আসব আগের দিন আজ যাই : মনমোহন সিংয়ের গোপন ডায়েরি

আমি আর কোনো কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না। সবকিছুকে মায়া মনে হতে লাগল।[...]

ইউনুস আমাকে ২০০৭ সালের শেষদিকে বলেছিলেন, কোথায় পড়ে থাকলেন – আমি এখন নোবেল পুরস্কার পেয়েছি, একটা ঋণ মডেল ও একটা ব্যবসা মডেল নিয়ে সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছি, আর আপনি কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর গুরুতর মানুষের-ভারে-জর্জরিত কখন-জ্বলবে-তার-খবর-নেই একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব বরণ করলেন অতিবৃদ্ধ এক রাজনৈতিক ডাইনেস্টির মোহময় ক্ষমতাময়ীর অনুরোধে? যেদেশ ইউনুস বানিয়েছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে শীর্ষবৈঠক সেরে উঠব উঠব, এমন সময় ভাবলাম হাসিনাকে কথাটা বলি। হাসিনা চুপচাপ শুনলেন, তাকে কেমন যেন উদভ্রান্ত মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণের জন্য। কিছুই ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। আমি এবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনি ইউনুসের উপর এমন চটেছিলেন কেন? – আপনাকে ওই কথা বলেছিল তো, আমাকে বলল একেবারে উল্টো কথা – প্রধানমন্ত্রীত্বটা আমাকে দিয়ে দিন যেমন সোনিয়া মনমোহনকে দিয়েছিলেন, আমি আপনাকে আমার ঋণ মডেল ও ব্যবসা মডেল দিয়ে দেব, আপনি সারা পৃথিবী চষে বেড়াবেন, চান তো ওই অর্ধেক নোবেলটাও দিয়ে দেব, আপনার কতদিনের শখ!

এরপর থেকে আমি আর কোনো কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না। সবকিছুকে মায়া মনে হতে লাগল। বারবার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠতে লাগল – বারবার একটা ধুনই আঘাত করছিল আমাকে নিঃশব্দে নিরবধি – জীবনে কিছুই তো করতে পারলাম না। ভারতের অর্থনীতির রিফর্ম করেছি আমি, ওই অর্থনীতিটাকে ‘হিন্দু বিকাশ’ থেকে ‘ব্যাঘ্র বিকাশ’-এর পথে নামিয়েছি আমি, তখন আমি ছিলাম অর্থমন্ত্রী। আর রিফর্মের ১৫ বছর পর দেখলাম আমার রিফর্ম ভালই এগিয়েছে, আমিও তখন দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতায় প্রায় দুবছর কাটিয়ে ফেলেছি, কিন্তু সাথে সাথে এটাও বুঝতে পারছিলাম রাজনৈতিক(!) ক্ষমতাহীন(!) আমি(!) দুই হাজার ছয় থেকে অনবরত সেই রিফর্মে ক্লোরোফর্ম ঢেলেছি – আমিই এই অঞ্চলে নয়াব্রাহ্মন্যবাদের প্রবর্তন করেছি ঘৃতাহুতির বদলে এই ক্লোরোফরম ঢালার বিধান চালু করেছি। খালি মনে হচ্ছে পৃথিবীর কোনো কিছুতে শান্তি নেই। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ক্ষমতায়ও সর্দারজি হয়ে থাকতে হয় – পৃথিবীতে স্বীকৃত অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী হয়েও এই আমাকে নয়াব্রাহ্মন্যবাদ নিয়েই থাকতে হয়।

