Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর বিদ্যালয়ে লাতিন (শেষ অংশ) তবে খুব বেশি শিক্ষার্থী যে ‘quadrívium’ অব্দি পৌঁছুতে পারতো তা নয়। যারা পারতো তারা সম্ভবত পড়াশোনা থেকে তেমন একটা আনন্দ লাভ করতো না। ক্যাসিওদোরাসে বা পরে যেসব আরো বড় হ্যান্ডবুক পাওয়া যেতো সেগুলোতে এসব বিষয়ে পড়ার মতো উপাদান খুব কমই ছিল। ওখানে থাকতো মূলত বিভিন্ন গ্রীক পণ্ডিতের নানান ধ্যান-ধারণার ছোট আর অংশত ভুল-বোঝা সার-সংক্ষেপ। ধর্ম ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে মধ্য যুগে মানুষের জ্ঞান ছিল বেশ নিয়ন্ত্রিত, এমনকি তাদের জন্যেও যারা সে-সময়ে লভ্য শিক্ষা গ্রহণ করেছিল। লাতিনের জ্ঞান ছাড়া — যার মধ্যে ছিল ব্যাকরণ আর লেখালেখির কিছু মৌলিক বিষয় — বাকিটার বেশির ভাগই ছিল যুক্তি বিদ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা। এটা যে খুব খারাপ ছিল তা নয়। নিশ্চয়ই ব্যাপারটা এমন ছিল যে যারা মঠভিত্তিক স্কুলে বিদ্যাশিক্ষা করেছে তারা প্রায়ই মঠ বা গির্জার বাইরেও তাদের সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারতো। আর তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। অন্য কোনো বিদ্যালয় যেহেতু ছিল না কাজেই লাতিন লেখার দরকার পড়ে এমন যে-কোনো চাকরির ক্ষেত্রে স্পষ্টতই তাদের মধ্যে থেকে লোক নিয়োগ করতে হতো যারা গির্জার স্কুলে পড়াশোনা করেছে। এবং সবসময়ই লিখতে জানা লোকের চাহিদা ছিল প্রধানত রাজা আর রাজপুত্রদের কাছে, কারণ প্রশাসনিক ও যোগাযোগের কাজে সাহায্য দরকার হতো তাদের, আর এমন লোকজন ছিল বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণেই, এমনকি অষ্টম শতকের মতো কঠিন সময়েও, যখন ইউরোপের বড় বড় এলাকা ফিরে যাচ্ছিল স্থানীয় সাবসিস্টেন্স ইকোনমিতে। সময়ের সাথে সাথে বিদ্যালয়গুলোর উন্নতি ঘটল, এবং শিক্ষা যে কেবল দীর্ঘস্থায়ী-ই হলো তা নয়, সেই সঙ্গে তা আরো শক্তপোক্ত-ও হলো। কিন্তু তারপরেও, ভিত্তিটা সব সময়েই ছিল লাতিন, কারণ এই মৌলিক ভাষাগত হাতিয়ার বা উপাদানকে এড়িয়ে অন্য কোনো বিষয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল। আর একথা বলাই বাহুল্য যে লাতিনই ছিল শিক্ষাদানের ভাষা, এবং যে কোনো পাঠ্যপুস্তক-ই লেখা হতো এই ভাষায়। দ্বাদশ শতকের দিকে, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দুই অর্থেই একটা সমৃদ্ধির কাল এসেছিল পশ্চিম ইউরোপে। এটা তেমনই এক সময় যখন প্যারিসের নতর-দেম বা Chartes-এর ক্যাথীড্রাল-এর মতন দুর্দান্ত ভজনালয় তৈরি…
তবে খুব বেশি শিক্ষার্থী যে ‘quadrívium’ অব্দি পৌঁছুতে পারতো তা নয়। যারা পারতো তারা সম্ভবত পড়াশোনা থেকে তেমন একটা আনন্দ লাভ করতো না। ক্যাসিওদোরাসে বা পরে যেসব আরো বড় হ্যান্ডবুক পাওয়া যেতো সেগুলোতে এসব বিষয়ে পড়ার মতো উপাদান খুব কমই ছিল। [. . .]