ঠতা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করছেন। কাজেই সিং-এর ওপর ভরসা করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের কোনো আঞ্চলিক সমাধান হবে না, আর্ন্তজাতিক সমাধান অবশ্য প্রতি মিনিট প্রতি সেকেন্ডেই হবে।
altafhosen - ২৬ মে ২০০৯ (১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
`আমাদের দেখতে হবে মানুষ আর মানবতা। ধর্ম কখনোই বিচারের মাপকাঠি হতে পারে না।’
জনাব নিজামউদ্দিনের এ কথা খুব খাঁটি। কিন্তু উপমহাদেশটি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠেছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িরই কারণে। এখনো দেখুন না মেয়েদের দোররা মারার ঘটনা ঘটছে এদেশে, যদিও তা বেআইনী, পরোয়া করছে না ধর্মান্ধরা। ভারতে আজ, ২৬ মে. শিখরা কেমন ধ্বংসাত্মক কাণ্ড ঘটাল ভিয়েনার একটি ঘটনার প্রতিবাদে – ধর্মই ছিল মূলে। সুতরাং মানুষকে অন্ধকার থেকে কীভাবে উদার ও সহিষ্ণু করে আলোতে নিয়ে আসা যায় তার চেষ্টা করে যাওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় আজ।
মানবের জয়গানে মুখরিত হোক সকল ব্লগ, সকল প্রকাশনা—এমন কামনা করি।
মাসুদ করিম - ২৭ মে ২০০৯ (৭:২৭ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সৈন্যের ভারী সমাবেশ, এ নিয়ে লিখেছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক ইজাজ হায়দার।আমি এ সূত্রে কোনো ভারতীয় সাংবাদিকের লেখা খুঁজছি,পেলে তাও এখানে তুলে দেব।
মাসুদ করিম - ২৭ মে ২০০৯ (১২:৩৫ অপরাহ্ণ)
ভারতীয় সাংবাদিক অশোক কে মেহতার একটি লেখা পাওয়া গেল।দুদেশের সাংবাদিকদের চাওয়া পাওয়া দেখি একেবারে সাপে-নেউলে।
মাসুদ করিম - ৩১ মে ২০০৯ (৪:১০ পূর্বাহ্ণ)
ইসলমাবাদ, ৩০ মে–তালিবান দখল থেকে সোয়াত উপত্যকার প্রধান শহরকে মুক্ত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তুমুল সংঘর্ষের পর শনিবার মিঙ্গোরার দখল নেয় পাকিস্তানি ফৌজ। শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বৃহ্ষপতিবার সোয়াত উপত্যকার বেহরেন এবং পিওচারও মুক্ত করেছিল জওয়ানরা। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে উগ্রপন্থীদের দখল থেকে মুক্ত এলাকাগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে তল্লাশির কাজও। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে জারি সামরিক অভিযানে ১হাজার ২০০জন তালিবান উগ্রপন্থী ও ৮০জন জওয়ানের মুত্যু হয়েছে।প্রসঙ্গত,গত ২৬ এপ্রিল ডির, ২৮ এপ্রিল বুনের এবং ৮ মে সোয়াতে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল সেনাবাহিনী। শনিবার মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস জানিয়েছেন, সোয়াত উপত্যকার কিছু এলাকায় উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ এখনো জারি রয়েছে।–পিটিআই
মাসুদ করিম - ১৩ জুন ২০০৯ (৯:৪১ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তানে রাজনৈতিক ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কী করে বিশ্বাসনির্ভর ফ্যাসিজমের দিকে চলে গেছে, এ নিয়ে ডন.কম ব্লগে নাদিম এফ. পরচা লিখেছেন মওদুদীর সন্তানেরা– Maududi’s Children. আমাদের দেশের মওদুদীর সন্তানেরাও তো আছে দুধে-ভাতে। তারা যে আমাদের কোথায় নিয়ে এসেছেন আর কোথায় যে নিয়ে যাবেন, আঁচ করা যাবে এ ব্লগ থেকে।
মাসুদ করিম - ৯ আগস্ট ২০০৯ (৬:১৭ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তান নিয়ে ভারতীয় তিন সাংবাদিকের অতিসাম্প্রতিক ৩টি পোস্ট : এম জে আকবর, শেখর গুপ্ত, ভির সাঙ্ঘভি। অথবা একসাথে আউটলুক ইন্ডিয়ায় সুনদীপ দুগালের ব্লগে : পাকিস্তান। পাকিস্তান। পাকিস্তান।
মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০০৯ (৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ)
শেখর গুপ্তের লেখার প্রত্যুত্তর দিয়েছেন পাকিস্তানের সাংবাদিক ইজাজ হায়দার। পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১১ আগস্ট ২০০৯ (১০:০১ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তানের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মোহাম্মদ হানিফ লিখেছেন গার্ডিয়ানে Mohammad Hanif on His Homecoming to Pakistan.