ভারত সন্ন্যাসের পূণ্যভূমি। আমার স্ত্রীকে দিল্লি ফিরে এসে বললাম, কিছু মনে কোরো না – মনে হয় আর এই সংসারধর্ম পালন করব না। এবারের শীর্ষবৈঠকে আমি জীবন ও জগৎ সম্বন্ধে এমন কিছু জেনেছি তাতে মনে হচ্ছে, সন্ন্যাসগ্রহণ ছাড়া আমার সামনে দ্বিতীয় পথ খোলা নেই। আমার স্ত্রী অভূতপূর্ব সাড়া দিলেন, বললেন, ঠিকই বলেছ – আমিও সন্ন্যাসের কথাই ভাবছি, শুধু আরেকটি শীর্ষবৈঠকের জন্য অপেক্ষা করতে অনুরোধ করব তোমায়। আমি বিস্মিত হলাম, আশা করিনি আমার স্ত্রীও আমার সঙ্গে সন্ন্যাস নেবেন, তার চেয়ে বিস্মিত হলাম আবার বাংলাদশে আরেকটি শীর্ষবৈঠক, কেন? আমার আর একদিনের জন্যও এই রাজকার্যে মন বসছে না। স্ত্রী বললেন, তুমি যেরাজ্য থেকে রাজ্যসভায় অধিষ্ঠিত সেই আসাম রাজ্যের বিলাসী মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আমাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি জামদানি শাড়িটা উপহার দিয়েছে তো তুমি জান – ওই জামদানি শাড়িটা পরে একবার ওই বাংলাদেশে শীর্ষবৈঠকের মিডিয়া কাভারেজে যেতে চাই – সে যাওয়া যত দ্রুত তুমি ব্যবস্থা করতে পার – তত দ্রুত আমরা সন্ন্যাস ব্রত নিয়ে সংসার ছাড়তে পারি।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

১২ comments

  1. Dry cleaning in Grand Prairie Texas - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ (১২:৩৩ অপরাহ্ণ)

    এখন উনাকে ইলিশ মাছ ও খাওয়াবো।

  2. মাসুদ করিম - ৭ মে ২০১২ (১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    আজকের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সম্পাদকীয়।

    When India receives Dipu Moni, the foreign minister of Bangladesh, this week, the diplomatic ball will be in New Delhi’s court. And if the UPA government does not act decisively, it will inflict lasting damage to one of India’s most important bilateral relationships. Reviving Delhi’s political credibility in Dhaka could take decades if the PM allows the narrow political calculations of the Congress party to trump consideration of India’s national interests.

    More than two years ago, Singh and his Bangla counterpart, Sheikh Hasina, boldly agreed to resolve all outstanding bilateral problems and lay the foundation for a new partnership. The hard work that followed was to culminate in Singh’s visit to Dhaka last September. Before the celebrations could begin, West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee decided to play party-pooper. She opposed the Teesta waters agreement, which was to be one of the main outcomes from Singh’s visit. By failing to keep his word on Teesta, Singh exposed Hasina to attacks from the many enemies of the incipient Indo-Bangla strategic partnership.

    Banerjee deserves much blame for wrecking one of India’s most consequential foreign policy initiatives; but not all. Last September, Singh had the option of signing the Teesta waters treaty, disprove Banerjee’s false arguments, and explain the larger stakes in improving relations with Bangladesh to the people of India, including those in West Bengal and the north-eastern states. Instead, Singh pulled back, citing India’s federalism and coalition politics. By law, Delhi has absolute monopoly over the conduct of foreign policy and the negotiation of treaties, including those on sharing waters that flow across the borders. What it lacks today is the courage of conviction and the political will to lead. Signing the Teesta accord and defending India’s national interests vis-a-vis Dhaka might improve the Congress’s leverage with Banerjee a lot more than Delhi’s unending appeasement of Kolkata.

    লিন্ক : Engaging Dhaka

  3. Pingback: হন্যতে : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গোপন ডায়েরি | মাসুদ করিম

  4. Pingback: রাজাকার : মতিউর রহমানের গোপন ডায়েরি | মাসুদ করিম

  5. মাসুদ করিম - ২৫ আগস্ট ২০১৩ (২:০২ পূর্বাহ্ণ)

    • মাসুদ করিম - ৭ মে ২০১৫ (১০:০৭ পূর্বাহ্ণ)

