কানাডা সফররত বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কানাডা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য কানাডা সরকারের বরাদ্ধকৃত ঋণের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ যেন তার “সামাজিক ব্যবসা” খাতে দেওয়া হয়। ডঃ ইউনুস কানাডা সরকারকে বোঝাতে চেষ্টা করছেন যে, বরাদ্ধকৃত অর্থ ঠিক কি খাতে ব্যয় হচ্ছে, তা না জেনে কিংবা বরাদ্ধকৃত অর্থ আর কোন দিনই ফেরত পাওয়া যাবেনা, তা নিশ্চিত জেনেও বাংলাদেশ সরকারকে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়ার চেয়ে তাঁর তথাকথিত ” সামাজিক ব্যবসায় “ অর্থ বরাদ্ধ দিলে তা থেকে একটি ভাল ফল পাওয়া যাবে।
ডঃ ইউনুসের মত বিশ্ব পরিচিত দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত একজন নোবেল বিজয়ী যোদ্ধার কাছে সরকার ও আমরা সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা অনেক বেশী। তিনি দেশ, সরকার ও জাতির প্রতিনিধিত্বকারী একজন হয়েও নিজের সেই কর্পোরেট বাণিজ্যকে বেগবান করার প্রত্যয়ে একটি দাতা রাষ্ট্রের কাছে ঋণ গ্রহীতা দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে কিভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে উপস্থাপন করলেন, তা আমার বোধগম্য নয়।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস যে সামাজিক ব্যবসার কথা বলেন, তা আমি যেমন বুঝিনা, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদরাও বোঝেন না বলে আমি জানি। আমি যতটুকু বুঝি, বৈদেশিক সাহায্য রাষ্ট্রের কাছে দেওয়ায়ই সবচেয়ে উত্তম। এসব সাহায্য দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অনগ্রসর খাতসমূহে ব্যয় হবে । সাধারণত কোন দেশের নীতি বাস্তবায়নের স্বার্থেই এই সব বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ সাহায্য আমাদের মত দেশে এসে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এসব সাহায্য আমাদের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা বাড়ায়। এসব সাহায্য যত বর্জন করা যায় ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
বৈদেশিক সাহায্য ব্যক্তির সামাজিক বাণিজ্য খাতে দিয়ে জনগনের কি লাভ হবে ? তাছাড়া একটি দাতা রাষ্ট্রকে এই ধরনের প্রস্তাব দিয়ে রাষ্ট্রকে ছোট করার কোন অধিকার ডঃ ইউনুসের নেই ।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীন ব্যাংক, গ্রামীনফোনসহ বিভিন্ন ব্যবসাকে যে সামাজিক ব্যবসা বলে অভিহিত করেন সেগুলো দারিদ্রতা হ্রাসে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে ? ডঃ ইউনুস-এর কথিত সামাজিক ব্যবসা হচ্ছে বহুজাতিক পূঁজির ছদ্মবেশী বাজার । কানাডা সরকারকে দেওয়া তার প্রস্তাবের অর্থ দাড়ায়, এদেশে বহজাতিক পূঁজিকে আমন্ত্রন জানানো । এতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কিছুই নেই।
তাই, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আমার জিজ্ঞাসা :
বৈদেশিক ঋণের টাকায় সামাজিক বাণিজ্য, নাকি ছদ্মবেশী বহুজাতিক পূঁজির বাজার তৈরী করবেন ?
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৭৩ comments
রায়হান রশিদ - ১৪ অক্টোবর ২০১০ (৬:৫৯ অপরাহ্ণ)
লেখকের প্রতি অনুরোধ করছি লেখাটির সাথে প্রকৃত/প্রাসঙ্গিক সংবাদের রেফারেন্স এবং লিন্ক যুক্ত করার।
ধন্যবাদ।
নুর নবী দুলাল - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৪:৩৪ অপরাহ্ণ)
জনাব রায়হান রশীদ,
আসলে আমি প্রয়োজনীয় লিন্ক দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত নয় দেখে প্রয়োজনীয় রেপারেন্স ও লিন্ক জানা থাকা সত্ত্বেও দিতে পারিনি। আমার কাজটি অবিশ্রুত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এ জন্য অবিশ্রুত-এর প্রতি রইল আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
রায়হান রশিদ - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৪:৫৮ অপরাহ্ণ)
কারিগরি সাহায্য পাতার ৭ নম্বর আইটেমটি দেখুন। টিউটোরিয়ালটি যদিও ওয়ার্ডপ্রেস এর পুরনো একটি ভার্সন এর ওপর ভিত্তি করে তৈরী, তবে মূলনীতিটি একই। মন্তব্য প্যানেলেও টেক্সট এর সাথে একই পন্থায় লিন্ক যুক্ত করা যায়। আশা করি এতে সমস্যার সমাধান হবে। আর কোন সাহায্য লাগলে জানাতে দ্বিধা করবেন না। ধন্যবাদ।
অবিশ্রুত - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:০৬ পূর্বাহ্ণ)
এ সম্পর্কে ১০ অক্টোবর আমাদের সময়-এ রিপোর্ট করেছেন দুলাল আহমদ চৌধুরী :
একই বিষয়ে তার আগের দিন একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে আমার দেশ-এ।
কালা কত না জাদু জানে!
অবিশ্রুত - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:৪০ পূর্বাহ্ণ)
ড. ইউনূস-এ বক্তব্য সম্পর্কে কয়েকজন অর্থনীতিবিদ-এর প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে কালের কণ্ঠ-তে গত ১১ অক্টোবর :
তবে এ ব্যাপারে ড. ইউনূস ভায়া-র বক্তব্য অন্যরকম। তিনি তা জানিয়েছেন কালের কণ্ঠের রিপোর্টারের কাছে :
আমারও দুঃখ, ওনাকে কেউ ঠিকভাবে বুঝতে পারলো না! বুঝলে বাংলাদেশটা পাল্টে যেতো! আচ্ছা, উনি ঘাড়ে একটা গামছা রাখেন না কেন? গ্রামীণ চেকের ফতুয়া কিংবা পাঞ্জাবির সঙ্গে একটা গামছা রাখলে ওনাকে পারফেক্ট সামাজিক ব্যবসায়ী মনে হবে। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আরও একটি প্রস্তাব : ওনার খবরাখবরগুলো বিনোদন পাতায় ছাপানো যায় না? প্লিজ, একটু ভেবে দেখবেন।
নুর নবী দুলাল - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৪:৫৯ অপরাহ্ণ)
এ ব্যাপরে ডঃ ইউনুস নতুন দেশ-এ ব্যখ্যা দিয়েছেনঃ
জনাব ইউনুস রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ওনার সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কিত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। সেখানে দেশ-বিদেশের সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এখন যদি ইউনুস ভাইয়া উনার উপস্থাপিত বক্তব্যকে অস্বীকার করেন, তবে আমরা অভাগা বাঙালী ইউনুস ভাইয়ার গ্রামীনচেকের ফতুয়া আর পাজামার দিকে তাকিয়ে অবাক বিষ্ময়ে বিশ্বাস করার ভান করব। কেননা, একজন নোবেল বিজয়ী কি আউল-ফাউল কথা কইতে পারে ?
ইউনুস ভাইয়ার প্রতি অনুরোধ, যেহেতু দেশের সকল অর্থনীতিবিদগন আপনার সামাজিক ব্যবসার কনসেপটি বুঝছেন না, সেহেতু আপনি বাংলাদেশের সকল অর্থনীতিবিদদের জন্য সামাজিক ব্যবসা বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করে বুঝিয়ে দিন সামাজিক ব্যবসা কি, কেন এবং কিভাবে করতে হয়।
রায়হান রশিদ - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৫:২৯ অপরাহ্ণ)
১.
Social Business বস্তুটি নিয়ে পশ্চিমেও ভীষণ মাতামাতি। বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারি না। উইকিতে এ সংক্রান্ত একটি এন্ট্রি রয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে:
এই ভিডিওটিতেও বিষয়টা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে:
সেখানে ড ইউনুস ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছেন:
খুব সুন্দর সুন্দর কথা, সন্দেহ নেই। পড়ে বুঝেছি কি বুঝিনি সেটাই ঠিক বুঝতে পারছি না। কেউ যদি বিষয়টি একটু বিশদভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতেন তাহলে সত্যিই বাধিত হবো।
২.
অন্য একটি প্রসঙ্গ। ওপরে নূর নবী দুলাল মন্তব্য#৪ এ নতুন দেশ এর একটি লিন্ক দিয়েছেন, তারও ওপরে অবিশ্রুত মন্তব্য#৩ এ কালের কন্ঠের একটি লিন্ক দিয়েছেন। দুটো রিপোর্টের বেশীর ভাগই হুবহু একইরকম, দেখে মনে হচ্ছে কপি-পেস্ট করে দেয়া সামান্য কিছু জায়গায় বদলে দিয়ে! পত্রিকাগুলো কি তাদের কুম্ভীলকবৃত্তি-বিরোধী নীতি পুরোপুরি জলাঞ্জলী দিয়ে ফেললো? নাকি আমারই বোঝার ভুল, এমন কোন নীতি আসলে আদৌ কখনো ছিলনা!
নুর নবী দুলাল - ১৫ অক্টোবর ২০১০ (৮:২০ অপরাহ্ণ)
১
সামাজিক ব্যবসা ব্যাপারটিই হচ্ছে পুঁজিবাদী অর্থনীতির একটি নতুন সংস্করন। এক কথায় বলা যায়, পুরানো মাল নতুন মোড়কে।
২
একসময় প্রিন্ট মিডিয়াতে ছিল মেধার চর্চা। আর এখন মেধাহীন কর্মীদল নিয়ে নিউজ মিডিয়াগুলো কর্পোরেট বাণিজ্যে লিপ্ত। তাই, এখন কপি-পেষ্ট ছাড়া আর কিইবা আশা করতে পারেন?
নুর নবী দুলাল - ১৮ অক্টোবর ২০১০ (২:২২ পূর্বাহ্ণ)
সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে ডঃ ইউনুসের ইউনুস সেন্টার-এর মতামত দেখুন এইখানে।
ডাঃ আতিকুল হক - ১৬ অক্টোবর ২০১০ (৩:০৩ পূর্বাহ্ণ)
এত বড় জ্ঞ্যানী গুনি মানুষের কাজের সমালোচনা করার মত ধৃষ্টতা আমার নাই। তবে সাধারন মানুষের দৃষ্টি দিয়ে এইটুকু বলতে পারি,কাজটা মনে হয় উনি ভাল করেন নাই।
নুর নবী দুলাল - ১৬ অক্টোবর ২০১০ (১২:২৭ অপরাহ্ণ)
ডাঃ আতিক,
জ্ঞানী-গুনি মানুষ হলে সমালোচনা করা যাবেনা এমন কথা ঠিক না। যা সত্য তাকে সত্য বলার এবং যা মিথ্যা তাকে মিথ্যা বলার মত সৎ সাহস থাকা উচিৎ।
এই যে আপনি বললেন,
এটাই হচ্ছে সৎ-সাহস। ধন্যবাদ আতিক আপনাকে।
নিরাভরণ - ১৬ অক্টোবর ২০১০ (১:৪০ অপরাহ্ণ)
কানাডার সরকারের কাছে প্রস্তাবের খবর আর এটা নিয়ে মাতামাতির বিষয়টা জানা গেল আপনার পোস্ট থেকে। সাধুবাদ সেই জন্য।
তবে পোস্ট এবং আলোচনাইয় একটা বড় ধরনের অসংগতি রয়েছে, সবাই বলতে চাচ্ছেন সামাজিক ব্যবসা বোঝেননা আবার এই ধারনাটা “ভাল নয়” এরকম একটা কিছুও বলতে চাচ্ছেন। যেটা কেউ বুঝতেই পাড়ছেননা সেটার ব্যপারে জাজমেণ্টাল হচ্ছেন কি করে? দুঃখের ব্যপার হচ্ছে কোন কোন অর্থনীতিবিদও বলছেন তারা এটা বোঝেন না। আবার তারাও জাজমেন্টাল হচ্ছেন। বুঝতে পারলে তো সমালোচনা চলবে না — কাজেই নাবোঝার একটা ভান করা চাই। আমি বলছিনা আপনারা ভান করছেন কিন্তু অর্থনীতিবিদদের এটা না বোঝার কোন কারন নেই।
কয়েকটা বিষয় এখানে উল্লেখ করতে চাই কিছুটা বিরক্তি নিয়ে — আপনাদের প্রতি নয় মোহাম্মদ ইউনুসের ওপর রাজনৈতিক জিঘাংসার প্রকৃতি নিয়ে। এর প্রভাব প্রচার মাধ্যমেও পড়ে তারা ইচ্ছামত ইউনুসের কথাকে বিকৃত করে থাকে যেমনটা এখানে করেছে।
আমি জানি আমার একার উপলব্ধিতে বা বলায় কিছু হয়ত আসবে যাবে না কিন্তু তারপরো এই বিষয়ে জনমতের প্রাবল্য আর ধরন দেখে উপলব্ধিটাকে লুকিয়ে রাখতেও আটকাচ্ছে।
সোশাল বিজনেস সম্পর্কে তার বক্তব্য শুনেছি তার নিজের মুখ থেকেই আমি যেখানে পড়ি সে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে এসে তিনি একটা লেকচারে ব্যখ্যা করেছিলেন এই ধারনাটি। এটা ক্ষুদ্রঋন বা গ্রামীন ব্যংকের মতই তার আরেকটা সৃষ্টি (ব্রেইন চাইল্ড ধরনের)। তাঁর এই ধারনার উপর ভিত্তি করে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্বিবিদ্যালয়ে আলাদা প্রোগ্রামও খোলা হয়েছে। এথেকে আর কিছু না হোক এটা বোঝা যায় যে সোশাল বিজনেস ব্যপারটা বুঝতে তাবত বিশ্বের তেমন অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে কেউ ব্যপারটা বুঝতেই পারছেন না!! এমনকি অর্থনীতিবিদেরাও না?
