ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF)

আসুন, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দল-মত নির্বিশেষে অন্তত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই ইস্যুতে আমরা সকলে মনে-প্রাণে সক্রিয় হই [...]

মূল পোর্টাল: http://icsforum.org
ফেসবুক পাতা: http://www.facebook.com/icsforum
ইউটিউব চ্যানেল: http://www.youtube.com/icsforum
টুইটারে আইসিএসএফ: http://www.twitter.com/icsforum
মিডিয়া-আর্কাইভ: http://icsforum.org/mediarchive
ই-লাইব্রেরী: http://icsforum.org/library
ব্লগ: http://icsforum.org/blog

International Crimes Strategy Forum (ICSF) স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠন ও সংগঠনবহির্ভূত কর্মী-সংগঠকদের একটি জোট, যার মূল লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের আসন্ন বিচারপ্রক্রিয়াকে সর্বতোভাবে সহায়তা করা, মূলত এ-লক্ষ্যে চালিত নাগরিক উদ্যোগগুলোকে সমন্বিত করার মাধ্যমে। আজ ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীরা শুধু দেশেই নয়, বিদেশের মাটিতেও সুপ্রতিষ্ঠিত। বিচারপ্রক্রিয়াকে ব্যাহত ও ব্যর্থ করতে তারাও সংকল্পবদ্ধ, কারণ এটা তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এর বিপরীতে আবেগঘন বক্তব্য কিংবা বিবৃতি প্রদানের বাইরে মূল বিচারকার্যকে সরাসরি সহায়তা করতে পারে, তেমন বিষয়গুলোতে আমরা ঠিক কতটুকু তৈরি রয়েছি? কিংবা কতটুকু সমন্বিত আমাদের নাগরিক পর্যায়ের উদ্যোগগুলো? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি জটিল ও বিস্তৃত প্রক্রিয়া। আর এটি এমনই একটি প্রক্রিয়া যে এককভাবে কোনো সরকারের পক্ষেই হয়তো এটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা কঠিন, এমনকী হয়তো অসম্ভবও, যদি না এ-কর্মযজ্ঞে নাগরিক পর্যায়ের উদ্যোগগুলো উল্লেখ করার মতো সম্পূরক ভূমিকা পালন না করে। নাগরিক পর্যায়ে উদ্যোগগুলোর সমন্বয়ের উদ্দেশ্য মাথায় রেখে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ঘিরে কিছু মৌলিক বিষয়ে সমমনা সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলাকে এই কোয়ালিশন অত্যন্ত জরুরি মনে করে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
সংক্ষেপে এই কোয়ালিশন এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হল :

১। যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট প্রাপ্য তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করা ।
২। যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট ইস্যুতে নুতন গবেষণা এবং নুতন তথ্যের খোঁজ করা।
৩। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে গণমানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।
৪। দেশি/বিদেশি সমমনা গোত্রের মানুষ/দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।
৫। দেশি/বিদেশি মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।
৬। বিচারপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা এবং
৭। অভিজ্ঞ আইনবিদ প্যানেলের সহায়তায় তদন্ত, অভিযোগ আনয়ন এবং বিচার বিষয়ে কারিগরি পরামর্শ প্রদান করা।

মূল্যবোধের জায়গাগুলি :

যে মূল্যবোধগুলোকে এবং চিন্তাপদ্ধতিকে ভিত্তি ধরে এই নেটওয়ার্ক/কোয়ালিশন গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলো হল (পোর্টাল পাতা থেকে সরাসরি উদ্ধৃত করছি):

Democracy. Human Rights. Justice. Rooted in non-elite, non-exclusive, collective and participatory premises, the attitudes (as well as qualities) that we seek to promote within and outside the coalition are: excellence, dedication, boldness and perfection. All forms of elitist and/or self-propagating tendencies are, therefore, resisted. We believe, this is the kind of mindset that time demands of this nation in order for it to succeed in bringing the history back on track through securing long-overdue justice.

