|| খৃষ্টধর্ম : বিপজ্জনক সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রধর্ম || ত্যাসিতাস তাঁর ‘Annals’-এ ৬৪ খৃষ্টাব্দে — সম্রাট নিরোর রাজত্বকালে — রোমে সংঘটিত হওয়া এক প্রবল অগ্নিকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর জোরেশোরে গুজব রটল যে কাজটা বিশেষ কোনো এক অগ্নিসংযোগকারীর, এমনকি তা খোদ সম্রাটের-ও হতে পারে। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর খৃষ্টধর্ম : বিপজ্জনক সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রধর্ম ত্যাসিতাস তাঁর ‘Annals’-এ ৬৪ খৃষ্টাব্দে — সম্রাট নিরোর রাজত্বকালে — রোমে সংঘটিত হওয়া এক প্রবল অগ্নিকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর জোরেশোরে গুজব রটল যে কাজটা বিশেষ কোনো এক অগ্নিসংযোগকারীর, এমনকি তা খোদ সম্রাটের-ও হতে পারে। এই গুজবগুলোকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য নিরো এমন একটি দলের ওপর দোষ চাপালেন যারা আগে থেকেই অজনপ্রিয়, এবং যাদেরকে লোকে ‘Christiani’ বলত, কারণ, ত্যাসিতাস বলছেন : Auctor nóminis eius Christus Tiberio imperitante per procuratórem Pontium Pilatum supplício adfectus erat খৃষ্ট — যার কাছ থেকে ওই নামটা (অর্থাৎ, খৃষ্টান) এসেছে, তাঁকে প্রকিউরেটর পন্টিয়াস পাইলেট তাইবেরিয়াসের রাজত্বকালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। খৃষ্ট বা খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সম্পর্কে একেবারে গোড়ার দিকের কিছু উল্লেখের অন্যতম এটা। সম্ভবত যিশুখৃষ্টের মৃত্যুর তিরিশ বছর পরেও রোমে খৃষ্টানরা বাস করছিল। ত্যাসিতাসের কোনো সহানুভূতি ছিল না তাদের ধর্মের শিক্ষার ব্যাপারে, যেটাকে তিনি বলছেন ‘exitiábilis superstítio’, বা, ‘এক ক্ষতিকর কুসংস্কার’। ত্যাসিতাস আমাদের জানাচ্ছেন, খৃষ্টানদের ধরে ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠুর সব উপায়ে মেরে ফেলা হতো : যেমন, জীবন্ত মশাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো তাদের। লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যেতে বাধ্য করা হলো তাদের, কিন্তু তারপরেও ঠিক যাকে বলে অদৃশ্য হয়ে গেল না তারা। এ-ঘটনার পঞ্চাশ বছরেরও কম সময় পর কনিষ্ঠ প্লিনি — আধুনিক তুরস্কের বিথিনিয়ার প্রশাসক — সম্রাট ত্রাজান-এর কাছে পত্র লিখে জানতে চাইলেন লোকে খৃষ্টান বলে অভিযুক্ত হলে তাঁর করণীয় কি? মনে হয় এ-ধরনের অনেক ঘটনা অনেকই ঘটতো, আর প্লিনির ইচ্ছেটা ছিল অনেকটা এরকম যে তাদেরকে হুট করে মেরে না ফেলে অনুতাপের সুযোগ দেয়া বরং ভালো। সম্রাট সহমত প্রকাশ করলেন, কিন্তু তাঁর কাছে মনে হলো ব্যাপারগুলোকে এতো খুঁটিয়ে দেখার কিছু নেই, বরং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তা প্রমাণ হয়েছে তাদেরকে সাজা দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। খৃষ্টধর্মের প্রসার অব্যাহত রইল, এবং রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বহাল থাকলেও তা যে খুব নিয়মিতভাবে ঘটত তা নয়, আর এর অল্প কিছুদিন আগে থেকে খৃষ্টানরা লাতিন লিখতে শুরু করেছিল।…