মাসুদ করিম - ১৫ আগস্ট ২০০৯ (২:০০ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তানের উর্দু পত্রিকার কলামিস্টদের নিয়ে লিখেছেন সি.এম.নাইম আউটলুক ইন্ডিয়ায়।
মাসুদ করিম - ১ নভেম্বর ২০০৯ (৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ)
সম্প্রতি পেশোয়ারের এক ব্যাস্ত বাজারে সংঘটিত কারবোমা বিস্ফোরণটি ছিল নতুন ধরনের তালিবানি হামলা, এভাবে জনাকীর্ণ বাজারে আগে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়নি। এতে প্রায় ১০০ জনের মতো নিহত হয়েছে এবং দুশতাধিক আহত, আর নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ‘দি হিন্দু’র স্লাইডশো।
মাসুদ করিম - ২৮ নভেম্বর ২০০৯ (১:৩১ পূর্বাহ্ণ)
প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ও শান্তিকর্মী আর পাকিস্তানের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সমর্থক প্রফেসর এ. এইচ. নাইয়ার তালিবান, গণতন্ত্র ও পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে কথা বলছেন প্রবীর পুরকায়স্থের সাথে। ইউটিউব থেকে, ক্লিপটি দুটি অংশে বিভক্ত, এখানে প্রথম অংশ আর এখানে দ্বিতীয় অংশ।
মাসুদ করিম - ২১ মে ২০১০ (১২:৪৬ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের বিখ্যাত টিভি সংবাদ উপস্থাপক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক হামিদ মিরের সাথে এক অজ্ঞাতপরিচয় তালিবানের কথিত কথোপকথনের অডিওটেপ প্রকাশ হওয়ার পর এখন পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম তালিবান, সাংবাদিক, আইএসআই, সিআইএ, মিডিয়া কর্পোরেশন, কাদিয়ানি, ভারত, ইসরাইল, আমেরিকা এসব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র এবং এদের ভুমিকা নিয়ে সবাই বিতর্কে মশগুল। এখানে পড়ুন Hamid Mir’s terrifying indiscretions।
এনিয়ে ডেইলি টাইমসের সম্পাদকীয়
হামিদ মিরকে নিয়ে ‘সাবির’-এর কার্টুন।
দি নিউজ পত্রিকায় প্রকাশিত হামিদ মিরের উকিল নোটিস।
মাসুদ করিম - ১৪ জুলাই ২০১০ (৬:২৭ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানে যুদ্ধরত ‘হাক্কানি নেটওয়ার্ক’কে আমেরিকা সন্ত্রাসী তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করতে পারে। বিস্তারিত পড়ুন : U.S. May Label Pakistan Militants as Terrorists।
মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০১০ (১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কায়ানির যদি মনে হয়ে পাকিস্তানের তালিবানায়ন বন্ধ করতে হবে, তিনি কি পারবেন সেই ডাক দিতে… পড়ুন এখানে… সে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে।
মাসুদ করিম - ২৪ জুলাই ২০১০ (১২:২৬ পূর্বাহ্ণ)
এই নভেম্বরেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাকিস্তানের ‘প্রো-ডেমোক্রেটিক্যাল’ সেনাপ্রধান কায়ানি থেকেই যাচ্ছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গিলানি এক নাটকীয় ‘শো-অফ’-এর মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্য টিভি ভাষণ দিয়ে কায়ানির মেয়াদ ২০১৩ পর্যন্ত বাড়ালেন। পড়ুন আরিফ রফিকের The Kayani era continues।
মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (১০:৫২ পূর্বাহ্ণ)
পাঁচটি কারণ যেজন্য পাকিস্তানের মিলিটারি সিভিলিয়ানদের ওপর জেঁকে বসে আছে, এবং যেপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই, সেই জিন্নার সময় থেকেই।
এখানে পড়ুন বিস্তারিত। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে শুধু তৃতীয় কারণটাই আংশিক, আমাদের স্বাধীনতা আমাদেরকে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’-এর আমেরিকার মিত্রের অবস্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আর সব কারণ আমাদের ক্ষেত্রে বর্তমান, কাজেই এই পাঁচটি কারণকে মুখ্য ধরে আমরাও আর্মি-সিভিল সম্পর্ক উন্নয়নের কথা ভাবতে পারি।
মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০১০ (১০:০৪ পূর্বাহ্ণ)
‘দি হিন্দু’তে প্রবীণ সোয়ামির কলাম : কায়ানির নীরব ক্যু।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১০ আগস্ট ২০১০ (২:০২ অপরাহ্ণ)
হু জিনতাও, ওয়েন জিয়াবাও-এর ঘনিষ্ঠ জারদারি, দেশের দুর্যোগে কিভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়, তার চীনা বন্ধুদের কাছ থেকে তার কিছুই শেখেননি। ডন এর সম্পাদকীয় ও আরো আরো সমালোচনা আজ তাকে ইউরোপ সফর থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। ডন-এর সম্পাদকীয়তে পশ্চিমের বিশেষ করে ওয়াশিংটন ও লন্ডনের ত্রাণ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু নিকট প্রতিবেশীদের কারো কাছে ত্রাণ চাওয়া হয়নি। চীন ও সৌদিআরবের কাছে চাইতে হবে না, তারা দেবেই। কিন্তু প্রতিবেশীদেরও উল্লেখ থাকা উচিত ছিল।
আর প্রতিবেশীদের উচিত কে চাইল না চাইল ভেবে এথনই পাকিস্তানে ত্রাণ পাঠানো। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করব, পাকিস্তানের এই ভয়াবহ বন্যায় প্রতিবেশীর সাহায্যে এগিয়ে আসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, বেসরকারী অনুদান গ্রহণ ও প্রেরণে সুযোগ করে দিয়ে অচিরেই একটা ত্রাণ সেল গঠন করে ও উপদ্রুত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাকিস্তানের বন্যাপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আর এক্ষেত্রে ভারতও বড় অবদান রাখতে পারে, কারণ আমরা জানি এ অঞ্চলে অর্থনৈতিকভাবে তারাই সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
মাসুদ করিম - ১১ আগস্ট ২০১০ (২:৩০ অপরাহ্ণ)
চাইলেও তো মনে হচ্ছে ত্রাণ পাঠানো যাবে না। পাকিস্তান তালিবান সাহায্য গ্রহণ করবে না।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১১ আগস্ট ২০১০ (২:৩৩ অপরাহ্ণ)
তবে যাই হোক, এখানে দেখুন কিছু লিন্ক, এখানে আপনি পাকিস্তানের বন্যা দুগর্তদের জন্য টাকা পাঠাতে পারেন।
মাসুদ করিম - ১৪ আগস্ট ২০১০ (২:৪৫ অপরাহ্ণ)
বন্যার পর, জার্মান পত্রিকা ‘স্পিগেল’-এ পাকিস্তানের বন্যা নিয়ে ফটোগ্যালারি দেখুন এখানে।
মাসুদ করিম - ২৫ আগস্ট ২০১০ (৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
আলিফ-এ আল্লাহ (আগে ছিল আনার), বে-তে বন্দুক (আগে ছিল বকরি), জিম-এ জিহাদ ( আগে ছিল জাহাজ) এভাবে উর্দু অক্ষর ও শব্দের প্রথম পাঠ দেয়া হচ্ছে পাকিস্তানে। পাবলিক স্কুলের র্যাডিকেল পরিবর্তনের কথা লিখছেন আলি কে চিশতি। তার মতে এসবের মূল
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ৬ জানুয়ারি ২০১১ (৫:৩৭ অপরাহ্ণ)
সালমান তাসির হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের নাগরিকদের লজ্জাজনক প্রতিক্রিয়া নিয়ে মোহাম্মদ হানিফ লিখছেন
ব্লাসফেমি বা ইসলাম ধর্মের অবমাননার বা মুহম্মদকে অবমাননার একটা সাম্প্রতিক ঘটনা সম্বন্ধে জানাচ্ছেন মোহাম্মদ হানিফ
বিস্তারিত পড়ুন : How Pakistan responded to Salmaan Taseer’s assassination।
মাসুদ করিম - ৯ জানুয়ারি ২০১১ (৯:১৮ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানি কার্টুনিস্ট খালিদ হোসাইনের এই কার্টুনটির বাংলা ক্যাপশন করতে গিয়ে একটি শব্দই তৈরি করতে হল : তালিবানুড়ে। পশ্চিমাশক্তির পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখন প্রধান পরিচয় ওরা তালিবানুড়ে, তাদের সাথে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অনেক স্থানীয় তালিবানুড়ে, তার সাথে বিশ্বজুড়ে ইসলামি সম্প্রদায়ের মধ্যেও আছে অনেক তালিবানুড়ে, আছে উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ভারত জুড়ে অনেক তালিবানুড়ে। তালিবান তৈরির যুগ হয়ত শেষ হয়ে গেছে আসছে তালিবান বশীকরণের যুগ। সবাই মিলে পোষ মানাতে পারবে তো? তালিবানরা তালিবানুড়ের বাঁশি শুনে সাপের মত পোষ মানবে তো? সাপের মতোই তালিবানুড়েরা সাপের বিষদাঁত আগে ভেঙ্গে নিতে পারবে তো?
