গত ১৮ জুলাই ২০০৮, শুক্রবার দৈনিক সমকালের উপসম্পাদকীয় পাতায় জনাব হুমায়ুন আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়, এটি গ্রহণ করা হয় সুইডেনে, সাক্ষাৎকারটি নেন সাবিবর রহমান খান।
শুরুতে তিনি সাক্ষাৎকার দেয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, দেশের সাংবাদিকরা খুব ভাল করেই জানেন তিনি সাক্ষাৎকার দেন না, এখন বিদেশে সাক্ষাৎকার দিলে দেশীয় সাংবাদিকদের জন্য তা অস্বস্তিকর হয় কিনা…
ঐ সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ এরকম :
প্রশ্ন :আপনি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। আপনার দৃষ্টিতে একাত্তরের মৌলবাদ ও মৌলবাদী এবং বর্তমানের মৌলবাদ ও মৌলবাদীর মধ্যে তফাত কোথায় ?
উত্তর : একাত্তরের মৌলবাদ ও মৌলবাদীরা ছিল একটি বিদেশী শক্তি অর্থাৎ পাকিস্তানের অংশ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মৌলবাদ ও মৌলবাদীরা কোন বিদেশী শক্তির অংশ নয়। এটাই পার্থক্য। তবে আমাদের এত মৌলবাদী- মৌলবাদী চিৎকার করে কোন লাভ নেই, কারণ বিশ্বের সব দেশেই এখন এসব আছে। ইন্ডিয়ায় আছে বিজেপি, আমেরিকায় আছে ক্লু ক্লাক্স ক্লান – সারা পৃথিবীতেই আছে মৌলবাদী।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা কি সমস্যা নয় ? বিএন পি-জামায়াত সরকারের সময়ে বাংলা ভাই,শায়খুল হাদিস, ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমাবাজি – এসব কি সমস্যার আওতায় পড়ে না ?
উত্তর : আমি মনে করি না। বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা বড় কোন সমস্যা এখনো হয়নি। জনগণ যদি ভোট দিয়ে মৌলবাদীদের নির্বাচন করে, তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে তাদের কি বাদ দেয়া যায় ? হোক না তারা মৌলবাদী।
…
প্রশ্ন : এ দুর্মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের মানুষ এখন কেমন আছে ?
উত্তর: সবাই খুব ভাল আছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এখনো বাংলাদেশে চালের দাম বিশ্বের যে কোন জায়গার চেয়ে কম।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের বর্তমান সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আপনি কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন ?
উত্তর :আমি তাদের খুব ভাল দৃষ্টিতে দেখি। তারা খুব ভাল কাজ করছে।
…
প্রশ্ন : বাংলাদেশে জামায়াতের মৌলবাদী রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। আপনি কী বলেন ?
উত্তর : আমি কোন রাজনীতি বন্ধ করার পক্ষপাতী নই। সারভাইভ্যাল ফর দ্য ফিটেস্ট। যে ফিটেস্ট সে সারভাইভ করবে। যে আনফিট সে সারভাইভ করবে না।
…
প্রশ্ন :বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ ?
উত্তর : তারা যথাসম্ভব সংবিধান মেনে চলেছেন বলে আমার বিশ্বাস।
…
প্রশ্ন : কিছুদিন আগে আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তসলিমাকে একজন বিতর্কিত লেখিকা বলেছেন। আপনি কি এ ব্যাপারে একমত ?
উত্তর : হ্যাঁ। আমার মনে হয়, উনি একজন বিতর্কিত লেখিকা। কারণ উনার লেখা দিয়ে উনি নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন। তবে তসলিমা নাসরিন যে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে আছেন, সেজন্য আমি খারাপ বোধ করি। কারণ একজন লেখক তার মাতৃভুমিতে বসবাসের অধিকার রাখে। তসলিমাকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত।
…
প্রশ্ন : বাংলাদেশের লেখকরা কি স্বাধীন ?
উত্তর : হ্যাঁ, বাংলাদেশের লেখকরা স্বাধীন।
প্রশ্ন : তাহলে ড.হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন ?