|| ত্যাসিতাস, সম্রাটগণ ও ব্রিটেন || সালুস্ত আর লিভি, যাঁদের নাম আগেই বলা হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিখ্যাত ইতিহাসবেত্তা। তবে সবচাইতে খ্যাতিমান ছিলেন সম্ভবত ত্যাসিতাস। আনুমানিক ৫৬ খৃষ্টাব্দের দিকে জন্ম তাঁর, মৃত্যু ১১৭-র পর। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর   ত্যাসিতাস, সম্রাটগণ ও ব্রিটেন সালুস্ত আর লিভি, যাঁদের নাম আগেই বলা হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিখ্যাত ইতিহাসবেত্তা। তবে সবচাইতে খ্যাতিমান ছিলেন সম্ভবত ত্যাসিতাস। আনুমানিক ৫৬ খৃষ্টাব্দের দিকে জন্ম তাঁর, মৃত্যু ১১৭-র পর। ১৪ খৃষ্টাব্দে সম্রাট অগাস্টাসের মৃত্যুর পর থেকে যাঁরা সম্রাট হয়েছিলেন তাঁদের জীবনী লিখেছিলেন তিনি, থেমেছেন ৯৬ খৃষ্টাব্দে দমিতিয়ানের মৃত্যু পর্যন্ত এসে। তার মানে, ত্যাসিতাস তাঁর জীবনের সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে কাজ করেছেন। তবে তাঁর রচনার খানিক অংশই কেবল আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ত্যাসিতাস বলছেন ‘sine ira et studio’ বা, ‘কোনো ক্রোধ বা পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই’ লিখেছেন তিনি। ইতিহাসবিদদের কিভাবে লেখা উচিত তা বোঝাতে গিয়ে আজও এই কথাটা উদ্ধৃত করা হয়। খোদ ত্যাসিতাসকে অবশ্য ‘studium’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে না (এই প্রসঙ্গে কথাটার মানে ‘কাউকে অন্যায্য সুবিধা প্রদান করা’), কারণ কারো সম্পর্কে তিনি ভালো কিছু বলেননি বললেই চলে। বিশেষ করে, সম্রাটদের তাঁর বড়ই না-পছন্দ। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন সমাজের উচ্চাসনে আসীন একজন সফল মানুষ, এবং তাঁর জন্ম যে পরিবারে সেখান থেকে অনেকেই সিনেটর পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সম্রাট দমিতিয়ানের আমলে ব্যক্তিগত দমন-পীড়নের শিকার হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর, এবং প্রায়ই তাঁর মুখ থেকে মুক্তি বা স্বাধীনতার কথা শুনি আমরা, যদিও সে-স্বাধীনতা বলতে তিনি প্রধানত সম্রাটের হস্তক্ষেপ ছাড়া সিনেটের সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতাকেই বুঝিয়েছেন, প্রাচীনকালে যে-হস্তক্ষেপ সম্রাটগণ হরহামেশাই করতেন। বেশিরভাগ রোমক লেখকই রক্ষণশীল, তবে ত্যাসিতাসকে প্রতিক্রিয়াশীল বলাটাই সঙ্গত হবে। উত্তরকালের কাছে যে তাইবেরিয়াস, ক্লদিয়াস ও নিরো সহ কিছু সম্রাটের ছবি অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে আছে ত্যাসিতাসই সেসব ছবির স্রষ্টা। অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে সেসব চিত্র এঁকেছেন তিনি, সঙ্গে ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর বর্ণনাও দিয়েছেন বটে, কিন্তু প্রধান কুশীলবদের ব্যক্তিত্ব এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেন তাঁরা উপন্যাসের চরিত্র। তাইবেরিয়াসের রাজত্বকালের বর্ণনার শুরুতে তিনি বলছেন কিভাবে আগ্রিপিনা — যিনি ত্যাসিতাসের এক ভ্রাতুষ্পুত্রকে বিয়ে করেছিলেন — রাইন-এ এক সামরিক সংকটকালে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছিলেন। তারপর তিনি বলছেন, ‘Id Tiberii animum altius penetravit’, অর্থাৎ, ‘আর সেটা গভীরভাবে দাগ কেটেছিল তাইবেরিয়াসের মনে’ (আক্ষরিক অর্থে, ‘আর সেটা গভীরভাবে ঢুকে…