মাসুদ করিম - ৪ মে ২০১১ (১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
আমেরিকার অন্য দেশের ভূখণ্ডে বিচার বর্হিভূত লাদেন সংহার এবং এই হত্যাকাণ্ড বিষয়ে সেদেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনের বিবৃতির মাধ্যমে একথা বলা যে, ওই অপারেশন সম্পূর্ণ আমেরিকার — তাহলে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির অবস্থান কী দাঁড়াল? পাকিস্তান এবার সত্যিই রাষ্ট্রের পরিচয় হারাল। এই সংকট পাকিস্তানকে কোথায় নিয়ে যাবে? ওবামা লাদেনকে মারলেন না পাকিস্তান রাষ্ট্রকে?
মাসুদ করিম - ৭ মে ২০১১ (৪:৩৭ অপরাহ্ণ)
দেখে শুনে মনে হচ্ছে লাদেনকাণ্ডে আমেরিকা পাকিস্তান আর্মিতে নতুন কোনো মেরুকরণ করতে সমর্থ হয়েছে। কায়ানি-পাশা জুটি মনে হয় এখন অনেক দূরের মানুষ। আগামী জুলাইয়ে আমেরিকা আফগানিস্তান ছেড়ে আসবে। সেই সোভিয়েতের বিরুদ্ধে আফগান যুদ্ধে পাকিস্তান আর্মি যেমন ছিল আমেরিকার এক নম্বর শক্তি, এই জুলাইয়ের পরে যখন আফগানিস্তানকে সত্যিকার অর্থে জাতিরাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে — তখনও পাকিস্তান আর্মিকেই তার সবচেয়ে বড় শক্তি হিসাবে চাইছে আমেরিকা। এই পাকিস্তান আর্মিকে (সামান্য ভাগ সিভিল প্রশাসনকে) এপর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ১৮ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে আমেরিকা, আর লাদেনকে মারার আগ পর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ইরাকে আফগানিস্তানে আমেরিকার মোট খরচ হয়ে গেছে ২০০০ বিলিয়ন ডলার। এখন ওই আফগানিস্তানে জাতিগঠনের লক্ষ্যে নেমে পড়া ছাড়া আমেরিকার আর কিছুই করার নেই, আর এই কাজে ওর চাই একটা নতুন মেরুর পাকিস্তান আর্মি — লাদেনকাণ্ডের মাধ্যমে এই আর্মির ভেতরে সেরকম লোকজন পেয়ে গেছেই বলে মনে হচ্ছে আমেরিকা।
মাসুদ করিম - ২০ নভেম্বর ২০১১ (৯:০২ পূর্বাহ্ণ)
এই যে মন্তব্যটি করেছিলাম ৭ মে সম্পূর্ণ নিজের পর্যবেক্ষণে, এখন ‘মেমোগেট’ নামে যেখবর চাউর হয়েছে তাতে তো অন্য অর্থে আমার ওই পর্যবেক্ষণকে ঠিকই মনে হচ্ছে। পাকিস্তান আর্মিকে পরিবর্তনের প্রচেষ্টা তাহলে হয়েছিল, তাহলে সেই পরিবর্তন হয়নি কেন? হয়ত, ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের উচ্চক্ষমতাশালীরা রাওয়ালপিন্ডির মৌচাকে ঢিল ছোঁড়ার সাহস ও সদিচ্ছা আজো অর্জন করতে পারেনি।
পড়ুন : Pakistan’s memo-gate: the coup that wasn’t।
মেমোরেন্ডামটি পড়ুন, এখানে।
আরো পড়ুন : Secret Pakistani-U.S. memo offering overthrow of military leadership revealed।
মাসুদ করিম - ৭ ডিসেম্বর ২০১১ (১২:০৯ অপরাহ্ণ)
মেমোগেট-এর পথ ধরেই কি অসুস্থ জারদারি দুবাই-তে, বলা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, তিনি ইস্তফাও দিতে পারেন। অবশ্য গত সেপ্টেম্বরে লন্ডনে তার হৃদযন্ত্রের অবস্থা চমৎকার বলা হয়েছিল। সবই হাস্যকর! দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।
পড়ুন : Pakistan President Asif Ali Zardari suffers heart attack, may quit: Report।
মাসুদ করিম - ১২ জানুয়ারি ২০১২ (১০:৫০ পূর্বাহ্ণ)
হ্যাঁ, এর মধ্যে অনেক কিছুই তো হল ওই ‘মেমোগেট’ নিয়ে কিন্তু এখনও তো তেমন কিছু হল না, যাকে হওয়া বলা যায়। এই ‘মেমোগেট’ যুদ্ধে আর সব ইসলামাবাদ-রাওয়ালপিন্ডি যুদ্ধের মতো রাওয়ালপিন্ডিই জিতবে? আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা এর উত্তর পেয়ে যাব আশা করা যায়। উত্তরটার জন্য আমার অন্ধবাজি এবার ইসলামাবাদ জিতবে।
মাসুদ করিম - ১৮ মে ২০১১ (২:৫৬ অপরাহ্ণ)
যেরাষ্ট্রের বন্ধুত্বে পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি আস্থা, সেই চীন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে চায়। আর পাকিস্তান দেখাতে চায় তার আমেরিকা ছাড়াও অন্য সুযোগ আছে।
বিস্তারিত পড়ুন : China most-trusted friend of Pakistan: PM।