      রাজ্যসভায় বিরল ঐক্য, ছিটমহল বিল পাস

      দিনটা ছিল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের৷‌ স্বভাবসিদ্ধ অমায়িকতার জাল বুনে বিরোধীদের মন জয় করলেন তিনি৷‌ লোকসভায় যখন পণ্য-পরিষেবা কর বিল নিয়ে শাসক-বিরোধী প্রবল অনৈক্য চলছে, ঠিক তখনই বিরল ঐক্যের দৃশ্য ফুটে উঠেছিল রাজ্যসভায়৷‌ বিদেশমন্ত্রী এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে মনমোহন সিংয়ের পদক্ষেপের উল্লেখ করছেন৷‌ প্রশংসা করছেন৷‌ স্বভাবতই বাক‍্রুদ্ধ বিরোধী শিবির৷‌ সব মিলে, কে শাসক ও কে বিরোধী, তা মোটেই বোঝার উপায় ছিল না৷‌ ভারত ও বাংলাদেশের কাছে বুধবার ছিল এক ঐতিহাসিক দিন৷‌ আজ ভারতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষে বিনা বাধায় সার্বিক ঐকমত্যে পাস হয়ে গেল সংবিধানের শততম সংশোধনী ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় বিল৷‌ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার ৩ বছর পর আজ থেকে ৪১ বছর আগে ১৯৭৪-এর ১৬ মে দু’দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে স্হলসীমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷‌ সেই চুক্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে আজ রাজ্যসভায় ১৮০ জন সদস্য সংবিধান সংশোধনী এই বিলে সম্মতি জানান৷‌ এভাবেই প্রথম ধাপ পার করল বিলটি৷‌ এই বিল সংবিধানের অংশ হয়ে গেলে এক দিকে যেমন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি হবে, তেমনি দুই বাংলার সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে৷‌ পাশাপাশি দীর্ঘ দিন পরে দু’দেশের ছিটমহল এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দমতো দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারবেন৷‌