উত্তর : কারণ, যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।
প্রশ্ন : ঠিক এই কারণেই কি তসলিমা নাসরিন দেশ থেকে বিতাড়িত ?
উত্তর : হয়তোবা।
প্রশ্ন : শহীদ জননী জাহানারা ইমাম দেশদ্রোহীর মামলা মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ওনার অপরাধ কী ছিল ? আপনি কী মনে করেন ?
উত্তর :উনাকে তো কেউ খুন করেনি। উনি তো ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। উনাকে দেশদ্রোহী কখনোই বলা হয়নি। দেশদ্রোহী কথাটা ভুল ইনফরমেশন। তাঁর বিরুদ্ধে কখনোই দেশদ্রোহীর মামলা করা হয় নি। তাছাড়া পুরো ব্যাপারটাই ছিল এত তুচ্ছ, আমরা জানি যে, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা সাজানো খেলা। এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। মৌলবাদীরা তো আমাকে কতবার মুরতাদ বলেছে, তাতে কি আমি মাথা ঘামিয়েছি কখনো ? কখনো না।
…
লক্ষণীয়, এ সাক্ষাৎকারে সাহিত্য নিয়ে কোন কথা নেই। সাহিত্য নিয়ে তার কোন কথা বা দৃষ্টিভঙ্গি বা লেখাও কখনো চোখে পড়ে না।
যাই হোক, বাংলাদেশের সাহিত্যমোদী, সাহিত্য সমালোচক বা তরুণ লেখকদের কাছে জনাব হুমায়ুন আহমেদের কোন গুরুত্ব নেই। তিনি বাংলাসাহিত্যের কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখকও নন।
মুশকিল হচ্ছে, তাঁর অনেক পরিচয় থাকার পরও তিনি নাকি নিজেকে লেখক পরিচয় দিয়েই আনন্দ পান।
তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তিনি নাকি আনন্দ লাভের জন্যই লিখে থাকেন, এখন এই আনন্দের ভাগ যদি পাঠককে দেয়া যায় ইত্যাদি। তাঁর এই আনন্দ আবার বেড়ে যায় ঈদ সংখ্যাগুলি প্রকাশের সময় হলে এবং একুশের বইমেলা শুরু হবার ঠিক আগে আগে।
তিনি শিক্ষকও, বই লিখে, নাটক বানিয়ে তাঁর পরিচিতি ব্যাপক, তিনি মিডিয়ার কাছে খুবই দামী মানুষ। তিনি উচ্চশিক্ষিত, বুঝদার মানুষ, তিনি বললেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন খুব ভাল আছে। (প্রসঙ্গ : দ্রব্যমূল্য)
বাংলাদেশের মানুষ কি এখন সত্যিই ভাল আছে ?
এখন চালের কেজি ৪০ টাকা। ডালের কেজি ১১০ টাকা, তেল ১২২ টাকা/ লিটার (হুমায়ূন আহমেদের সমস্যা নেই, তিনি এক কোটি টাকা দিয়ে এক একটি সিনেমা বানান, সাক্ষাৎকারে উল্লেখ আছে)।
একজন রিকশাচালক বা দিনমজুর বা অন্যান্য শ্রমজীবী, যার আয় দিনে আনুমানিক ২০০ টাকা, তার বাড়িতে যদি পাঁচজন খাওয়ার লোক থাকলে তার ন্যূনতম দৈনিক চাল লাগবে সাড়ে তিন/চার কেজি। শুধু চালই প্রায় ১৫০ টাকার । তারপর তাদের বাসা ভাড়া, চিকিৎসার খরচ, ছেলেমেয়েদের স্কুল।
ঢাকা শহরের সর্বমোট সোয়া কোটি নাগরিকের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের আয়ই ঐ ধরনের। কেউ দিনেরটা দিনে আয় করছে, কেউ-বা মাসে।
বাংলাদেশের মানুষ এখন খেয়ে না-খেয়ে তিলে তিলে মরছে, চিকিৎসার অভাবে মরছে, দিন দিন বাড়ছে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, আর তার বিরুদ্ধে কথা বলার রাস্তাও বন্ধ, সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করে রেখেছে।
গত সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্যের কারণে জনগণ ব্যয় সংকোচন করেছিল, অর্থাৎ প্রয়োজনীয় দুইটা জিনিসের জায়গায় একটা জিনিস কিনে খেয়ে কম খাওয়ার চর্চা শুরু করেছিল। এখন তাও বন্ধ হবার জোগাড়, সরকার বলছে, চালের দাম বেশি হলে আলু খাও।
প্রাণটা কোনমতে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করছে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ।
আর হুমায়ূন আহমেদ বলছেন, বাংলাদেশে মৌলবাদ কোন সমস্যা নয় । আমেরিকা, ভারতে আছে, বাংলাদেশেও আছে।
বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রধান সমস্যা মৌলবাদ। হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি সহ চারটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে সরকার নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হলেও সেগুলিসহ আরো কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতার খবর পত্রিকার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। এদের বিষয়ে সরকার সবসময়ই সন্দেহজনকভাবে উদাসীন । আফগানিস্তান, কাশ্মির সহ বিশ্বের কয়েকটি জায়গায় সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উগ্র ইসলামি কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী জিহাদ সংগঠনের জন্য বাংলাদেশে ট্রেনিং ক্যাম্প করে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোন সরকারই কার্যকর কোন পদক্ষেপ আজো নেয় নি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, রমনার বটমূলে বোমা হামলা, সিনেমা হলগুলোতে বোমা বিস্ফোরণ, ব্রিটিশ কূটনীতিক আনোয়ার চৌধুরীর উপর বোমা হামলা, বিচার ব্যবস্থাকে অনৈসলামিক অ্যাখ্যা দিয়ে বিচারক ও আইনজীবীদের প্রাণনাশ সহ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিতই। বাংলাদেশ সৃষ্টির মৌল চেতনা, বাঙালি সংস্কৃতি ও এ অঞ্চলের ঐতিহ্য, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সদ্ভাব, বিজ্ঞান চেতনা, আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষা ও নারী শিক্ষার প্রতি তীব্র বিদ্বেষ ও ঘৃণা লালন করা হিংস্র গ্রুপ গুলি যে বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের মতো ধ্বংসস্তুপ বানানোর কাজ করে যাচ্ছে এ-খবর পাঠকদের অজানা নয়।
(বাংলাদেশে শত শত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী , ভাবা যায়! জেএমবির ধরা পড়া কিছু কিছু আত্মঘাতী সদস্যের জবানীতে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল যে, আরো শত শত আত্মঘাতী সদস্য নির্দেশের অপেক্ষায় প্রস্তুত। তারা কোথায়? তাদের কি অন্য কেউ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে তুলছে ? )
জাহানারা ইমাম নামটিরই একটি প্রতীকী তাৎপর্য আছে বাংলাদেশে। যুদ্ধাপরাধী, জামাত শিবির ও ফ্রিডম পার্টির কর্মী ও বিএনপির কিছু উগ্র ধরনের লোক ছাড়া এই বীরমাতাকে শ্রদ্ধা করে না এমন লোক আমাদের সমাজে বিরল।
মুক্তিযুদ্ধে সন্তান ও স্বামী হারানো এই বীরনারী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করে সমাজে জাঁকিয়ে বসা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ শক্তিকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছিলেন; যদিও বিভিন্ন কারণে ‘৭১-এর ঘাতক-দালালদের বিচার আজো করে ওঠা যায় নি। তরুণ প্রগতিশীল সমাজ জাহানারা ইমামকে আজো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে, যার লেশমাত্র হুমায়ূন আহমেদের কথায় নেই (“উনাকে তো কেউ খুন করেনি..”)।
অথচ তিনি সুযোগ পেলেই বলে থাকেন যে, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল।
অনেকেই (বিশেষত কতিপয় বইয়ের দোকানদার ও প্রকাশক) বাজারে একটি কথা চালু করার চেষ্টা করে থাকেন যে, হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশে প্রচুর পাঠক সৃষ্টি করেছেন।
বাঙালি পড়ুয়া জাতি এমন “বদনাম” বাঙালির কোন ঘোরতর শত্রুও দেবে না।
একজন সমাজ-সচেতন লেখক হিসাবে হুমায়ূন আহমেদেরও কোন “দুর্নাম” নেই। তিনি “আজ চিত্রার বিয়ে”. “কাল নীতার গায়ে হলুদ”, “পরশু জলিলের আকিকা” এই ধরনের পুতুপুতু দ্রব্যাদি দুই মলাটের ভিতর সরবরাহ করে রুপালি মুদ্রার ঝনঝনানি গুনে দুধে-ঘিয়ে সুখী জীবন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোটি কোটি নিরন্ন মানুষের কান্না শোনার কান তাঁর কি আছে?