এর মানেকি তারা ঠিক বুঝতে পারছেননা নাকি মানতে পারছেননা?
সোশাল বিজনেসের মত সহজ ধারনা খুব সহজে চোখে পড়েনা।
মোহাম্মদ ইউনুসের নিজের কথাই যথেষ্ট হওয়া উচিত এজন্য। তারপরও আমার মত করে বলি। সম্ভবত কনফুসিয়াসের কথাঃ
Give a man a fish; you have fed him for today. Teach a man to fish; and you have fed him for a lifetime
পদ্ধতি যেটাই হোক এই বাক্যের কথা হচ্ছে দান বা চ্যারিটি দারিদ্রের সমাধান নয়। মোহম্মদ ইউনুসের চেষ্টাটা আমার চোখে এখানেই ক্ষুদ্রঋন হোক আর সোশাল বিজনেস তিনি বলতে চান দান নয় ভাই তাদেরকে কাজে প্রবৃত্ত কর। ক্ষুদ্র ঋন নিয়ে আপাতত নতুন কিছু বলার নেই। কিন্তু সোশাল বিজনেস নিয়ে বলি।
ধরা যাক একটা বড় অংকের টাকা হাতে আসল এখন এই টাকা দারিদ্র দূর করার জন্য কিভাবে কাজে লাগবে? ইউনুস বলছেন যারা বড় বড় ব্যবসার সাথে জড়িত পুঁজিপতি তারা যদিও মুনাফার জন্য তাদের মূল ব্যবসা পরিচালনা করেন তারাও মানুষ। মুনাফা সর্বোচ্চকরনই মানুষের সকল চেষ্টার উদ্দেশ্য এটাকে তিনি মানছেননা। তিনি এরকম পুজিপতিদের সাথে কথা বলেছেন আর উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য। এখানেই উৎপাদন হবে– সেখানে বাংলাদেশের মানুষেরা কাজ করবে আর উৎপাদিত পন্য এখানেই ভোগ হবে। তার মতে এভাবে টাকাটা অর্থনীতিতে আবর্তিত হবে আর দারিদ্র দূর করায় সেটার প্রভাব হবে সুদূর প্রসারি। একজন মানুষ যখন কোন উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে থেকে উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে তখন অর্থনীতি মূল্যাবান বস্তু বা সেবা তৈরি হয়। সেটা অন্যকেউ কেনে। সেটা থেকে আরো আয় হয়। সেটা দিয়ে অন্য কিছু কেনা হয় যেটা আরেকজনের উৎপাদনের ফসল। এই প্রক্রিয়াটিকে অর্থনীতির ভাষায় বলে মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট। একটা অর্থনীতি কতটা কানেকটেড, মানুষের আয়, ব্যয় এবং ভোগের প্রকৃতি থেকে নির্ধারিত হবে সেই অর্থনীতিতে এই মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট কতটা বড় হবে। আমরা আজও দরিদ্রদের জন্য কিছু করা বলতে পকেট থেকে দু’টো টাকা বের করে তাদের হাতে গুজে দিয়ে মনে একটা প্রশস্তি নিয়ে বাড়ি ফেরা বুঝি, ইউনুস সেই রাস্তায় যাননি। কারন তিনি যানতেন যারা দরিদ্র দারিদ্র তাদের জন্য কতটা পীড়ার বিষয়। আর এই পীড়া থেকে মুক্তির জন্য তারা কতটা মরিয়া হতে পারে। কাজেই তাদেরকে আয় করার জন্য একটু উপায় ধরিয়ে দেয়া দরকার- দরকার একটু পুজির। কিন্তু ছোট ছোট ব্যবসায় লাভ কম হয় বলে সেটাতে ফার্ম সাইজ বড় হয় না এবং কর্মসংস্থান তৈরির প্রক্রিয়া এক পর্যায়ে আটকে পড়ে — সেই জন্য এই ধরনের কর্মসংস্থানের জন্য শুন্য লাভার ভিত্তিতে বিদেশি পুজিপতিদের আগ্রহী করার চেয়ে ভাল উপায় আর কি হতে পারে? কেন কাছা বেঁধে আমাদের সমালোচনায় নামতে হবে এই চেষ্টার?
তিনি একটা ধারনার কথা বলেছেন, তিনি বলেননি এই টাকা তাকে দেয়া হোক! এই বিকৃতির দরকার কি ছিল?
এটাকে শোসন বলবেন? পুজপতিদের চক্রান্ত বলবেন? না হয় বলুন। কিন্তু এই শোষনের উপরই তাহলে পৃথিবী চলছে – আপনি যেই অফিসে চাকরি করেন তারা আপনাকে শোসন করছে — তারা যদি আপনাকে শোসন করা বন্ধ করে দেয় তার মানে হলো আপনার চাকরিটা চলে যাওয়া। সেই শোসন বিহীন পৃথিবীটা কেমন হবে? একবার ভেবে দেখেছেন কি?
রায়হান রশিদ - ১৬ অক্টোবর ২০১০ (২:৩৬ অপরাহ্ণ)
আপনার মন্তব্যে নিস্পৃহতার সুরটুকুর জন্য ধন্যবাদ। আলোচনাগুলো এভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেই উঠে আসা দরকার, নাহলে কিছুই আসলে অর্জন হয় না (অবশ্য ব্লগের আলাপকে যদি অর্জন বলা যায়!)। কিছু বক্তব্যের সাথে একমত, আর বাকি বক্তব্যের সাথে ঠিক দ্বিমত বলবো না তবে আরও কিছু জিজ্ঞাস্য আছে। একটু সময় পেলেই অংশগ্রহণের ইচ্ছে আছে।
নিরাভরণ - ১৬ অক্টোবর ২০১০ (৩:০৩ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ রায়হান রশিদ – প্রশ্ন করলে উত্তর দেবার চেষ্টা করব — আমার সাধ্যমত।
ডাঃ আতিকুল হক - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (২:১৭ পূর্বাহ্ণ)
নিরাভরনের মন্ত্যব্যের উপর প্রতিমন্ত্যব্য না করে পারলাম না, কারন আমার মনে হচ্ছে এখানে পাঠক লেখক মহল মিলিয়ে দুটো গ্রুপ হোয়ে গেছে এবং দুই গ্রুপেই কিছু ভুল ধারনার সৃষ্টি হচ্ছে।এক আমার লিখাটি পড়ে মনে হয়েছে এখানে লেখক মূলত ডঃইউনুস এর প্রতি কোন ব্যক্তিগত আক্রমনে যেতে চাননি এবং উনার সামাজিক ব্যবসার বিপক্ষে যা লিখেছেন তা মুলত এই ক্ষোভ থেকেই লিখা যে, একটি দেশের বৈদেশিক সাহায্যের একটা অংশ ইউনুস সাহেব তার সামাজিক ব্যবসায় নিয়গের কথা বলেছেন,এই পয়েন্ট থেকেই। আমার ব্যক্তিগত আপত্তি কিন্তু এখানেই। সামাজিক ব্যবসায় নিয়োগের পুজি অন্যকোন সোর্স থেকেও আসতে পারে,কিন্তু কখনই তা একটি দেশের বৈদেশিক সাহাজ্যের অংশ থেকে নয়। আমি সামাজিক ব্যবসার সুফল-কুফল বিষয়ক কোন তর্কে যেতে চাচ্ছি না,কারন এই বিষয়ে আমার জ্ঞ্যন সীমিত,একথা অকপটে স্বীকার করতে আমার আপত্তি নেই। তবুও কিছু কথা না বলে পারছি না। এটাকে কোন এক্সপার্ট অভিমত না ধরে একজন সাধারন নাগরিকের ব্যক্তিগত অনুভুতি হিসেবে দেখলেই খুশি হব। ছাত্রাবস্থায় একবার কলেজ ম্যগাজিনে আমি ডঃইউনুস এর গ্রামীন বাংক এবং এর উত্থান নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম এবং লিখতে গিয়ে ত্থ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে গ্রামীন ব্যাঙ্ক সমপর্কে জানতে পারি এবং ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কে একটা ভাল আয়ডিয়া তৈরি হয়। কিন্তু আমি নিজ গ্রামে প্রাকটিক্যালি যখন এর প্রভাব সম্পর্কে দেখলাম তখন আমার মনে হল এ যেন পুরোনো মহাজনী ব্যবসার আধুনিক রূপ। ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার ব্যাপক আয় উন্নতিতে উদবুদ্ধ হয়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা অসংখ এনজিওর আকর্ষিও অফার দেখে ঋণ নিয়ে ঋনের কিস্তি শোধ না করার অপরাধে ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। যাই হউক, ডঃ ইউনুসের নতুন তত্ত্ব দ্বারা যদি সমাজের সুফল আসে আমরা কেন তার বিরধীতা করব? কিন্তু একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ত্ব হিসেবে উনি দেশকে প্রতিনিধিত্ত্ব করেন,একথা ভুলে গেলে মনে কষ্ট পাওয়াটা নিশ্চয়ই দেশের সাধারন নাগরিক হিসেবে অপরাধ বলে গন্য হবে না আশা করি।
নিরাভরণ - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (১:৫৩ অপরাহ্ণ)
আমি লেখককে কোনভাবেই দোষারোপ করছিনা। আমার মন্তব্যকেই এই পোস্টের আলোকে না দেখে সামগ্রিক জনমতের নিরিখে বিচার করলে হয়ত আমার অবস্থানটা স্পষ্ট হবে। এই পোস্টটি মোহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা প্রবাহের একটা উদাহরন মাত্র। লেখক দেখেছেন বড় বড় বুদ্ধিজীবিরা, অর্থনীতিবিদেরা সমালোচনা করছেন — কাজেই তিনি বা অন্য যে কেউ শংকা বোধ করতেই পারেন। আমার কাছে এই ব্যপারটি বোধগম্য — তবে আমি বলব এখানে এংগেজমেন্টের অভাব আছে — অনেক স্ববিরোধিতা আছে আলোচনার ধারাপাতে। যেটা আমার প্রথম মন্তব্যের শুরুতে উল্লেখ করেছি।
সামাজিক ব্যবসা নিয়ে যেহেতু সরাসরি আপনি কিছু বলছেননা আমিও তাই কিছু যোগ করছি না।
ক্ষুদ্রঋণ একটি আলাদা বিষয় এটা নিয়ে এমন স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা কঠিন। তবে সময় সুযোগ হলে আলোচনার চেষ্টা করব। সে জন্য এটা নিয়েও আপাতত কোন জাজমেন্টাল মন্তব্য করছি না।
তবে বৈদেশিক সাহায্য বা ঋন নিয়ে যেই মতামত অর্থাৎ যেখানে আপনি আপত্তির স্থান দেখছেন, সেখানেই আসি,
প্রথমত দেখা যাচ্ছে তার এই প্রয়াস নিয়ে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে সেটা তার বক্তব্যের সঠিক উপস্থাপন ছিলনা যেটা তার দেইয়া প্রতিবাদের উঠে এসেছে।
দ্বিতীয়ত, বৈদেশিক সাহায্য খাতে যে কোন উন্নত দেশের যেসব বরাদ্দ সেগুলো মূলত প্রতিযোগীতামূলক। আন্তর্জাতিক ভাবে দাতা দেশ এবং সংস্থাগুলো ক্রমগতই তাদের দেয়া সাহায্যের ব্যায়ের ব্যপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে থাকে। এর ফল হচ্ছে বিদেশি সাহায্যে অন্য কোন দেশে চলে যাবার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে তারা যখন সাহায্য দেবে তখন টার্গেট দেশগুলোর মধ্যে একধরনের প্রতিযোগীতা থাকে। এক্ষেত্রে কোন একটি প্রকল্প বা খাত যদি বেশি সম্ভাবনা ময় হিসাবে দেখা দেয় সেটা সেই উদ্দিষ্ট দেশে সাহায্যের গতিময়তা কমায় না বরং বাড়ায়। আপনি নিজেকে একজন দাতার স্থানে কল্পনা করুন – আপনি কোন প্রকল্পে বেশি পয়সা দেবেন? যেখানে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি সেখানে নিশ্চই। আর মোহাম্মদ ইউনুসতো বলছেননা সামাজিক ব্যবসা কেবল তিনিই করেন বা করতে পারেন। তিনি বলছেন এধরনের একটা তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা।
বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর যেমন প্রয়োজন আছে তেমনি প্রয়োজন আছে উৎপাদনমুখি বিনিয়োগের। সেটার জন্য সরকারি প্রনোদনা কতটা পাওয়া যাচ্ছে? এধরনের তহবিক গঠনের জন্য যদি তিনি দাতাদেরকে উৎসাহিত করতে পারেন তাহলে দোষটা কোথায়। একটু অনুসন্ধান করলেই জানতে পারবেন এক্ষেত্রে যেসব দেশে সাহায্য দেয়া হবে তাদের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগীতা হয়ে থাকে — গ্রহনকারী দেশগুলোকে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে হয় — প্রস্তাবিত প্রকল্পের সম্ভাবনাময় দিকগুলোর ব্যপারে দাতাদের উৎসাহিত করতে হয়। সেটাকে মন্দ ভাবছেন কেন? এখানে আবারো পরিষ্কার করা ভাল যে ইউনুস কোথাও বোধ হয় বলছেনা সোশাল বিজনেস মানে তার বিসনেস। আমার ভুল হলে শুধরে দেবেন।
আর মোহাম্মদ ইউনুস কেমন লোক এটা আসলে আমার কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয় যতটা গুরুত্বপূর্ন তার বলা ধারনাগুলোর নিয়ে নির্মোহ আলোচনা – যুক্তি ভিত্তিক। যখন বৈদেশিক সাহায্য, সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র দূরিকরন ইত্যাদি নিয়ে কথা হচ্ছে তখন মন্তব্যের ফোকাসটি যদি ঘুরে ফিরে মোহাম্মদ ইউনুসের মূল্যায়নে দিকে চলে যায় তখন এর কি মানে করতে পারি? আলোচনার বিষয় হতে পারতঃ
১) সাকাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আমাদের দরিদ্রদের ভাগ্য কি পাল্টাবে? কেন কিভাবে ইত্যাদি।
২) এই খাতে কেন কেউ বিনিয়োগ করতে উৎসাহি হবে? বিশেষত যেখানে মুনাফার দেখা নেই।
৩) অথবা বাজার ব্যবস্থার কিছু মূলনীতির সাথে বা মৌলিক অনুমিতির সাথে সামাজিক ব্যবসার ধারনার কিছু সংঘর্ষ দেখা যায় — এগুলো রিসল্ভ হবে কি করে?
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন এই ব্যপারগুলো আলোচনার চেয়ে মোহাম্মদ ইউনুস কোন কাজটা ঠিক করেননি এসব নিয়ে জাজমেন্ট দেবার ব্যপারেই আমরা বেশি প্রবৃত্ত। আমার অনুযোগ সেখানেই।
জহিরুল ইসলাম - ৮ এপ্রিল ২০১৮ (১১:২৮ পূর্বাহ্ণ)
ভাই আমাদের বাঙালিদের একটা স্বভাবই হচ্ছে, বিখ্যাত কাউকে টেনে এনে রাস্তায় না নামালে আমাদের শান্তি নেই। তাই ইউনুসের ব্যাপারে আমাদের এত এলার্জি। অথচ ইউনুসের মত লোক একটা দেশে কালে ভদ্রেই জন্মায়।
রেজাউল করিম সুমন - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (১২:৪০ পূর্বাহ্ণ)
মুহাম্মদ ইউনূস-এর Creating a World Without Poverty: Social Business and the Future of Capitalism (সহলেখক : Karl Weber, প্রকাশকাল: ২০০৭) বইটির রিভিউ — এখানে। বইটি ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে।
উল্লিখিত রিভিউর উপসংহার :
নিরাভরণ - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (২:৩১ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ আপনার বই এবং রিভিউ শেয়ার করার জন্য। রিভিউটিকেও এক কথায় চমৎকারই বলব। রিভিউর বেশির ভাগ মন্তব্যের সাথেই একমত তবে এই রিভিউয়ারগন যেটা দিয়ে তাদের রিভিউ শুরু করতে পারতেন সেটা হয়ত এমন হতে পারত যে বইটা থেকে তাদেরন প্রত্যাশা আসলে কি? তিনি এখানে “personal narrative” দিয়েছেন – ঠিক আছে। সেটা “in-depth” বর্ণনা হয়নি — সেটা নির্ভর করছে ইন ডেপথ বলতে রিভিউয়াররা কি বোঝাতে চেয়েছেন। দেখা যাচ্ছে রিভিউয়ার গন এই ধারনার কিছু মৌলিক সীমাবদ্ধতা ধরতে পেরেছেন (রিভিউ দ্রষ্টব্য)। সেক্ষেত্রে রিভিউয়াররা আসলে সামাজিক ব্যবসার ধারনাটি বোঝেননি সেটা বলা যাচ্ছে না। যদিও অবশ্য সেই বোঝাটাকে তারা “in-depth” মনে করছেননা।
এবারে আসা যাক তাদের রিভিউয়ের ধরন নিয়ে। রিভিউতে তার বই থেকে ঠিক উদ্ধৃতি দিচ্ছেন,
কেতাবি জার্গনের মাধ্যমে বললে বলা যায় পুঁজিবাদি অর্থনীতি মানুষের স্বভাব সম্পর্কে কিছু অনুমিতি ধরে নিয়েই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাজায়। সেখানে পুরষ্কার তিরষ্কারের ধরন, উদ্দেশ্য ইত্যাদি সেই অনুমিতির উপর নির্ভর করে। সেখানেই তিনি প্রশ্ন রাখছেন যে এটা একটা রেস্ট্রিকটিভ অনুমিতি আর এখান থেকে বের হতে হবে যাতে করে “multi-dimensional nature of human beings” কে প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞার ভেতরে আনা যায়। যদি রিভিউটি পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন এখানে তার ধারনার সমালোচনা করা হয়েছে ঠিক যেই অনুমিতিকে তিনি প্রশ্ন করছেন তার ব্যবহার করেই। তাহলে কি দাড়াচ্ছে? সমালোচনাটিকে আমি বইটির একটা ভাল সামারি বলতে পারছি – তবে সমালোচনার মূল প্রেমাইসে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আর সেটা পুরন হতে পারে ইম্পিরিকাল গবেষনার মাধ্যমে। কিছু সীমাবদ্ধতা যে নেই এই ধারনার তা বলা যাচ্ছে না। তবে সীমাবদ্ধতার কথাযে বলছি বা স্বিকার করছি সেটাই সেই “self – interest” বা “profit-maximization” নিয়ে আবর্তিত বাজার অর্থনীতির অনুমিতির আলোতেই। এই অনুমিতিকে মোহাম্মদ ইউনুসই নন এর আগে আরো অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন করেছেন এবং ক্রমাগত করে যাচ্ছেন। অমর্ত্য সেনের “Rational Fool” পড়ে দেখতে পারেন একটা সেম্পল হিসাবে।
ধন্যবাদ আপনার লিঙ্কের জন্য। মোটের উপর রিভিউটা আমার ভাল লেগেছে।
আপনার উদ্ধৃত অংশের শেষ প্যারাটিতে দরকারি। আসলে এটা নিয়ে আরো অনেক আলোচনা আর ইম্পিরিকাল গবেষনার প্রয়োজন আছে যাতে করে এই যে “the reader is left with more questions than answers” এগুলোর উত্তর পাওয়া যায়।
রেজাউল করিম সুমন - ২১ অক্টোবর ২০১০ (১২:২৬ অপরাহ্ণ)
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। অমর্ত্য সেনের প্রবন্ধটি (Rational Fools: A Critique of the Behavioral Foundations of Economic Theory) খুঁজে পাওয়া গেছে। পড়ে নেয়ার চেষ্টা করব।
নিরাভরণ - ২৪ অক্টোবর ২০১০ (৫:০৭ অপরাহ্ণ)
আপনি কষ্ট করে পেপারটা খুজে বের করেছেন এটা দেখে ভাললাগল। যদি পড়েন এটা নিয়ে সম্ভব হলে একটা পোস্ট দিয়েন সেখানে আলোচনা করা যাবে আরো অনেক কিছু। বাংলাদেশের অর্থনীতি, দারিদ্র, ক্ষুদ্রঋন এরকম আরো অনেক জরুরী বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমাদের গুরুত্ব নিয়ে ভাবা উচিত।
রেজাউল করিম সুমন - ২৪ অক্টোবর ২০১০ (৬:৪৪ অপরাহ্ণ)
আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই।
অমর্ত্য সেনের লেখাটার অল্প খানিকটা পড়েছি। পুরো পড়লেও যে এ বিষয়ে পোস্ট লিখতে পারব তা মনে হয় না। আমি এই এলাকায় বহিরাগত। আর কেউ লিখতে পারেন; সবচেয়ে ভালো হয় আপনি লিখলে।
নিরাভরণ - ১৭ অক্টোবর ২০১০ (২:৩৭ অপরাহ্ণ)
সোশাল বিজনেস ধারনার দ্বারা উদবুদ্ধ হয়ে এই কেলিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব সোশাল বিজনেস।
উপরে এটার কথাই বলছিলাম। লিংকটা খুঁজে বের করে দিলাম হয়ত কারো আগ্রহ থাকতে পারে।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ১৮ অক্টোবর ২০১০ (৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
সামাজিক ব্যবসার নামে তিনি, ড. ইউনূস, যে তার কর্পোরেট পুঁজির বিকাশ ঘটাবেন তা তো যাদের সাধারণ বিবেচনা আছে তারাও বুঝেন। অর্থনীতিবিদগণ যে সামাজিক ব্যবসা বিষয়টা বুঝেন না, তা বলতে তারা আসলে ভদ্রলোকিত্বের একটা আড়াল তৈরি করেছেন মাত্র। আনু মুহাম্মদ সেই আড়ালের কাছাকাছি থাকেননি, তিনি যথার্থই তাতে কর্পোরেট পুঁজির ছদ্মবেশের কথাই বলেছেন। আমার মনে হচ্ছে, তারা এই কথাটাই বুঝাতে চাইছেন, সামাজিক ব্যবসার নামে আপনি যে কি ধান্ধাটা করবেন তা কি আর আমরা বুঝি না মনে করেছেন। তিনি কানাডা সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে দেয় ঋণ থেকে ১০-১৫% ঋণ ফেরত-প্রদানের-গ্যারান্টিসহ দেয়ার প্রার্থনা করেছেন।
তো, তিনি কবে থেকে একজন যোদ্ধা হয়ে গেলেন? জাতি, সরকার, দেশের প্রতিনিধিত্বই-বা কবে থেকে করছেন? দারিদ্র পুঁজি করে নোবেল নিলেই বুঝি একটা জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করা যায়? তাহলে তো এই জাতির কপালে দুঃখ আছে!!!