      বিলটি পেশ করার সময়েই প্রধান বিরোধী কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানান তিনি৷‌ ইউ পি এ আমলে ২০১৩ সালের বিলটি পুনরায় পেশের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের সরকার ২০১৩-র ডিসেম্বরে যখন এই বিল এনেছিল, তখন বি জে পি, তৃণমূল ও অগপ এর বিরোধিতা করে৷‌ বি জে পি মনে করেছিল, এই বিলে আসামের বক্তব্য শোনা হয়নি৷‌ তৃণমূল এখন এই বিলকে পূর্ণ সমর্থন করলেও, আগে তাদের মনে হয়েছিল, এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রভাব পড়তে পারে৷‌ এখন আপনাদের আনা সেই বিলটিই আবার পেশ করছি৷‌ আশা করি সবাই সমর্থন দেবেন৷‌ তবে আপনাদের বিলে ৪টি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি: বিল পেশের তারিখ, সংসদের অধিবেশন সংখ্যা, সংবিধান সংশোধনীর সংখ্যা এবং বিদেশমন্ত্রীর নাম৷‌’ এভাবেই রসময় পরিবেশ রচনা করেন তিনি৷‌ একই সঙ্গে তিনি সভাকে আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এ-দেশে আসবেন, তাঁদের পুনর্বাসনের সব রকম ব্যবস্হা করবে সরকার৷‌ এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁর প্রশংসা করেন৷‌ বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের একাধিক বার আলোচনা হয়৷‌ আলোচনায় উভয় পক্ষ সহমতে পৌঁছয়৷‌ মমতা ব্যানার্জি মোট ৩০০৮ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার একটি প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছেন৷‌ এর মধ্যে ৭৭৫ কোটি ছিল স্হায়ী খরচ, অর্থাৎ কোচবিহার জেলায় ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য পরিকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হিসেবে ধরা হয়েছে৷‌ বাকি ২,২৩৪ কোটি টাকা পরিবর্তনীয় ছিল৷‌ কারণ এর মধ্যে শেষতম যে-সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এ-দেশে আসবেন, তাঁদের সংখ্যা ৩,৫০০ থেকে ৩৫,০০০ পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে৷‌ পুরো প্যাকেজটি ৩৫,০০০ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে৷‌ বলা হয়েছে, যেমন যেমন লোক আসবে, তাদের সেইভাবে আর্থিক সাহায্য করা হবে৷‌ তবে মোট ৩৫,০০০ লোকের জন্যই মোট ৩,০০৮ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে৷‌ এর পর মমতা জানান, এই শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে, ফলে এবার কেন্দ্রীয় সরকার এগোতে পারে৷‌ সদ্য মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, এই চুক্তি নিয়ে আমার দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে৷‌ ফলে আমার আর আপত্তি নেই৷‌ এবার সংসদে বিল আনা যেতে পারে৷‌ এর পর আসামের বিষয়৷‌ বাংলাদেশের কাছে যে ৭৩০ একর জমি আছে, তার মধ্যে আসামে আসবে ৪৩০ একর৷‌ বাংলাদেশের হাতে থাকবে ২৬৮ একর জমি৷‌ তিনি বলেন, ‘বিদেশমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে গিয়েছিলাম বাংলাদেশে৷‌ সেখানে যাঁর সঙ্গেই কথা হয়েছে, তিনিই এই চুক্তি কার্যকর করার কথা বলেছেন৷‌ আজ থেকে ৩৭ বছর আগে বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তি কার্যকর করে দিয়েছে৷‌ আমরা পারিনি৷‌ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে আমাকে বলেছেন, ৪১ বছর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আমাদের যে-সম্পর্ক স্হাপন হয়েছিল, আপনারা সেই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে চলুন৷‌’ পরে জবাবি ভাষণে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সাংসদরা অনেকেই ভাবুক হয়ে পড়েছিলেন৷‌ সবাই সমর্থন করেছেন৷‌ প্রত্যেককে ধন্যবাদ৷‌ এই চুক্তির ফলে আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কোনও চিন্তার কারণ নেই৷‌’ তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘এই বিলে প্রায় ৫১,০০০ মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ হবে৷‌ মনে রাখতে হবে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সীমান্তের কারণে পশ্চিমবঙ্গ বহু জমি ও সম্পদ হারিয়েছে৷‌ এখন দীর্ঘ দিনের সমস্যার স্হায়ী সমাধানে আমরা আবারও সম্মতি জানাচ্ছি৷‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দু’দেশের সুসম্পর্কের জন্য এই বিলে সম্মতি জানিয়েছেন৷‌ এই বিলে ভাল হবে ভারতের৷‌ ভাল হবে বাংলাদেশের৷‌ এবং সবচেয়ে ভাল হবে ছিটমহল এলাকায় বসবাসকারী দু’দেশের বহু মানুষের৷‌ সর্বোপরি, আরও ভাল হবে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে৷‌ বিলে তৃণমূল পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে৷‌ এদিন আমাদের এক লক্ষ্য পূরণ হল৷‌ আরও বড় লক্ষ্য পূরণ হবে যেদিন বিলটি কার্যকর হবে৷‌’ বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘সত্যি বলার জন্য সুষমা স্বরাজকে ধন্যবাদ৷‌ তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০১৩ সালে এই বিলে বি জে পি-র আপত্তি ছিল৷‌ আপত্তি ছিল অগপ এবং তৃণমূলেরও৷‌ এখন বি জে পি এবং কংগ্রেস একমত হয়েছে৷‌ আজ দু’দেশের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন৷‌ ২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে এসেছিলেন৷‌ দু’বছর পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সে-দেশে গিয়েছিলেন৷‌ ৪১ বছর ধরে দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে ছিটমহলের মানুষ এত দিন ঝুলে ছিলেন৷‌ তাঁরা কোন দেশের বাসিন্দা তা তাঁরা জানতেন না৷‌ এই আইনের ফলে তাঁরা নিজেদের অধিকার অর্জন করবেন৷‌’

      • মাসুদ করিম - ৭ মে ২০১৫ (১০:১৫ অপরাহ্ণ)

        সীমান্ত বিল পাস হল লোকসভায়ও

        ভারতে রাজ্যসভার একদিন বাদে লোকসভায়ও পাস হল বাংলাদেশের কাছে বহু প্রতীক্ষিত সীমান্ত বিল, যার মধ্য দিয়ে দুই দেশের ছিটমহল বিনিময় হবে।