মাসুদ করিম - ২৭ মে ২০১১ (৬:১৭ অপরাহ্ণ)
কোথাও কেউ জানত ওসামা কোথায় লুকিয়েছিল, কিন্তু সেটা অবশ্যই জারদারি গিলানি কায়ানি বা পাশা নয়, অন্য কেউ — লাদেন হত্যকাণ্ডের পর আজ তার পাকিস্তান সফরে এমন কথাই বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিনটন। এভাবেই তিনি পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের clean chit দিলেন। কিন্তু সেসাথে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন সংগ্রামে পাকিস্তানের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাইলেন। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যা চাইলেন — তা হল পাকিস্তানকে ‘anti-americanism’ ত্যাগ করতে হবে। একেবারে ‘কাঁঠালের আমসত্ত’ই চাইলেন।
খবরের লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ৩১ মে ২০১১ (২:৪৭ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার গর্বকে পাকিস্তানি কলামিস্ট Saroop Ijaz বলছেন Atomic Bomb Complex ঠিক যেন ফ্রয়েড বিধৃত Phallic Complex । পাকিস্তানকে এই কমপ্লেক্স থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন কলামিস্ট। বোমা ও জেনারেলদের মধ্যে অনিবার্য মিলও খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন : Our atomic bomb complex।
মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১১ (২:১৬ অপরাহ্ণ)
মার্কিন – তালেবান আলোচনায় পাকিস্তান বাদ। আমেরিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হোসাইন হাক্কানি এতে অসন্তুষ্ট।
বিস্তারিত পড়ুন : Pakistan upset at being left out of US-Taliban talks।
মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০১১ (৯:৫২ পূর্বাহ্ণ)
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে গত শনি ও রোববারের জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড পাকিস্তান, একথা বলছে পাকিস্তানের বন্ধু চীন। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্ত ঘেঁষা পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার সাম্প্রতিক ইতিহাস আছে – ২০০৮-এর বেইজিং অলিম্পকের আগে আগে প্রথম বড় ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার জন্য আন্তর্জাতিক শিরোনাম হয় ‘বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ জিনজিয়াং। এই অঞ্চলে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম ‘পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামি আন্দোলন'(ই টি আই এম) এবং চীন সরকার বলছে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির প্রশিক্ষণ চলে পাকিস্তানের জঙ্গিদের তত্ত্বাবধানে। জিনজিয়াং ও অধিকৃত-কাশ্মীর সীমান্তে চীন-পাকিস্তান বাণিজ্যপথ আছে, তাই এই অঞ্চলে চীনের নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান আগের চেয়ে আরো সংহত করা হয়েছে।
খবরের লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০১১ (২:০২ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণাংশকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টির চিন্তা-ভাবনা চলছে। অনেকে বলছেন এমাসের মাঝামাঝি এই ঘোষণা আসতে পারে জারদারি সরকারের কাছ থেকে।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ (১২:৫৬ অপরাহ্ণ)
সেপ্টেম্বর ইলেভেনের এক দশক পূর্ণ হল। এ উপলক্ষে পাকিস্তানের তিনটি ইংরেজি পত্রিকার আজকের সম্পাদকীয় উদ্ধৃত করছি এখানে।
ডন লিখেছে
লিন্ক : Pakistan after 9/11।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন লিখেছে
লিন্ক : Life 10 years after 9/11।
ডেইলি টাইমস লিখেছে
লিন্ক : 9/11 and all that।
মাসুদ করিম - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ (৬:০৩ অপরাহ্ণ)