নুর নবী দুলাল - ১৯ অক্টোবর ২০১০ (২:৫৯ অপরাহ্ণ)
শ্রদ্ধেয় কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ভাই,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ থেকে কর্মের জন্য যদি কোন ব্যক্তি নোবেল-এর মত মূল্যবান স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন, সেটাতে অবহেলিত এই বাঙালীর আবেগের বাগানে একটু মৃদ ছন্দের দোলা’তো লাগবেই(নোবেল স্বীকৃতিটি যেভাবেই পেয়ে থাকুক)। সামান্য হলেও আমাদের অন্তরাত্মা খুশিতে খিল্ খিল্ করে উঠে।
তাবৎ দুনিয়ার সর্বলোক জানেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে এখন কাতর প্রায়। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন নোবেল-এর মত একখানা মূল্যবান পুরুস্কার। পুরুস্কার-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই আমি বলেছি দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত………..। আমাদের মহামান্য সরকার, নোবেল আনন্দে ইউনুস সাহেবকে আজীবন এস,এস,এফ-এর ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা বিধান করাতে আমিও ভাবলাম মহামূল্যবান এই লোকটির জাতি, সরকার ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মত যোগ্যতা আছে। কিন্তু, সেই লোক যে ঠাকুর ঘরে কেরে…..? … আমি কলা খাইনা ধরনের আচরণ করে বসবেন, তার নিজস্ব সামাজিক ব্যবসার জন্য সরকারের বৈদেশিক সাহায্যের উপর ভাগ বসাবেন, এটা কি আগে জানতাম?
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ১৯ অক্টোবর ২০১০ (৪:৩৫ অপরাহ্ণ)
হাহাহা_
ড. ইউনূস সম্পর্কে ভালোই বলেছেন। ধন্যবাদ।
মাসুদ করিম - ২০ অক্টোবর ২০১০ (১:০৩ পূর্বাহ্ণ)
সামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি আরেকটি শব্দ সব সময় শোনা যায় অসামাজিক কার্যকলাপ। এক্ষেত্রেও কি তাই হবে ইউনুস করেন সামাজিক ব্যবসা আর জগৎসুদ্ধ লোক করেন অসামাজিক ব্যবসা? social business-এর মাধ্যমে ইউনুস কী বোঝাতে চাইছেন, তার অভিপ্রায় সমাজতান্ত্রিক ব্যবসা বোঝানো নয় তো? আসলে ইউনুস কখনোই তত্ত্ব বোঝাতে ও প্রকাশ করতে পারেননি, তাই অনেক বছর তার নাম অর্থনীতি নিয়ে শোনা গেলেও তিনি তার প্রাণভোমরা ‘নোবেল’ শান্তিতে পেয়েছেন। আমরা জানি আরো হাজার হাজার বই লিখলেও তিনি কোনোদিন ‘শক্তি দই’ কেন social business এটা প্রকাশ করতে পারবেন না। কারণ সেই মুরোদ তার নেই তা এতদিনে পরিস্কার হয়ে গেছে। আসল ব্যাপার হল ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ -এর মূল চাবি ইউনুস-এর হাতছাড়া হয়ে গেছে অনেক দিন, বাংলাদেশে এখন অন্য আরো অনেক প্রতিষ্ঠান তার চেয়ে অনেক বেশি ‘ক্ষুদ্র ঋণ’ বিতরণ করে, তাই আগের মতো ‘ক্ষুদ্র ঋণ’-এর নামে বিদেশি ‘ঋণ বিনিয়োগ’ বাণিজ্যে তার আধিপত্য হারিয়ে তিনি একটি নতুন পন্থা বের করেছেন ‘সামাজিক ব্যবসা’য় বিনিয়োগ। সেই ‘সামাজিক ব্যবসা’ অন্যসব ‘অসামাজিক ব্যবসা’ থেকে অনেক উন্নত, সেখানে ব্যবসাটা শুধু লাভভিত্তিক নয়, সমাজের প্রগতিভিত্তিক অনেকটা ‘সমাজতান্ত্রিক ব্যবসা’। যেমন welfare state-কে বলা হত প্রায় socialist state। ইউনুস এক গোলকধাঁধার নাম, যাকে আমাদের চেয়ে পশ্চিমের এজেন্ডাগ্রস্ত শান্তিকামী বিনিয়োগকারীরা অনেক ভাল বুঝতে পারেন। সেই গর্বে তার জীবনের পা উড়ে উড়ে চলে তো চলুক।
নিরাভরণ - ২০ অক্টোবর ২০১০ (৩:২২ পূর্বাহ্ণ)
যেই অর্থে তিনি সামাজিক ব্যবসা কথাটা ব্যবহার করেন তাতে এর বিপরীত হতে পারে মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা।
কখনই নয়। কয়েকটা বর্ণের মিল থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌছে গেলেন? সমাজতন্ত্রের মূলনীতির সাথে এই ধারনার পার্থক্য মৌলিক এবং স্পষ্ট।
এই সিদ্ধান্তে কিভাবে উপনীত হলেন একটু বুঝিয়ে বলবেনকি? তার প্রকাশিত ধারনা বোঝার জন্য আপনি পত্রিকা ছাড়া আর কি পড়েছেন একটু জানার কৌতুহল হচ্ছে। তবে এটা ঠিক তিনি কোন তত্ত্ব বোঝানোর জন্য বিস্তর গবেষনা বা লেখালেখি ইত্যাদি করেনইনি। সেক্ষেত্রে সেই মাপকাঠিতে তার মূল্যায়ন অর্থহীন। কারন ক্ষুদ্রঋন নিয়ে তিনি যেই কাজে নেমেছিলেন সেটার শুরুই হয়েছিল তাত্ত্বিক অর্থনীতির প্রতি অনাস্থা দিয়ে। তার লেখা বহুল পঠিত বই Banker to the Poor পড়বেন অনুরোধ করছি। সময় কম থাকলে এই লিংক থেকে তার একটা পেপার ডাউনলোড করে পড়ুন।
তার এই নিবন্ধের শিরোনামটি লক্ষ্য করুনঃ
Poverty Alleviation – Is Economics Any Help?
পেপারে এক যায়গায় তিনি বলছেন
তিনি প্রচলিত তত্ত্বের সমালোচনা করেছেন কিন্তু নতুন তত্ত্ব প্রস্তাবনায় নেমে যাননি। যদিও তার কাজের মধ্যে তাত্ত্বিক নির্দেশনা আছে যেটা নিয়ে অন্য নোবেল লরিয়েটরা ছাড়াও আরো বড় বড় অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানিরা লিখেছেন – স্টিগলিটস, মর্ডাক, জেফ্রি সাক্স, ইউলিয়াম ইস্টারলি এরকম আরো অনেক নাম উঠে আসতে পারে এই দলে। তিনি তাত্ত্বিক গবেষনায় সময় দিচ্ছেন কখন? যখন বলছেন
নোবেল পুরষ্কার একটা বড় অর্জন এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই নোবেল পুরষ্কার পাবার আগেও তিনি উন্নয়ন বিষয়ক বৈশ্বিক আলোচনায় একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম ছিলেন। এই পুরষ্কার প্রাপ্তি যদি আপনার মনে না ধরে সেটা বাদ দিয়ে তার কথা এবং কাজের মূল্যায়নই করুন না হয়। সারা বিশ্ব যদি তার কথা বুঝতে পারে আমরা কেন পারবনা? সমালোচনা অবশ্যই করব তবে সেটা ইনফর্মড সমালোচনা হবার দরকারটা ভুলে গেলে চলবে কেন?
আপনি এখানে ধরেই নিচ্ছেন অন্য এনজিওগুলো ক্ষুদ্রঋন দিচ্ছে তাতে করে ক্ষুদ্রঋনের অধিপতি হিসাবে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে। এটা আপনার কেন মনে হল? অনুমান নাকি আপনার কাছে কোন গ্রহনযোগ্য রেফারেন্স আছে এই অনুমিতির পেছনে? সারাবিশ্বের অনেক দেশে এখনো ক্ষুদ্রঋনের প্রশ্ন আসলে গ্রামীনের রেপ্লিকা তৈরির জন্য তার প্রতিষ্ঠানেরই ডাক পরে। এটা ঠিক এপ্রোচ কিনা কোন দেশে কতটুকু সফল হচ্ছে এনিয়ে প্রচুর প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখা হচ্ছে- সেখানে আমরা যদি এধরনের সমালোচনা করি সেটা কেমন দাঁড়াবে। একটু চোখ কান খোলা রাখতে তো দোষ নেই।
বেশ সোজা সাপ্টা ভাষাতেই প্রতিমন্তব্য লিখলাম আশা করি ভুল বুঝবেননা। ধন্যবাদ।
নিরাভরণ - ২০ অক্টোবর ২০১০ (৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
তার লেখা থেকে নিচের উদ্ধৃতি দিচ্ছি হয়ত তাত্ত্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তার অবস্থান এতে করে কিছুটা পরিষ্কার হবে, আর তিনি কেন অর্থনীতিতে নোবেল পেলেননা এই প্রশ্নের উত্তর পেতেও সুবিধা হবে।
ডঃ সামিম উল মওলা - ২০ অক্টোবর ২০১০ (১১:২৩ অপরাহ্ণ)
আমি ৭-৮ মাস ডঃ ইউনুস সাহেবের গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলোর অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেছি। ওখানে যোগদান করার কারণ একটিই ছিল যে গ্রামীণের ৮০ লক্ষ ঋণ গ্রহীতার এগজিস্টিং চ্যানেলে আমি বড় ব্যানারে সহজেই স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রাখতে পারবো, নতুন সেট আপ করতে সময় লেগে যায়! পরবর্তীকালে আমি পদত্যাগ করেছি এবং নিতান্ত বাধ্য হয়েই তারা গত ২২শে জুলাই আমাকে রিলিজ করেছে!
অ্যাডভাইজার হিসেবে কাছাকাছি থেকে আমি তাঁর কার্যকলাপ দেখেছি। তাতে আমার যা ধারণা হয়েছে তা হল —
১। উনি অতিমাত্রার স্বৈরাচারী স্বভাবের মানুষ।
২। সামাজিক ব্যাবসার নামে উনি বিভিন্ন বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাকে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলে বাজার গড়তে যে কোনো কারণে উঠে পড়ে লেগেছেন (আমার সাথে আগ্রহী কেউ যোগাযোগ করলে আমি সুনির্দিষ্ট করে বলে দিতে পারব)।
৩। এসবের ভিতর তাঁর পুরো মাত্রায় ব্যাবসায়িক স্বার্থ রয়েছে! তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রেই মধ্যস্বত্বভোগী হবার চেষ্টা করছেন।
বিনীত
ডঃ সামিম উল মওলা
এমবিবিএস, পিএইচডি
নুর নবী দুলাল - ২১ অক্টোবর ২০১০ (১২:২২ পূর্বাহ্ণ)
ডঃ সামিমউল মওলা,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ছোট্ট এই পোষ্টটির মন্তব্যে অংশগ্রহন করার জন্য।
১. ডঃ ইউনুস যে অতিমাত্রায় স্বৈরাচার, তা ওনার গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীদের অনাদায়ী ঋণ আদায়ে ঋণগ্রহীতাদের উপর আদায়ের কৌশল প্রয়োগ দেখেই বোঝা যায়। যা এ প্রবন্ধে ডাঃ আতিকের মন্তব্য থেকেই জানা যায়। আর গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা ঋণ আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহীতাদের সাথে যে মহাজনী কায়দায় বলপ্রয়োগ করে, তার কাহিনী আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদপ্রত্র গুলোতে দেখতে পেয়েছি।
২. ডঃ ইউনুসের সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করে অত্র প্রবন্ধের মন্তব্যে জনাব মাসুদ করিমের উদ্বৃতিটি কোট করছিঃ
৩. তিনি যে এখন সবক্ষেত্রেই মধ্যস্বত্তভোগী হওয়ার চেষ্টা করছেন, তা ওনার কানাডা সফরে কানাডা সরকারের প্রতি আহবান দেখেই বোঝা যায়। এটা কি চিন্তা করা যায়; ডঃ ইউনুস তার নোবেল প্রাপ্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জন্য কানাডা সরকারের নির্ধারিত ঋণ বা অনুদানের ১০-১৫ শতাংশ মধ্যস্বত্ত ভাগ চায় ?
