|| বাচন ও বানান (শেষ অংশ) || ব্যঞ্জনবর্ণের ভেতর কিছু অভ্যাস চলে এসেছিল ফরাসির মাধ্যমে লাতিন শেখানোর সময়, যেমন ‘Iulius’ আর ‘Ianuarius’ শব্দ দুটোর আদ্যক্ষর ‘i’-এর উচ্চারণে আর ‘genius’ ও ‘gens’-এর ‘g’ এর উচ্চারণে [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর   বাচন ও বানান (শেষ অংশ)   ব্যঞ্জনবর্ণের ভেতর কিছু অভ্যাস চলে এসেছিল ফরাসির মাধ্যমে লাতিন শেখানোর সময়, যেমন ‘Iulius’ আর ‘Ianuarius’ শব্দ দুটোর আদ্যক্ষর ‘i’-এর উচ্চারণে আর ‘genius’  ও ‘gens’-এর ‘g’ এর উচ্চারণে, সেই ধ্বনিটির সঙ্গে (যাকে টেকনিকালি এফ্রিকেট বলা হয়) যেটাকে আমরা এখোনো পাই    ‘January’ আর ‘gentle’-এ। সেই সঙ্গে ফরাসি থেকে এসেছে  [s] হিসেবে ‘c’-এর ‘মৃদু’ উচ্চারণ, ‘censeo’ আর ‘cella’ শব্দ দুটোয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ইংরেজিতে একটি অনুরণিত (trilled) ‘r’-ধ্বনি ছিল (যে ধরনের ধ্বনি এখনো স্কটিশ ভাষায় এবং কিছু কিছু আঞ্চলিক উচ্চারণভঙ্গি বা টান —accent-এ বিদ্যমান), ততদিন একটি ব্যঞ্জনবর্ণের আগে বা কোনো শব্দের শেষে লাতিন ‘r’-এর কাছাকাছি কিছু একটা উচ্চারণ করবার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়নি, যেমন ‘cornu’ বা ‘শিঙ’-এ, বা, ‘pater’-এ। যাই হোক, দক্ষিণী তথা প্রমিত ইংরেজি উচ্চারণে এই ধ্বনিটির বিলোপের পর ‘parcis’ (you spare) ও ‘pacis’ (of peace)-এর মতো জোড়া শব্দের মধ্যে তফাত ধরতে বা ‘cerno’ (I see) ও ‘virtus’ (virtue)-র মতো শব্দে সঠিক স্বরাঘাত সম্পন্ন স্বরবর্ণ উচ্চারণ করতে অসুবিধের মুখোমুখি হয় ইংরেজিভাষীরা। একইভাবে, শব্দের শেষে (যেমন ‘feel’ আর ‘fall’-এ), বা ব্যঞ্জনবর্ণের আগে (যেমন ‘felt’ ও ‘film’-এ) ইংরেজি ‘l’ (এল)-এর যেমন একটি ‘ডার্ক’ বৈশিষ্ট্য রয়েছে (কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় জিভের পেছনদিকটা টাকরা বা তালুর দিকে উঠে আসা, যেমন ‘l’-এর বেলায়), ‘alter’ (other — অপর, অন্য) ও ‘mel’ (honey — মধু)-এর মতো শব্দের সনাতন উচ্চারণ একই রকমভাবে ভুলের দিকে এগোয়। বেশ কয়েক বছর ধরে নানান চেষ্টা চলে সংস্কার সাধনের। ষোড়শ শতকে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধ্রুপদী উচ্চারণের অভ্যাসগুলোতে ফিরে যাওয়ার পক্ষে বেশ জোরালো তদবির চলেছিল, তার পুরোধা ছিলেন মহান ওলন্দাজ ক্লাসিকাল পণ্ডিত ইরাযমাস, যিনি ১৫২৮ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর সংলাপমূলক রচনা ‘De recta Latini Graecique sermonis pronuntiatione’ (‘লাতিন ও গ্রীক ভাষার সঠিক উচ্চারণ প্রসঙ্গে’) এই প্রচার চালিয়েছিলেন। অবশ্য নানান যুক্তিতে সেটির বিরোধিতা করা হয়, এবং তার মধ্যে অত্যন্ত জোরালো ছিল এটি যে তাতে করে অক্সফোর্ড ও কেম্ব্রিজে লাতিন উচ্চারণ ভিন্ন হয়ে পড়বে! প্রায় চার শতক পরে ফিরে…

