কৃষি প্রধান অঞ্চল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কানসাট। ওখানকার অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী এবং খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষিকাজকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবনের যাবতীয় সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না, সফলতা, ব্যর্থতা। তাই নির্দিষ্ট মওসুমে তারা ধান বপন করে তাদের সর্বস্ব দিয়ে, এমনকি যারা নিতান্তই হতদরিদ্র, কিছুই অবশেষ নেই, তারাও ধার দেনা করে, ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে ঢেলে দেয় ধানের জমিতে। ধান উঠলে যাবতীয় ধারদেনা শোধ হবে, ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবে, গৃহিনীর মুখে হাসি ফুটবে, সচল থাকবে সংসারের চাকা। http://www.flickr.com//photos/84513436@N05/sets/72157631039164398/show/ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এ অঞ্চলটি বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের মতই শান্ত, নির্বিরোধী এবং নিরীহ জনগনের আবাস। নিজস্ব সংস্কৃতি, গান, আম এর বাইরে তাদের আলাদা সংগ্রামী কোন বৈশিষ্ট্যর কথা আলাদা করে কেউ শোনেনি। কিন্তু ২০০৬ সালের একটি ঘটনা কানসাটকে সমগ্র দেশের আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে, বিদু্যতের অভাবে পানির অভাব ঘটে, পানির অভাবে ধানের চারা মারা যেতে থাকে। ঐ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ফলে কানসাটবাসী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুখোমুখি বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কানসাটে কি কি করেছিল? ১.কয়েক বছরের মধ্যে মিটার ভাড়া ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ। ২. বিদ্যুৎ দিতে পারুক বা না পারুক গ্রাহকসংখ্যা বাড়িয়ে ২৪ হাজার থেকে ৫৬ হাজারে উন্নিত করণ (প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার ভাড়া বাবদ বিপুল অর্থ আদায় করা যাবে)। ৩. গ্রামবাসীকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ না করা। গ্রামবাসীর অভিযো,গ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না, ঐ থাকাকালীন সময়েও ৭/৮ বার ভোল্টেজের বাড়া কমার কারণে তাদের মটর পুড়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকলে সেচপাম্প চলে না, সেচপাম্প না চললে জমিতে পানির সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানির অভাবে কৃষকের চোখের সামনেই তাদের জমিতে ধানের চারা গুলি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। মারা যেতে থাকে। ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে কৃষক, প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদী কৃষকদের শায়েস্তা করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু লোক রাতে এসে (রাতের আসার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে জবাব দিয়েছিল, মিটার চেক করতে এসেছে) তাদেরই ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় (বিদ্যুতের কাজ না জানলে ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকলে সাধারণ কারো পক্ষে ট্রান্সফরমার খোলা সম্ভব নয়), চুরির দায় চাপায় গ্রামবাসীর উপর…
কৃষি প্রধান অঞ্চল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কানসাট। ওখানকার অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী এবং খেটে খাওয়া মানুষ। কৃষিকাজকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবনের যাবতীয় সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না, সফলতা, ব্যর্থতা। তাই নির্দিষ্ট মওসুমে তারা ধান বপন করে তাদের সর্বস্ব দিয়ে, এমনকি যারা নিতান্তই হতদরিদ্র, কিছুই অবশেষ নেই, তারাও ধার দেনা করে, ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে ঢেলে দেয় ধানের জমিতে। ধান উঠলে যাবতীয় ধারদেনা শোধ হবে, ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবে, গৃহিনীর মুখে হাসি ফুটবে, সচল থাকবে সংসারের চাকা।