নিরাভরণ - ২১ অক্টোবর ২০১০ (৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
গ্রামীনে চাকরি করতে গিয়ে আপনার সাথে বনিবনা হয়নি আপনি চলে এসেছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে। সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই।
আপনার ১ নম্বর পয়েন্টে আপনাকে জাজমেন্টাল মনে হলো। আপনি বললেন না যে কি ধরনের বিষয়ে তাঁকে আপনার স্বৈরাচারি মনে হলো। আর কেন?
২ আর ৩ এর ক্ষেত্রে আপনার মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার কাছাকাছি থাকাটা কিভাবে সাহায্য করেছে বলবেনকি? কিভাবে আপনার মনে হল ইউনুস মদ্যসত্ত্ব ভোগ করতে চাচ্ছেন – যেখানে তিনি কোথাও বলছেননা যে টাকাটা তাকেই দেয়া হোক। অর্থাৎ আমি অনুরোধ করছি আপনি আপনার অভিযোগগুলো সাবস্টেনশিয়েট করুন। সম্ভব হলে যাচাই যোগ্য রেফারেন্স সমেত।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ২০ অক্টোবর ২০১০ (১১:৫৫ অপরাহ্ণ)
মহান এই সুদখোরের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানতে আগ্রহী আমি।
মোহাম্মদ মুনিম - ২৭ অক্টোবর ২০১০ (৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
ডঃ ইউনুস এবং তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সম্পর্কে অল্প স্বল্প যা জানি সেটা হচ্ছে তিনি conventional banking এ যাদের credit worthy ধরা হয় না, মানে যারা দরিদ্র এবং অতি দরিদ্র, তাঁদের ব্যাঙ্কিং প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে পেরেছেন। দরিদ্র মানুষেরা credit worthy না হবার প্রধান কারণ তাদের টাকা ধার দিলে সেটা ফেরত না পাবার আশঙ্কা আছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে একজন দরিদ্র মানুষ কয়েকশ বা কয়েক হাজার টাকার বেশি লোন নিবেন না। স্বল্পসংখ্যক ঋণগ্রাহককে কয়েক লাখ বা কোটি টাকা করে দিয়ে ব্যাঙ্কিং করা যায়। কিন্তু কয়েক লাখ ঋণগ্রাহককে এক বা দু হাজার টাকা করে দিয়ে সেটা আদায় করতে যে বিপুল জনবল এবং শ্রমের প্রয়োজন, তা কোন সনাতন ব্যাঙ্কেরই থাকে না। ড: ইউনুস এই কঠিন কাজটা করতে পেরেছেন। চট্টগ্রামের একটি গ্রাম থেকে শুরু করে তাঁর এই ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম তিনি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। গ্রামের দরিদ্র কৃষিজীবি মানুষেরা সনাতন ব্যাঙ্কিং এ credit worthy না হলেও কিন্তু শত শত বছর ধরেই তাঁরা স্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। গল্প উপন্যাসে এই ঋণদাতারা অতি লোভী নিষ্ঠুর ব্যক্তি বলে চিত্রায়িত হলেও শয়ে শয়ে বছর ধরে গ্রামীণ ধনী ব্যক্তি এবং দরিদ্ররা একটা equilibrium টিকিয়ে করেছেন। দরিদ্র কৃষক চাষের খরচের জন্য লোন নিয়েছেন, বন্যায় ফসল নষ্ট হয়েছে, লোনের টাকা ফেরত দিবেন কি, পরের মৌসুমে চাষ করার জন্য তাঁর আরও লোনের প্রয়োজন। ধনী ব্যক্তি জমি নিয়ে নিয়েছেন, দরিদ্র চাষী জমি হারিয়ে আবার নিজের জমিই বর্গা নিয়েছেন। পরের বার ফসল নষ্ট হলে জমি বিক্রি করা ধার শোধের ব্যাপার নেই, না খেয়ে নির্ঘাত মৃত্যু। গল্প উপন্যাসে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতাদের সম্পর্ক এভাবে উঠে এলেও ব্যাপারটা নিশ্চয় এমন সরল ছিল না। আমাদের স্কুলপাঠ্য ‘আব্দুল্লাহ’ উপন্যাসের মীর সাহেবের মত সহৃদয় এবং বিচক্ষণ ‘সুদখোর’ও নিশ্চয় ছিলেন, যারা নৌকাডুবি হয়ে ফসল নষ্ট হলে আসল আর সুদ দুটোই মাফ করে দিয়েছেন।
৭১ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের ‘দুঃশাসনের’ আমলে তরুন ডঃ ইউনুস অর্থনীতির সমস্ত থিয়োরী ‘ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে’ ঝাঁপিয়ে পড়লেন দেশসেবায়। শুরু করলেন মহাজনী ব্যবসা, আগে ছিল লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র মহাজন, এখন এল এক অতি বৃহৎ মহাজন। এই মহাজন মীর সাহেবের মত সহৃদয় মহাজন নয়। গ্রামের অত্যাচারী মহাজনকে দুর্বল মুহূর্তে একা পেয়ে হাতে পায়ে ধরলে সুদ মাফ পাওয়া গেলেও যেতে পারে। এই বৃহৎ মহাজনের কাছ কোন ভাবে মাফ পাওয়া যায় না, তাঁকে একা পাওয়ারও উপায় নেই। লোন দেয়া হবে একসাথে দশ বিশ জনকে, লোন শোধ করতে না পারলে পুরো দলের সামনে অপমান, সমাজচ্যুত হবার ভয়। এই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মহাজনের ঋণগ্রহিতা দরিদ্র বর্গাচাষীরাও নন। মূলত বর্গাচাষীদের স্ত্রীরা, যারা উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে পারেন, মোড়া বুনতে জানেন, মুরগীর খামার গড়তে পারেন। কিন্তু প্রথম মোড়ার কাঁচামাল কেনার পয়সা তাঁদের নেই, আর সেই মোড়া কে কিনবেন, কিনলে কত দামে কিনবেন, আর কটা কিনবেন কিছুই এই মহিলাদের জানা নেই। এই মহাজনের সেটাও জানা আছে। এভাবে সারা দেশে অসংখ্য দরিদ্র মহিলাকে ক্ষুদ্র লোন দিয়ে সেই লোন শতকরা বিশভাগ সুদে আদায় করে গ্রামীন ব্যাঙ্ক অতি দ্রুত বিশালাকার ধারণ করেছে। মহিলারাও খানিকটা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছেন।
এই সব কিছুই ইতিবাচক ব্যাপার, সুদের ব্যবসা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু সবকিছুর পরে সেটা সুদের ব্যবসাই, নতুন কোন অর্থনৈতিক থিয়োরী নয়, কোন রাজনৈতিক বিপ্লবও নয়। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বাংলাদেশে আশির দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তাতে কতখানি ভূমিকা রাখতে পেরেছে? সত্তরের দশক থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ বাংলাদেশী কাজের সন্ধানে বৈধ অবৈধ নানা উপায়ে গিয়েছেন, মালয়েশিয়ার জঙ্গলে ঘুরে, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভুমিতে পশু চরিয়ে, লন্ডনের রেস্তরাঁতে দিনে ১৬ ঘন্টা কাজ করে তাঁরা দেশে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। গার্মেন্টস শিল্পে নারী শ্রমিকেরা সপ্তাহে ৭০/৮০ ঘন্টা কাজ করে প্রতি বছর দশ বিলিয়ন ডলার দেশে আনছেন। দেশের অর্থনীতিতে এই বড় অঙ্কের টাকা ঢোকার কারণে গ্রামে গঞ্জে খানিকটা হলেও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এসেছে। আমিনা বেগমের মোড়া আরও বেশী সংখ্যায় বিক্রি হয়েছে। তবে নাম ফেটেছে ডঃ ইউনুসের, ফতুয়া পড়ে আর আমিনা বেগমের মোবাইল ফোনে কথা বলার ছবি নিয়ে তিনি সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন, গরীবের এই উন্নতি দেখে রোমান্টিক ক্লিনটন সাহেবের চোখে পানি চলে এসেছে। তিনি বাংলাদেশে ধান ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের ভয় উপেক্ষা করে বাংলাদেশে চলে এলেন। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ঋণগ্রহিতাদের নাচ গান হাসি দেখে ক্লিনটন সাহেবের মন ভরে গেল। ডঃ ইউনুস ২০১০ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ নিয়ে বই লিখে ফেললেন। গ্রামের লোকজন চা খেতে খেতে আমেরিকার ওয়ালমার্ট পাহারা দিচ্ছে। এই পাহারা দেওয়া আর গার্মেন্টস কর্মীদের মার্কিনীদের জন্য কাপড় সেঁলাইয়ের পার্থক্য কোথায়?
ডঃ ইউনুস তাঁর social business এর একটি নমুনা বছর তিনেক আগে মার্কিন টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন। আফ্রিকার দরিদ্র অঞ্চলের চক্ষুরোগীদের পঁচিশ ডলার করে ঋণ দেওয়া হবে, চোখের চিকিৎসার জন্য। সেই সুস্থ চোখ দিয়ে কাজ করে ঋণ সুদসহ ঋণদাতাকে শোধ দেওয়া হবে। শোধ দিতে না পারলে চোখ তুলে নেওয়া হবে কিনা সেটা অবশ্য ডঃ ইউনুস বলেননি। অনেক বছর ধরে অক্সফাম, রেডক্রস, doctors without borders ইত্যাদি সাহায্য সংস্থার কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আফ্রিকাতে কাজ করছেন আর দরিদ্র আফ্রিকানদের চোখের চিকিৎসা করছেন। মাগনা চোখ ঠিক হলে আফ্রিকানরা সেই চোখ দিয়ে কাজ করবেন না, চোখের যত্ন নিবেন না, আর লোন নিয়ে চোখ ঠিক করলে তারা লোন শোধের তাগিদে সেই চোখ দিয়ে কাজ করবেন, এটাই কি ডঃ ইউনুস বোঝাতে চান?
সবকিছু মিলিয়ে social business বিষয়টি মনে হয়েছে পুঁজি খাটানোর নতুন খেলা। বিল গেটস, ওয়ারেন বেটি এরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে বসে আছেন, এঁরা দেখছেন ডঃ ইউনুস হতদরিদ্রদের ঋণ দিয়ে বিশাল ব্যাঙ্কিং ব্যবসা চালাচ্ছেন, বছরে এক বিলিয়ন ডলার আয় করা মোবাইলের ব্যবসা করছেন। ডঃ ইউনুস হাতে কলমে করে দেখিয়েছেন বিশ্বের বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষকে নিয়ে আপাতপরিচ্ছন্ন ব্যবসা করা যায়। দরিদ্র মানুষকে দিয়ে হীরের খনিতে, গার্মেন্টস শিল্পে, জাহাজ ভাঙ্গার কাজে লাগালে সেটা চোখে লাগে। তবে স্বনির্ভরতার মুলো দেখিয়ে তাদের নিয়ে সুদের ব্যবসা করলে সেটা চমৎকার ব্যাপার হয়, ব্যবসাও করা হয়, আবার মানব হীতৈষীও হওয়া যায়। সেকারণেই social business হচ্ছে ‘the next big thing’।
নিরাভরণ - ৩ নভেম্বর ২০১০ (১২:০৮ পূর্বাহ্ণ)
যেভাবে যুগে যুগে টিকে আছে দারিদ্র, ক্ষুধা, যন্ত্রনা!
একেবারেই পারেনি বলছেন?
এটা কি কেউ অস্বিকার করছে? কিন্তু এটা ছাড়া আর কিছুই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভুমিকা রাখেনি এটাই বে কি করে বিশ্বাস করি? অন্তত গবেষনার ফল তো এমনটা বলে না।
ঠিক এই যায়গাতেই তিনি মার খেয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের রাজনীতি। কেন তিনি বললেন ৭১ পরবর্তি বাংলাদেশে দুর্নিতি অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ছিল? ঠিক আওয়ামিলীগের বদনাম করার জন্যেই এই ক্ষুদ্রঋনের বৃহদায়োজন? এর বড় অপরাধ করার পর তাকে তো ক্ষমা করা যায়না!! এখানেই উন্নয়ন মার খেয়ে যায় রাজনীতির কাছে। আওয়ামিলিগ ৭১ পরবর্তি শাসন ব্যবস্থায় দেশে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন এমনটা বললে হয়ত ইউনুসের অপরাধ এত বড় হয়ে দেখা দিতনা। প্রত্যক্ষ বা প্রচ্ছন্ন ভাবে হলেও গ্রামীনের প্রতিষ্ঠার পেছনে ৭১ পরবর্তি অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার ছায়া থেকে যাচ্ছে। কি আর করা? রাজনৈতিক এন্ডর্স্মেন্ট ছাড়াই হয়ত এই দেশের উন্নতি হতে থাকবে – আমাদের নেতা নেত্রিরা পুরষ্কার নিয়ে আসবেন আন্তর্জাতিক মহল থেকে।
তবে চোখ-কান খোলা রাখলে দেখা যায় যাদের দলিয় সাবাসির দরকার পড়ে না তারা সত্যটা বলেন নির্ভয়ে – সবার মুখতো আটকে রাখা সম্ভব নয়। অমর্ত্য সেন তার বিখ্যাত বই “Poverty and Famine” যে কটি দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন তার একটি ছিল সে সময়কার বাংলাদেশের ঘটনা
এখন এর কারন সম্পর্কে কি বলছেন অমর্ত্য সেন?
