আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.) কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে। আল্লাহ তাঁর নবীকে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সবচেয়ে প্রিয়। পিতা হয়ে পুত্রকে কোরবানি দেওয়া অসম্ভব কাজ। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে হজরত ইব্রাহিম (আ.) বিনা দ্বিধায় নিজ পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। মহান আল্লাহর নির্দেশে তাঁর ছুরির নিচে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর স্থলে কোরবানি হয়ে যায় একটি দুম্বা। স্রষ্টার প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের বাণীই এ ঘটনার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সন্তানের পরিবর্তে হলো পশু, তাহলে পশুর পরিবর্তে এই পরিবর্তনের যুগে অর্থ হলে ক্ষতি কী?
সবাই মিলে একই দিনে এভাবে এতগুলো পশু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নিজেদের পশুশক্তির বিনাশ চেয়ে কী পাশবিকতায় মেতে উঠছি আমরা?
জলবায়ু পরিবর্তনের ত্রাসের মধ্যে থেকে এই দূষণ ছড়ানো কুরবানি ত্যাগ করে, আর্থিক উৎসর্গের কোনো নীতির দিকে যেতে পারে না ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ?
মাসুদ করিম
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১৬ comments