এই বিচার, এই ট্রাইবুনাল আমি আজকে দিনের পর দিন দেখছি। এই বিচারের বিভিন্ন বিষয় আমি অত্যন্ত সুক্ষ্ণ ভাবে বুঝবার চেষ্টা করছি বিভিন্ন ভাবেই। আপনারা সকলেই জেনে থাকবেন এই বিচারকে বন্ধ করবার জন্য আজ তিনটা বছর এই জামাত, ডিফেন্স কাউন্সিল এরা কি পরিমাণ চেষ্টা করে গিয়েছে। সেই চেষ্টার অংশই হচ্ছে আজকের এই হ্যাকিং এর নোংরামি। আমি শীঘ্রই একটা বিশদ লেখা লিখব এই ট্রাইবুনালের পেছনের সকল ষড়যন্ত্র নিয়ে। একটা একটা করে মুখোশ খুলব। অনেক কথাই বলিনি এতদিন। অনেক কথাই গোপন রেখেছি। কিন্তু আজকে আর চুপ করে থাকার সময় নেই। আজকে দেখাবার সময় এসেছে যে, কি করে জামাতীরা প্রতিটি দিনি, প্রতিটি সপ্তাহে এই বিচারকে বাঁধা দেবার জন্য অর্থ ব্যয় করেছে, কাজ করেছে। আওয়ামীলীগের কত কাছের লোকও এই পুরো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, দেশের কত নাম করা আইনজীবি, তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ কিংবা তাদের মেয়ের জামাইদেরও এরা লেলিয়ে দিয়েছে এই বিচারের বিরুদ্ধে। মিলিয়ন মিলিয়ণ ডলারের এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন আমাদেরই করতে হবে। [...]

মাহমুদুর রহমানের "আমার দেশ" পত্রিকা আজকে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং বিশ্বের অন্যতম খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ জনাব ডক্টর আহমেদ জিয়াউদ্দিনের একটি ব্যাক্তিগত স্কাইপির আলাপ ট্রান্সক্রিপ্ট আকারে তাদের পত্রিকায় ছেপেছে এবং এদেরই সাঙ্গ-পাঙ্গ রা সেসব ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে তারা আরেকজন আইন বিশেষজ্ঞ জনাব রায়হান রশীদেরও নাম উল্লেখ করেছে তাদের রিপোর্টে। জামাত ঠিক কতটুকু নোংরা ও ইতর হতে পারে এটি কেবল তারই একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেশ কিছুদিন আমি কাজ করেছি "আই স্পাই" নামে একটি প্রতিষ্ঠানের একজন সেলস এসিস্টেন্ট হিসেবে। এরা তাদের স্টোরে ডিটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং, বাগিং, ইত্যাদি ডিভাইস বিক্রি করে। যেখান থেকে আমার একটা ধারনা আছে যে এই স্কাইপি কনভারসেশন হ্যাক করা কিংবা এই জাতীয় ঘটনা ঘটাবার জন্য কি কি ইকুইপমেন্ট ব্যাবহার করা যেতে পারে এবং এসব করবার জন্য কি পরিমাণ স্কিলড লোকজন প্রয়োজন। ইউটিউব কনভারসেশন শুনে আমি যেটা ক্লিয়ারলি বুঝলাম যে মাননীয় বিচারপতির বাসায় জামাত ও তাদের ভাড়া করা গোয়েন্দারা ডিভাইস বসিয়েছে। এবং আমার ধারনা মতে, শুধু এক জায়গায় না, উনার বাসার প্রতি রুমেই তারা এই ডিভাইস বসিয়েছে এবং এই ডিভাইস বসিয়েই তারা আসলে উনার বলা সকল কথা রেকর্ড করে তা আবার প্রকাশ করে নোংরামির চূড়ান্ত করেছে। এদিকে একটা কথাও বলে রাখা ভালো যে, শুধু যে উনার স্কাইপি কনভারসেশন হ্যাক করেছে তা না, সূত্র মতে উনার ইমেইল আইডিও হ্যাক করা হয়েছে। একজন সিটিং বিচারপতি এবং এত সফিস্টিকেটেড একটা ট্রাইবুনালের বিচারপতির বাসায় এই অত্যাধুনিক বাগস, ডিভাইস, ইকুইমেন্ট বসালো জামাতীরা এবং তারা আজকে গর্ব সহকারে তা বাজারে ছেড়েছে। আমরা কি একটা মগের মুল্লুকে বসবাস করি? আমরা কি একটি ফেইল্ড স্টেইটস এর বাসিন্দা? এই হ্যাকিং এর মাধ্যমে কি হয়েছে? ১) বিচারপতির ব্যাক্তিগত প্রাইভেসীকে ক্ষুন্ন করা হোলো। ২) বিচারপতির ইমেইল, কম্পিউটারে থাকা সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হোলো। ৩) সাক্ষীদের নানাবিধ ডিটেইলস নিশ্চয়ই বিচারপতির কাছে ছিলো, সেগুলোও চুরি হয়ে গিয়ে সেসব সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে গেলো। ৪) পুরো ট্রাইবুনালের সকল তথ্যকে পাচারের মাধ্যমে পুরো বিচার ব্যাবস্থাকেই এখন এক ধরনের হুমকির মুখে ছেড়ে দিলো। ৫) এটা পরিষ্কার হোলো যে, এরা অনেক আগে থেকেই এইসব…