তাঁর বই বিক্রি হয় হাজার হাজার কপি। কেনে কারা? তারা কি বাংলা সাহিত্যের পাঠক ?
তারা বাংলা সাহিত্যের পাঠক হোক বা না হোক, তাদের সংখ্যা অনেক। তাঁর নাটক দেখে অনেকেই, তাঁর কথাকে অনুসরণ করে অনেকেই, বিশেষত কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীর বড় একটি অংশ। তাঁর পাঠকের উপর হুমায়ুন আহমেদের প্রভাব লক্ষণীয়। (যেমন “হিমু” সেজে কোন কোন পাঠকের ঘুরে বেড়ানো, তাঁর বই বিক্রি বাড়ানোর জন্য ওয়ার্ড কমিশনার পদপ্রার্থীর স্টাইলে মিছিল করা ইত্যাদি)।
এখন এই তরুণ নাতিতরুণদের মাঝেও যদি হুমায়ুন আহমেদের দুষ্ট চিন্তাগুলি (১. বাংলাদেশের মানুষ এখন ভাল আছে, ২. মৌলবাদী মৌলবাদী করে লাভ নেই, ৩. তসলিমা বিতর্কিত লেখক, ৪. জাহানারা ইমাম দেশদ্রোহীর অপবাদ নিয়ে মারা যান নি, তিনি ক্যান্সারে মারা গেছেন ইত্যাদি) ছড়িয়ে পড়ে? সমাজে যদি এই চিন্তাগুলির বিস্তার ঘটে?
তাহলে ?
তাহলে অথর্ব, চিন্তাহীন, মূঢ়, মৌলবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সমাজবিমুখ, এক তরুণ জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব কি ঘটবে না সমাজে?
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৯ comments
মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০০৮ (৬:৩৫ অপরাহ্ণ)
জিহ্বার আগায় তাড়িত হচ্ছে অকথ্য সব গালাগাল। অক্ষরও প্রলুব্ধ হচ্ছে সেসব ধারণ করতে। কিন্তু দুটোকেই সামলাতে সামলাতে লিখছি। এই হুমায়ুন আহমেদই, যখন ঘাদানির আন্দোলন তুঙ্গে, তখন ‘তুই রাজাকার’ এই কথাটি নাটকে বলে বলে, হালকা করে তুলছিলেন তখনকার সেই আন্দোলনের মূল সুরটিকে। আমাদের মিডিয়া ব্যবসায়ীরা, দুজনের নাম আমি এখানে নিতে চাই, আলী যাকের ও আসাদুজ্জামান নূর, বাহবা দিয়েছেন, ভেবেছেন জনসচেতনতার চূড়ান্ত হচ্ছে। লজ্জা আমাদেরও, আমাদের সংস্কৃতি কর্মীরা খুব সহজেই নিজেদেরকে সঁপে দিচ্ছেন এইসব মহালেখকের যাদুকাঠির নিচে। কোটি টাকার লেখক, লুটেরা ব্যবসায়ী, ক্ষমতার অবসেশনে ভোগা সেনা কর্মকর্তারা, রাজনীতির দখলী স্বার্থ আদায়কারী ব্যবসায়ী ও আমলারা, বাংলাদেশের সব রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধীরা, আর সবার উপরে আজকের মিডিয়াগুন্ডারা–এরা সবাই একই, বাজারে জিনিসের দামেই তো এদের লাভ, এরা সবাই তো বাজারেই থাকেন, বাজারের সব জিনিস যা আমরা কিনি এসবই তো ওদের বাজারজাত করা পণ্য। বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে ওদের পণ্য, তাই ওরা এতো খুশি। যাদের কথা বললাম তারা অনেকেই এখন নানা কাজে ব্যস্ত, তাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার জন্য আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন কোটিপতি অসভ্য লেখকটি।
সৈয়দ তাজরুল হোসেন - ২৫ জুলাই ২০০৮ (১:১৪ অপরাহ্ণ)