কাদের নিয়ে এই কোয়ালিশন?
ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে ICSF আজ উল্লেখযোগ্য পথ পাড়ি দিয়েছে। ICSF-এর মূল শক্তি এর স্বেচ্ছাসেবকেরা, যাঁরা ছড়িয়ে রয়েছেন পৃথিবীর সর্বত্র। এখানে রয়েছেন ছাত্র, শিক্ষক, মানবাধিকার-কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষ। ১৯৭১-এর সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানো মানুষও রয়েছেন এই কোয়ালিশনে। ICSF-এর কর্মযজ্ঞের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিদিনই আমাদের সঙ্গে নতুন স্বেচ্ছাসেবক ও সংগঠন যুক্ত হচ্ছেন বা যুক্ত হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করছেন। এখন পর্যন্ত, স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও, যেসব সংগঠন ICSF-এর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে, সেগুলো হল : (১) মুক্তাঙ্গন; (২) ক্যাডেট কলেজ ব্লগ (সিসিবি); (৩) জেনোসাইড আর্কাইভ অনলাইন; (৪) নিউজ বাংলা; (৫) মুক্তমনা; (৬) বাংলাদেশ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ; (৭) লন্ডন লইয়ার্স ফোরাম; (৮) আমারব্লগ; (৯) ই-বাংলাদেশ; (১০) সচলায়তন; (১১) আমরা বন্ধু ব্লগ; (১২) নাগরিক ব্লগ; (১৩) হৈচৈ ওয়েব অডিও। উল্লেখিত প্লাটফর্মগুলো ছাড়াও বর্তমানে সম্ভাব্য আরও কয়েকটি প্লাটফর্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যেগুলো অচিরেই এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবে বলে আমরা আশা করছি। [ ২৭ অক্টোবর ২০১১ পর্যন্ত আপডেটেড তালিকা]

এ-পর্যন্ত গৃহীত উদ্যোগসমূহ :
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সামনে রেখে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ প্রকল্প-আকারে (বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন) হাতে নেওয়া হয়েছে। যেমন :

(ক)
মিডিয়া আর্কাইভ, যেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক প্রতিদিনকার পত্রিকার খবর/নিবন্ধ/সাক্ষাৎকার, ব্লগ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার খবর, ইন্টারনেটে প্রাপ্ত খবর বা চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে ঘটনার গতি-প্রকৃতি-অগ্রগতি খুব সহজে একটি পোর্টালের ভেতরেই মনিটর করা এবং সে-অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ-পরিবর্তন করাই মূলত এই আর্কাইভের উদ্দেশ্য। এ-আর্কাইভটি একটি পূর্ণাঙ্গ সাইট।

(খ)
ই-লাইব্রেরি ‘৭১, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ-এর উপর প্রকাশিত দেশি/বিদেশি বই ও জার্নাল থেকে নিবন্ধ এবং দলিলপত্র ডাউনলোডযোগ্য পূর্ণ টেক্সটসহ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। লাইব্রেরিতে ইতিমধ্যেই শতাধিক ভুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই আরও নতুন নতুন ভুক্তি যোগ করা হচ্ছে। এ-লাইব্রেরির মূল উদ্দেশ্য : ভৌগোলিক বাধা অতিক্রম করে উন্নততর রেফারেন্স লেখক-পাঠকদের কাছে সহজলভ্য করার মাধ্যমে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ ও বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার পথকে সুগম করা। লাইব্রেরিটি একটি পৃথক পূর্ণাঙ্গ সাইট হিসেবে নির্মিত।

(গ)
ICSF-এর উদ্যোগে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ইংরেজিতে একটি পৃথক গ্রুপব্লগ সাইট রয়েছে। ব্লগটির মূল উদ্দেশ্য : যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা, বিচারকার্যকে বিলম্বিত ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে — এমন বিষয়গুলো নিরীক্ষার আওতায় আনা, বিচারকার্যের বিপক্ষে যে-কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অপপ্রচার বা প্রোপাগান্ডা তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করা এবং সার্বিকভাবে কর্মপন্থা নির্ধারণ ও জনমত গঠনে ভূমিকা রাখা।

(ঘ)
বিচারকালীন সম্ভাব্য আইনগত বাধাসমূহ সুনির্দিষ্টকরণ ও প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য আইনি কৌশল/অবস্থান খণ্ডনের লক্ষ্যে ICSF-এর আওতায় আন্তর্জাতিক আইন, যুদ্ধাপরাধ আইন ও আইনগত প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ পেশাদারদের দু’টি প্যানেল গত তিন বছর ধরে কাজ করছেন। এছাড়াও একাধিক সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে (আইনি প্রক্রিয়ায় আমলযোগ্য) তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজে অত্যন্ত অভিজ্ঞ তদন্তকারীদের তত্ত্বাবধানে একটি অনানুষ্ঠানিক স্বেচ্ছাসেবক তদন্ত দলও রয়েছে। প্রচারকার্য কিংবা লবিইং ছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা যায়, সে-উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট ‘তথ্যপত্র’ (বা প্রাথমিক প্রতিবেদন) তৈরির কাজও পাশাপাশি চলছে। বাংলা ও ইংরেজি উইকিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধীদের কার্যকলাপ, বিচারের কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার কাজগুলো সমন্বয়ের জন্যও একটি টিম কাজ করে যাচ্ছে।

