আমাদের দেশে সামাজিক মদ্যপান নিষিদ্ধ। দেশের বিশেষ কিছু ক্লাব, দেশজুড়ে স্বল্পসংখ্যক একজনআরেকজনেরমুখদেখতেনাপাওয়া লাইসেন্সধারী অন্ধকার বার এবং কয়েকটা বার লাইসেন্স পাওয়া হোটেল : মদ কেনা বেচা খাওয়া সব এই কয়েকটা জায়গা ছাড়া আর সবখানে বেআইনি। তাই লুকিয়ে চুরিয়ে মদ্যপানই আমাদের সংস্কৃতি। আর মদ জোগাড় করা ও তা নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো, হেরোইন জোগাড় ও বহন থেকেও ভীতিকর ব্যাপার। মদ খাওয়ার সবচেয়ে বড় দিক সামাজিক আনন্দ, তা কখনোই গাঁজা, ডাইল, হেরোইনের মতো একক নেশায় চুর হওয়ার অস্ত্র নয়। যদিও মদ খেয়েও নেশাগ্রস্ত হওয়া যায় কিন্তু মদ খেলেই যে নেশা হয় তা নয়। অবশ্য সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ করায়, মদের সামাজিক আনন্দ নষ্ট হওয়ায়, খেয়ে মোদোমাতাল হওয়ার প্রবণতা এখানে খুবই বেশী।
আমরা যখন এক বোতল রেড লেবেল হুইস্কি কিনতে চাই তখন আমাদের ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়, এরপর এটি নিয়ে যেভাবে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে অনেকের কাছে তা বেশ রোমাঞ্চকর মনে হলেও, কর্মজীবনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে এসব ঝক্কি যে চরম অসম্মানের তা যে কেউ স্বীকার করবেন, আশা করি। সবচেয়ে দু:খজনক একটা অতিসাধারণ বিয়ার যখন ৩৫০ থেকে ৪৫০ দিয়ে কিনতে হয়, তখন সত্যিই চরম নিরানন্দ এই সামাজিক জীবনের অসম্মান সহ্য করা যে কোনো সংবেদনশীল মানুষের জন্যই অসম্ভব বেদনাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
এ অসম্মান থেকে উত্তরণ হবে কী করে
আসলে খুব দ্রুত মদ কেনা বেচা ও খাওয়ার অনুমতি প্রাথমিকভাবে বড় রেস্টুরেন্টগুলোকে দিয়ে দেয়া উচিত(অবশ্যই শুধু খাওয়ার সাথেই তা বিক্রি ও পরিবেশন করা হবে, এবং একটি রেস্টুরেন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী বিয়ার ও ওয়াইন কিনবে)। খাওয়া দাওয়ার সাথে মদ, খাওয়াকে আরো আকর্ষণীয় করে। এ এক চরম দুর্দশা যে, একটা চমৎকার শিককাবাব বিয়ার ছাড়া খেতে হচ্ছে আর চিংড়ির মালাইকারির সাথে থেকে থেকে চুমুক পড়ছে না লাল বা সাদা ওয়াইনে। এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে সামাজিক আনন্দ বাড়াবে, অবশ্যই ডাইলের উপদ্রব কমাবে। অনেকটা খেলাধূলার সুযোগ থাকার মতো, যেখানে এ সুযোগ থাকে সেখানে অপরাধপ্রবণতা কম থাকে।
এর পাশপাশি চালু করা উচিত পাব। পাব হলো মদ খাওয়ার কাফে। এখানে আর খাওয়া দাওয়া মূখ্য নয়, মদ খাওয়াটাই মূখ্য। পাব চালু হলে আমাদের দেশের বেঢপ, বিশাল, অন্ধকার, অপরাধবোধ জাগানো বারগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। পাবও তার চাহিদা অনুযায়ী বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কি, জিন, ভদকা,রাম কিনবে এবং শুধুমাত্র পাবেই খাওয়ার জন্য বিক্রি করবে।
এবং দুই ক্ষেত্রেই অবশ্যই মদ বিক্রি করতে হবে এখনকার চেয়ে অন্তত আড়াই গুণ কম দামে। প্রাথমিকভাবে কেউই বাইরে নেবার জন্য মদ কিনতে পারবেন না, অবশ্য পার্টির উদ্দেশ্যে রেস্টুরেন্ট ক্যাটারিং সেবা নিয়ে যে কেউ চাহিদা অনুয়ায়ী মদ নিজের আয়োজিত সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করতে পারবেন।
