উদার জাতীয়তাবাদী, উদার ধর্মবিশ্বাসী, উদার উন্নয়নকর্মী, উদার গণমাধ্যমকর্মী, উদার বাম, উদার সাংস্কৃতিককর্মী – রক্ষণশীল ও গড্ডল মধ্যপন্থীদের মধ্যের উদারতান্ত্রিকদের পেলে তো আরো ভাল, না পেলে তাদের ছাড়াই একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ এখন খুবই জরুরি। [...]

এবং খুব দ্রুত, এমাসে দলের নাম গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ গুছিয়ে মে মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হোক। বাংলাদেশের উদারতান্ত্রিকতার একটা রাজনৈতিক পরিচয়ের শক্তিসঞ্চয় খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। উদার জাতীয়তাবাদী, উদার ধর্মবিশ্বাসী, উদার উন্নয়নকর্মী, উদার গণমাধ্যমকর্মী, উদার বাম, উদার সাংস্কৃতিককর্মী – রক্ষণশীল ও গড্ডল মধ্যপন্থীদের মধ্যের উদারতান্ত্রিকদের পেলে তো আরো ভাল, না পেলে তাদের ছাড়াই একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ এখন খুবই জরুরি। গণজাগরণ শুধু ‘মটিভেশন’ ‘প্রেসার গ্রুপ’ এসব কাজ করে বেশি দূর যেতে পারবে না এটা ঠিক নয় – যেতে ঠিকই পারবে। কিন্তু এটা কি আরো ভাল নয় নিজেদের কাজের মূল্যায়ন নিজেরা করার রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের চেষ্টা করা? কারণ রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের সত্যিকারের চেষ্টা একটা এমন প্রক্রিয়া যা বহুবর্ষব্যাপী মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে স্বতঃজাগ্রত রাখতে সবচেয়ে সাবলীল সংগ্রামী সংঘবদ্ধতা। এবং এর কোনো বিকল্প নেই। অনেক দূর হাঁটার মানসিক শক্তির সম্মিলন হলে গণজাগরণকে প্রজন্মের দাবিকে নিজেদের রক্ষাকবচ ধরে নিয়ে রাজনৈতিক শক্তির পথে বেরিয়ে পড়াটাই হবে আজকের স্বরাজ। আশু লক্ষ্য হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৫ থেকে ১০ ভাগ ভোট নিজেদের করায়ত্ত করার কঠিন রাজনৈতিক সংকল্পে নিজেদের শ্রেষ্ঠ সময়ের সাধ্যের সমস্ত পরিশ্রম নিংড়ে দেয়া। এবং সেটা সংকল্পবদ্ধ হলে করা সম্ভব। প্রাণ দেয়ার প্রয়োজন নেই সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে দিলে সংঘবদ্ধতায় কঠিন থাকলে এরকম একটি রাজনৈতিক দল আমরা পেতেই পারি, যার হাতের শক্তি সঞ্চয়ে উদারতান্ত্রিকতার মুক্তিসংগ্রামের বাঙালির আন্তঃধর্মের সকল-জনজাতির বাংলাদেশ নির্ভয়ে মুক্তপথের পথিক হতে পারবে।

সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে পারে- গত ২১ ডিসেম্বর এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ফরেন পলিসির অনলাইন সংস্করণে, জোসেফ অলচিনের ‘দ্য মিডলাইফ ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। অথচ ২০১২ সালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই হলো, একটি সামরিক ক্যু-এর অপচেষ্টাকে নসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে সত্যিই কি এমন কিছু ঘটবে?[...]

সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে পারে- গত ২১ ডিসেম্বর এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ফরেন পলিসির অনলাইন সংস্করণে, জোসেফ অলচিনের ‘দ্য মিডলাইফ ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। অথচ ২০১২ সালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই হলো, একটি সামরিক ক্যু-এর অপচেষ্টাকে নসাৎ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে সত্যিই কি এমন কিছু ঘটবে? বাংলাদেশের রাজনীতিকে যেসব ঘটনা, সংশয় ও গুঞ্জন অস্বচ্ছ করে রেখেছে, রাজনীতি সম্পর্কে আমাদের অন্ধকারে রেখেছে, সেসবের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এই গুঞ্জনভিত্তিক প্রতিবেদন। আর সে প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে ফরেন পলিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ দ্বি-মাসিক পত্রিকার ওয়েবসাইটে। এ রকম একটি নয়, অসংখ্য গুঞ্জন ও অপপ্রচার অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট করে রেখেছে আমাদের রাজনীতিকে। দিন আনি দিন খাই মানুষদের কাছে এখন তাই একটি বড় প্রশ্ন, আমাদের এ রাজনীতির গন্তব্য কোথায়? রাজনীতি নিঃসন্দেহে গতিশীল ও প্রবহমান, কিন্তু তার তো একটি গতিমুখ থাকে, লক্ষ্য থাকে। কিন্তু তেমন কিছু কি আছে চলমান রাজনীতির? অনেক উত্তর দেয়া যাবে এই প্রশ্নের, কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখতে পাব, সেসব উত্তরও প্রশ্ন হয়ে ছুটে আসছে আমাদের দিকে। এই রাজনীতি কি চায় আমাদের গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে? তা হলে সাংবিধানিকভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ হলেও এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কেন নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে জাতীয় সংসদকে? এই রাজনীতি কি চায় আমাদের জীবনযাপনের নিরাপত্তাব্যূহ তৈরি করতে? তা হলে কেন বিশ্বজিতের মতো জীবন ঝরে যায় রাজপথে? এই রাজনীতি কি চায় আমাদের ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা দিতে? সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠবে, আমাদের রাষ্ট্র কি আদৌ বোঝে ব্যক্তির স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা? আর আমরাইবা কতটুকু প্রস্তুত রয়েছি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যক্তির ও বাকস্বাধীনতার অনুশীলন করতে? এই রাজনীতি কি চায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে? তা হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কেন এত সমালোচনা, কেনইবা এত ষড়যন্ত্র? এই রাজনীতি কি চায় সবার অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে? তা হলে কেন তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে, কর্মসূচিতে কোনো প্রতিফলন নেই সেসবের? প্রধান রাজনৈতিক কোনো দল একটি হরতালও কি করেছে খাদ্য সঙ্কট কিংবা দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি নিয়ে? এ রকম অনেক প্রশ্নই আমরা করতে পারি। আর সেসবের উত্তরের জের ধরে আমাদের মনে দেখা দেয় আরো অজস্র প্রশ্ন। যদিও এক অর্থে বলতে গেলে, এসব প্রশ্ন এবং উত্তরও হয়তো অর্থহীন; কেননা যেসব রাজনৈতিক দল…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.