        ছিটমহল বিনিময়ে ভারতের সংবিধান সংশোধনের বিলটি বৃহস্পতিবার লোকসভার অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে পাস হয় বলে পিটিআই জানিয়েছে।

        পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময়ে ভারতের সংবিধান সংশোধনের বিলটি লোকসভায় উত্থাপন করে তা সর্বসম্মতভাবে পাসের আহ্বান জানান।

        এর আগে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বিলটি বুধবার রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

        বিলটি ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষেই পাস হওয়ায় এখন স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং এর প্রটোকল ভারতের মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন হবে।

        চুক্তির ফলে দুর্ভোগের অবসান ঘটবে দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের। বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার এবং ভারতীয় ছিটমহলগুলোতে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার।

        গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া মোদী দুই দেশে অনিষ্পন্ন এই সমস্যার সমাধান করেই ঢাকা সফরে আসতে চাচ্ছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর।

        আসাম বিজেপির পক্ষ থেকে স্থল সীমান্ত চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার মুখে চুক্তি থেকে আসামের ছিটমহলগুলো বাদ দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিবেচনা করছেন বলে এর আগে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

        এরপর স্থল সীমান্ত চুক্তি থেকে আসামকে বাদ না দিতে মোদীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ।

        আসামকে বাদ দিলে রাজ্যসভায় এ বিল পাসে সমর্থন দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিতও দিয়েছিল কংগ্রেস, যারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই বিল পার্লামেন্টে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

        শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বাসভবনে এক বৈঠকে আসামকে রেখেই প্রস্তাবটি পাসের জন্য তোলার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রিসভা সংবিধান সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করে।

        আগামী ৮ মে লোকসভার চলতি অধিবেশন শেষে চীন, মঙ্গোলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর জুন বা জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসতে চান তিনি।

        তবে ভারতীয় কূটনীতিকরা ইংগিত দিয়েছেন, ‘খালি হাতে’ ঢাকা সফরে যাওয়া মোদীর ‘ঠিক হবে না’। এ কারণে লোকসভার চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস করিয়ে আনতে মোদীর এই তাড়াহুড়ো।

        ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

        এর আওতায় বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময় এবং ছয় দশমিক এক কিলোমিটার অমীমাংসিত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার কথা।

        বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি আটকে থাকে। ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকার কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও বিজেপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় রাজ্যসভা ও লোকসভায় তা পাস করাতে ব্যর্থ হয়।

        এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসাবে ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন। শুরু থেকে আপত্তি করে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও নানা চাপের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সম্মতি দেন।

    • মাসুদ করিম - ৭ মে ২০১৫ (১০:৪০ পূর্বাহ্ণ)

      আসাম নিয়ে জট খোলার ব্যাখ্যা দিলেন সুষমা

      স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল থেকে আসামকে বাদ দেওয়া এবং পরে আবার আসামকে রেখেই বিলের খসড়া চূড়ান্ত করার ব্যাখ্যা দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল ভারতের রাজ্য সভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য দেশটির সংসদে ১১৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল উত্থাপনের পর সুষমা বলেন, এই বিল নিয়ে আসাম রাজ্য বিজেপি কোনো জমি ছাড়তে রাজি হয়নি। আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে এলে আমি মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়ে আসামকে বাদ দিয়েই বিলটি অনুমোদনের জন্য তৈরি করি। আসামকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বললাম। মমতা বললেন, আমার কোনো সমস্যা নেই।

      বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করার প্রসঙ্গ তুলে সুষমা স্বরাজ বলেন, আসামকে বাদ রেখে বিলের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য স্থায়ী কমিটির সভাপতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুরে সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দলের সঙ্গে কথা বলে জানাতে চান। তারপর তিনি জানান, প্রটোকল (২০১১ সালে মনমোহন সিং ঢাকা সফরে প্রটোকল স্বাক্ষর করেন) যেভাবে সই হয়েছে, সেভাবেই বিল পাস করতে হবে। আসামকে বাদ রাখা যাবে না। আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ তার রাজ্যকে এই বিল থেকে বাদ না রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং আমাকে চিঠি দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদী) সঙ্গে আলোচনা করি। পরে গত সোমবার আমরা এক বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করি। এখন আসামকে রেখেই বিলটি উত্থাপন করা হল। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাসে যেভাবে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়, বিলটি সেভাবেই আছে।