|| বিদ্যালয়ে লাতিন (প্রথম অংশ) || আমরা দেখেছি, রোমক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ভালো করে কথা বলতে শেখানো, যাতে করে তারা আইনজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ হতে পারে। গির্জা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করল তখন তার অন্য অগ্রাধিকার ছিল। ফলে, আশ্রমিক বিদ্যালয়গুলো ছিল রোম সাম্রাজ্যের বিদ্যালয়গুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর   বিদ্যালয়ে লাতিন (প্রথম অংশ) আমরা দেখেছি, রোমক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ভালো করে কথা বলতে শেখানো, যাতে করে তারা আইনজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ হতে পারে। গির্জা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করল তখন তার অন্য অগ্রাধিকার ছিল। ফলে, আশ্রমিক বিদ্যালয়গুলো ছিল রোম সাম্রাজ্যের বিদ্যালয়গুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল তাঁদের একজন ছিলেন ক্যাসিওদোরাস। ষষ্ঠ শতকে ইতালিতে বাস করতেন তিনি, জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় উচ্চ পদস্থ সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেসময় অস্ট্রগথরা ইতালি শাসন করত এবং দক্ষিণ ইতালির একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য ক্যাসিওদোরাস অস্ত্রগথিক রাজদরবারে জীবিকার ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন। অনেক কিছুর মধ্যে সরকারী নিবন্ধকের কার্যালয়ে বা চ্যান্সেলরিতে দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর। দুর্বোধ্য ও লোক দেখানো জাঁকালো লাতিনে বেশ কিছু চিঠিপত্র লিখেছিলেন তিনি। ষাট বছর বয়েসে রাজদরবার থেকে বিদায় নেন তিনি, এবং পারিবারিক ভূসম্পত্তিতে তিনি যে আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সেখানে এসে ঠাঁই নেন। সেখানে, এক খৃষ্টীয় জীবন যাপনে ব্রতী হন, এবং বেশ কয়েক দশক ধরে লেখেন বেশ কিছু খৃষ্ট ধর্ম বিষয়ক রচনা। নব্বইয়ের-ও বেশি বছর বয়েসে মারা যান তিনি। তো, সেসব রচনার একটি হলো শিক্ষার্থী সন্ন্যাসীদের সাহায্য করার জন্য একটা হ্যান্ডবুক। পরবর্তী বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে শিক্ষা কোন পথে এগোবে তার একটা পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই বইটা থেকে। হ্যান্ডবুকটা দুটো অংশে বিভক্ত; প্রথম অংশের পুরোটাই ব্যয় করা হয়েছে বাইবেল কিভাবে পড়তে হবে আর খৃষ্টীয় ফাদারদের রচনাকর্ম, এই নিয়ে। বিদ্যালয়গুলো সেই ধারা বজায় রাখল। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল একটি খৃষ্টীয় শিক্ষা প্রদান করা, আর সেই শিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে ছিল লাতিন ভাষায় বাইবেল পাঠ করতে পারার প্রয়োজনীয়তা। মধ্যযুগের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই একটি সাধারণ পদ্ধতি ছিল ‘Book of Psalms’-এর প্রথম স্তোত্রটির মাধ্যমে বাইবেলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয়ের সূত্রপাত করা: Beatus vir, qui non ábiit in consilio impiorum et in via peccatorum non stetit et in cáthedra derisorum non sedit. নিচে দেয়া হলো ইংরেজি বাইবেলের অনুমোদিত ‘কিং জেমস’ সংস্করণের খুবই আক্ষরিক অনুবাদ। Blessed is the man…