এভাবে চলতে চলতে সবকিছু এমন পর্যায়ে চলে যাবে তখন শুরু হয়ে যাবে লিকার শপ, যেখান থেকে যে কেউ যখন তখন কিনতে পারবে বিভিন্ন ধরনের মদ।
তখন শুরু করতে হবে নানা নতুন সামাজিক পরিসংখ্যান : কে কত বেশী খাচ্ছে, কীভাবে খাচ্ছে, কারো কারো মদ খাওয়া সামাজিক হুমকি তৈরী করছে কি না, ট্রাফিক পুলিশদের কর্মতৎপরতা আরো কত বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। তবে যাই কিছু হোক অসম্মানের কিছুই সেখানে ঘটবে না, এটা নিশ্চিত মানুষকে মদ খেতে না দেয়াই অসম্মানের, কম খাওয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন মোটেই অসম্মানের নয়, বরং সেটা আরো সম্মানের, কারণ, তাতে বোঝা যায়, সমাজ তার মানুষকে নিয়ে কত নিয়োজিত।
এ লেখার একটি বড় পাদটীকা আছে : এতক্ষণ আমরা যে সামাজিক আনন্দের কথা আলোচনা করলাম, তার কোনো তাৎপর্যই থাকবে না, যদি না আমাদের সমাজ রাষ্ট্র সরকার, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক আনন্দ, কর্মসংস্থানের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটাতে পরিকল্পিত কর্মযজ্ঞ শুরু না করে।
মাসুদ করিম
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৪০ comments
নওরীন তামান্না - ৫ নভেম্বর ২০০৮ (২:০৭ অপরাহ্ণ)
মজার এবং ‘দরকারী’ এই পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ মাসুদ করিমকে। বিষয়বস্তু হিসেবে পোস্টটিকে “মানবীবিদ্যা”র অন্তর্ভূক্ত করেছেন দেখলাম। “মানবীবিদ্যা” বিষয়টিকে কি একটু ব্যাখ্যা করা যায়? খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।
মাসুদ করিম - ৬ নভেম্বর ২০০৮ (৩:০৪ পূর্বাহ্ণ)
মানবীবিদ্যা ইংরেজী Humanities এর অনুবাদ। Humanities:the branches of learning (as philosophy, arts, or languages) that investigate human constructs and concerns as opposed to natural processes (as in physics or chemistry) and social relations (as in anthropology or economics).মানবীবিদ্যার অর্ন্তভূক্ত করেছি কারণ সামাজিক মদ্যপানের মধ্য দিয়ে একটি সমাজের গড়ন ও সমাজের আন্তসম্পর্কের অনেকিকছুই জানা যায়।
রেজাউল করিম সুমন - ৮ নভেম্বর ২০০৮ (১০:২১ পূর্বাহ্ণ)
Humanities-এর অনুবাদ হিসেবে চালু আছে মানববিদ্যা, মানবিকবিদ্যা বা মানবিকীবিদ্যা। মানবীয়বিদ্যাও হয়তো চলতে পারে। কিন্তু এর বিকল্প হিসেবে মানবীবিদ্যা কি ঠিক হবে? মানবীবিদ্যা তো এরই মধ্যে Women Studies-এর বাংলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আপনার লেখাটিতে ভাবনার খোরাক আছে। ধন্যবাদ।
পার্থ সরকার - ৬ নভেম্বর ২০০৮ (৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
যেখানে খেলাধুলার সুযোগ থাকে, সেখানে অপরাধ প্রবণতা কম থাকে, এর চেয়ে বড় সত্যি আর কি হতে পারে?
মিঠুন দস্তিদার - ৬ নভেম্বর ২০০৮ (১২:৩৪ অপরাহ্ণ)
খুবই সাহসী লেখা। আমাদের এই ভন্ডামী যে কবে বন্ধ হবে?