|| আইন ও আইনের ভাষা || মুক্তিপ্রাপ্ত দাস একিওন চেয়েছেন তাঁর পুত্র আইন পড়ুক যাতে সেটা তার জীবিকার সহায়ক হয়। তাঁর এতোটা উচ্চাশা ছিল না যে নিজের পুত্রকে একজন বাগ্মী এবং অন্যের পক্ষ নিয়ে লড়াই করা একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করবেন, কিন্তু তাকে আইন সম্পর্কে খানিকটা জানতেই হতো। এই দিক থেকে তিনি সম্ভবত ঠিক ছিলেন। রোমক জগতে আইন ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর আইন ও আইনের ভাষা মুক্তিপ্রাপ্ত দাস একিওন চেয়েছেন তাঁর পুত্র আইন পড়ুক যাতে সেটা তার জীবিকার সহায়ক হয়। তাঁর এতোটা উচ্চাশা ছিল না যে নিজের পুত্রকে একজন বাগ্মী এবং অন্যের পক্ষ নিয়ে লড়াই করা একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করবেন, কিন্তু তাকে আইন সম্পর্কে খানিকটা জানতেই হতো। এই দিক থেকে তিনি সম্ভবত ঠিক ছিলেন। রোমক জগতে আইন ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিভিল সার্ভেন্টদের অনেকটা সময় কেটে যেত নানান বিষয়ে অভিমত প্রদানে, আর এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে যে লোকে যেন আইন মেনে চলে। যারা আইন ভাঙত তাদের সঙ্গে খুব নির্দয় আচরণ করা হতো, তবে আইন আবার মানুষকে সহিংসতা ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে রক্ষা-ও করত। আইনের চোখে মানুষ সমান ছিল না। উল্টো, আইন একেবারে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিত কে কার ওপর খবরদারী করবে, কতটা করবে সে-সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দাসমালিকদের ছিল একচ্ছত্র ক্ষমতা, এমনকি নিজ দাসদের খুন করার-ও অধিকার ছিল তাঁদের। অবশ্য সেই একচ্ছত্র ক্ষমতারও কিছু সীমা ছিল: বাড়াবাড়ি রকমের নিষ্ঠুরতার কারণে যে-দাস পালিয়ে যেতেন তাঁকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য করা সম্ভব ছিল মালিককে; কাজেই একথা বলা যেতে পারে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন দাসদের-ও সুরক্ষা দিত। রোমের সমাজ ছিল খুবই পিতৃতান্ত্রিক, এবং পরিবারের কর্তা বা, ‘pater familiae’ পরিবারের সব সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, কিছু কিছু ক্ষেত্র ছাড়া। যেমন, তাঁর স্ত্রীর অর্থ-কড়ির ব্যাপারে কোনো কথা বলার অধিকার ছিল না তাঁর, এবং আইনগতভাবেই স্ত্রীর টাকা-পয়সা ছিল স্বামীর টাকা-পয়সা থেকে আলাদা। মানুষের অধিকার এবং বাধ্যবাধকতাগুলোর স্বরূপ কেমন ছিল এই নিয়মগুলো তার উদাহরণ। অবশ্যই নিয়ম-কানুন আরো মেলা ছিল, কেনা-বেচার নিয়ম, বাদ-বিসংবাদ-ক্ষয়ক্ষতি আর অতি অবশ্য-ই অপরাধ ও শাস্তি বিষয়ক নিয়ম-কানুন। কার্যকর