|| ধর্মপ্রচারকবৃন্দ, লাতিন ও বিদেশী ভাষাসমূহ || খৃষ্টধর্ম প্রচার করার জন্য প্যাট্রিশাস নামের এক সন্ন্যাসী ৪৩২ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্সের Lérins মঠ থেকে আয়ারল্যান্ড যাত্রা করেন। যতোটা আশা করা গিয়েছিল তার চাইতে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করেন তিনি [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর ধর্মপ্রচারকবৃন্দ, লাতিন ও বিদেশী ভাষাসমূহ খৃষ্টধর্ম প্রচার করার জন্য প্যাট্রিশাস নামের এক সন্ন্যাসী ৪৩২ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্সের Lérins মঠ থেকে আয়ারল্যান্ড যাত্রা করেন। যতোটা আশা করা গিয়েছিল তার চাইতে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করেন তিনি, এবং এখনো তাঁকে সেইন্ট প্যাট্রিক নামে আয়ারল্যান্ডের রক্ষাকর্তা সন্ত হিসেবে স্মরণ করা হয়। অসংখ্য যে সমস্ত ধর্ম্প্রচারক লাতিন ভাষী নয় এমন মানুষজনের মাঝে ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন তিনি। আয়ারল্যান্ড কখনোই রোমক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল না, এবং সেখানের মানুষ আইরিশ নামের একটি কেল্টিক ভাষায় কথা বলত। প্যাট্রিক সে ভাষাটি রপ্ত করেন, এবং স্পষ্টতই তাঁর আরাধ্য কাজে সেটি ব্যবহার করেন, যদিও গির্জার  সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজন পড়া ও লেখার জন্য লাতিন ভাষাই ব্যবহার করতেন বলে বোধ হয়। প্যাট্রিকের মিশন শুরু হওয়ার পরপরই নিশ্চয়ই আইরিশ ভাষা রোমান হরফে লিখিত হতে শুরু করে, কিন্তু একেবারে গোড়ার দিককার যেসব টেক্সট আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে সেখানে কিন্তু খৃষ্টীয় কোনো বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। আয়ারল্যান্ডে আশ্রমিক ব্যবস্থা অত্যন্ত সাফল্য লাভ করেছিল, ফলে, খৃষ্টানদের অনেকেই সন্ন্যাসী হিসেবে জীবন কাটিয়ে গেছেন। আশ্রম বা মঠগুলো নিশ্চয়ই বিদ্যালয় হিসেবে যথেষ্ট কার্যকর ছিল, কারণ পরবর্তী শতকগুলোতে সেখানে লাতিনের দক্ষতার বিষয়ে খুবই উচ্চ পর্যায়ের মান রক্ষা করা হয়েছিল, যদিও  ইউরোপের বাকি অংশে তখন বিদ্যাচর্চা হয়ে উঠছিল বিরল থেকে বিরলতর। আইরিশ জনগণকে অবশ্যই লাতিন শিখতে হয়েছিল একেবারেই বিদেশী একটি ভাষা হিসেবে, এবং সম্ভবত আশ্রমিক বিদ্যালয়গুলোতেই তারা লাতিন ভাষাটি একই সঙ্গে লিখতে, পড়তে ও বলতে শিখেছিল। তাদের জন্য সেটি ছিল আগাগোড়াই ধ্রুপদী লাতিন। অন্যদিকে, ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের লোকজন ভাবতো তারা লাতিনে কথা বলছে, কিন্তু তাদের কথ্য ভাষা লিখিত লাতিন থেকে এতোটাই ভিন্ন ছিল যে এমনকি কিছুদিন বিদ্যালয়ে পাঠ নেবার পরেও  ধ্রুপদী ঢঙে লাতিন লিখতে খুবই কষ্ট হতো তাদের। শত শত বছর ধরে ধ্রুপদী লাতিনে অন্য যে-কারো চাইতে বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছিলেন আইরিশ সন্ন্যাসীরা; এটি এমন একটি ঘটনা যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হবে পরে। ক্রমে সন্ন্যাসীরা নিজেরাও হয়ে ওঠেন…