বলা বাহুল্য, ICSF-এর বর্তমান কর্মকাণ্ড বিষয়ে উপরের এ-তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। সব তথ্য ইন্টারনেটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশযোগ্যও নয়। এর বাইরেও আরও কয়েকটি উদ্যোগ বর্তমানে সচল।

আপনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন?
আপনি যদি মনে করেন, এই অনুচ্ছেদে উল্লেখিত যে-কোনো একটি বিষয়ে আপনি কোনো না কোনোভাবে অবদান রাখতে পারবেন, তাহলে ধরে নেয়া যায় যে আপনার সাহায্য আমাদের প্রয়োজন। যেমন : আপনি সাহায্য করতে পারেন নিজের মূল্যবান সময় দিয়ে। কোনো বিশেষ দক্ষতা (যেমন : প্রকল্প ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, অনুসন্ধানী দক্ষতা, গ্রাফিক্‌স ডিজাইন) থাকলে তা দিয়েও আমাদের সাহায্য করতে পারেন। কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে কারিগরি বা পেশাদার প্রশিক্ষণ/জ্ঞান (যেমন : আইন, হিসাবরক্ষণ, ফরেনসিক আর্কিওলজি, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, ওয়েব ডিজাইনিং, কম্পিউটার সিকিউরিটি) থাকলে তা দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। আপনার যদি গবেষণায় (যেমন : ইতিহাস, আইন, সমাজতত্ত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে) পূর্বতন প্রশিক্ষণ কিংবা অভিজ্ঞতালব্ধ দক্ষতা থাকে, সে-প্রশিক্ষণ/দক্ষতা প্রয়োগ করার মতো আমাদের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। আপনি যদি আইনজীবী হন অথবা সাংবাদিক, কূটনীতিক, ইতিহাসবিদ, সমাজতাত্ত্বিক, তাহলেও এমন একাধিক প্রকল্প রয়েছে যেখানে আপনি যুক্ত হয়ে সহায়তা করতে পারেন। আপনি সাহায্য করতে পারেন আপনার পরিচিত মণ্ডলে কোনো বিশেষ যোগাযোগ (যেমন : সরকারে, ট্রাইবুনালে, প্রসিকিউশন টিমে, কোনো বিশেষ সংগঠনে বা মোর্চায়), যার মাধ্যমে এই কোয়ালিশনের কাজে সাহায্য হতে পারে, তেমন যোগাযোগের সেতু তৈরি করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। লেখার কিংবা সম্পাদনার কাজে দক্ষতা থাকলে সে-সাহায্যও আমাদের দরকার। বাংলা ভাষার বাইরে অন্য কোনো ভাষায় (যেমন : ইংরেজি, উর্দু) দখল থাকলে তাও আমাদের সাহায্যে আসবে। আপনি যদি ভালো বক্তা কিংবা তার্কিক হন (ইংরেজি কিংবা বাংলার যে-কোনো একটিতে), সে-দক্ষতাও আমাদের সাহায্যে আসতে পারে। গণযোগাযোগে, প্রচারে, কিংবা তহবিল সংগ্রহে যদি আপনার পূর্ব-অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকে, তার মাধ্যমেও আমাদের সাহায্য হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত কোনো বিশেষ দলিল, বিশেষ বই, নিবন্ধ কিংবা কোনো বিশেষ তথ্য-প্রমাণের সন্ধান দিয়ে আপনি আমাদের সাহায্য করতে পারেন। কোনো বিশেষ যুদ্ধাপরাধী, ১৯৭১ ও তৎপরবর্তীকালে তার কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে কোনো তথ্য দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আপনার আত্মীয়, পরিচিত বন্ধুমহলে বর্ষীয়ান প্রজন্মের মানুষদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৯৭১-এ তাঁর বা তাঁদের এলাকার বয়ান লিপিবদ্ধ (খসড়া আকারে লিখে হলেও) করে আপনি আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন, যাতে সেগুলোকে সংকলিত করে আমরা ‘সাধারণের চোখ দিয়ে দেখা এবং জানা মুক্তিযুদ্ধকে’ ধরতে পারি অনানুষ্ঠানিক ছায়াচ্ছন্ন ইতিহাসের অংশ হিসেবে, সে-সবকে ডাটাবেজের এলাকাভিত্তিক প্রকোষ্ঠে পাশাপাশি সংরক্ষণ করার মাধ্যমে।

