কিন্তু বাংলাদেশের কাছে ন্যামের একটা গুরুত্ব আছে। এবং এবার ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই ইরানকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে।[...]

বৈশ্বিক দক্ষিণ দরিদ্র এতে কোনো সন্দেহ নেই। ন্যামের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র বৈশ্বিক দক্ষিণ -- আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়ায় অবস্থিত। তাই ন্যামের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র দূরীকরণে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা। কিন্তু সেসহযোগিতা তেমন করে চোখে আমাদের পড়েনি। উল্টো জি-২০, ব্রিকস, আসিয়ান, অ্যাপেক, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন অনেক বেশি সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ন্যামের প্রভাবশালী বিভিন্ন রাষ্ট্রকে ব্যস্ত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে ন্যামের একটা গুরুত্ব আছে। এবং এবার ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন যেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই ইরানকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে পৌঁছার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে। ইরানকে গুরুত্ব দিতে হবে এজন্য যে, পাকিস্তান ভারতকে 'ট্রানজিট' দেবে না আর দিলেও সেপথে 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোর সাথে তুলা বাণিজ্য কতটুকু সম্ভব হবে সন্দেহ আছে। কাজেই বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তুলার জন্য বাংলাদেশ ইরানের সাথে বিশেষ সম্পর্কের প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে এই ন্যামেই। ইরানের আরো দুটো ক্ষেত্র বাংলাদেশের জন্য গুরুত্ব বয়ে আনতে পারে, অপরিশোধিত তেলের বিশাল ভাণ্ডার ইরান থেকে বাংলাদেশ তেল সংগ্রহ করে যৌথবিনিয়োগে তেল শোধনাগার করে বাংলাদেশে তেলের দাম আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে। ইরানের গাড়ি নির্মাণের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য ও সুনাম আছে -- যদিও তার বিশেষ প্রচার নেই। বাংলাদেশের গাড়ি ব্যবসায়ীরা ইরানের সাথে গাড়ি ব্যবসা ও পরবর্তীতে কারখানা স্থাপনের সুযোগ সহজে নিতে পারেন। কম দামী পণ্যের একটা বড় বাজার অপেক্ষা করছে 'স্তান'রাষ্ট্রগুলোতে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারকেরা বিপুল সম্ভাবনাকে ব্যবহার করতে পারে ইরানকে গেটওয়ে বিবেচনা করে। এবারের ন্যাম বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে স্ট্র্যাটেজিক ন্যাম -- কারণ এবার ন্যাম হচ্ছে ইরানে যেইরান মধ্যএশিয়ার জলপথহীন দেশগুলোর কাছে পৌঁছতে বাংলাদেশের একমাত্র বিকল্প, যেহেতু কেউ জানে না কোন অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তান তার আয়ত্বে থাকা 'রেশমপথ' সবার জন্য উন্মুক্ত করবে। আমরাও অনন্তকাল অপেক্ষা না করে সময়োপযোগী 'তুলাপথ' নির্মাণে ইরানকে বিশেষ সম্পর্কে আবদ্ধ করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ কূটনীতির প্রসার করতে যেন ব্যর্থ না হই। প্রাসঙ্গিক : বাংলাদেশের বৃহৎ সংঘ।

এটা একটা উজ্জ্বল শক্তি যা সঞ্জীব দত্তকে তার কালের শিল্পীদের অভিযাত্রায় এক প্রবল প্রাসঙ্গিকতা দেবে।[...]