      সুষমা স্বরাজ বিলটি উত্থাপন করার পর স্থল সীমান্ত চুক্তির ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী চুক্তিটি করেন। বাংলাদেশ চুক্তিটি অনুসমর্থন করলেও ভারত তা করেনি। চুক্তি সইয়ের ৩৬ বছর পর ২০১১ সালে মনমোহন সিং ঢাকা সফরে প্রটোকল সই করেন। ২০১৩ সালে যখন বিলটি উত্থাপন করা হয়। তখন বিলটিতে বিজেপি, টিএমসি (মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস) এবং এজেপি বিরোধিতা করে। এরপর ২০১৪ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিলটি নিয়ে কাজ শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়।

      সুষমা ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ঢাকা সফরে যাই। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের বিষয়টি তোলেন। এই সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গের দাবি অনুযায়ী ছিটমহলের মানুষের পুনর্বাসন ও ছিটমহলের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ৭৭৫ কোটি টাকা দিয়ে ছিটমহলের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আর বাকি টাকা পুনর্বাসনের কাজে লাগানো হবে। মমতা চুক্তিটিতে সম্মতি দেয়। এতে প্রতিবেশী দেশের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো হল। সুষমার বক্তব্যের পর রাজ্যের কয়েকজন সিনিয়র সদস্য বিলটি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সবাই বিলটির পক্ষেই কথা বলেন। আজ লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

  6. মাসুদ করিম - ১১ জানুয়ারি ২০১৪ (৪:১০ অপরাহ্ণ)

  7. মাসুদ করিম - ১৩ মে ২০১৪ (১২:২১ অপরাহ্ণ)

    Decadence and Decline
    An obituary for ten years of the United Progressive Alliance

    I HATE WATCHING INSTITUTIONS AND REGIMES DIE. To me, the Congress and the United Progressive Alliance were legendary. The alliance was a microcosm of Indian society and reflected the interests of all minorities, marginal groups and castes. It was like a giant family, and absorbed all the strains and stresses of political life. But today it’s like a crumbling haveli emptying out, with only a few members tenaciously hanging on.

    The UPA was like a fairy tale, one that actually began in 1991 with the masterstroke of liberalisation and the rise of Manmohan Singh. By introducing economic reforms, Singh created new expectations, and exorcised ideas like class warfare that had dominated the mindset of a generation. Young people now read about the virtues of Indian nationalism—patriotism, non-violence, nation-building—in official textbooks, but were never asked to live them out as previous generations had been. Nationalism became an act of nostalgia. The city became preeminent, and a new sense of the body developed that did not belong to the age of scarcity and the ration card, but to the age of consumerism and a more open sexuality. All this was aided by the artefacts and ideals of technology—including the mobile phone and social media—and by a growing diaspora that played out new possibilities of efficiency, mobility, meritocracy and a certain vision of the good life. When the first UPA government took office in 2004, it represented not just a political regime, but a circus of new worldviews.

    The regime began to create from this circus a unified social imagination. Initially, the UPA’s policy approach was broadly twofold. It had an economic dimension championed by Singh (who seemed like the cartoonist RK Laxman’s Common Man, except with a PhD) and Montek Singh Ahluwahlia, and a social dimension shaped by the National Advisory Council, which comprised some of civil society’s best and brightest, including Aruna Roy and Jean Drèze. In 2005, Roy, along with Harsh Mander (who joined the NAC in 2010) and others, helped conceive and pilot the Right to Information bill, which became one of the greatest civic acts of recent decades. That same year, together with Drèze, they created the National Rural Employment Guarantee Act, which expanded the idea of rights to include a right to employment. Rather than remaining abstract, rights now extended to the everyday survival of marginal groups. The poorest, the landless, the widowed and the orphaned knew that employment was now almost an everyday affair. The Ministry of Rural Development’s 2014 annual report on the NREGA claimed that it provided employment to an average of fifty million households per year since 2008. That is roughly one-fourth of all rural households in this country.