মানব ইতিহাসের হাতে গোনা জঘন্যতম অপরাধ, গণহত্যা আর জাতিনিধনের একটি হয়েও - প্রায় অগোচরেই থেকে গেছে বাংলাদশে ১৯৭১ এ সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধগুলো। বিশ্বমানবতা গুমরে কেঁদেছে, আইনের মর্যাদা পদে পদে হয়েছে অপমানিত। আরো শুনবেন? জঘন্য সে সব অপরাধীরা ধীরে ধীরে হয়েছে পূনর্বাসিত, প্রতিনিয়ত বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে মানবতা আর ন্যায়বিচারকে।[...]

কিছু অন্যায় ব্যক্তিগত, ক্ষতি করে ব্যক্তি মানুষের। কিছু অন্যায় গোষ্ঠীগত, কোনো নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী যার শিকার। কিন্তু কিছু অন্যায় সমগ্র মানবতার জন্য গ্লানিকর, সমগ্র পৃথিবীকে লজ্জায় ডুবিয়ে দেয় - নাড়া দিয়ে যায় বিশ্ব বিবেককে। সে অপরাধগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায় না কোনো মানবিক স্বাভাবিকতায়। কিন্তু এরচেয়েও গ্লানিকর, এরচেয়েও লজ্জাষ্কর ঘটনাও ঘটতে পারে- যদি কিনা এই জঘন্য অপরাধ রয়ে যায় বিচারহীন, ক্ষতিগ্রস্থরা বঞ্চিত হয় ন্যায়বিচার থেকে। এই পৃথিবীর বুকেই এমনটি ঘটেছে, ঘটছে। মানব ইতিহাসের হাতে গোনা জঘন্যতম অপরাধ, গণহত্যা আর জাতিনিধনের একটি হয়েও - প্রায় অগোচরেই থেকে গেছে বাংলাদশে ১৯৭১ এ সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধগুলো। বিশ্বমানবতা গুমরে কেঁদেছে, আইনের মর্যাদা পদে পদে হয়েছে অপমানিত। আরো শুনবেন? জঘন্য সে সব অপরাধীরা ধীরে ধীরে হয়েছে পূনর্বাসিত, প্রতিনিয়ত বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে মানবতা আর ন্যায়বিচারকে। কিন্তু আর কতদিন? অবিচারের ওপর ন্যায়বিচারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ অনেকটা দেরিতে হলেও দৃপ্ত হয়ে উঠেছে। জেগেছে মানুষ, ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্লানিকর দীর্ঘ ক'টা দশকের পরে। বাঙালি জাতি কাঁধে তুলে নিয়েছে আজ বিশ্ব মানবতার শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা। সত্যিকার অর্থেই ন্যায়বিচারের এক পরম ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছে 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল', বাংলাদেশ। কোনো অন্ধ প্রতিশোধ-আকাঙ্ক্ষা হয়ে নয়, বরঞ্চ মানব ইতিহাসকে পূনর্বার কালিমামুক্ত করবার পরম শপথ হিসেবে। কেউ সে যাত্রায় সাথে থাকুক বা না থাকুক, জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যাবোই এই সুবিচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে। পৃথিবীর প্রতি যে উজ্বল অঙ্গীকার নিয়ে জন্মেছিলো বাংলাদেশ নামক রক্তস্নাত রাষ্ট্রটি, দীর্ঘ যাত্রা পথে বহু হোঁচট খেয়েও আবারো মাথা উঁচু করে সে এগিয়ে চলেছে। অন্যায় আর বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে মুছে দিতে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব মানবের শ্রেষ্ঠত্বের যাত্রা- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল, বাংলাদেশ। জানতে চান সেই আলোকযাত্রার বিস্তারণ? কেমন দেখতে সেটা? হ্যাঁ, ঠিক আপনার জন্যই আগামী ১৪ই ডিসেম্বর লন্ডনে ICSF (ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম) এর আয়োজনে চেষ্টা করা হবে সেই গৌরব যাত্রার একটি ছবি আঁকবার। INTERNATIONAL CRIMES TRIBUNALS IN BANGLADESH - JUSTICE IN PERSPECTIVE শীর্ষক সভাটির বিস্তারিত দেখুন এখানে- সময়ঃ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২, সন্ধ্যা ৬:০০ টা। স্থানঃ Lecture theatre: V211 SOAS, University of London Vernon Square Campus Penton Rise London, WC1X 9EW উল্লেখ্য, সভায় আসন সংখ্যা সীমিত এবং অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ আমন্ত্রণ ও নিবন্ধন সাপেক্ষ। নিবন্ধনের তথ্যাদি- নিবন্ধন…