হুমায়ুন আহমেদ, সাহিত্যসমালোচক বা সাহিত্যমোদীদের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা যা-ই হোক না কেন, লেখক হিসেবে তিনি কিন্তু বেশ জনপ্রীয়। যদিও তার এই জনপ্রীয়তা একটি নিদ্রিষ্ট পাঠকশ্রেণীতে সীমাবদ্ধ কিন্তু সংখার দিক থেকে তা আবার একেবারে ফেলনা ও নয়, কারো কারো জন্য সংখাটি বেশ ঈর্শনীয়ই বলতে হবে। তার এই বিশাল পাঠকগোষ্ঠি সাধারণত অন্য কোন লেখকের প্রতি তেমন আগ্রহী হন না, দু’একটি ব্যতিক্রম যে তার মধ্যেও পাওয়া যাবে না সেটি ও আমি বলছি না। এই পাঠকশ্রেণী তিনি ধরেও রেখেছেন বেশ দীর্ঘ দিন যাবৎ, প্রথমে তার অসংখ গল্পের বই দিয়ে, তার পর তার নাটক দিয়ে এবং সর্বশেষ তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচিত্র নির্মান শুরু করেছেন তা দিয়ে। তার পাঠক ও দর্শকরা যেভাবে সন্মোহিতের মতো তার “সৃষ্টি’র” একনিষ্ঠ ভক্ত, তার তুলনা বলতে এ মুহুর্তে মারিজুয়ানা বা মাদকের কথাই মনে আসছে।
আমাদের যুব সমাজের একটি বড় অংশ নিষিদ্ধ মাদকে আসক্ত, আর এটা তো সুবিদিত যে একবার কেউ কোন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়লে তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এবং নিজেকে বিশুদ্ধ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই সমস্ত দুর্ভাগা মাদকাসক্তরা নিদ্রিষ্ট মাদকে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন ও সন্মোহিতের ন্যায় মাদকগুলো গ্রহন করেন। এটা যে দিন দিন তাদের জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দিচ্ছে সেই জ্ঞান ও তাদেরকে এই বিষাক্ত আসক্তি থেক মুক্ত করতে পারে না। হুমায়ুন আহমেদের পাঠক দর্শকদের অবস্থা ও তদ্রুপ, তারা জানেন, হুমায়ুন আহমেদ থেকে তাদের কোন উৎকর্ষ সাধন হবে না, এর দ্ধারা তাদের মননশীলতার বিন্দু মাত্র উন্নতি হবে না, তবু তারা অস্বাভাবিক মূল্য দিয়ে তার বই কিনেন এবং পড়েন। এরা ধীরে ধীরে সামাজিক বাস্তবতা, মানবিকতা, রুচিশীলতা এবং অন্যান্য সকল গুনাবলী যা একজন মানুষকে উন্নত মানুষে পরিণত করে সেগুলো সম্পর্কে উদাসীন হয়ে উঠেন এবং হুমায়ুনের হিমু ধরনের অস্বাভাবিক কাল্পনিক চরিত্রগুলোকে মনে লালন করতে শুরু করেন।
মাদক মানুষের দেহকে প্রথমে ধ্বংশ করে আর হুমায়ুন আহমেদ আমাদের যুব সমাজের একটি বিশাল অংশের মনন ও মানসকে কলুষিত করছেন, ধ্বংশ করে দিচ্ছেন।
যারা মাদকদ্রব্যের কারবারের সংগে যুক্ত তারা সমাজের প্রতি কোন প্রকার দায়বদ্ধতা বোধ করেন না। সমাজের সাধারণ আশা আকাঙ্খার সংগে তাদের কোন সংশ্রব থাকে না। হুমায়ুন আহমেদের আলোচ্য সাক্ষাৎকারটি পড়ে কি মনে হয় বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান সমায়ের সাধারণ আশা আকাঙ্খার সংগে তার সামান্যতম যোগাযোগ আছে?