তিনি দেখাচ্ছেন যে ১৯৭৪ সালে এদেশে চালের উৎপাদন ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ এই পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল।
এর পর এই বিষয়ে স্বয়ং মহিউদ্দিন আলমগিরের লেখার রিভিউতে তার বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে
দেখা যাচ্ছে সব পাখিতেই মাছ খায় কেবল নাম হয় মাছরাঙার। ইউনুস অব্যবস্থার কথা বলে অন্যায় করেছেন।
উপরে একটা মন্তব্যে উদ্ধৃতি আছে তিনি কখন কিভাবে ক্লাসরুম থেকে বেরুলেন। তিনি ক্লাস রুমের বাইরে মানুষকে মরতে দেখে লেখালেখি, ক্লাস ওয়ার্ক ছাত্র পড়ানো বাদ দিয়ে মাঠে ঘাটে নেমে পড়েছিলেন। তার সব সময়ের কথা হচ্ছে – সরকারের জন্য বসে থাকলে চলবে না।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে ভুল করার সেটা তিনি করে ফেলেছেন – ক্ষুদ্রঋনের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল এমন একটা সময়ে যেটাকে কিছুতেই সমৃদ্ধির সময় ছাড়া কিছু বলা যাবে না। কাজেই পরিনতি যা তাই হলো- চমৎকার মন কাড়া আবেগি সমালোচনা আসল ইউনুসের “মহাজনি কারবারের”। আর তার সাথে পশ্চিমা পুজিবাদি সমাজের প্রশংসা। কথায় কথায় কর্পোরেট ষড়যন্ত্রের সন্দেহের আভাস।
তবে আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শেষ পর্যন্ত যাকাতের টাকাই ভরসা হোক। দানের আনন্দ থেকে কেন আর অর্থবানেরা বঞ্চিত হবেন? রাস্তা-ঘাটে ফকির ফাকরা না থাকলে নিত্যনতুন হাজি মোহাম্মদ মহসিনদের নামতো আর ইতিহাসের পাতায় আসবেনা। দান করে ঐশীপুন্য লাভ করা যাবে না। গরিবি আসলে স্বভাব দোষ — এটা যতই ইউনুস অস্বিকার করুন আমরা প্রমান করে দেব এই স্বভাব দোষের জন্যই দরিদ্র মানুষেরা আসলে তাদের ভাগ্যের জন্য দায়ি। নিজেরা ঠিকই ব্যঙ্কে যাব সুদ দেব সুদ খাব — মহাজনিকে অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসাবে স্বিকার করব আর যখনি গরিবদের জন্য কেউ ব্যাঙ্ক খুলবেন তিনি হবেন মহাজন – সুদখোর। আমাদের মহাজনেরা অবশ্য অন্য লেভেলের, তাদেরকে ঠিক মহাজন বলা যায় না সেখানে আমরা দেখি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি এমন সব গালভরা নাম – শুনতেই কেমন ভাল লাগে। কিন্তু ইউনুসের নামটার মধ্যেই কেমন জানি মহাজনি গন্ধ; তাই সে “আপাতপরিচ্ছন্ন” ব্যবসায়ি।
মাসুদ করিম - ২৭ অক্টোবর ২০১০ (১:০৩ অপরাহ্ণ)
আমাদের ব্লগেই সুপারিশকৃত লিন্কের সুবাদে ক্যাডেটকলেজব্লগে ইউনুস ও ক্ষুদ্রঝণ নিয়ে পড়ুন গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন।
মাসুদ করিম - ২৯ অক্টোবর ২০১০ (১:২১ অপরাহ্ণ)
সাধারণ ব্যবসায় কার কার স্বার্থ থাকে? — ১. বিনিয়োগকারী ২. কর্মচারী ৩. ভোক্তা ৪. যাবতীয় রাজস্ব প্রতিষ্ঠান বা আরো বড় অর্থে সরকার।
তাহলে সামজিক ব্যবসায় কার কার স্বার্থ থাকবে?– অবশ্যই ওই চারটি স্বার্থের বাইরে সামাজিক সমস্যাগুলোর একটা স্বার্থ থাকবে। খুব সহজে আমি এটাই বুঝতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন জানতে হবে আমাদের সামনে কী কী সামাজিক ব্যবসা এর মধ্যে শুরু হয়েছে ও হবে।
সূত্র : সামাজিক ব্যবসা সব সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে পারে: ড. ইউনূস।
তাহলে আমরা এখন থেকে সবাই মিলে জানতে চেষ্টা করব তার উল্লেখিত এই ব্যবসাগুলোর গতিপ্রকৃতি। আজো ‘শক্তিদই’ নিয়ে প্রচলিত মিডিয়াতে এর উদ্বোধন ছাড়া তেমন বড় কিছু আমরা জানতে পারিনি। হয়তো প্রচলিত মিডিয়া আমাদের এ নতুন বিষয়টি নিয়ে ঠিক মতো জানাতে পারছে না, কিন্তু এখন থেকে আমরা চেষ্টা করব কোনো ছোট সূত্র পেলেও এ সম্বন্ধে জানতে। আর ইউনূস সাহেবেরও উচিত হবে আমাদের মিডিয়াকে সামনে কী কী হবে এর চেয়ে শক্তি দই ও নার্স প্রকল্প নিয়ে নিচের বিষয়গুলো পরিস্কার করা :
১. বিনিয়োগকারীর স্বার্থ : আমরা বুঝতে পারছি বিনিয়োগকারী শুধু তার বিনিয়োগকৃত অর্থ ১/৫/১০/৩০… বছর পর যখনই তুলতে চান ফেরত পাবেন। অর্থাৎ ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ শুধু ১০০০ টাকা ফেরত পাওয়া এবং মুনাফা হিসাবে এটা জানা যে তার বিনিয়োগের ফলে এই এই সামাজিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। সামাজিক ব্যবসায় ক্ষতি হলে কী হবে? নাকি সামাজিক ব্যবসায় ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই, যেমন ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসায় কোনো ক্ষতি হয় না।
২. কর্মচারীর স্বার্থ : তার বেতন ও সব ধরণের নিশ্চয়তা নিয়ে ইউনূস সবসময়ে উচ্চকণ্ঠ। তিনি সামাজিক ব্যবসার কর্মচারীদের ইউনিয়ন করতে দেবেন কি?
৩. ভোক্তার স্বার্থ : কারা কেনেন শক্তি দই? তিনি কি শক্তি দই-এর দাম/গুণ বিবেচনায় সন্তুষ্ট?
৪. সরকারের স্বার্থ : এই ব্যবসা থেকে সরকার কি রাজস্ব পাবেন? পেলে কি কি খাতে? এটা জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সামাজিক সমস্যার স্বার্থ : এবিষয়ে আরো আরো বেশি তথ্য পরিসংখ্যান নির্ভর লেখা মিডিয়ায় আসা উচিত ইউনূস থেকে। কারণ যেহেতু সামাজিক ব্যবসার প্রায়োগিক কিছু ক্ষেত্র এখন প্রস্তুত সেই ভাতগুলো এখন টিপে দেখানোই হওয়া উচিত ইউনূসের এখন একমাত্র কাজ।
@ ডঃ সামিম উল মওলা ইউনূস ব্যক্তি মানুষ কীরকম তা জানার আমার অন্তত কোনো উৎসাহ নেই। তিনি সামাজিক ব্যবসা হিসাবে ‘একটি নার্স কলেজ’ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, আপনার দ্বারা কি সম্ভব এই সামাজিক ব্যবসাটা কিভাবে চলে তার একটা ধারণা আমাদেরকে দেয়া?
গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ ফোন কিন্তু সামাজিক ব্যবসার মডেল নয়। এর একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা এবং অন্যটি প্রচলিত কর্পোরেট ব্যবসা। কাজেই ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আশা করি কেউ এদুটি ব্যবসা নিয়ে কথা বলবেন না। তার অন্যান্য ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে অবশ্যই এদুটি নিয়ে বলতে পারেন।
মাসুদ করিম - ২ নভেম্বর ২০১০ (৬:২৫ অপরাহ্ণ)
না, গ্রামীণ ব্যাংক সম্বন্ধে যা জানতাম তা ঠিক নয়। বলা হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক সামাজিক ব্যবসার মা।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
তার মানে সামাজিক ব্যবসা নতুন কোনো কথা নয়, তাহলে সামাজিক ব্যবসার কথা নোবেল এর আগে কেন শুনলাম না। আমরা অজ্ঞ! সত্যিই অজ্ঞ! আমাদের আর কিছু হবে না!
