(আগের পর্বের পর) ইন্ট্রো-৫. পাকিস্তানের কারাগার থেকে সদ্যমুক্ত বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই ঘোষণা দিলেন দেশ পুনর্গঠনের। জাতীয় চার মূল স্তম্ভের অন্যতম ঘোষণা হলো সমাজতন্ত্র। বাংলার কৃষকের কাছে সমাজতন্ত্র মোটেই কোনো পরিচিত বিষয় ছিল না। বাম রাজনীতির গোপনীয়তাবাদের কারণে ওই রাজনীতির খোলামেলা আলোচনা হলো না। (more…)
আমাদের দেশের বুদ্ধিব্যাপারীরা ইনিয়ে-বিনিয়ে মাখো মাখো করে কৃষকজয়গাঁথা রচনা করেন। নিজের চৌহদ্দীর ভেতর শহুরে জজবা মেখে আলাভোলা কুষকদরদি সাজেন। "কুষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে"-র মত ছেঁদো কথা দিয়ে বানী সাজান। নিজেকে "কৃষকের সন্তান" বলে গর্ব করেন। কৃষকের দরদে গন্ধগোলাপে নাক ডুবিয়ে কাঁদেন। কিন্তু কাল থেকে কালান্তরে এদেশের লেখাপড়াজানা মানুষ কেবলই কুষকপীড়ন করে যাচ্ছেন। কৃষকপীড়নের ইতিহাস এত বেশি ভারি হয়ে গেছে যে একাত্তরের পাক জল্লাদদের নয় মাসের অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে। (more…)
রাষ্ট্র থেকে গণতন্ত্র উবে গেলে রাষ্ট্র আপনাআপনি একটা ভিন্ন রূপ গ্রহণ করে। এই একবিংশ শতকেও সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা রাজতন্ত্র হয়ে যেতে পারে। হয়ে যেতে পারে সামরিক একনায়কতন্ত্র অথবা সামরিক আর সিভিল ব্যুরোক্র্যাসির মিশেলে আমলা নির্ভর রাষ্ট্র, শেষ বিচারে যা পুলিশি রাষ্ট্র। কেননা আমলারাষ্ট্রের প্রধান চালিকাশক্তি পুলিশ। আমলা রাষ্ট্রের সাংঘাতিক সব আইনকানুন প্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে। পুলিশই হয়ে ওঠে রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র নিয়ামক। (more…)