এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন, হ্যাঁ, পদ্মা সেতুর মতো আর কে আছে যার জন্য এমন বিদঘুটে শিরোনাম দাগা যায়? এবার, আমি কেন এরকম বিদঘুটে শিরোনাম দাগলাম? আমি না জানি সংস্কৃত না জানি অর্থনীতি কিন্তু সবসময় অর্থনীতির ধ্রুপদী সংস্কার নিয়ে কথা বলি। তাহলে, আমি ছাড়া আর কে আছে যার মন থেকে এমন বিদঘুটে শিরোনাম বের হবে? কিন্তু এই বিদঘুটে শিরোনামের উদ্দেশ্য কী? এই আরেক আকাশকুসুম কল্পনা – ভাবছি এই বিদঘুটে শিরোনামের মন্ত্রপুত হয়ে সরকার পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প নিয়ে আরো সাবধানতা অবলম্বন করবে। ভয় পাবেন না, বিচি অনেক বেশি হয়ে গেলেও, কাঁকরোলটা ছোটই হবে। পদ্মা সেতু এমন কোনো প্রকল্প নয়, যে তা এখনই এই মুহূর্তে যেকোনো উপায়ে করে ফেলতে হবে। পদ্মা সেতু এক সুবিশাল প্রকল্প, এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে কোনো একটি কারণে বা কোনো বিবিধ কারণে যদি প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতির ধারায় থাকা বর্তমান অর্থনীতির মুদ্রাস্ফীতির সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার খেয়াল আছে আমাদের? যদি খেয়াল থাকে তাহলে রোগনির্ণয় তো হয়ে গেল, এবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেই হয়। চিকিৎসা কী? একটাই। যেখান থেকে যেভাবে টাকা আসুক, সেটা আসতে হবে, আর সরকারকে সম্ভব সবগুলো উপায় পর্যালোচনা করে কোন ফাইনান্সিয়াল প্রস্তাবটি প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করবে ও প্রকল্পের ঋণপ্রবাহের সুদকে সর্বনিম্নে বেঁধে রাখবে এবং শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের প্রান্তিক ভোক্তাদের সবচেয়ে কম সেবামূল্যে সেতুটির সেবা ব্যবহার করার সুযোগ দেবে – এই ভাবনাগুলো সর্বাধিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। চারিদিক দিক থেকে শুধু শোনা যাবে, পারে নাই – পারবে না। কিন্তু সরকারকে ভাবতে হবে এই প্রকল্প যেন মুদ্রাস্ফীতির বাঁধ ভেঙ্গে না দেয়। এবং এই ভাবনার সফলতায় যখন পদ্মা সেতু হবে তখন ‘পারে নাই – পারবে না’দের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
এই বিদঘুটে শিরোনাম কার জন্য দাগা হয়েছে সবাই নিঃসন্দেহে বুঝতে পেরেছেন[...]