বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ে একটি ছোট্ট পোস্ট

চরদখল করে গডফাদার।[...]

যেন নদীর ভাঙাগড়া। জমিভিটা যায় মানুষের, চরদখল করে গডফাদার।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৪ comments

  1. মাসুদ করিম - ১৯ অক্টোবর ২০১০ (১২:১৩ অপরাহ্ণ)

    বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ে তার আশঙ্কা নিয়ে একটি চমৎকার মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেনে আবেদ খান। প্রতিবেদনের শিরোনামটাও আগ্রহোদ্দীপক : কোন ভাঙনের কূলে –। লেখার শুরুতে একজন আটপৌরে চরিত্রের বর্ণনা দিচ্ছেন এভাবে

    আমাদের পাড়ায় এক অন্ধ ভিক্ষুক ছিল। সে ভিক্ষার পয়সা গুনতে পারত না, কিন্তু কম দিলে টের পেত।

    লেখার শেষে তাকেই মেলাচ্ছেন এভাবে

    যেহেতু শেয়ারবাজার সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত, সেহেতু সরকারের কোনো রসিকমহল হয়তো বলতে পারে_তুমি বাপু আদার ব্যাপারী, জাহাজের খবরে তোমার কী কাজ? কিন্তু আমি তো সেই অন্ধ ভিক্ষুক, যে গুনতে না জানলেও কম দিলে ঠিকই টের পায়।

    আবেদ খানের সেরাটা সবসময়ই এরকম : মতামতে বুদ্ধির দিপ্তীর সাথে আমরা পাই মন্তব্যের সরসতা। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  2. মাসুদ করিম - ২৩ জানুয়ারি ২০১১ (৭:৪১ অপরাহ্ণ)

    গত সেপ্টেম্বরেই আমরা একটা গোপন সত্য প্রকাশের নাটকীয়তায় চমকে গিয়েছিলাম। আমরা এতকাল ভেবে আসছি চারিদিকের এত যুদ্ধ সঙ্ঘাত, গণহত্যা, খুন আর অত্যাচার সত্ত্বেও নিজেরা বেশ এক নিরাপদ দুনিয়াতেই বাস করছি, কারণ ওসব ঘটনা ঘটে আমাদের সুখী গৃহকোণের অনেক দূরে আরণ্যক সমাজে। আমরা এতকাল নামী ব্যাঙ্কে টাকা জমিয়েছি, শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়েছি, বিশ্বস্ত এবং সৎ সঞ্চয় কর্মীদের হাতে টাকা জমা দিয়েছি,—সেই আমাদের হঠাৎ বলা হল, তোমাদের এত সাধে ও কষ্টে জমানো অর্থের আর কোনো অস্তিত্ব নেই এবং হঠাৎই অর্থনীতিবিদরা এই ভয়ঙ্কর উদ্ভট সত্যকে আবিষ্কার করলেন। বোঝা গেল, এর পেছনে যারা, তারা আর বিশ্বাসযোগ্য নয়, সম্মানীয়ও নয়, এটা খুবই খারাপ থিয়েটারের মতো ছিল গোটা ব্যাপারটা। এটা ছিল একটা নোংরা নাট্যকাহিনী যে কাহিনীতে কিছু লোকের ভাগ্য চকমক করে হাসিতে। কিন্তু অধিকাংশ লোকের ভাগ্যেই নেমে আসে অন্ধকার। গেল গেল রব তুলে ধনী দেশগুলোর কিছু রাজনীতিবিদ সভা করলেন, শলা করলেন এবং কিছু জাদুকরী টোটকার সন্ধানও পেলেন। আমরা যারা ওদের কাজ আর সিদ্ধান্তের হতভাগ্য শিকার তাদের ব্যালকনির শেষ পংক্তিতে বসে নীরব দর্শক হয়ে সব দেখতে হল।

    এই এক নাটক, এই যে এখন মঞ্চস্থ হচ্ছে বাংলাদেশে, আরো কতবার কত জায়গায় অভিনীত হবে, কে জানে? কিন্তু নাট্যকার বোয়াল সত্যটাকে বড় নির্মম ভাবে বললেন আমাদের। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  3. মাসুদ করিম - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৮:৪৭ অপরাহ্ণ)

    আমাদের নাগরিক ও গ্রামীণ জীবনে ঋণ ও বিনিয়োগ খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে পড়েছে এখন। অনেক কিছু ভাবা হচ্ছে কী করতে হবে, কী ভাবে করতে হবে। সেভাবনা নিরন্তর চলবে ঠেকবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ‘অপরাধ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় — এবং কে না জানে অপরাধ দমনকারী সংস্থার চেয়ে অপরাধী সবসময় অনেক এগিয়ে থাকে, তেমনি স্বাভাবিকভাবে অর্থনিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার চেয়ে ‘ঋণ ও বিনিয়োগ অপরাধী’রা অনেক এগিয়েই থাকে। তাই ‘ঋণ ও বিনিয়োগ’ বিষয়ক জ্ঞান বিতরণ বাড়াতে হবে — সবচেয়ে ভাল হয় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ‘অর্থসংস্থান বিদ্যা’ বা ‘Financial Studies’ সাধারণ পাঠ্য করা এবং এর জন্য দ্রুত সময়ে বই প্রণয়ন করে আগামী শিক্ষাবৎসর থেকে এই বিষয়টি বোর্ড শিক্ষাক্রমে অর্ন্তভুক্ত করা।

  4. Pingback: ছোট্ট পোস্টে পাড়ি | মাসুদ করিম

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.