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী মেং জিয়ানঝু বলেছেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হবে চীন। আর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, চীনের শত্রু পাকিস্তানেরও শত্রু।
লিন্ক : China vows to stand by Pakistan।
মাসুদ করিম - ১ অক্টোবর ২০১১ (৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তানব্লগজিনএর ব্লগপ্রশাসক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পাকিস্তানের সিনিয়ির সামরিক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আর্জি জানিয়েছে। আর সেসাথে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে এরকম পাকিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যেখানে পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক প্রশাসনে কর্মরত ২ জেনারেল, ২৯ লেফটেনেন্ট জেনারেল ও ১৭০ মেজর জেনারেলের মধ্যে শুধু কয়েকজন মেজর জেনারেল ছাড়া আর সবার নামই নথিভুক্ত করা হয়েছে।
লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০১১ (২:৪৭ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের বামদের নিয়ে নাইর খান লিখছেন
লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ১৭ নভেম্বর ২০১১ (১:২০ অপরাহ্ণ)
অর্থনৈতিক সংকট মুক্ত থাকার টীকা আবিষ্কৃত হয়নি, কাজেই কোনো দেশই সংকট মুক্ত থাকবে না। আর বিশেষ করে পাকিস্তানের জ্বালানি খাতের যে দুরাবস্থা তাদের সামনে কঠিন সময়ই আসছে।
বিস্তারিত পড়ুন : Is Pakistan’s economy immune to crises?
মাসুদ করিম - ২৪ ডিসেম্বর ২০১১ (৫:৪৫ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের প্রাক্তন এক সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুশাররফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার(অবঃ) ইজাজ শাহ লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
খবরের লিন্ক এখানে।
মাসুদ করিম - ২২ জানুয়ারি ২০১২ (২:২৭ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন একটা টাইমলাইন প্রকাশ করছে, এনআরও(National Reconciliation Ordinance) থেকে মেমোগেট।
বিস্তারিত পড়ুন : Timeline: From NRO to Memogate।
মাসুদ করিম - ২৫ জানুয়ারি ২০১২ (১০:২৯ পূর্বাহ্ণ)
আইএসআই প্রধান সুজা পাশা ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মুশাররফের গোপন সাক্ষাৎ দুবাইয়ে।
লিন্ক : ISI chief secretly meets Musharraf in Dubai: sources।
মাসুদ করিম - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (৬:০৪ অপরাহ্ণ)
আজ করাচি সাহিত্য উৎসবের শেষ দিন, দুদিনব্যাপী এই উৎসব গতকাল শুরু হয়েছিল।
উৎসবের ওয়েবসাইট এখানে। উৎসব উপলক্ষে ইংরেজি দৈনিক ডনের লাইভ ব্লগ এখানে।
মাসুদ করিম - ৩ মার্চ ২০১২ (২:৩১ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের ১০৪ আসনের সিনেট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পিপিপি ও জোট ৭০ আসন নিশ্চিত করে তার অবস্থান আরো সংহত করেছে।
লিন্ক : Ruling coalition gains a foothold in Senate।
মাসুদ করিম - ১০ মার্চ ২০১২ (১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
বর্তমান আইএসআই প্রধান সুজা পাশা যখন প্রথম আইএসআই প্রধান নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০০৮এ সেসময়ের তার সহকারী জহির উল ইসলাম হলেন নতুন আইএসআই প্রধান, মার্চের ১৮ তারিখ তিনি দায়িত্ব বুঝে নেবেন সুজা পাশার কাছ থেকে। পাকিস্তানের নামীদামি জেনারেলদের কেউ নন এই নতুন আইএসআই প্রধান, তাই অনেকে তাকে ‘লো প্রোফাইল’ বলছেন।
লিন্ক : Gen Zahir to replace Pasha in ISI।
মাসুদ করিম - ২৮ মার্চ ২০১২ (১০:৩০ পূর্বাহ্ণ)
ইসলামের সবচেয়ে কালো হাত পাকিস্তানে কাজ করে, পাকিস্তানের সংখ্যলঘুদের মতো এত ভাগ্যাহত আর কেউ নেই, সেখানে হিন্দু খ্রিস্টানরা নতুন যে আতঙ্কে প্রতিনিয়ত পর্যুদস্ত হচ্ছেন — তার নাম বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, বিশেষত কিশোরী ও যুবতীদের এভাবে মুসলমান করে চলছে মুসলমানের সাথে বিয়ের উৎপাত, আর এটাই পাকিস্তানের কঠোর ইসলামবাদীদের নতুন সন্ত্রাস — সংখ্যালঘুদের ইসলামের মাটি থেকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার কর্মসুচি।