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধির আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর একটি বিশেষ অধিবেশন আয়োজিত হয়। মূলত দেশীয় আইনের প্রক্রিয়ায় দেশীয় ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের উদাহরণ হিসেবেই আইসিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই আগ্রহ। [...]

নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধি-এর আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর বিশেষ একটি অধিবেশন আয়োজিত হয়। মূলত দেশীয় আইনের প্রক্রিয়ায় দেশীয় ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের উদাহরণ হিসেবেই আইসিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই আগ্রহ। এখানে উল্লেখ্য, রোম সংবিধি কেবল এ-ধরনের দেশীয় বিচারের উদ্যোগের অনুমোদনই করে না, উৎসাহিতও করে। রোমভিত্তিক সংগঠন “নো পিস উইদাউট জাস্টিস (NPWJ)”-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশেষ অধিবেশনে আইসিটি-র বিচার প্রক্রিয়া এবং এর সহায়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট আমন্ত্রিত পক্ষসমূহের মধ্যে নির্ধারিত বক্তা হিসেবে প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউশনের প্রতিনিধি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম তারেক, আসামী পক্ষের নিযুক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ব্যারিস্টার টোবি ক্যাডম্যান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস বার কাউন্সিল মানবাধিকার কমিটির প্রতিনিধি মিস সোনা জলি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন এবং বিচার প্রক্রিয়ার সহায়ক নাগরিক জোট ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)-এর সদস্য রায়হান রশিদ। এছাড়াও এই বিচার বিষয়ে সচেতন বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিসি ইনস্টিটিউট-এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এধরনের মুখোমুখি আলোচনায় উপস্থিত সকল ডেলিগেটদের সাথে সরাসরি মত বিনিময়কারীদের মধ্যে আরও ছিলেন আরিফুর রহমান, নিঝুম মজুমদার এবং খান মুহম্মদ। ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিস’ এর মহাসচিব নিকোলো ফিগা তালামানকা-র দক্ষ সঞ্চালনায় আয়োজিত এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ট্রাইবুনালের বিচারের সাথে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন আইনগত ও তাত্ত্বিক বিষয়াদি, প্রচলিত বিভ্রান্তিগুলো, বিচারের বর্তমান পর্যায়ের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ এবং বিচার প্রক্রিয়ার নানান দিক উঠে আসে প্রাণবন্ত এই আলোচনায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত অপরাধের আসল শিকার কে, কারা ক্ষতিগ্রস্ত আইসিএসএফ-এর পক্ষ থেকে তা তুলে ধরা হয়। মুখোমুখি এই আলোচনার সূচনাতেই ১৯৭১-এর সকল শহীদ এবং নির্যাতিতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এর পরপরই সভা চেয়ারম্যানের অনুরোধক্রমে আইসিটি-র প্রসিকিউটর জনাব সাইফুল ইসলাম তারেক এই বিচারের নানা দিক নিয়ে বলতে গিয়ে আইসিটি-র গঠন, আইন, এই আইনের নানা দিক, সাক্ষী সুরক্ষা, অভিযুক্তদের সুরক্ষা ও নানাবিধ সুবিধা, এই বিচারের স্বচ্ছতার দিকগুলো বিভিন্ন উদাহরণ ও আলোচনার মাধ্যমে সভাতে সকলকে জানান। এই সভাতে আসামি পক্ষের আইনজীবীর পক্ষে বলতে গিয়ে টোবি ক্যাডম্যান ১৯৭১ এর অপরাধসমূহের বিচারহীনতা নিরসনে সুষ্ঠু ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার…

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-এ চলমান বিচার সম্পর্কে নিজেদেরকে সর্বাবস্থায় ওয়াকিবহাল রাখতে চাইলে এই ওয়ার্কশপগুলোর কোন বিকল্প নেই। [...]