মাসুদ করিম - ৯ নভেম্বর ২০০৮ (২:২৩ পূর্বাহ্ণ)
@রেজাউল করিম সুমন
তৈরী শব্দের জঙ্গলে পথ হারিয়েছিলাম । আপনার কল্যাণে বাঁচা গেল।
তবে dictionary খুঁজতে গিয়ে দেখি Women studies বলে কিছু নেই, আছে women’s studies: (Function–noun plural but singular or plural in construction)the multidisciplinary study of the social status and societal contributions of women and the relationship between power and gender . এর বাংলা হিসেবে ‘নারীবিদ্যা’ কি প্রচলিত? নাকি এটা অন্য কোনো বিদ্যার জন্য আগেই ব্যবহৃত? তা যদি না হয়, তাহলে ‘নারীবিদ্যা’ ব্যবহার ভাষার চলনের জন্য অনেক ভালো।
রেজাউল করিম সুমন - ১০ নভেম্বর ২০০৮ (১০:১১ পূর্বাহ্ণ)
ঠিকই বলেছেন, women and gender studies, কিন্তু women’s studies. ধন্যবাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Department of Women and Gender Studies-এর বাংলা নাম আমার জানা নেই। আর পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Women’s Studies-এর নাম বাংলায় সম্ভবত প্রতিবর্ণীকরণ করেই লেখা হয়। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত দু-একটি বইয়ে সেরকমই দেখেছি বলে মনে পড়ছে। তবে ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেল ওই কেন্দ্রটির একটি অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা হয়েছে “মানবীবিদ্যা চর্চাকেন্দ্র”।
Feminism-এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে “নারীবাদ” প্রচলিত; women’s studies-কে “নারীবিদ্যা” বলতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তবে পরিভাষা হিসেবে যে-কোনো একটি শব্দকে বেছে নেয়াই ভালো, বিশেষত “মানবীবিদ্যা” যদি এরই মধ্যে চালু হয়ে গিয়ে থাকে।
সৈকত আচার্য - ১১ নভেম্বর ২০০৮ (৮:৫১ অপরাহ্ণ)
দরকারী কথা বলার এই সাহসের জন্য, আমাদের সমাজ এখনও আপনাকে পুরস্কার দিতে প্রস্তত নয়। বরং তৈরী থাকুন, কোন এক ছোটখাট অপবাদ মাথায় নেয়ার জন্য। আলো আঁধারী ঘরের ঐ বাসিন্দারাও আপনার সাথে না থাকলে অবাক হবেন না যেন, বলে দিলাম কিন্ত। তাদেরও তো একটা সমাজ আছে, নাকি!
মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০০৮ (৫:১৯ অপরাহ্ণ)
সমাজ সংসার মিছে সব মিছে এ জীবনের কলরব। সেই আকাঙ্ক্ষা সেই নির্দোষ আনন্দের অনুভূতি যদি আপনাকে অভিভূত করে, তবে সে রকমটাই থাকুন, সমাজকে কিছু মূহুর্তের জন্য হলেও, কার্নিভালে উন্মত্ত দেখুন,ভালো লাগবে। উল্লাস অন্ধকারে কেন, সে তো রাজপথে উপভোগ করবার, জানাবার আমি তোমাকে সে তাহাকে সবাই সকলকে, জলাভরণ হুইস্কি, হিমশীতল লেবুবুদ ভদকা, এ বটল অফ রাম, আর্দ্র আর্দ্র শুষ্ক জিন, খাওয়ার টেবিলে গভীর শ্বাসে নেয়া জিভ টাগরা ভিজিয়ে দেয়া লাল বা সাদা ওয়াইন, তিক্ত উচ্ছাসের কোমল শীতলতার প্রিয়তম বিয়ার, এদের আপনি অন্ধকারে নেবেন কেন?