খবরের লিন্ক : Forced conversions hike Pakistani minorities’ fears।
মাসুদ করিম - ১ এপ্রিল ২০১২ (৬:৩৬ অপরাহ্ণ)
দৈনিক ডনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টাইমলাইন, Industry of manufactured violence – 2012।
লিন্ক : Industry of manufactured violence – 2012।
মাসুদ করিম - ৯ এপ্রিল ২০১২ (১:১৪ অপরাহ্ণ)
ভারত-পাকিস্তানের তো সমস্যার শেষ নেই, কিন্তু এই সিয়াচেন সমস্যাটা অদ্ভূত এবং এর দায় বেশি ভারতেরই। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু সেনাক্যাম্পে এসপ্তাহে প্রাণ হারাল ১৩০ পাকিস্তানি সৈন্য। এই বৈরী পরিবেশে কেন সেনাদের ও সেসাথে কিছু সিভিলিয়ানদের অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করা? ‘ডন’এর সম্পাদকীয়।
লিন্ক : Pointless conflict।
মাসুদ করিম - ৯ এপ্রিল ২০১২ (২:৩১ অপরাহ্ণ)
জারদারির আজমির সফর। সফরের শুরুতেই হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মধ্যাহ্নভোজ। এই সফরকে নিয়ে এনডিটিভির লাইভব্লগ।
এসফরে দৃশ্যত সবচেয়ে বড় ঘটনা হচ্ছে জারদারি আজমির দরগায় ১০লাখ ডলার চাঁদা দিয়েছেন। এত টাকা দরগাকে, ব্যক্তিগতভাবে!
মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০১২ (১২:০৪ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিন ডন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টাইমলাইন : Judiciary vs executive।
বিস্তারিত : Timeline: Judiciary vs executive।
মাসুদ করিম - ২০ জুন ২০১২ (৯:৫২ পূর্বাহ্ণ)
গিলানিকে নিয়ে জুডিসিয়ারি ও এক্সিকিউটিভের দ্বন্দ্বের অবসান হল গতকাল, ১৯ জুন ২০১২, সুপ্রিম কোর্ট গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিল। পড়ুন টাইমলাইন : Judiciary vs executive। দেখুন ও পড়ুন মাল্টিমিডিয়া : Gilani’s journey: From conviction to disqualification।
মাসুদ করিম - ২১ জুন ২০১২ (৩:০৩ অপরাহ্ণ)
এখন এটা সত্যিই টেনিস কোর্ট! পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পিপিপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত সংসদ সদস্য মখদুম শাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
লিন্ক : Arrest warrant issued against Makhdoom Shahabuddin।
মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১২ (১:৩২ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১২ (১:০৬ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১২ (১:১২ অপরাহ্ণ)
Timeline: History of US-Pakistan relations
মাসুদ করিম - ৫ জুলাই ২০১২ (২:৫০ অপরাহ্ণ)
হায় পাকিস্তান, হায় ইসলাম তোমার এই উগ্রতার শেষ কোনোদিনই কি হবে না?
লিন্ক : ধর্ম অবমাননা: পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা।
মাসুদ করিম - ১৩ জুলাই ২০১২ (২:১৩ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৫ জুলাই ২০১২ (৮:৫৪ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০১২ (১:১০ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৪ অক্টোবর ২০১২ (১০:০৮ পূর্বাহ্ণ)
Girls in an Islamabad school display a poster to show their support to Malala Yousufzai, who was shot on Tuesday by a Taliban gunman for her role in promoting girls’ education in the Swat Valley, Pakistan.
মাসুদ করিম - ৯ ডিসেম্বর ২০১২ (৬:৪১ অপরাহ্ণ)
আইএসআই কত কিছু যে করে! পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পের উজ্জীবনের বিতর্কেও আইএসআই! তাদের উদ্দেশ্য, not even a single scene or dialogue against the national interest could be allowed to be shown to the public.