    The early years of the UPA thus fused political economy and democratic rights into a coherent vision for a decent society. The pity is that they were unable to sustain it. The NAC had the right hunches but was not backed by the political will to follow them through. Instead, India was presided over by a triptych of figures—Singh, and Sonia and Rahul Gandhi—that reminded one of the business theorist Peter Drucker’s distinction between a leader and a manager: a manager does things right, but a leader does the right things. If Singh was a manager, Sonia, as head of the Congress, was supposed to be the leader; Rahul was the leader in waiting, but was learning to be a manager. Each was affected by his or her own form of aphasia: Sonia Gandhi sounded like an empty mask, with her alien, disjointed Hindi; Singh had a tight-lipped indifference, though it masqueraded as immaculate innocence; and Rahul read Shakespeare as if it were a Noddy drama. This turned out to be critical, even fatal, because the UPA’s failure was one not only of achievement, but also of storytelling.

    The debate which emerged about NREGA at the beginning of the UPA’s second term, in 2009, revealed the weakness of the regime’s social and narrative imagination. In a battle between efficiency and justice, the market eventually won, and was embraced by the government as if it were the best guarantor of the commonweal. As Drèze suggested in Frontline in 2009, the complaints of a few economists were judged to be more important than those of millions of workers. The government evaluated NREGA as if it were the sort of development project that an institution like the World Bank would create, criticising it for a lack of accountability, delays in payments, leakage of funds, and the manipulation of muster rolls—that is to say, for the standard inefficiencies of babudom—instead of understanding its ethical and political implications. The act was seen as damaging the farming sector, because the labour of farm hands became more expensive. It should have been seen instead as an experiment in reviving local economies through local projects, a form of employment opportunity and a potential source of empowerment.

    The RTI act, too, was eventually criticised for its misuse, and lost its halo. What the UPA failed to grasp was the political space its own act had opened up; RTI was a weapon of the vulnerable against displacement, a figurative aangan where the poor could discuss political strategies and obtain some sense of dignity in the battle for survival. But the regime failed to communicate the power of both the RTI act and the NREGA, because its own understanding of justice and social security was flawed.

    In short, the UPA drifted from a rights-based approach to a more technocratic one. In 2009, the government discovered that the idea of cash transfers and a unique identification scheme would be far more attractive and attention-grabbing than the NREGA. The country moved from the sensitivity of Drèze and Roy to the managerialism of the former Infosys executive Nandan Nilekani. If the former emphasised survival and coping, Nilekani made poverty a governance issue.

    Straying from its original Gandhian commitment to the poor had devastating consequences for the regime. Roy, Drèze and others resigned from the NAC during the UPA’s second term, claiming that the government was hypocritical about inclusive growth. In an interview with the Press Trust of India last March, Drèze noted, with his meticulous numeracy, “Our social sector programme base is hardly six per cent of the GDP. Even in developing countries, such social programmes amount to twenty-five percent.” He hoped that workers would organise themselves to fight the destruction of such critical experiments.

    After that, the decline of the moral imagination of the UPA was easily discernible. The planning commission’s redefinition of poverty was the next embarrassment. It drew the poverty line at a daily consumption level of Rs 29 per person per day, without being able to define the lived world that figure reflected. In this, it went too far in the direction of a technocratic approach to poverty that has existed at least since Independence. Statistics, as the Hungarian writer Arthur Koestler warned, do not bleed. Poverty suddenly seemed to decline to unrealistic levels, which required an explanation. The country faced rising costs of health care, utilities and food, as well as declining nutritional levels, but the commission seemed impervious to the impossibility of a human being surviving on the paltry sum it used to demarcate the poverty line. Skirmishes over the poverty line’s implications for fiscal discipline overflowed into a wider battle over the social construction of poverty and its interpretation. It was as if the various sides of the debate lived in different worlds; the failure of dialogue was damning.