আইসিএসএফ : পাক্ষিক অনলাইন কর্মশালা সিরিজ (২য় পর্ব)!! [স্কাইপ : ৩ নভেম্বর ২০১২, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে] এই পর্বের নির্ধারিত আলোচ্যসূচী: ট্রাইবুনালের সাক্ষী সংক্রান্ত বিষয়গুলো, যেমন: — সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান — সাক্ষীদের মান — সাক্ষীদের ভয়ভীতি, লোভ এবং হয়রানীর ঘটনাসমূহ — অত্যধিক সংখ্যক সাক্ষী পেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো — বিদেশী বিশেষজ্ঞ সাক্ষী: আইনে তার সুযোগ আসলে ঠিক কতটুকু? (গোলাম আযম মামলার দু'জন বিদেশী বিশেষজ্ঞ সাক্ষী প্রসঙ্গে বিভ্রান্তিসমূহ) — সাঈদী মামলার সেই ১৫ জনের সাক্ষ্য — বিভিন্ন মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং বিচারের গতি — সাম্প্রতিকতম বিভ্রান্তি এবং অপ-প্রচারমূলক তৎপরতাসমূহ — অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন এবং মতামতের মাধ্যমে অন্যান্য আরও যে কোনো বিষয় যুক্ত হতে পারে কিভাবে ওয়ার্কশপে নিবন্ধন করবেন? সদস্য এবং অ-সদস্য নির্বিশেষে উভয়ের জন্যই অনলাইন ও ডাউনলোডযোগ্য (গুগল ডক কোনো কারণে কাজ না করলে) নিবন্ধন ফর্মগুলোর লিংক দেয়া হলো: ১) মেম্বারদের জন্য অনলাইন ফর্মের লিংক: https://docs.google.com/spreadsheet/viewform?formkey=dHBvVW56d3pyMWFOYm9RUTNEWi1YUnc6MQ ২) নন-মেম্বারদের জন্য অনলাইন ফর্মের লিংক: https://docs.google.com/spreadsheet/viewform?formkey=dHhWV2hiRkRLUUVPM2Y1TGFpQktDQlE6MQ ৩) মেম্বারদের জন্য ডাউনলোডেবল ফর্মের লিংক: http://www.mediafire.com/?axcz8hg78n6f86l ৪) নন-মেম্বারদের জন্য ডাউনলোডেবল ফর্মের লিংক: http://www.mediafire.com/?3552uf39945afab [যারা অনলাইনে ফরম পূরণের পরিবর্তে ডাউনলোডকৃত ফর্ম পূরণ করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকলো - পূরণকৃত ফর্ম <icsf-recruitment@googlegroups.com> ঠিকানায় ইমেইল করবার] ফর্মটি পুরণ করে ওয়ার্কশপে স্থান নিশ্চিত করার শেষ সময় আগামী ৪৮ ঘন্টা। অর্থাৎ, আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যেই পূরণ করা ফর্মটি পাঠাতে হবে। সুতরাং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্রহীদের প্রতি লিঙ্ক থেকে ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ওয়ার্কশপগুলোর রূপরেখা: প্রতি দু'সপ্তাহ একবার। ওয়ার্কশপগুলো হবে স্কাইপে, যেখানে অংশগ্রহণ করতে হলে নিচের অনলাইন ফর্ম পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নিজ নিজ স্থান আগে থেকে নিশ্চিত করতে হবে। কি বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বা হতে পারে, তা ফর্ম পূরণের সময় অংশগ্রহণে আগ্রহীরাও সুপারিশ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, ICSF তার সদস্যবৃন্দের বাইরেও এই কর্মশালাগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য অ-সদস্যগণকেও আহ্বান জানাচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের সুযোগ মূলত সর্বনিম্ন ৫ জন থেকে অনূর্ধ ২০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা হচ্ছে। তবে, পূরণকৃত ফর্মগুলোর তথ্যাদি বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই কেবল প্রতি ওয়ার্কশপের ডেলিগেট লিস্ট প্রস্তুত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পূর্ব-প্রস্তুতিমূলক কাগজপত্র সরবরাহ করা হবে। ফর্মপূরণ ব্যতীত কেউ কোনোভাবেই ওয়ার্কশপে অংশ নিতে পারবেন না। আইসিএসএফ এর সদস্যরা যরা…