মোহাম্মদ মুনিম - ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৪০ পূর্বাহ্ণ)
ইন্টারনেটে দেখলাম পাকিস্তানে সত্তুরের দশক পর্যন্ত মদ্যপান বৈধ ছিল, এটা আগে জানা ছিল না। তার মানে আমাদের দেশে ৭১ সাল পর্যন্ত মদ্যপান বৈধ ছিল। নিষিদ্ধ করলো কোন সরকার, এটা জানা নেই। কেন করলো?
মাসুদ করিম - ১৪ অক্টোবর ২০১০ (৬:১১ অপরাহ্ণ)
পড়ছিলাম শাহরিয়ার কবিরের প্রবন্ধ ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা এবং জামায়াতের রাজনীতি,এখানেই যে আপনার প্রশ্নের [নিষিদ্ধ করলো কোন সরকার, এটা জানা নেই। কেন করলো?] উত্তর পাব ভাবিনি। কবির লিখছেন
কিন্তু আমাদের ইতিহাসটা কী হল, শুঁড়িখানার স্বাধীন সহজ সম্মান আজো ফিরে পেলাম না — কিন্তু উগ্র ধর্মীয় আবিলতার সবই ভোগ করতে হল।
মাসুদ করিম - ২৩ এপ্রিল ২০১১ (১২:৫১ অপরাহ্ণ)
এজন্যই কি হাতিকে পশুদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী ধরা হয়? — হাতি মদ্যপান করে এবং হাতি দুঃখ পেলে কান্না করে, জানাচ্ছেন আমাদের সানু জর্জ মালায়লাম ভাষায় জেকব চিরানের হাতি বিষয়ক বই নিয়ে আলোচনায়।
আহা! মাহুত আর হাতি মিলে মদ্যপানের এই আসরটা আমি কল্পনায় বেশ দেখতে পাচ্ছি। ভাগ্য ভাল জঙ্গলে আমাদের দেশে সামাজিক মদ্যপান নিষিদ্ধ করা লোকগুলোর কালাকানুন চলে না।
বিস্তারিত পড়ুন : Elephants love liquor, cry when sad, says new book।
মাসুদ করিম - ২ জানুয়ারি ২০১২ (১:২৬ অপরাহ্ণ)
মন্দায় স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত স্কচ হুইস্কির বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বরং শতকরা ২৩ ভাগ ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পুরো অবদান ভারত, চীন ও ব্রাজিলের উঠতি মধ্যবিত্তের। এবং আমাদের দেশে যেহেতু সামাজিক মদ্যপান স্বীকৃত নয় কাজেই আমাদের অবদানের কথা উল্লেখই নেই। কিন্ত এটা নিশ্চিত বাংলাদেশের মদ্যপানেরও এই বৃদ্ধিতে ভূমিকা আছে। সেই ভূমিকাটা কত যদি জানা যেত, তাহলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সামাজিক মদ্যপানের হিসাব নিকাশ আরো ভাল ভাবে বুঝিয়ে দেয়া যেত।
লিন্ক : Scotch whisky industry unaffected by recession।
মাসুদ করিম - ১৯ মার্চ ২০১২ (১০:০৬ পূর্বাহ্ণ)
মাঝে মাঝে সত্যি খুব খারাপ লাগে। ভারতীয় লাল/সাদা মদ বেশ মিষ্টি খেতে, এবং পাপর সিঙ্গারা সমোসা পাকোড়ার মতো যত ভাজাভুজি আছে তার সাথে খেতে এই লাল/সাদা মদ (wine) খুবই উপাদেয়। ভারতে আমার প্রিয় পানীয় তালিকায় সবসময়ই থাকে এই লাল/সাদা মদ। ঠিকই বলছেন, ইতালির বিখাত স্বাদপরীক্ষক ও মদসমঝদার। এখন খারাপ লাগে এজন্য, এসব লিখতে লিখতে আবার একটু ঝালিয়ে নিতে না পারলে কারই বা ভাল লাগে।
পড়ুন : Wine appreciation is an art।
মাসুদ করিম - ৩০ এপ্রিল ২০১২ (১০:২২ পূর্বাহ্ণ)
চিয়ার্স হিলারি। বিস্তারিত দেখুন ও পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১২ (২:৩১ অপরাহ্ণ)
মদ্যপানের শাস্তি নিয়ে ইরানের আইন : প্রথম দুইবার ৮০ বেত্রাঘাত, তৃতীয়বার মৃত্যুদণ্ড। প্রায়শ্চিত্ত করলে মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আবার বেত্রাঘাত।
কিন্তু ইরানে মদের চালান ও মদ তৈরির অবস্থা?