    In many ways, the corruption scandals that later dogged the government—the 2G, 3G, Commonwealth Games, coal and Posco scams, among others—emerged from the UPA’s failure of social imagination. Even as the UPA shrank the notion of poverty, it allowed corruption to swell into a monster. Consider the coal-block allocation and Commonwealth Games scams. In the former, the government did not follow a process of competitive bidding; according to the Comptroller and Auditor General, coal blocks worth Rs 1.86 lakh crore, or roughly $30 billion, were handed over, without clear criteria, to private mining firms. The former coal secretary PC Parakh has written that Singh originally wanted to hold open auctions, but allowed himself to be overruled by a gang of politicians running the coal ministry. The Commonwealth Games scam displayed a different texture of indifference. Beginning in 2004, nearly 400,000 people from three large areas of Delhi were displaced, in a series of indiscriminate evictions reminiscent of the last days of the Emergency, to make way for new construction connected to the games. The tournament infrastructure was built with rampant violations of protections like the Minimum Wages Act, and with the widespread use of child labour. The litany of moral failings could go on. The production of the games was like a monstrous urban inversion of NREGA; it was as if the UPA’s left hand gestured at battling poverty while its right hand sought to eliminate the poor.

    Corruption turned the state into an inverted commons where coal, forests, cellular spectrums and human labour were strip-mined for private benefit. Singh, despite his ostensible goodness, lacked the will, the courage, the imagination to fight this rot; instead, his reputation for probity glued together the varieties of corruption in his regime. Vital experiments in problem-solving were stifled. The Congress politician Jairam Ramesh, for example, attempted to open up biotechnology from a shareholder club to a stakeholder democracy by creating an independent regulator for genetically modified crops and initiating a national consultative process that would debate their impacts from an agricultural as well as scientific perspective. So far, his attempts have gone nowhere. Even more daring in its simplicity was the ecologist Madhav Gadgil’s classification of forest land in the Western Ghats into “go” and “no-go” zones in order to protect ecologically sensitive areas from the consequences of development, such as corruption, pollution and displacement. Although this taxonomy was the product of a committee set up by the UPA, the regime, in its idolatry of growth and development, rejected Gadgil’s recommendations and convened a second, more sympathetic committee. It was yet another ethical test that the government failed.

    The decline of the UPA can be read as three concentric dramas. In the first, the UPA flattered as an act of social imagination, only to deceive as an act of politics. This failure was thickened by the drama of the second circle—serial waves of conspicuous corruption. The third circle was the UPA’s manner of self-projection: its spinelessness, its failure to defend its social activists, and its inability to look allies in the eye and say no to corruption. Unable to project and sustain its better instincts, the regime became cynical about change and contemptuous of its own moral responsibilities—a sure formula for decadence and decline.

  8. মাসুদ করিম - ১০ জুন ২০১৫ (৯:১৭ পূর্বাহ্ণ)

    হয়তো এমনও হতে পারে এই গোপন ডায়েরি মোদির হাতে পড়ায় এবং হাসিনা মোদির মাকে জামদানির উপহার পাঠানোর ঘোষণায় মোদির মুখ দিয়ে বেরিয়েছে ওই বাক্য : আবার আসিব ফিরে এই বাংলায়!

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুধু কূটনৈতিক স্তরেই সম্পর্ক বেঁধে রাখতে চাননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷‌ তাই মোদির মা হীরাবায়ের জন্যও তিনি পাঠাতে চলেছেন উপহার৷‌ সেদেশের রীতি মেনে অবশ্যই জামদানি শাড়ি৷‌ ঘিয়ে রংয়ের শাড়িটি নিজে পছন্দ করে কিনেছেন হাসিনা, জানিয়েছেন বাংলাদেশের এক আমলা৷‌ ঢাকার কারিগররা বুনেছেন সে শাড়ি৷‌ দাম প্রায় লক্ষ টাকার কাছাকাছি৷‌ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময়ই মোদির হাতে তুলে দেওয়া হবে এই শাড়ি৷‌

    হয়তো বা এই গোপন ডায়েরির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তরুণ গগৈও কিছু দিতে চেয়েছিলেন মোদির মাকে বাংলাদেশ থেকে, না পেরে হয়েছেন মনক্ষুন্ন।

  9. মাসুদ করিম - ১১ এপ্রিল ২০১৬ (১১:৪৮ অপরাহ্ণ)

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.