এই ধরনের আইন মোটামুটি পৃথিবীর সব জায়গাতেই রয়েছে। খোদ ওই বিদেশী আইনজীবিদের দেশ ইংল্যান্ডেও বাইরের দেশের কেউ চাইলেই আদালতে দাঁড়াতে পারবে না তাদের আইন অনুযায়ী। তাদেরও এই ব্যাপারে বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের কড়াকড়ি রয়েছে [..]

[গত ৩০ জুলাই, এই প্রসঙ্গে প্রশ্নোত্তরের প্রথম দফা প্রকাশিত হয় আইসিএসএফ এর ফেসবুক পেজে] ❖❖ প্রশ্নঃ ট্রাইবুনালে কি বিদেশী আইনজীবিরা অংশগ্রহন করতে পারবে? যদি না পারে, তবে কেন পারবে না? ❖উত্তরঃ ট্রাইবুনালে যে কোনো পক্ষের হয়ে কোন বিদেশী আইনজীবি লড়ার বিষয়টি বার কাউন্সিল আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আইনটি এক্ষেত্রে একেবারেই স্পষ্ট - আইনজীবিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এই কথাটি বলা রয়েছে বাংলাদেশ লিগাল প্র্যাক্টিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার - ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২৭(১)(ক) তে। বাংলাদেশের আইন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দেশের আইনকে সমুন্নত রাখা দেশের প্রতি শ্রদ্ধারই আরেক নিদর্শন। ❖❖ প্রশ্নঃ তাহলে বার কাউন্সিল যদি বিশেষ বিবেচনা (ডিস্ক্রেশনারী) ক্ষমতা প্রয়োগ করে, তাহলেও কি পারবে না? ❖ উত্তরঃ না পারবে না। ‘ডিস্ক্রেশনারী’ পাওয়ার তখনই প্রয়োগ করা হয় যখন মূল আইনে অস্পষ্টতা বা এই ধরনের ইঙ্গিত থাকে। আমাদের আইনে স্পষ্ট করে এই ব্যাপারে বিধি নিষেধ দেয়া আছে। সুতরাং ডিস্ক্রেশন ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ ০% ❖❖ প্রশ্নঃ তাহলে আগরতলা মামলা তে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিদেশী আইনজীবি এসেছিলেন এবং শেখ হাসিনার পক্ষে ২০০৭ সালে কিভাবে চেরী ব্লেয়ার মামলা লড়েছিলেন? ❖ উত্তরঃ আগরতলা মামলা হয়েছিলো ৬৭-৬৮ সালের দিকে। সেই সময় তৎকালীন পাকিস্তান বার কাউন্সিল আইনের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের আইনের পার্থক্য রয়েছে। কেননা স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে এই ব্যাপারে আইন হয়েছে ১৯৭২ সালে (বাংলাদেশ লিগাল প্র্যাক্টিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার - ১৯৭২)। এইখানে বিদেশী আইনজীবি আসতে হলে তাকে প্রথমেই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। আর শেখ হাসিনার পক্ষে চেরী ব্লেয়ার কোনোদিন কোর্টে লড়েনি। তিনি শুধু হাসিনার পরামর্শক হিসেবে দেশে এসেছিলেন, কখনোই আদালতে দাঁড়াননি। ❖❖ প্রশ্নঃ এ ধরণের বিধান কি শুধু বাংলাদেশেই বিদ্যমান? ❖ উত্তরঃ না। এই ধরনের আইন মোটামুটি পৃথিবীর সব জায়গাতেই রয়েছে। খোদ ওই বিদেশী আইনজীবিদের দেশ ইংল্যান্ডেও বাইরের দেশের কেউ চাইলেই আদালতে দাঁড়াতে পারবে না তাদের আইন অনুযায়ী। তাদেরও এই ব্যাপারে বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের কড়াকড়ি রয়েছে। উল্লেখ্য যে, অভিযুক্তদের পক্ষে পরামর্শ দানের জন্য বিদেশী আইনজীবিরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে মোট ১৫ বার প্রবেশ করেছেন।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.