11217988_1474636336185453_8872640789832498178_o

 

অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর ১৯৭১ সালের অপকর্ম নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখবেন সাহসী সাংবাদিক। সেই লেখার কারণে আক্রমণের শিকার হবেন তিনি, তার অঙ্গহানি ঘটবে। সে অন্যায়ের না হবে তদন্ত, না হবে বিচার!

দেশে পাঁচ পাঁচটা বছর ধরে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলতে থাকবে। রাঘব বোয়াল রাজাকার থেকে শুরু করে অলিগলির ছিঁচকে রাজাকার দু’একজনেরও বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে, রীতিমতো দেশ আর দুনিয়া কাঁপিয়ে। সেখানে কারও হবে ফাঁসী, কারও হবে জেল। কিন্তু সেই একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে নিয়ে না আলোচনা হবে মিডিয়ায়, না খোলা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তের কোনো ফাইল। এবং এমনটাই হতে থাকবে। কারণ, ততোদিনে সেই চিহ্নিত অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর এমনকি সামাজিক আত্মীয়তার বন্ধন তৈরী হয়ে গেছে রাজনৈতিক সরকারের কেন্দ্রীয় বলয়ের প্রভাবশালীদের সাথে! সেই খুঁটির জোরে রাজাকার সাহেব মহাসমারোহে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেশে আসবেন, পাঁচ তারা হোটেলে তার সম্বর্ধনা হবে, তাকে নিয়ে আলোচনা হবে, কিছু কুলাঙ্গার নির্বোধও জুটে যাবে তার গুনগান গাইবার!

১৪ বছর আগে সেই যে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছিলেন – তার পর আর কিছু ঘটেনি, ঘটবে না। কারণ, তার উপর সব দায় চাপিয়ে দিয়ে আমরাও একটা পুরো জাতি ততোদিনে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে চলে গেছি। সেই সাংবাদিককেই অগত্যা এবারও আবার কলম তুলে নিতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ একটাও মানুষের মতো মানুষ নেই কোথাও প্রতিবাদ করবার মতো। লিখবার জন্য শুধু সেই সাংবাদিকের জীবনই আবার নতুন করে বিপন্ন হবে, সরাসরি জীবননাশের হুমকি ঝুলবে তার সামনে।
যেন এর মাধ্যমে এই বার্তাটুকু সবার কাছে পৌঁছে দেয়া – প্রভাবশালী সরকারী আত্মীয় যে সব যুদ্ধাপরাধী – তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখিয়েছো – তাহলে তুমি তো মরবেই, তোমার পরিবারকেও বাঁচতে দেয়া হবে না। আর হুমকিদাতাদের স্রেফ মর্জির কারণে দৈবাত যদি এখনো বেঁচেও থাকো, তাহলেও মৃত্যুর খাঁড়া তোমার মাথার উপর ঝুলতে থাকবে সবসময় – সেটা নিয়েই জীবনযাপন করতে হবে তোমাকে এবং তোমাদের মতো আর সবাইকে!

এসব যখন চলতে থাকবে তখন সামাজিক নেটওয়ার্কে, ফেসবুকে – আমাদের দিবারাত্র বকবক করার মতো বিষয়ের কোনো অভাব পড়বে না। শুধু এই ইস্যুতে কাজ করবার মতো সময় হবে না আমাদের বেশীর ভাগেরই। এখানে “আমরা” মানে তারা যারা নিজেদের তথাকথিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক ইত্যাদি বলে দাবী করি, এবং তা করে বেশ একটা আত্মশ্লাঘা অনুভব করি!

প্রশ্ন: ১:
আমরা কখন পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের? আদৌ দাঁড়াবো কি? নাকি কিছু একটা ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমরা?

প্রশ্ন: ২:
অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মুসা বিন শমসের বা নুলা মুসার বিরুদ্ধে তদন্তের ফাইল খোলা হবে কবে? তদন্তের স্বার্থে, সবার নিরাপত্তার স্বার্থে এই লোককে গ্রেফতারের আওতায় কখন আনা হবে? আদৌ হবে কি? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বশীল কেউ কি বিষয়টা স্পষ্ট করবেন দয়া করে?

প্রশ্ন: ৩:
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কি জবাব দেবেন – মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার বেলায় আপনাদের এই জাতীয় তালবাহানা আর কতদিন চলবে? হুমকি লাভের পরও আজ পর্যন্ত একজন মানুষকেও তো বাঁচাতে পারলেন না। আমাদের সহযোদ্ধা মানুষের মতো মানুষগুলো একে একে মরে নিকেশ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা বেঁচে বর্তে চাকরীতে আছেন কি করতে?

প্রাসঙ্গিক:
– জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জনতার আদালতে প্রবীর সিকদার
– যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করতে কেন এই নির্লিপ্ততা
– কে এই ‘প্রিন্স’ ড মুসা বিন শমসের?