তাহলে এইসবের কী মানে? যত্তসব ইসলামি আজাইরামি।
খবরের লিন্ক : Iran to execute two for alcohol: reports।
মাসুদ করিম - ২৫ আগস্ট ২০১২ (১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে লাহোরের এক জনসভায় একজন জুলফিকার আলি ভুট্টো যখন বলেন
এই মিলিট্যান্ট অ্যালকোহলিক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটাই বোঝা গেছে, কয়েক মাসের মধ্যে এই জুলফিকার আলি ভুট্টোই পাকিস্তানে মদ্যপান ও জুয়াখেলা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করবেন এবং শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করবেন। আমার চোখে উপমহাদেশের ইতিহাসে জুলফিকার আলি ভুট্টোই ছিলেন সামাজিক মদ্যপানের সবচেয়ে বড় শত্রু।
মাসুদ করিম - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৩:১৮ অপরাহ্ণ)
কিছু বলতে চাই না আর শুধু এই গ্রাফটি দেখাতে চাই।
মাসুদ করিম - ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ (১:২৩ অপরাহ্ণ)
Alcohol in Muslim-majority countries: 1
• Algeria (Completely legal) 2
• Albania (Completely legal)
• Azerbaijan (Completely legal)
• Bahrain (Conditionally legal) 3
• Bangladesh (Partially legal) 4
• Bosnia (Completely legal)
• Brunei (Completely banned)
• Burkina Faso (Completely legal)
• Chad (Completely legal)
• Comoros (Completely legal)
• Djibouti (NA)
• Egypt (Completely legal)
• Gambia (Partially legal) 5
• Guinea (NA)
• Indonesia (Completely legal)
• Iran (Completely banned)
• Iraq (Conditionally legal) 6
• Jordan (Completely legal)
• Kazakhstan (Completely legal)
• Kosovo (Completely legal)
• Kuwait (Completely banned)
• Kyrgyzstan (Completely legal)
• Lebanon (Completely legal)
• Libya (Completely banned)
• Malaysia (Conditionally legal) 7
• Maldives (Conditionally legal) 8
• Mali (Completely legal)
• Mauritania (Completely banned)
• Mayotte (Completely legal)
• Morocco (Completely legal)
• Niger (Completely legal)
• Oman (Partially legal) 9
• Pakistan (Partially legal) 10
• Palestinian territory (Completely legal)
• Qatar (Partially legal)
• Saudi Arabia (Completely banned)
• Senegal (Completely legal)
• Sierra Leone (Completely legal)
• Somalia (Completely banned)
• Sudan (Partially legal) 12
• Syria (Completely legal)
• Tajikistan (Partially legal) [13]
• Tunisia (Completely legal)
• Turkey (Completely legal)
• Turkmenistan (Completely legal)
• UAE (Partially legal) [14]
• Uzbekistan (Completely legal)
• Western Sahara (Completely legal)
• Yemen (Completely banned)
1 Alcohol use in predominantly Muslim regions of the world increased by 25 per cent between 2005 and 2010.
2 Alcohol sales are prohibited during the month of Ramazan.
3 Consumption only allowed at bars and designated restaurants.
4 Though alcohol is banned in Bangladesh but in 2010, the government allowed the sale of beer that has 5 (or less) per cent alcohol content.
5 Sale only allowed to non-Muslims.
6 Only legal in large cities.
7 Banned in the states of Kelantan and Terengganu. Legal only in licensed restaurants and bars. 8 Legal only at tourist resorts.
9 Legal at licensed hotel bars in the city of Muscat.
10 Available to non-Muslims at licensed liquor stores and hotel bars. Sales (through stores) not allowed in the month of Ramazan and on Fridays.
11 Available to non-Muslims at licensed hotels.
12 Legal only in the Christian-majority areas in South Sudan.
[13] Available in hotels, stores and bars but only to non-Muslims.