এই দূর্মুল্যের বাজারে যখন মানুষ দ’বেলা পেট ভরে আহার পাননা, তখন হুমায়ুন আহমেদ ভাবেন, “সবাই খুব ভালো আছে”, আমাদের সার্বিক স্বাধীণতা গিলে খাবার উপক্রমকারী মৌলবাদী শক্তি ও এখন তার কাছে তেমন ক্ষতিকর নয় আবার আমাদের স্বাধীণতার চেতনা ও তার প্রতীক জাহানারা ইমাম ও তার মৌলবাদ বিরোধী ভূমিকা সম্পর্কে ও তার মন্তব্য যখন “তিনিতো ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন … পুরো ব্যাপারটাই ছিল এত তুচ্ছ, আমরা জানি যে, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা সাজানো খেলা”, তখনই ধারনা করা যায়, হুমায়ুন আহমেদের আত্মম্বরিতা কোন পর্যায়ে পৌঁচেছে। তার বিরূদ্ধে ক্ষোভ জানাতে ঘৃণা বা ধীক্কার শব্দাবলীও এখন বেশ নমনীয়ই মনে হচ্ছে।
অলকেশ - ৩০ জুলাই ২০০৮ (৯:৫৭ অপরাহ্ণ)
“এ ধরনের সাহিত্য বছরে লাখ টন উৎপাদিত হলেও তাতে সাহিত্যের কোন লাভ হয় না আবার আধ কেজি তৈরী না হলে সাহিত্যের তাতে কোন ক্ষতি হয় না ।” সম্ভবত এ ধরনের লেখকদের প্রতি ধিক্কার জানিয়েই প্রতিবাদী লেখক হূমায়ন আজাদ এই প্রবচনটির সৃষ্টি করেছিলেন । অনেকের কাছ থেকে শুনেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দক্ষিণ পন্থী দল গূলোর পক্ষে কাজ করেন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের সময় । তিনি এস্টাব্লিশমেণ্টের পক্ষের ফরমায়েশ খাটা কেরাণী মনের একজন মানুষ । মাঝে মাঝে তাকে প্রগতির পক্ষের লোক বলে আমরা ভুল করি । ‘৭১ নিয়ে মাঝে মধ্যে ছবি ও গল্প বানানোর বিষয় গূলোর মধ্যে তার ব্যবসায়ী ফন্দিটাই একমাত্র বলে বোঝা যায় । জাহানারা ইমাম যখন আন্দোলন করেন তখন ইনি তেলাপোকার মতো অন্ধকারে লুকান, নুর হোসেন যখন তপ্ত সীসার বিষাক্ত স্বাদ নিয়ে জাতির বিবেক নাড়া দিয়ে যান ইনি তখন অদৃশ্য হন, তার গল্প উপন্যাসের নায়ক-নায়িকারা তখন সমাজ বিমুখ বাহ্যজ্ঞানশুন্য ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরন করেন । কেউ কটকটে রুচিহীন রংয়ের পাঞ্জাবী পরে উদ্দ্যেশ্যহীন ঘুরে বেড়ান, কেউ অকারনে বৃষ্টিতে ভেজেন কেউ বা জোছণা দেখার বাড়াবাড়ি করেন বিচিত্র উপায়ে। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবসায়ী লেখকের কাছে এর বেশী কিছুই প্রত্যাশা করি না ।
ইমতিয়ার - ১ আগস্ট ২০০৮ (১০:২৫ অপরাহ্ণ)
আমার মনে আছে, হুমায়ুন আহমেদ আট/নয় বছর আগে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন। ওই সময় আমরা কয়েকজন এই অভিযাত্রার সমর্থনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতীকী অনশন কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম! শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণসংক্রান্ত আন্দোলনকে ঘিরে মৌলবাদীরা সেখানে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনহানি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল তখন। এখন তাঁর এ সাক্ষাৎকার থেকে এটি স্পষ্ট যে, কোনও আদর্শিক তাড়নায় নয়, ভাইকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করার জন্যেই তিনি ওই নাটকের অবতাড়না করেছিলেন।