 

(অন্যত্র প্রকাশ: উত্তরাধিকার ৭১, ফেসবুক)

রায়হান রশিদ

জন্ম চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা চট্টগ্রাম, নটিংহ্যাম, এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমান আবাস যুক্তরাজ্য। ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা প্রদান, এবং ১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের দাবীতে সক্রিয় নেটওয়ার্ক 'ইনটারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম' (ICSF) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি।

৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ১৭ আগস্ট ২০১৫ (৯:০৫ পূর্বাহ্ণ)

    সাংবাদিক প্রবীরের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা

    ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশ আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ফরিদপুরে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয়েছে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে।

    ফেইসবুকে লেখার মাধ্যমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ তুলে রোববার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশাররফ ফরিদপুরের সংসদ সদস্য।

    মামলার বাদী ফরিদপুরের এপিপি স্বপন পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জীবনহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে তার জন্য মন্ত্রীকে দায়ী করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন প্রবীর সিকদার। এভাবে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

    ফেইসবুকে গত কিছু দিন ধরে লেখালেখির পর হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন প্রবীর সিকদার। কিন্তু পুলিশ তা নেয়নি জানিয়ে ফেইসবুকে তা নিয়েও লিখেছিলেন তিনি।

    গত ১০ অগাস্ট ‘আমার জীবন শংকা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- “আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শংকা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী-সহযোগীরা।”

    ওই লেখার কারণেই তাকে রোববার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ তাদের কার্যালয়ে ধরে নেয়। তবে তখন তাকে আটক না করার কথাই বলেছিল পুলিশ।

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) সাজ্জাদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “প্রবীর সিকদারকে কোনো কারণে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

    “তিনি তার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন এবং পুলিশ তাকে সহায়তা করছে না এমন একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডেকে আনা হয়েছে। পুলিশ তার কাছে জানতে চাইছে, কী কারণে তার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।”

    সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীরকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে তার ছেলে সুপ্রিয় সিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

    সুপ্রিয় বলেন, “প্রথমে একটি নীল রঙের পুলিশ ভ্যানে তাকে তোলা হয়েছিল। এরপর খামারবাড়ি এলাকায় ভ্যান থামিয়ে তাকে ধূসর রঙের একটি প্রাইভেটকারে তুলে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।”

    বাবাকে তুলে নেওয়ার পর মোটর সাইকেলে পিছু নিয়েছিলেন সুপ্রিয়।

    রাতে প্রবীরের মোবাইল থেকে ফোন পেয়ে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন তার ছোট ভাই, স্ত্রী ও দুই ছেলে।

    সুপ্রিয় বলেন, “ডিবির এক এডিসি আমাকে বলেছেন, বাবাকে রাতে এখানে থাকতে হবে। কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার হাত-পা বাঁধা’।”

    এরপর মধ্যরাতে ডিবির একটি মাইক্রোবাসে করে বের করে আনা হয় প্রবীর সিকদারকে। তখন তার ছেলে সুপ্রিয় সিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার বাবার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। তার বাবাকে ফরিদপুর নেওয়া হচ্ছে।

    প্রবীর সিকদার ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন।

    তার অভিযোগ, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন লেখার কারণে মুসার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ওই হামলা চালায়।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন মুসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বেয়াই (ছেলের শ্বশুর)।

    শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রবীর সিকদার বর্তমানে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এবং দৈনিক বাংলা ৭১ নামের পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি এর আগে সমকাল ও কালের কণ্ঠে কাজ করেছিলেন।

    সম্প্রতি অনলাইন সংবাদপত্র বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত এক লেখায় মুসা বিন শমসেরকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করার পর নিজের ফেইসবুক পাতায় সমালোচনামুখর হন প্রবীর। এরপর তিনি জনকণ্ঠে প্রকাশিত মুসাকে নিয়ে তার লেখা তুলতে থাকেন।

    গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও মুসাকে নিয়ে ‘জেনে নিন কে এই ‘প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের’!’ লেখাটি নিজের ফেইসবুক পাতায় তোলেন প্রবীর, সেই সঙ্গে লেখেন- “যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ছে ! রেহাই নেই কারও !”

    দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সেই রাজাকার’ কলামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুসা বিন শমসেরের বিতর্কিত ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার, যার পরিবারের ১৪ জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

    তখন হামলার পর মামলায় মুসাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রবীর, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

    এরপর ঢাকায় চলে আসেন প্রবীর সিকদার। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে চীনেও গিয়েছিলেন তিনি।

  2. Pingback: অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর ১৯৭১ সালের অপকর্ম নিয়ে পত্রি | priyobangla24.com|Bangla Biggest Community News/Media/Publishing Website

  3. রেজাউল করিম সুমন - ৪ আগস্ট ২০১৬ (১০:২৬ অপরাহ্ণ)

    সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিচার শুরু

    মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম বৃস্পতিবার প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৬ অক্টোবর তারিখ রাখেন।

    প্রবীর মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেও বিচারক তা নাকচ করেন বলে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান।

    একাত্তরে শহীদের সন্তান প্রবীর সিকদার উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এবং দৈনিক বাংলা ৭১ নামের পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি এর আগে সমকাল ও কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন।

    ২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন তিনি।

    ফেইসবুকে লেখালেখির কারণে হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে গতবছর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন প্রবীর সিকদার। কিন্তু পুলিশ তা নেয়নি বলে ফেইসবুকে এক লেখায় তিনি জানান।

    ওই বছরের ১০ অগাস্ট ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- “আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শংকা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিনজনের অনুসারী-সহযোগীরা।”

    এরপর ১৬ অগাস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে প্রবীরকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। রাতেই তাকে নেওয়া ফরিদপুরে।

    ফেইসবুকে লেখার মাধ্যমে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ এনে প্রবীরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন জেলার এপিপি স্বপন পাল।

    এ ঘটনায় সে সময় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় বিভিন্ন মহল থেকে।

    ওই মামলায় সাংবাদিক প্রবীরকে রিমান্ডেও পাঠিয়েছিল আদালত। তবে রিমান্ডের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই জামিনে মুক্তি পান প্রবীর সিকদার। পরে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেয়।

    এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মনির হোসেন গত ১৬ মার্চ ফরিদপুরের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে বিচারক মামলাটি ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান।

    এ আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে কোনো কিছু প্রকাশের মাধ্যমে কারও মানহানি ঘটলে বা ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে প্রমাণিত হলে তার ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.