[14] Legal in hotels, restaurants and bars in Dubai.
-Source: Brookston Beer Bulletin
রাজীব আহমেদ - ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৪:২৮ পূর্বাহ্ণ)
চমৎকার একটি লেখা। ধন্যবাদ লেখককে।
তবে বাংলাদেশে এটা হবার নয়, যেমন সম্ভব নয় শুক্রবার ছুটি বাতিল করার।
মাসুদ করিম - ২২ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৭:৩৭ অপরাহ্ণ)
হ্যাঁ, সেটাই। কিন্তু হলে ভাল হত। অবশ্য ওই যে সৈকত আচার্য বলেছিলেন
খুব খাঁটি কথা। সামাজিক মদ্যপানের দ্বিবিধ শত্রু, একই কথা শুক্রবারের ছুটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারা চান, কতটুকু চান — সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০১৩ (২:৪৪ অপরাহ্ণ)
সব মুসলমান প্রশাসকের মতো তুরস্কের এরদোগানও এটা বুঝবেন না যে, মদ্যপান করা মানেই মদ্যপ হওয়া নয়। আমাদের মতো সামাজিক মদ্যপানের প্রতি আকৃষ্ট মানুষদের জন্য মুসলমান প্রশাসকেরা সব জায়গায় সব সময় এমন এক মূঢ়তার দ্বারা পরিচালিত যে, সব মুসলমান প্রশাসকের কাছ থেকে ‘এই অসম্মান’ পাওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই পাওয়ার নেই।
মাসুদ করিম - ২২ জুন ২০১৩ (১:৪৪ অপরাহ্ণ)
অসম্মানের তো শেষ নেইই, সেসাথে আছে বেশি দামে অ্যালকোহল কেনা। তুরস্কে অ্যালকোহলের দাম ইউরোপের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ১০/২০ % নয় একেবারে ২০৫ % বেশি!
বিস্তারিত পড়ুন : Alcohol price in Turkey ‘double’ Europe average।
মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০১৩ (৪:০৮ অপরাহ্ণ)
ইউএস পোস্টঅফিস মানে আমেরিকার ডাকঘর অ্যালকোহল ঘরে পৌঁছে দেয়ার সেবা প্রচলন করার কথা ভাবছে, অ্যালেন গিন্সবার্গ বেঁচে থাকলে প্লেবয় ম্যাগাজিনে নির্ঘাত ইউএস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে তুলোধুনো করতেন দেবভোগ্য ‘হাশিশ’ ‘সিদ্ধি’ ঘরে পৌঁছে না দিয়ে ‘বিরক্তিকর আরক’ ‘রদ্দি স্পিরিট’ ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
কিন্তু আমার বা আমাদের কী হবে? আমাদের ডাকঘর থানার সাথে হয়তো চুক্তিবদ্ধ হবে — আমাদের মতো পারমিট ছাড়া মদ্যপায়ীদের ২৪x৭x৩৬৫ রাউন্ড দ্য ক্লক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘরে পৌঁছে দেয়ার সেবা প্রচলন করবে, আর এভাবে আমাদের গ্রেপ্তারকার্য ত্বরান্বিত করার মহতী উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়ানোর পাশাপাশি থানার কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থ সমাগমের একটা ভাল খাত সৃষ্টি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবে।
মাসুদ করিম - ৫ আগস্ট ২০১৩ (৬:১৬ অপরাহ্ণ)
সামাজিক ব্যবসার জন্য বাংলাদেশের ইউনূস প্রসিদ্ধ, সামাজিক মদ্যপান বাংলাদেশে নিষিদ্ধ – বাঙালির ব্যবসায় মন খুব ভাল, আচাইয্য প্রফুল্লচন্দ্র বাঁইচা থাকলে খুশি অইত।
Pingback: স্বাস্থ্য পান | মাসুদ করিম
মাসুদ করিম - ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)
আমাদের ‘দোচোয়ানি’-র সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু আমরা তো ‘এই অসম্মান’-এর ভেতর বসবাস করি।
মাসুদ করিম - ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ (১:৩৮ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৪ মার্চ ২০১৪ (১২:৪৯ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৫ মার্চ ২০১৪ (১২:৫৭ অপরাহ্ণ)
আমরা কোনো দিন এই উদযাপন করতে পারব?