যে-কোনো সমাজে এধরনের নিয়ম-কানুন থাকতেই হয়, কিন্তু রোমকরা তাদের আগের (এবং পরের-ও বটে) যে-কোনো সমাজের চাইতে বেশি সময় বিনিয়োগ করেছিল স্বচ্ছ, পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধি-নিষেধ তৈরি আর সেগুলো যাতে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে। সেই সঙ্গে তারা তাদের আইন-কানুন ও বিধি-নিষেধের পেছনের নীতি বা যুক্তি নিয়েও লেখালেখি করেছে অনেক, এবং বলা যেতে পারে তারাই…

|| দৈনন্দিন জীবনের ভাষা || আবহাওয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে, কর নিয়ে অভিযোগ করার সময়, বা, পড়শীর বৌকে নিয়ে গালগপ্পো করার সময় লোকে লাতিনে কি বলত? আজ যে-ভাষায় কথা বলা হয় সে ভাষার ক্ষেত্রে এটা স্রেফ শুনেই বলে দেয়া যায়। কিন্তু লাতিন আমরা কেবল পড়তেই পারি, শুনতে পারি না, কাজেই রোজকার ভাষা কেমন ছিল তা বলা বেশ কঠিন। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর দৈনন্দিন জীবনের ভাষা আবহাওয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে, কর নিয়ে অভিযোগ করার সময়, বা, পড়শীর বৌকে নিয়ে গালগপ্পো করার সময় লোকে লাতিনে কি বলত? আজ যে-ভাষায় কথা বলা হয় সে ভাষার ক্ষেত্রে এটা স্রেফ শুনেই বলে দেয়া যায়। কিন্তু লাতিন আমরা কেবল পড়তেই পারি, শুনতে পারি না, কাজেই রোজকার ভাষা কেমন ছিল তা বলা বেশ কঠিন। যে সমস্ত বই-পত্তর আমাদের কাছে আছে তা থেকে অনেকটাই কুড়িয়ে-কাছিয়ে নেয়া যায় অবশ্য। কিন্তু বেশিরভাগ লেখক-ই কথ্য ঢং-এ লেখেন না, বরং ইচ্ছে করেই একটি শিল্পসম্মত উপায়ে লেখেন (তার মানে কি কথ্য ঢংটি শিল্পসম্মত নয়? – অনুবাদক), ব্যবহার করেন ব্যপক বিস্তৃত শব্দসম্ভার ও প্রায়ই, দীর্ঘ বাক্য; সেই সঙ্গে, ব্যাকরণের নিয়ম-কানুনের প্রতি সব সময়ই প্রদর্শন করেন পরম সম্মান। লোকে আজকাল এভাবে কথা বলে না, এবং অবশ্যই রোমেও তারা তা করত না। তাছাড়া, আমরা দেখেছি, বেশিরভাগ লেখকই এসেছিলেন সমাজের উঁচুতলা থেকে। এবং তাঁদের কথা বলার ধরন সম্ভবত অধিকাংশ রোমকদের কথা বলার ধরনের চাইতে ভিন্ন ছিল। আর তাই, সিসেরো বা তাঁর বন্ধুস্থানীয়দের মধ্যে কথ্য ভাষার যেসব উপাদান পাওয়া যায় তা প্রতিনিধিত্বমূলক নয়। সাধারণ মানুষ কিভাবে কথা বলতেন তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে প্লতাসের কমেডি থেকে, যার কথা আগে বলেছি আমরা। এখানে পরস্পরের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হওয়া দুই গৃহবধূ ক্লেওস্ত্রাতা আর মিরিনা-র একটা ছোট সংলাপ তুলে দেয়া হলো : Cleostrata: Myrrhina, salve.
 Myrrhina: Salve, mecastor: sed quid tu's tristis, amábo?
 Cleostrata: Ita solent omnes quae sunt male nuptae: Domi et foris aegre quod sit, satis semper est. Nam ego ibam ad te. 
Myrrhina: Et pol ego istuc as te. Sed quid est, quod tuo nunc ánimo aegre'st? Nam quod tibi'st aegre, idem mihi'st dividiae. ক্লেওস্ত্রাতা: কি খবর, মিরিনা? 
মিরিনা: এই তো। কিন্তু তোমাকে এতো মনমরা দেখাচ্ছে কেন, গো? 