|| লাতিন থেকে রোমান্স ভাষাসমূহ || ৫ম শতকে রোমক সাম্রাজ্যের সমস্ত লাতিনভাষী মানুষ বড় বড় সব পরিবর্তনের মুখোমুখি হলো। সীমান্ত থেকে দলে দলে আসতে থাকল নানান জার্মানিক উপজাতি [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর লাতিন থেকে রোমান্স ভাষাসমূহ ৫ম শতকে রোমক সাম্রাজ্যের সমস্ত লাতিনভাষী মানুষ বড় বড় সব পরিবর্তনের মুখোমুখি হলো। সীমান্ত থেকে দলে দলে আসতে থাকল নানান জার্মানিক উপজাতি, এবং কেবল লুঠতরাজ আর ধ্বংসলীলায় সন্তুষ্ট না থেকে তারা পুরানো সাম্রাজ্যের এলাকার পর এলাকায় পাকাপাকিভাবে থেকে গেল, সেখানের  ক্ষমতা দখল করে নিল। অল্প কয়েক দশকের মধ্যেই সাম্রাজ্যের কর্তৃত্ব আর তা ফলাবার উপায়গুলো উধাও হয়ে গেল। এবং ৪৭৬ খৃষ্টাব্দে সাম্রাজ্যের পশ্চিম অংশের শেষ সম্রাট রোমুলাস অগাস্তুলুস সিংহাসনচ্যুত হলেন। তাঁর কোনো উত্তরাধিকারীও ছিল না। হঠাৎ করেই দেখা গেল শাসকরা সব জার্মান, রোমক নন। সময়টা বৈপ্লবিক-ই ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নাই, কিন্তু ভাষার ওপর এই আগ্রাসনগুলো ঠিক ততোটা প্রবল ছিল না যতোটা মনে হওয়া স্বাভাবিক। ফ্র্যাঙ্ক, ভ্যান্ডাল, বার্গান্ডীয়, গথ, লম্বার্ড আর অন্যান্য জার্মানিক দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভাষা নিয়েই এসেছিল, যেগুলো সবই ছিল জার্মানিক ভাষা পরিবারভুক্ত — তার মধ্যে আধুনিক ভাষা ইংরেজি, জার্মান, ওলন্দাজ, আর স্ক্যান্ডিনেভীয় ভাষাসমূহও ছিল। হানাদারদের একটা ভাষা, ভিসিগথিক, বাইবেলের একটা অনুবাদের কারণে — যেটাকে তথাকথিত গথিক বা রুপোলি বাইবেল বলা হয় — বেশ পরিচিত। আর সেটি এখনো সংরক্ষিত আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে রোমক সাম্রাজ্যের অন্যান্য জার্মানিক ভাষা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না আমরা, কারণ কোনো টেক্সট বা উৎকীর্ণ লিপি সংরক্ষণ করা হয়নি বা যায়নি। তবে ভিসিগথিক সহ সেগুলোর মধ্যে একটা যে সাধারণ বিষয় আমরা দেখতে পাই তা হলো সেগুলোর সব-ই অল্প কিছুদিনের মধ্যে উধাও হয়ে যায়। খুব বেশি  জার্মানিকভাষী সম্ভবত ছিল-ও না, আর তারা ভূখণ্ডের ক্ষমতা ও মালিকানা দখল করলেও তাদের আশেপাশে কিন্তু লাতিনভাষী জনগণই ছিল, এবং কয়েক প্রজন্ম পরই শাসকরা সেই ভাষায় কথা বলতে লাগল যে ভাষায় তাদের প্রজারা কথা বলে। একটা বড় ব্যতিক্রম ছিল, অবশ্যই, ইংল্যান্ড আক্রমণ। এঙ্গল, স্যাকসন, আর বিশেষ করে (উত্তর ডেনমার্ক-এর অংশ বিশেষ) জাটল্যান্ড থেকে আগত জুটসহ অন্যান্য দলগুলো শুধু যে পূর্বের অধিবাসীদের জয় করেই নিল তা নয়, তাদের নিজেদের জার্মানিক ভাষাও শিগগিরই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষায় পরিণত হলো। কথ্য ভাষা হিসেবে লাতিন টিকতে পারল না। অবশ্য…