নিরাভরণ - ৩ নভেম্বর ২০১০ (১:১৯ পূর্বাহ্ণ)
ক্ষুদ্রঋন সামাজিক ব্যবসার উদাহরন কারন এটা লাভের ভিত্তিতে চলে না। যেটুকু সুদ নেয়া হয় সেটা হচ্ছে অর্থায়নের খরচ নির্বাহ করার জন্য। এই সুদের ব্যপারটা না থাকলে ব্যবস্থাটি সেলফ-সাসটেইনিং হতো না। মোহাম্মদ ইউনুসের মুল দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে দানকে অলাভজনক ব্যবসা দিয়ে প্রতিস্থাপন। এর মধ্যেই প্রসারিত হয়েছে ক্ষুদ্রঋন। আর এখন তিনি এই লাভবিহীন ব্যবসার মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থার অন্যান্য সুবিধাও সাধারন মানুষদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছেন।
মাসুদ করিম - ৪ মার্চ ২০১১ (১২:২০ অপরাহ্ণ)
এই মন্তব্যটি আগে ঠিক মতো খেয়াল করা হয়নি। অর্থায়নের খরচ নির্বাহ এর জন্য তো processing fee বা service charge আছেই, যেকোনো ক্ষুদ্র বা বৃহৎ ঋণে এটি সুদের চেয়ে আলাদা করেই নেয়া হয়। বৃহৎ বা এসএমই ঋণে processing fee বা service charge ঋণ দেয়ার সময়েই নিয়ে ফেলা হয় আর ক্ষুদ্র ঋণে processing fee বা service charge সুদের সাথে যোগ করে নেয়া হয়। এবং ক্ষুদ্র ঋণের processing fee বা service chargeটাই একটা বড় সমস্যা কারণ বৃহৎ বা এসএমই ঋণের চেয়ে ক্ষুদ্র ঋণে এটা অনেক বেশি, কারণ খুব সহজ ঋণ ১০ টাকা হোক বা ১০০০টাকা হোক প্রতিটি ঋণের জন্যই একটা ফাইল চালাতে হয় এবং কাজের স্বাভাবিক ধরণ অনুযায়ী ওই একটা ফাইল চালাতে টাকার সংখ্যা যাই হোক না কেন নির্বাহী খরচ প্রায় সমান। তার উপর processing fee বা service chargeটা এককালীন না নিয়ে যখন একেও কিস্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তখন কিস্তি নির্ধারণের স্বাভাবিক চক্রবৃদ্ধি নিয়মে ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহককে ওই বেশির চেয়ে আরো বেশি পরিশোধ করতে হয়।
ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ঠিক এইজায়গাটাতে নিয়মিত কাজ হওয়া উচিত, processing fee বা service charge এর দৈত্যটাকে কত আরো গ্রাহক বান্ধব করা যায় এর জন্য অর্থনীতি ও অর্থসংস্থানবিদ্যার আরো কী কী টুল ব্যবহার করা যায় এনিয়ে নিয়মতান্ত্রিক সার্বক্ষণিক কাজের জন্য সবার আগে ইউনূসেরই উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল, এবং গ্রামীণ ব্যাংকের দ্বিতীয় না হলেও তৃতীয় দশকের শুরুতে তারই একাজ করা উচিত ছিল — কিন্তু তিনি তা করেননি, এর মধ্যে আবার নোবেল পেয়ে স্বাবাবিকভাবে তার দুনিয়ার সময় যত বেড়েছে দেশের সময় তত কমেছে, ফলে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’কে সবল করতে বা যে ক্ষুদ্র ঋণকে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন তাকে আরো গ্রাহকবান্ধব করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। জানি না ‘গ্রামীণ ব্যাংক’এর ভবিষ্যৎ কীহবে বা বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকবান্ধবতা আরো বাড়বে কিনা, কিন্তু এটা জানি এই অর্থনৈতিক ও অর্থসংস্থানবিদ্যার ফলিত উৎপাদন ‘ক্ষুদ্র ঋণ’কে ঠিক মতে চালাতে ব্যর্থ হলে এমন একটা বিকট মন্দায় আমরা আক্রান্ত হব যেমন্দার কোনো ধারণা করা এখনই আমাদের দ্বারা সম্ভব না হলেও ‘ক্ষুদ্র ঋণের জাল’এর ব্যপকতা চিন্তা করে সেই মহামন্দার কল্পনা কারো জন্যই কঠিন নয়।
নিরাভরণ - ৩ নভেম্বর ২০১০ (৪:২৫ পূর্বাহ্ণ)
আপনি নিজে থেকে কষ্ট করে অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছেন তাই আমিও আরেকটু চেষ্টা করি এই আলোচনায় আর দু’আনা যোগ করা যায় কিনা। উপরে Journal of International Affairs (1998) থেকে ইউনুসের যে পেপারটির রেফারেন্স উল্লেখ করেছিলাম সেখানে তিনি প্রচলিত অর্থনীতির তিনটি ফ্যলাসি রিফিউট করার চেষ্টা করেন। তার মধ্যে তৃতীয়টি হচ্ছেঃ
নোবেল লেকচারে তিনি সামাজিক ব্যবসার কথা বলেছেন শুনেছি। তবে উপরে যেই উদ্ধৃতি দিলাম সেখানে তিনি মুনাফা সর্বোচ্চকরনই যে বাজার ব্যবস্থার একমাত্র চালিকা শক্তি হওয়া জরুরী নয় এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কাজেই লিটারালি সামাজিক ব্যবসা বলা হয়েছিল কিনা জানিনা, কিন্তু ধারনাগত ভাবে তিনি যে মুনাফাভিত্তিক চিন্তার মধ্যে বাজার ব্যবস্থার দৌড় সীমাবদ্ধ রাখার বিপক্ষে ছিলেন সেটা স্পষ্ট। নিবন্ধের বাকি অংশে তিনি দেখিয়েছেন যে গ্রামীন সামাজিক সচেতনতা নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান- সেই অংশের শিরোনামঃ
মাসুদ করিম - ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১:২১ পূর্বাহ্ণ)
একথা
এবং একথা
পড়ে সবকিছুর পরও এই আস্থাটা ছিল, আচ্ছা গ্রামীণ ব্যাংকই প্রথম সামাজিক ব্যবসা — এই ব্যবসায় ক্ষতি নেই ডিভিডেন্ড নেই। কিন্তু এখন ইউনূস সেন্টার বলছে গ্রামীণ ব্যাংক শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়। কী যাদু করিলা কী সামাজিক ব্যবসা শিখাইলা!
Pingback: বৈদেশিক ঋণ নিয়ে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নতুন তত্ত্ব | হুমায়ুননামা দৈনিক
মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১০ (১০:০৪ পূর্বাহ্ণ)
লাভহীন গল্পের লাভের খাল কীকরে কাটতে হবে তাই কি শেখাচ্ছেন সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা?
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ২ ডিসেম্বর ২০১০ (৬:৪৯ অপরাহ্ণ)
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রেজাউল করিম সুমন - ৩ ডিসেম্বর ২০১০ (২:৩১ পূর্বাহ্ণ)
নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বহুল আলোচিত তথ্যচিত্রটি অনলাইনে দেখার সুযোগ আছে এখানে।
ড. ইউনূসের বক্তব্য তুলে ধরে এক দিন পরে প্রতিবেদন ছেপেছে দ্য ডেইলি স্টার।
রেজাউল করিম সুমন - ৩ ডিসেম্বর ২০১০ (১২:৩৯ অপরাহ্ণ)
প্রথম আলো-র সম্পূর্ণ প্রতিবেদন — “ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে”।
২
bdnews24.com ইউনূস-নোরাড-নরওয়ে দূতাবাসের পত্র-বিনিময় ছেপেছে — এখানে।
৩
বিশ্ব জুড়ে প্রচারিত ‘সুফিয়া-মিথ’ নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
মিন্টু চৌধুরীর প্রতিবেদন ‘গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আর ঋণ নিইনি’ এখানে।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ৩ ডিসেম্বর ২০১০ (৬:০৫ অপরাহ্ণ)
এই ধরনের ফলোআপ খুবই দরকারি কাজ।
রায়হান রশিদ - ৩ ডিসেম্বর ২০১০ (১০:১১ অপরাহ্ণ)
নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত তথ্যচিত্র Fanget i mikrogjeld এখানেও এমবেড করে দেয়া হল দেখার সুবিধার্থে। এর একটা ইংরেজী সাবটাইটেল ভার্সন থাকলে খুব ভাল হতো।
রেজাউল করিম সুমন - ৫ ডিসেম্বর ২০১০ (২:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
Caught in Micro Debt-এ সাবটাইটেল থাকলে সত্যিই ভালো হতো। (ভাগ্যিস বাংলা সংলাপগুলো অন্তত বোঝা গেছে!) ইতিমধ্যে ৫ পর্বে এ ছবিটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে; লিংকগুলো যথাক্রমে —
http://www.youtube.com/watch?v=IH3THwVJ0Q8
http://www.youtube.com/watch?v=XylNNiIq7ZM
http://www.youtube.com/watch?v=VvcAtt6-CN0
http://www.youtube.com/watch?v=fpqhMQ7ka_4
http://www.youtube.com/watch?v=oE9DEnhSoaA
এই ছবির ড্যানিশ চিত্রপরিচালক Tom Heinemann প্রায় বছর দুয়েক আগে Flip the Coin নামে বিশ্বায়নের স্বরূপ-উন্মোচনকারী একটি তিন-পর্বের ছবির “A Tower Of Promises” পর্বে বাংলাদেশে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এরিকসন ও টেলিনর কর্তৃক নিজেদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেছিলেন —
ওই তথ্যচিত্রের ট্রেইলার (সাবটাইটেল সহ) দেখা যাবে এই লিংকে।
আরো দেখুন : এখানে এবং এখানে।
২
‘তহবিল স্থানান্তর’ বিষয়ক প্রতিবেদনের জবাবে গ্রামীণ ব্যাংক-এর ভাষ্যও ইতিমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দ্য ডেইলি স্টার থেকে পূর্ণাঙ্গ উদ্ধৃতি :
রায়হান রশিদ - ৭ ডিসেম্বর ২০১০ (১:৪০ পূর্বাহ্ণ)
টম হাইনম্যানের তথ্যচিত্রের সাথে নিচের এই দুটো লেখা মিলিয়ে পড়া যেতে পারে:
১) Mark Engler – The Godfather of Microcredit
২) David Roodman – The Microcredit Attack Documentary
রায়হান রশিদ - ৯ ডিসেম্বর ২০১০ (৬:১৯ পূর্বাহ্ণ)
এই বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি – নরওয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিবিসি-কে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে (এখানে):
নুর নবী দুলাল - ৫ ডিসেম্বর ২০১০ (১২:৫০ পূর্বাহ্ণ)
অবশেষে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের সকল প্রকার তন্ত্র-মন্ত্রের রহস্যের বেড়াজাল ছিন্ন হওয়া শুরু হয়েছে। এখন আমাদের শুধু অপেক্ষার পালা, থলের বিড়ালটির উন্মোচিত রুপ-রহস্য জানার।………
অবিশ্রুত - ৫ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ)
প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা টম হাইনেমান ইতিমধ্যে বাংলাদেশের একটি অনলাইন নিউজ সার্ভিসে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
তবে যে-ভাবেই বিষয়টি উঠে আসুক না কেন, অর্থমন্ত্রী দেখা যাচ্ছে বিষয়টিকে ঠিক অনিয়ম হিসেবে দেখতে চাইছেন না। সমঝোতা হয়ে থাকলে কোনও অসুবিধা নেই- বিষয়টিকে এভাবেই দেখছেন তিনি।
অদ্ভূত একটি দেশে বসবাস আমাদের- এ দেশে কর সঠিকভাবে সঠিক সময়ে প্রদান করে মাঝারি আয়ের মানুষ ও প্রতিষ্ঠানগুলি। কিন্তু বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও মানুষগুলি কর দেয়া দূরে থাক, মন্ত্রী-মিনিস্টার ধরে কর মওকুফ করে নেন,আইনের ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়েন যাতে কর না দিতে হয় (যেমন গ্রামীণ কল্যাণে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে শুধুমাত্র কর না দেয়ার উদ্দেশ্যে, তারপর আবার সেই টাকা গ্রামীণ ব্যাংককে ঋণ দেয়া হয়েছে…)। এবং এসবই করা হচ্ছে মহান সামাজিক ব্যবসার স্বার্থে!
সামাজিক ব্যবসার চেয়ে কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণা তো মনে হয় অনেক ভালো- তারপরও ইউনূস সাহেবরা এ দেশে বিনিয়োগ করার বদলে তাদের সাহায্য করার অনুরোধ করে বেড়াচ্ছেন বিদেশীদের কাছে। ড. ইউনূসের এরকম একটি ব্যবসার নমুনা হলো গ্রামীণ ফোন। এখানেও কী তেলেসমাতি হয়েছে সেটি নিয়ে টম হাইনেমান নতুন একটি ডকুমেন্টারি করেছেন এবং তা নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। বিস্তারিত জানা যাবে এখান থেকে।
নীড় সন্ধানী - ৯ ডিসেম্বর ২০১০ (২:৪৫ অপরাহ্ণ)
কোথাও ড.ইউনুসের ব্যক্তিগত সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও করদায় সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে কি?
যার মাথায় এত আইডিয়া, যার প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক দিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা আসা যাওয়া করে, ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পরও তার ব্যাংক ব্যালেন্সে খরা যাচ্ছে এটা বিশ্বাসযোগ্য হয় না।
আমাদের দেশেও একজন টম হেইম্যান কিংবা জুলিয়ান এসেঞ্জের দরকার ছিল।
মাসুদ করিম - ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ (২:২৬ অপরাহ্ণ)
এই লিখিত বক্তব্যের পূর্ণ বিবরণী কারো কোথাও চোখে পড়েছে? আমি কালের কণ্ঠে দুঃখ পেয়েছি লড়াই করতে চাই না : ড. ইউনূস পড়লাম এরপর আরো কয়েকটি পত্রিকায় লিখিত বক্তব্যটি পাওয়া যায় কিনা খুঁজলাম। পেলাম না, সব পত্রিকাতেই উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনূসের বক্তব্য জানানো হয়েছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে পঠিত পূর্ণাঙ্গ লিখিত বক্তব্যটি পড়বার প্রয়োজন ছিল। এই লিখিত বক্তব্যের হদিস কারো জানা থাকলে এখানে মন্তব্য আকারে তুলে দিতে পারেন।
নুর নবী দুলাল - ১৭ জানুয়ারি ২০১১ (১২:০৭ পূর্বাহ্ণ)
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান আমার কারখানায় অংশীদার হয়ে আমার শান্তি কেড়ে নিয়েছে। তিনি অনেক ওপরের মানুষ। তাঁর কাছে আমার আকুল আবেদন, আমাকে মুক্তি দিন। আমার শান্তি ফিরিয়ে দিন....