এই মন্তব্য লেখার আগে দেখলাম, আজকের প্রথম আলোতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনার ঘটনা নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন। তাঁর কাছে বিনীত প্রত্যাশা, তিনি একজন ছোটভাই হিসেবে নয়, দেশের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধ-অনুরক্ত একজন মানুষ হিসেবে এই ‘জনপ্রিয়’ সাহিত্যিকের মুক্তিযুদ্ধ, মৌলবাদ, জাহানারা ইমাম, হূমায়ন আজাদ প্রমুখ সম্পর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে কী ভাবছেন, তা অচিরেই আমাদের লিখে জানান। কেননা, আমাদের দেশের মতো রক্তসম্পর্ক এবং লৌকিকতার বন্ধনে আবদ্ধ মানুষের দেশে মুক্তিযুদ্ধকে যৌক্তিক পরিণতি পেতে হলে প্রকৃতার্থে ঘরে ঘরে যুদ্ধ হতে হবে। এবং এ ধরণের আদর্শিক যুদ্ধগুলিকে যদি আমরা এড়িয়ে যাই, রক্তসম্পর্কের কারণে উপেক্ষা করি, তা হলে তা বিভিন্ন ধরণের স্বজনপ্রীতি ও অপব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি করবে। অতীতের এরকম উদাহরণের কথা শুরুতেই বলেছি। আমরা যারা সেদিন প্রতীকী অনশনের আয়োজন করেছিলাম, তার লক্ষ্য ও আবেদন আসলে অপব্যবহৃত হয়েছে।
হুমায়ুন সেদিন তার সরব অভিযাত্রার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আবেগের অপব্যবহার করেছিলেন; জাফর ইকবাল কি এখন তাঁর নীরবতার মধ্যে দিয়ে সেদিনের প্রতিদান দিচ্ছেন? নীরবতার মধ্যে দিয়ে এ-রকম প্রতিদান দেয়ার তালিকার মানুষ, লেখক, কলামিস্ট ও সম্পাদক কী একেবারেই সামান্য?
ধন্যবাদ লেখককে, এ-লেখার জন্যে।
রায়হান রশিদ - ১ আগস্ট ২০০৮ (১১:৪৬ অপরাহ্ণ)
প্রবীর পালকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। কয়েকদিন ধরেই হুমায়ুন আহমেদের এই বিতর্কিত সাক্ষাৎকারটি নিয়ে প্রায় সব ইন্টারনেট গ্রুপেই আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এটি যদি হুমায়ুন আহমেদের দিক থেকে কোন পাবলিসিটি স্টান্ট হয়ে থাকে, তিনি বিফল হননি।
বিষয়টা ঠিক কিভাবে দেখবো বা দেখা উচিত তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই একটু দ্বিধায় আছি। কারণ, এর সাথে একদিকে যেমন লেখকের (বা যে কোন মানুষের) মত প্রকাশের স্বাধীনতার মত মৌলিক একটি বিষয় জড়িত। তেমনি অন্যদিকে হুমায়ুন আহমেদের মাপের একজন ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ইস্যুগুলোর প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টিও জড়িত। সৎ কিংবা অসৎ যে উদ্দেশ্যেই বলে থাকুন না কেন, তিনি কি এসব কথা বলার অধিকার রাখেন ? ‘অধিকার’ অর্থে তা হয়তো তিনি রাখেন। তাই আর যাই করি আমাদের অন্তত তাঁর এই মৌলিক অধিকারটুকুকে অস্বীকার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। একটু ব্যাখ্যা করি।