রঙ তল অতিঅঙ্কন এসবের মধ্যেই আমি তুমি সে ইহারা কথা বলে। কথা বলা ও না বলার মধ্যে যেপার্থক্য সেটার মানসিক স্বাভাবিকত্ব এবং বস্তুর বিমূর্তায়ন যেপ্রত্যয়ে আবদ্ধ হয় – তার চরিত্র বা চরিত্রগুচ্ছ যখন একটি তল থেকে অপর একটি তলকে সম্পর্কের ভিত্তিতে পারস্পরিক অস্তিত্বে ও বস্তুত্বে সৃষ্টি করে, সেখানে পার্থব্য প্রতিশ্রুত হয়। সঞ্জীব দত্তের চিত্রকর্মের এই প্রত্যয় আমাকে গত কয়েক বছর নিয়োজিত রেখেছে। আমি তার শিল্পের ও কাজের ঘরের নিয়মিত দর্শক হিসেবে প্রায় সাত বছর অবিরাম যুক্ত থেকেছি। তিনটি একক প্রদর্শনী এই সময়কালে প্রণীত হয়েছে এবং সঞ্জীব দত্তের শিল্পকর্ম এক মুখরতার মৌতাত স্পর্শ করেছে। শিল্পী স্বয়ং ও শিল্পীর দর্শকেরা গল্পের খোঁজে যে যার মতো শিল্পবস্তুগুলো গুলিয়ে ফেলেছেন – তাদের গুলিয়ে ফেলা শিল্পবস্তুগুলো যখন তাদের চোখে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে, তখন শিল্পবস্তুগুলো দেয়ালহীন সংগ্রহশালায় উৎপাদন করেছে – সঞ্জীব দত্তের অবিনির্মাণ। সঞ্জীব দত্ত ঘন ঘন ইনার রিয়েলিটির কথা বলেন, আমি শুনি এবং বুঝতে চেষ্টা করি আমাদের ভোক্তা বাস্তবতা ভোগ্যপণ্যের সাথে কীধরনের মানসিক স্বাভাবিকত্ব ও বিমূর্ত আবেগের প্রত্যয় নিয়ে বাঁচে। একটি পণ্য ও তার নিয়ত গতিশীল লক্ষ্যকে প্রতিনিয়ত বুঝে নেয়ার স্বজ্ঞা সঞ্জীব দত্তের চিত্রতলকে বস্তু দর্শক শিল্পী সমাজ রাষ্ট্র বিশ্বের ব্যাপ্তিতে অবিনির্মাণ সূত্রে গেঁথে রাখে। http://www.flickr.com/photos/muktangon/sets/72157631350039670/show/ শিল্পীর পরিভাষা ও দর্শকের পরিভাষা দুটোই আমি তুমি সে ইহারার চিত্রকর্মের মতো অবিনির্মাণবাদী। সমাজ বাস্তবতার কলার খোসা এবার ফুটপাতেই পড়ে থাকুক বা ডাস্টবিনের সাথে ঘুঁটেকুড়ানো মানুষ বা কুকুর যত বিলগ্নই হোক – অ্যাপার্টমেন্টের স্তব্ধতা আকাশের চেয়েও আলোকিত বা আকর্ষণীয় বা নিঃসঙ্গ ক্রিয়াকলাপেই দাঁড়িয়ে থাকে। প্রশাসন যত না কাজের তার চেয়ে বেশি ধরে ধরে তোয়াজের। সন্ত্রাসবাদ যত না মাঠ পর্যায়ের তার চেয়ে বেশি সুবিন্যস্ত ছকে লক্ষ্যভেদের পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতার নির্দেশ পালনের। অর্থনীতি যত না উন্নয়নমুখী তার চেয়ে বেশি ফাঁদমুখী। সময়ের এই স্বয়ংক্রিয়তার অর্থভেদ নয় – নানা অর্থের প্রভেদ ও প্রয়োজন – এর পেছনে ঘুরে ঘুরে কাজ করে যাচ্ছে সঞ্জীব দত্তের অবিনির্মাণ। এটা একটা উজ্জ্বল শক্তি যা সঞ্জীব দত্তকে তার কালের শিল্পীদের অভিযাত্রায় এক প্রবল প্রাসঙ্গিকতা দেবে। শিল্পজগতের উত্তর প্রশংসাই হোক বা বিদ্রুপ – দেয়ালহীন সংগ্রহশালায় সঞ্জীব দত্তের শিল্পকর্ম থাকবে। তার চিত্রকর্মের সৃষ্টি ও পার্থব্য শিল্পদর্শকের কাছে পাঠাবে অবিনির্মাণ ভূমিকা।…

মন্দিরা বাজতে কোনো ভুল করছে না[...]

ডান হাতে বামের মন্দিরা তো ভালই বাজত, বামের হাতেও ডানের মন্দিরা বাজতে কোনো ভুল করছে না। কাল নিরবধি : বাম নিশ্চিন্তে চলে ডানের সাথে তিনিই মধ্য যিনি থাকেন উভয়সংকটে।

এই বাজার তোমাকেও ঋণপ্রদানে ইতস্তত করেনি[...]

হে ভিক্ষুক এই বাজার তোমাকেও ঋণপ্রদানে ইতস্তত করেনি, আজ বাজারকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে তুমিও ঝুলি উজাড় করে বাজারকে ঋণপ্রদানে বাধ্য তো থাকবে।

দর্শন, মহাকাব্য, জ্যামিতি ও থিয়েটারেরও আগে ছিল ক্রীড়ার সৌসাম্য।[...]

দর্শন, মহাকাব্য, জ্যামিতি ও থিয়েটারেরও আগে ছিল ক্রীড়ার সৌসাম্য। আমিও প্রবলভাবে ক্রীড়ার প্রতি শারীরিক গতি কৌশলের প্রতিযোগিতার প্রতি তীব্র মানসিক স্ফূর্তির প্রতি অনুপ্রেরণা বোধ করি। অপ্রতিরোধ্য কিন্তু স্বল্পায়ু গ্রিক সভ্যতার চেয়ে সুন্দর আর কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। আর অলিম্পিক সেই সভ্যতার এক অনন্য সংগঠন। আমি তার তন্নিষ্ট দর্শক। গণতন্ত্র শিল্পবিপ্লব বিশ্বযুদ্ধ সমাজতান্ত্রিকবিপ্লব ঠাণ্ডাযুদ্ধ বিশ্বায়ন অপ্রতিরোধ্য উৎপাদনের অলিম্পিক এবার দুর্যোগ অর্থনীতির অলিম্পিকের যুগে প্রবেশ করল, সেযুগের শুরু হল শিল্পবিপ্লবের চিমনিসঙ্কুল লন্ডন থেকে। সামনের অলিম্পিকগুলোর আয়োজনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গুরুত্ব পাবে, এই বিশাল অর্থযজ্ঞ দুর্যোগ অর্থনীতি কতটুকু সইতে পারবে, তাই ভাবতে হবে সবার আগে। এমনকি এই লন্ডন অলিম্পিক শেষ হলে ইংল্যান্ডকেও করতে হবে প্রচুর ঝুঁকির হিসাব কিতাব। কিন্তু আমরা কি উপভোগ করব না শারীরিক গতি কৌশলের প্রতিযোগিতার প্রতি তীব্র মানসিক স্ফূর্তি? অবশ্যই করব, নানাভাবে করব, আগামী কয়েকদিন আটকে থাকব স্পোর্টসের দার্শনিক মহাকাব্যিক জ্যামিতিক থিয়েট্রিক্যাল উদ্ভাসনের জগতে।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.