মাসুদ করিম - ২৬ মে ২০১৪ (৯:৫৬ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৩ জুলাই ২০১৪ (৫:১৫ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৯ অক্টোবর ২০১৪ (১০:৩৮ অপরাহ্ণ)
আরো অসম্মান
মাসুদ করিম - ৩০ অক্টোবর ২০১৫ (৪:৪৭ অপরাহ্ণ)
আরেক অসম্মানের সূত্রে এই টুইট।
মাসুদ করিম - ৬ এপ্রিল ২০১৬ (৫:০৪ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (১:০৯ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৩ মে ২০১৭ (৮:৩৪ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১ জুলাই ২০১৭ (৭:৪৫ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (১০:০২ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ (৩:২৭ অপরাহ্ণ)
মাদক আর মদ আলাদা হবে ‘মতবিনিময়ে’: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1991237.bdnews
মাদক থেকে মদকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
হাই কোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকদ্রব্যের সংজ্ঞায় ‘অ্যালকোহল’কে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করে।
মদকে মাদকদ্রব্য আইনে শ্রেণিভুক্ত করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা আইন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ সচিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মদসহ স্বল্প অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বিয়ারও মাদকের তালিকাভুক্ত।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, “মদ ও অ্যালকোহলকে মাদক বলে চিহ্নিত করা আছে। যেহেতু আদালত থেকে নির্দেশনা এসেছে, এখন এটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।
“লিকারকে কীভাবে আলাদাভাবে দেখা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে জানাবো। আবার বসে ঠিক করব।”
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সভায় মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ‘চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্র’ করার প্রস্তাব এসেছে। কারণ মাদকসেবীরা ৭০ শতাংশের ওপরে সুস্থ্য হয় না। আবার ব্যাক করে। চিকিৎসাকেন্দ্র শব্দটি সঙ্গে থাকলে উপযুক্ত হবে। শতভাগ নিরাময় করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের সময় ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান তিনি।
“প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। কাজেই এখন থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও চাচ্ছি যাতে নব প্রজন্ম বিপথগামী না হয়, ভুল পথে না যায়, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিচ্ছি,” যোগ করেন তিনি।
কামাল বলেন, “অনেক চাকরিজীবী বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা চাকরি করছেন, যারা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে যাকে মাদকাসক্ত বা মাদকের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছি এবং ডোপ টেস্টে যারা শনাক্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন যত নিয়োগ হচ্ছে, সেখানে ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।“
সভায় মাদকসেবীদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে চার লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মাদক মামলা রয়েছে। এগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে। “সীমান্তে সমন্বিত ব্যবস্থায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ এসেছে। অনলাইনে মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে, কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।“
মাদক মামলা নিষ্পত্তিতে মাদক আইনে ‘সুনির্দিষ্ট আদালত’ গঠনের কথা বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জটিলতা এসেছিল। পরে সিদ্ধান্ত হয় প্রত্যেক আদালতে অগ্রাধিকার দিয়ে মাদকের মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেবেন আইনমন্ত্রী। মাদক আইন পরিবর্তন করা হবে না।
“মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। ভারত কিংবা মিয়ানমার থেকে আসছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে বান্দরবানের দিকে যতই যাবেন দুর্গম এলাকা। সীমান্ত এলাকায় যেতে দুই-তিন দিন লাগবে।
“আমরা সীমান্ডে সড়ক করছি। দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। এটা হয়ে গেলে বর্ডার গার্ডরা সীমান্তে গিয়ে পাহারা দিতে পারবেন। অনেকখানি মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার এ সুবিধা নিয়ে সড়ক পথে আবার জঙ্গল দিয়ে চলে আসে। কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে, আরও শক্তিশালী করা হবে।
টেকনাফের অধিবাসীদের আরও সচেতন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “টেকনাফবাসী ইয়াবাকে মাদক নয়, ওষুধ মনে করে।“