হুমায়ুন আহমেদের কথা আমাদের কারোই পছন্দ হয়নি। তেমনি সালমান রুশদি, দাউদ হায়দার, তসলিমা নাসরিনের লেখা কিংবা আরিফুর রহমানের কার্টুনও অনেকেরই পছন্দ হয়নি। সে সব অপছন্দকারীরা ঘটনাচক্রে প্রতিক্রিয়াশীল এবং মৌলবাদী ধারার মানুষ ছিলেন। তাঁদের গোঁড়ামীর কাছে ‘মত প্রকাশের অধিকার’ কিংবা অন্যান্য মানবাধিকারগুলো পুরোপুরি তাৎপর্যহীন ছিল বলেই প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা লেখক-কার্টুনিস্টের মাথার দাম ঘোষণা করেছে। এর বাইরে তাদের কাছ থেকে আর কিই বা আশা করা যায়! তাই আমার মনে হয়, সমালোচনা এবং প্রতিবাদের তোড়ে স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তমনের মানুষদের উচিত হবেনা হুমায়ুন আহমেদের মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারটুকুর কথা ভুলে যাওয়া। পক্ষের মানুষদের অধিকার রক্ষায় শক্ত হয়ে দাঁড়ানো হয়তো খুব কঠিন কাজ না (আজকাল অবশ্য তাও খুব একটা ঘটেনা!)। কিন্তু বিপক্ষের মানুষের অধিকারের জন্য দাঁড়ানোটাই সত্যিকারের নীতির পরীক্ষা। আমাদের সে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া চলবেনা। প্রগতিশীল ব্লকের মানুষদেরই এখানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে - প্রমাণ করতে হবে তারা শুধু আরিফুরেরই পাশে দাঁড়ান না, প্রয়োজনে হুমায়ুনেরও পাশে দাঁড়ান, যদি সেটা হয় কোন সুনির্দিষ্ট নীতির প্রশ্নে।
তবে হ্যাঁ, আমরা চুপ থাকবো না। প্রবীর পাল যেমন এই পোস্টে করেছেন, তেমনি আমরাও আমাদের যার যার অবস্থান থেকে হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটি মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে যাবো। প্রয়োজনে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করবো যদি দেখি আর কোনভাবে মানুষকে শোনাতে পারছিনা।
কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ, আপনি যতই উস্কানীমূলক বক্তব্য দিন না কেন, নৈতিক অবস্থান থেকে আমাদের টলাতে পারবেন না। আমাদের পক্ষ থেকে এই হল আপনার প্রতি ছোট্ট প্রতিশোধ। সেইসাথে আপনাকে চেনাও তো হল! এতদিন আমরা গোলাম আযম, নিজামী, আর শর্মিলা বসুর মিথ্যাচারের সাথে লড়াই করেছি। এখন থেকে না হয় আপনার মিথ্যাচারের সাথেও লড়বো। আমরা সবাই আজ সমুদ্রে শয্যা পেতেছি, সামান্য শিশিরে আর ভয় পাইনা।
রায়হান রশিদ - ১৮ মে ২০১২ (৬:১৪ অপরাহ্ণ)
হুমায়ুনের “মত প্রকাশের স্বাধীনতা” মেনে নিয়েই নিজের “মত প্রকাশের অধিকার” প্রয়োগ করছি – ইতিহাস নিয়ে তিনি যা করছেন তা বদমায়েশীর পর্যায়ে পড়ে।
সরব দর্শক - ১০ মে ২০১১ (২:৩০ পূর্বাহ্ণ)
উপরের সাক্ষাৎকারটিতে হুমায়ুনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি প্রকাশিত রবীন্দ্র-প্রাসঙ্গিক এই লেখাটিকে কী বলা যাবে?
এই তথ্যবিভ্রাট নিয়ে সচলায়তনে প্রকাশিত পোস্ট পড়ুন এখানে।
মাসুদ করিম - ১০ মে ২০১১ (৮:৩২ পূর্বাহ্ণ)
কালের কণ্ঠে আজকাল কিলবিল করে হুমায়ূন আহমেদ — জানি না হুমায়ূন আবেশে ভুগছেন কে ? আবেদ খান, না তার এখনকার মালিক শাহআলম ? নাকি তারা দুজনই ? এই বিকট ঘটনাও তাহলে ঘটেছে — রবীন্দ্রজয়ন্তীতে প্রথম পাতাতেই হুমায়ূন আহমেদকে লিখতে হয়েছে!
Pingback: সাহিত্যের দেয়াল-দেয়ালের সাহিত্য: ফ্রম হুমায়ূন আহমেদ টু আনোয়ার শাহাদাত « Kulada Roy