ক্লেওস্ত্রাতা: সবার-ই এমন হয় যদি সংসার জীবনে সুখ না থাকে; ঘরে বাইরে, কোথাও কোনো শান্তি থাকে না। আমি স্রেফ তোমার সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছি। 
মিরিনা: ভাবো দেখি! আমি-ও তো তোমার…

|| জ্ঞান-বিজ্ঞান || বিদ্যালয়গুলো ভাষাগত অনুশীলনের ওপর জোর দিলেও রোমক সমাজে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞানেরও যথেষ্ট প্রয়োজন ছিল বৈ কি। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কোনো রাস্তা খোলা ছিল না, কারণ আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যা বোঝায় তার ছায়ামাত্র ছিল না রোমক সমাজে। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর জ্ঞান-বিজ্ঞান বিদ্যালয়গুলো ভাষাগত অনুশীলনের ওপর জোর দিলেও রোমক সমাজে অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞানেরও যথেষ্ট প্রয়োজন ছিল বৈ কি। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কোনো রাস্তা খোলা ছিল না, কারণ আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যা বোঝায় তার ছায়ামাত্র ছিল না রোমক সমাজে। সম্ভবত এক ধরনের শিক্ষানবিসী পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবীণেরা তাঁদের কারিগরী জ্ঞান হস্তান্তর করতেন, যদিও সে-বিষয়ে বেশি কিছু জানা যায় না। তবে, বিচিত্র সব বিষয়ের ওপরে লেখা নির্দেশিকা পুস্তক হাতে এসেছে আমাদের। আগেই বলা হয়েছে, মূল শিল্প ছিল কৃষি, এবং এই বিষয়টির ওপর এন্তার হ্যান্ডবুক রয়েছে, জ্যেষ্ঠ ক্যাটোর একটি থেকে শুরু করে — যেটার কথা আগেই বলা হয়েছে — একেবারে প্রাচীনকালের শেষ দিক পর্যন্ত। সবচাইতে বিশদটি লিখেছিলেন Columella নামের এক ভূস্বামী, প্রথম খৃষ্ট পূর্বাব্দের। রোমকরা সব ধরনের নির্মাণ প্রকল্পেও হাত লাগিয়েছিল। সম্রাট অগাস্টাসের সমসাময়িক ভিত্রুভিয়াস নামের এক ভদ্রলোক স্থাপত্যবিদ্যার ওপরে এক বিশাল নির্দেশনা পুস্তক রচনা করেছিলেন, যার নাম ‘De architectura’। এ-বিষয়ে রচিত প্রাচীন কালের এই একটি বই-ই হাতে এসে পৌঁছেছে আমাদের। বেশ প্রভাবসঞ্চার করেছিল বইটি, বিশেষ করে রেনাসাঁর সময়ে এবং তার পরবর্তীকালে, যখন মানুষ স্থাপত্যকলায় এবং অন্যান্য ধরনের শিল্পে প্রাচীনকালের শৈলীর আদর্শে ফিরে যেতে চেয়েছিল। বিশেষ একটি যে বৈশিষ্ট্যের জন্য রোমকরা বিখ্যাত ছিল তা হলো দূর দূরান্তে পানি পরিবহনের উপায় তৈরি, যাকে ‘কৃত্রিম জলপ্রণালী’ (aqueduct) বলে। ফ্রন্টিনাস নামের এক সফল সরকারী চাকুরে, যিনি রোমের পানি সরবরাহের ব্যবস্থাপক ছিলেন, তিনি রোমের কৃত্রিম জলপ্রণালী বিষয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যা এখনো আমাদের কাছে রয়েছে। এই একই ভদ্রলোক আরো কিছু বই লিখেছিলেন রোমকদের আরেক বিশেষত্ব — যুদ্ধবিগ্রহ — নিয়ে, আর সেই বইগুলোরও একটি এখনো লভ্য। কৃষক, নির্মাতা, এবং এমনকি সৈন্যদের জন্য বিশেষ যে একটি দক্ষতা বেশ কাজের তা হলো ভূমি জরিপ করতে পারা। গণিতের একটি অংশ হিসেবে গ্রীকরা জ্যামিতির বিকাশ সাধন করলেও, রোমকদের সেই অর্থে জ্যামিতিক তত্ত্ব নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল না; তবে তারা বিদ্যাটার কিছু নির্বাচিত অংশ ভূমি জরিপের বাস্তবসম্মত প্রয়োগ-পদ্ধতি সৃষ্টিতে ব্যবহার করেছিল, এবং বিষয়ের ওপর তাদের যথেষ্ট গুরুপাক কিছু গবেষণাধর্মী রচনা আমাদের…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.