মাসুদ করিম - ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ (৬:২৫ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানের জঙ্গিরা তাদের পোলিও টীকাকর্মীদেরও গুলি করে মেরে ফেলছে।
মাসুদ করিম - ২৩ ডিসেম্বর ২০১২ (১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
আবারো রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলা, এবার পেশোয়ারে, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সমাবেশে, এই হামলায় রাজ্যের এক মন্ত্রী ও তার সচিবসহ নয় জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
মাসুদ করিম - ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ (৬:৪৮ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৪ মার্চ ২০১৩ (১:১২ অপরাহ্ণ)
মুশাররফ ফিরছেন আজ পাকিস্তানে।
মাসুদ করিম - ২৪ মার্চ ২০১৩ (৬:০২ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১০ এপ্রিল ২০১৩ (৫:০২ অপরাহ্ণ)
পাকিস্তানি জঙ্গিদের মধ্যে সেই সমৃদ্ধিশালী পাঞ্জাবিরাই বেশি, সাধারণত মনে করা হত হতদরিদ্র প্রদেশগুলোর নিঃগৃহীত জনজাতিরাই তালেবানের সহজ রিক্রুট — ভুল, শহরের মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের শিক্ষিত ছেলেদের দ্বারাই পাকিস্তানের ‘পবিত্র’ প্রক্সি সেনাবাহিনী অধ্যূষিত। কাজেই শুধুই দরিদ্র জনজাতি মাদ্রাসা এতিম সমীকরণে আবদ্ধ হয়ে থাকলে ভুল হবে। আয়েশা সিদ্দিকা তো এটাকে “social pop culture” বলে অভিহিত করেছেন। কাজেই ভাবনার পরিসর আরো বাড়াতে হবে, দারিদ্র দূরীকরণের কার্যক্রমের পাশাপাশি ‘বিশ্বাস’ নিয়ে আমাদের মধ্যবিত্তের উচ্চবিত্তের বাড়াবাড়িকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত নিহত ৯০০ লস্কর-ই-তৈবার কর্মীদের জীবনী বিশ্লেষণ করে পরিচালিত অনুসন্ধানের ফলাফল এমনই সিদ্ধান্ত দিচ্ছে যে, পাকিস্তানের শিক্ষিত তরুণেরাই বিপদজনক জঙ্গিত্বে আকর্ষিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
মাসুদ করিম - ৮ মে ২০১৩ (৪:০২ পূর্বাহ্ণ)
আর দুদিন পরে ১১ মে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় চার মাস ধরে চলছে ভয়ানক প্রাক-নির্বাচনী সন্ত্রাসী হানা। টাইমলাইন সর্বশেষ সর্বনিম্নে এভাবে সন্নিবেশিত।
মাসুদ করিম - ৮ মে ২০১৩ (১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই, তারপরও নোয়াম চমস্কির সাক্ষাৎকার বলে কথা, তাও আবার পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে। আমি ছাড়া ছাড়া পড়ে গেছি, আপনি কিভাবে পড়বেন — আপনার ব্যাপার। আরো পড়ুন।
মাসুদ করিম - ৮ মে ২০১৩ (১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ)
পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রচারকে জঙ্গি হানার লক্ষ্য করে রক্তবন্যা বইয়ে দিচ্ছে তেহরিক-ই-তালেবান ও অন্যান্য চরমপন্থী ইসলামবাদী সন্ত্রাসীরা। মূলত হামলা হচ্ছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট এই তিন দলের নির্বাচনী সমাবেশে। কিন্তু এতকিছুর পরও এই রাজনৈতিক দলগুলো একদিনের জন্যও তাদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করছে না। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক এই দলগুলোর সাহসী অগ্রযাত্রা তাদেরকে কী ফল এনে দেবে ১১ মে’র নির্বাচনে? অনেকে যদিও আশা করছেন তালেবানদের সহযোগিতা পেয়ে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ ও ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ ভাল ফল করবে — কিন্তু অনেকে মনে করছে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রচার চালিয়ে যাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টই ভাল ফল করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমারও মনে হচ্ছে ওই তিনটি দলই ভাল ফল করবে। আরো পড়ুন।
মাসুদ করিম - ১৩ মে ২০১৩ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)
না, তেহরিক-ই-তালেবানের বাধায় কাজ হয়েছে এবং তার চেয়েও বড় কথা পাঞ্জাবের ভোটাররা নওয়াজ শরিফের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করেছে এবং অকাতরে ভোট দিয়েছে। পাকিস্তানের সরাসরি ভোটের ২৭২ সংসদীয় আসনের ১৪৮ আসনই পাঞ্জাবে, আর এখানেই এখনো পর্যন্ত ১১০ আসনে জয়ী হয়েছে নওয়াজ শরিফের দল, আর এর উপর ভর করেই একক ভাবে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় ১৩৭ আসনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ(নেওয়াজ)। কাজেই বিশেষজ্ঞদের নির্বাচনের ফলে ঝুলন্ত সংসদ হবে এবার পাকিস্তানে এই বিশ্লেষণ সম্পূর্ণই মার খেয়েছে। আরো পড়ুন।