|| রোমপরবর্তী ইউরোপ || পশ্চিমে রোমক সাম্রাজ্য কেন অস্ত গেল তা কেউ জানে না। পঞ্চম শতক শুরুর কয়েক দশকের মধ্যেই লাতিনভাষী অঞ্চলটি এক সম্রাটের অধীন একটি সাম্রাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে পরিণত হলো, যেসব রাষ্ট্রের বেশিরভাগ-ই চলে গেল জার্মানিক রাজাদের হাতে। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর ২য় পর্ব লাতিন ও ইউরোপ . . . রোমপরবর্তী ইউরোপ পশ্চিমে রোমক সাম্রাজ্য কেন অস্ত গেল তা কেউ জানে না। পঞ্চম শতক শুরুর কয়েক দশকের মধ্যেই লাতিনভাষী অঞ্চলটি এক সম্রাটের অধীন একটি সাম্রাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে পরিণত হলো, যেসব রাষ্ট্রের বেশিরভাগ-ই চলে গেল জার্মানিক রাজাদের হাতে। নিঃসন্দেহে, সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তা না হলে নানান জার্মানিক দলের পক্ষে সেটাকে এতো সহজে টুকরো টুকরো করে নিজেদের কব্জায় নেয়া সম্ভব হতো না; তবে সেই দুর্বলতার কারণ নিয়ে ইতিহাসবেত্তারা এখনো বাহাস চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক গবেষণা বিশেষ করে এই বিষয়টার দিকে তর্জনী তুলছে যে জার্মানরা এসে পৌঁছবার আগে আগে সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা সম্ভবত কমে গিয়েছিল ঝপ করে, কিন্তু তারপরে-ও এটা কেউ বলতে পারছেন না তা কেন হবে। আগেই যেসব রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল, বা, রোমক সাম্রাজ্যের বাইরে যেসব রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল সেগুলোর চাইতে খুব একটা ভিন্ন ছিল না নতুন রাষ্ট্রগুলো। যতোই সময় যেতে থাকল ততোই প্রাক্তন সাম্রাজ্য আর সনাতনভাবে যেগুলোকে বর্বরদের বাসস্থান বলে ধরে নেয়া হতো এই দুইয়ের মধ্যে তফাত ঘুচে যেতে থাকল সমাজ ও সংস্কৃতির দিক থেকে। এই পরিবর্তনগুলোর কারণ ছিল প্রধানত দুটো। এক, রোমক সমাজকে বিশিষ্টতাদানকারী উপাদানগুলোর অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। বিশালায়তন, দক্ষভাবে পরিচালিত সেনাবাহিনী ভেঙে দেয়া হয়েছিল, যেমনটি করা হয়েছিল সেটার ভিত্তিস্বরূপ সিভিল সার্ভেন্ট আর কর সংগ্রাহকদের নিয়ে তৈরি ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। লোকজনের মাথায় করের বোঝা আর রইল না, কিন্তু তার মানে হলো, সামরিক সুরক্ষাও আর পেলো না তারা। ব্যবসা-বাণিজ্য আর যোগাযোগ কমে এলো পালাক্রমে, লোকজন শহর থেকে বেরিয়ে পড়ল, আর সেসব শহরের কোনো কোনোটি পরিণত হলো নেহাতই ধংসস্তূপে। বেশিরভাগ মানুষ-ই এখন গ্রামাঞ্চলে বাস করতে লাগল, আশেপাশের জগতের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ আর রইল না বললেই চলে। এভাবে অবস্থাটা হয়ে দাঁড়াল ঠিক তেমন যেমনটা ছিল সেই সব অঞ্চলে যেগুলো কখনোই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। দুই, গোটা পশ্চিম এবং উত্তর ইউরোপ ধীরে ধীরে একই ধর্ম গ্রহণ করল। খৃষ্টধর্ম প্রায় ঠিক একই গতিতে শক্তিশালী হতে শুরু করল যে-গতিতে রোমক সাম্রাজ্য শুরু…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.