মাসুদ করিম - ১৭ জানুয়ারি ২০১১ (১২:৪২ পূর্বাহ্ণ)
এই ‘গ্রামীণ ফান্ড’ প্রতিষ্ঠানটি কি সামাজিক ব্যবসা না অসামাজিক ব্যবসা। যদি অসামাজিক ব্যবসা হয় তাহলে কোনো কথা নাই, আর যদি সামাজিক ব্যবসা হয় তাহলে দুইখান কথা আছে — ব্যবসাটা কার জন্য সামাজিক, রফিকের জন্য না ফান্ডের জন্য? যদি রফিকের জন্য হয় তাহলে কোনো কথা নাই, আর যদি ফান্ডের জন্য হয় তাহলে…
ইউনূস মহোদয় কি মৌনব্রত নিলেন? তিনি কথা বলেন না কেন?
মাসুদ করিম - ২ মার্চ ২০১১ (৬:২৩ অপরাহ্ণ)
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ইউনূসকে অপসারণ করা হয়েছে।
খবরের লিন্ক এখানে।
মাকসুদুল আলম - ২ মার্চ ২০১১ (১১:০৩ অপরাহ্ণ)
ডক্টর ইউনুস এর বর্তমান বয়স ৭০ বছর.বাংলাদেশ বাংক ও গ্রামীন বাংক এর আইন অনুযায়ই যদি ৬০ বছর বয়সে উনার অবসরে যাওয়ার কথা থাকে তাহলে ইতিমধে তিনি ১০ বছর পার করে এসেছেন .আমার প্রশ্ন হলো এই দশ বছর এই দুইটি আইন কি তাহলে হায়বার্নাসনে ছিলো?
নুর নবী দুলাল - ৩ মার্চ ২০১১ (১:০৬ পূর্বাহ্ণ)
দশ বছর ডঃ ইউনুস বোনাস সময় উপভোগ করেছেন। বিগত দশ বছর ডঃ ইউনুস গ্রমিীন ব্যাংক থেকে যে সব সুবিধা ভোগ করেছেন তা অনতিবিলম্বে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক অথবা দ্ধায়িত্বে অবহেলার কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জনগনের সম্মুখে জবাবদিহীর ব্যবস্থা করা হোক। ….এখন সরকারকে প্রমান করতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ডঃ ইউনুসের গ্রামীন ব্যাংক হতে এই অব্যহতি রাজনৈতিক কারনে নয়….!!!!!
মাসুদ করিম - ৩ মার্চ ২০১১ (৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
ইউনূসের অপসারণ এখনো খবরের পর্যায়ে আছে, এর পরিণতির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, ক্ষুদ্রঋণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন ইউনূস — প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে যেপ্রতিষ্ঠানটি গড়েছেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেই ‘গ্রামীণ ব্যাংক’কে ঠিকমতো সংগঠিত করতে হয়ত পারেননি ইউনূস, অথবা সংগঠিত করতে চাননি। ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ তো খাতুনগঞ্জমার্কা লিমিটেড কোম্পানি নয়, রীতিমতো এক বৃহৎ বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ বা আজীবন নিয়োগ শুধু অফিসের ফাইলে নয় জাতীয় দৈনিকগুলোতেও খবর হবে এটাই তো নিয়ম। এত কথা না বলে ইউনূস সেরকম একটা রেফারেন্স কেন দিতে পারছেন না যে তমুক তারিখের তমুক পত্রিকায় দেখুন আমি ‘গ্রামীণ ব্যাংক’এর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে আজীবনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছি এবং পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক তমুক দিন তমুক আদেশ বলে কার্যকর করেছে। এবং এই রেফারেন্সগুলো তো একটা সাধারণ ব্যাংকের সাধারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাধারণভাবে তাৎক্ষণিকভাবেই দিতে পারে, তাহলে অসাধারণ ইউনূসের এই অবস্থা কেন? একটা অতিসাধারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ বিতর্কে তাকে একেবারে হাইকোর্টে কেন যেতে হচ্ছে? তাহলে কি এটা বুঝতে হবে অসাধারণ হতে গেলে এরকমই হতে হবে? নাকি এটা বুঝতে হবে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’এর পরিচালনা পর্ষদ বলে যা আছে বা ছিল তার কোনো কার্যকারিতা কখনো ছিল না? — অনেকটা আমাদের একান্ত পারিবারিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোর মতো? খুবই দুঃখজনক যে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’এর মতো একটা সুবৃহৎ পাবলিক প্রতিষ্ঠান এরকমভাবে চলছে!
নাকি নোবেল পাওয়ার পর তিনি ভেবেছেন এই শাক দিয়ে তিনি এবার তার সাথে সংশ্লিষ্ট সব মাছ একে একে ঢেকে দেবেন।
মাসুদ করিম - ৩ মার্চ ২০১১ (৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ)
নিদ্রা ভাল, তারচেয়ে ভাল শীতের নিদ্রা। ৬০, ৭০ নিয়ে খুব কথা হচ্ছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা সরকারের শেয়ার ৭৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ কিভাবে হল, এ বিষয়ে অর্থাৎ ৭৫,২৫ নিয়ে আলোচনা হওয়া সবচেয়ে জরুরি। আমি নিজে এবিষয়ে এখনো কিছু জানি না, আজ থেকে খুঁজতে শুরু করব, আর কেউ জানলে তো আশা করি এই মন্তব্যের ঘরেই তা জানতে পারব।
মাসুদ করিম - ৬ মার্চ ২০১১ (৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার কত? কেউ বলছেন ২৫%, কেউ ৬%, কেউ ৩.৫%। গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পেলাম
লিন্ক এখানে।
কিন্তু সরকারের সব শেয়ার আবার সরকারের নয়, ২০০৬-এর এক হিসাব থেকে পাওয়া যায় : ব্যাংকের ৩১.৮ কোটি পরিশোধিত মূলধনের ৩০ কোটি গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের, ১.২ কোটি বাংলাদেশ সরকারের, ৩০ লাখ সোনালী ব্যাংকের ও ৩০ লাখ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের। তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের ৯৪.৩৩%, বাংলাদেশ সরকারের ৩.৭৭% এবং সোনালি ব্যাংক ও কৃষিব্যাংক উভয়ের .৯৫% করে — এই ছিল ২০০৬ সালের শেয়ারের ভাগাভাগি, এ অনুযায়ী সরকার ও সরকারী দুই ব্যাংক মিলে শেয়ার প্রায় ৬%। লিন্ক এখানে। এর অর্থ হল গ্রামীণ ব্যাংক প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ২০০৬-এর পরে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকার ও সরকারী দুই ব্যাংকের অংশীদারিত্ব প্রায় ৬% থেকে বেড়ে ১০% হয়েছে।
কিন্তু ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক কত পরিশোধিত মূলধন নিয়ে কোম্পানিটি শুরু করেছে এবং তখন সেই পরিশোধিত মূলধনে কার কত ভাগ ছিল তার কোনো হিসাব আমি এখনো গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাইনি বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকেও সংগ্রহ করতে পারিনি। শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে এখানে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত পুরশোধিত মূলধন পাওয়া যাচ্ছে, যেমন ১৯৯৭ সালে পরিশোধিত মূলধন ছিল ২৪.৬ কোটি — ২০০০ সালে ২৭ কোটি, এরকম একযুগের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ জানা গেলেও ভাগাভাগিটা জানা যাচ্ছে না। কাজেই ১৯৮৩ সালে সরকার কত দিয়ে শুরু করেছিল এবং এখন যেখানে এসেছে এবং কিভাবে এসেছে তার কোনো চিত্র আমরা ঠিক পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে আমরা অন্ধকারেই আছি এবং এর জন্য সরকার ও গ্রামীণ ব্যাংক উভয়েই দায়ী অথবা দায়ী আমি হয়ত আমি পুরোপুরি ব্যাপরটি বের করতে পারিনি।
মোহাম্মদ মুনিম - ৪ মার্চ ২০১১ (৭:০৭ পূর্বাহ্ণ)
প্রথম আলোতে দেখলাম মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডঃ ইউনুসের অপসারণে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতেরা সাধারণত মধ্যমমানের কূটনীতিবিদ হন, তবে অন্য দেশের ব্যাঙ্কের এমডি থাকা না থাকা নিয়ে একজন রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো যে শোভন নয়, এটা নিশ্চয় তাঁরা জানেন। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এসে তাঁরা ব্রিটিশ আমলের গভর্নরদের মত আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।
মাসুদ করিম - ৪ মার্চ ২০১১ (১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ)
কিন্তু মারিয়ার্টি মধ্যম মানের নয়, তার মান এরও নিচে। এর প্রমাণ সাংবাদিকদেরকে বলা তার এই কথা
নোবেল কমিটি তার এই ভক্তকে দিয়ে এই দেশে দ্বিতীয় ব্লাসফেমি আইন আনবেন কিনা? প্রথমত হযরতের অবমাননা করা যাবে না, দ্বিতীয়ত Nobel laureate-এর অবমাননা করা যাবে না। জীবনানন্দের বাক্যে : মারিয়ার্টি গাড়লের মতো গেল কেশে।
মাসুদ করিম - ৫ মার্চ ২০১১ (৫:৫৬ অপরাহ্ণ)
ক্ষুদ্রঋণের আলোচনা শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে আমাদের এই সরকারী প্রতিষ্ঠানটির দিকে মনে হয় নজর দেয়া উচিত, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন বা সংক্ষেপে পিকেএসএফ — নীরবে নিভৃতে এই প্রতিষ্ঠান ২০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের একটা বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন এই প্রতিষ্ঠানের হাতে, আজই প্রথম আমি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে জেনেছি। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট : http://www.pksf-bd.org।
মাসুদ করিম - ৭ মার্চ ২০১১ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)
অনুরাগ বেহার মনে করেন সামাজিক ব্যবসার মন নিয়ে লিখতে হলে উপন্যাসই লিখতে হয়, কিন্তু তিনি লিখছেন কলাম এবং সেই কলামে কিছু হলেও বলতে পেরেছেন তিনি এই মনের কথা। বিশেষত সামাজিক ব্যবসার পণ্যের মূল্যনির্ধারণ কিকরে হবে?
বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১৩ জুন ২০১২ (১:৪৯ পূর্বাহ্ণ)
বয়স হলে কি মানুষের ফিকশনের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে? ইউনূস কেমন ফিকশনের দিকে ঝুঁকেছেন, তরুণ তরুণীদের সামাজিক ফিকশন লিখতে বলেছেন ইউনূস। সামাজিক ফিকশন, ওফ, কালে কালে আরো কত যে দেখব!
হিমু - ৩০ জুন ২০১২ (৯:০০ অপরাহ্ণ)
একখানা ফিকশন লিখেছি। আরও লিখবো।
মাসুদ করিম - ২ জুলাই ২০১২ (৩:০০ পূর্বাহ্ণ)
সামাজিক ফিকশন চলুক। পরে এই সামাজিক ফিকশনগুলো থেকে বেছে সামজিক ছবি বানানোর উদ্যোগও নিতে হবে।
Pingback: ইউনূসমিতি ৪ | প্রাত্যহিক পাঠ
Donna Tammy - ১৮ জুন ২০১৯ (১১:৪৬ অপরাহ্ণ)
প্রিয় তুমি
আপনি ব্যবসা ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, হোম ঋণ, গাড়ি খুঁজছেন
ঋণ, ছাত্র ঋণ, ঋণ একীকরণ ঋণ, অসুরক্ষিত ঋণ, ব্যবসা
ক্যাপিটাল, ইত্যাদি … বা আপনি একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ঋণ অস্বীকার করা হয়
অন্তত এক কারণে, আপনি সঠিক অবস্থানে আছেন
আপনার ক্রেডিট সমাধান পরিশোধ করুন!
আমি একটি ব্যক্তিগত ঋণদাতা। আমি কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের টাকা ধার।
কম সুদের হার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের দাম
2% হার
আগ্রহী? ক্রেডিট অপারেশন ট্র্যাক এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
48 ঘন্টা মধ্যে স্থানান্তর
আবেদন বিবরণী:
নাম:
জন্মদিন:
লিঙ্গ:
বৈবাহিক অবস্থা:
ঠিকানা:
শহর:
রাজ্য / প্রদেশ:
পোস্ট অফিসের নাম্বার:
দেশ:
ফোন:
ই-মেইল:
ঋণের উদ্দেশ্য:
ঋণের পরিমাণ:
ক্রেডিট টার্ম:
প্রতি মাসে নেট আয়:
আমাদের ইমেইল করুন @ {Donnaloancompany@gmail.com} এবং আমাদের সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, www এ আমাদের ওয়েব ঠিকানায় যান। donnaloancompany.com
আন্তরিক শুভেচ্ছা,
মিসেস ডোনা