আর অন্য কোনোভাবে সাহায্য না করতে পারলেও অন্তত এই কোয়ালিশনের কর্মকাণ্ডের প্রচারের মাধ্যমে, এখানকার রিসোর্সগুলো ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে, এমনকী আমাদের তহবিলে সাধ্যানুযায়ী অনুদান প্রদানের মাধ্যমেও আপনি একাত্ম হতে পারেন আমাদের এই সামষ্টিক কাজগুলোর সঙ্গে। সাহায্যের প্রস্তাবসহ যোগাযোগের প্রাথমিক ঠিকানা :

icsf [dot] workgroup [at] gmail [dot] com

কীভাবে সংশ্লিষ্ট হতে পারেন এই কর্মযজ্ঞে?
স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত হলেও এই ফোরাম মূলত একটি গ্রুপভিত্তিক, স্তরবিহীন, সমন্বয়নির্ভর ফোরাম। আমাদের কর্ম ও ব্যবস্থাপনা-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন। স্বেচ্ছাসেবকদের মতামতের ভিত্তিতেই নুতন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় এবং স্বেচ্ছসেবকদের দ্বারাই সেসব পরিচালিত হয়, এখানে চর্চিত সামষ্টিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। তবে প্রকল্পগুলোর মূল উদ্দেশ্য থাকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অথবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট। ICSF-এর প্রতিটি বিভাগেই প্রচুর স্বেছাসেবকের প্রয়োজন। ঠিক কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনি সাহায্য করতে পারেন, সে-বিষয়ে উপরে কিছু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের মূল পোর্টাল পাতাতেও প্রকল্প এবং টিমগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া রয়েছে। তারপরও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে বা সিদ্ধান্তগ্রহণে সাহায্য প্রয়োজন হলে সরাসরি ICSF-এর রিক্রুটমেন্ট টিমের কাছে লিখতে পারেন। ঠিকানা :

icsf-recruitment [at] googlegroups [dot] com

ব্যক্তি হিসেবে যুক্ত হতে চাইলে :
আপনি আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং ক্ষেত্র বুঝে যে-কোনো প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ICSF-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করতে পারেন। আগ্রহীদের জন্য যোগাযোগের ঠিকানা উপরেই দেয়া হয়েছে। তবে এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। কেবলমাত্র যুদ্ধাপরাধী কিংবা তাদের রাজনৈতিক সহচর ছাড়া সম্ভবত এমন কাউকে পাওয়া যাবে না এখন, যিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। মৌখিকভাবে কিংবা নীতিগতভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুটির যৌক্তিকতা কিংবা এর সঙ্গে একাত্মতা স্বীকার করার মতো মানুষ বহু রয়েছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে এখন শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতি সহানুভুতিশীল মানুষের চেয়েও এই ফোরামের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই সব নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, যাঁরা তাঁদের অনুভূতি ও বিশ্বাসকে কাজে পরিণত করতে এবং সে-অনুযায়ী নিজেদের জীবনের হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দিতে প্রস্তুত। প্রস্তুত সামষ্টিক কর্মযজ্ঞের প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে।

সংগঠন/প্লাটফর্ম হিসেবে যুক্ত হতে চাইলে :
আপনার কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান কিংবা প্লাটফর্ম থেকে থাকলে তার মাধ্যমেও আপনি এই কোয়ালিশনের একজন সাংগঠনিক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন। যুক্তিসঙ্গত কারণে, সংগঠনকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রিম আলোচ্য কিছু পৃথক নীতিগত বিষয় রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ICSF-এডমিন ঠিকানায় লিখুন।

সরাসরি বা পূর্ণভাবে জড়িত না হয়েও যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন :
আপনি যদি এখনই ICSF-এর কাজের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত না-ও হতে পারেন, তবু আমরা অনুরোধ করব, আপনি ICSF-এর কথা আপনার পরিচিতজনের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। সুনির্দিষ্ট কয়েকভাবে আপনি এখনই যুদ্ধাপরাধের বিচার সহায়ক এই উদ্যোগকে সহায়তা করতে পারেন। যেমন :

– এই ব্লগ-পোস্টটিকে ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারেন, শেয়ার করার মাধ্যমে।
‌‌
– এই ব্লগ-পোস্ট কিংবা ICSF-এর কার্যক্রম বিষয়ে নিজে একটি লেখা লিখে সেটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে।

– ফেসবুকে ICSF-এর একটি পাতা রয়েছে, এই ঠিকানায়। সেখানে আপনি নিজে যুক্ত হয়ে এবং পাশাপাশি নিজের বন্ধুদেরও যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার সমর্থন জানাতে পারেন। ICSF-এর জন্য বেশ কিছু প্রোফাইল ব্যাজ রয়েছে। আপনি এই ব্যাজকে আপনার ফেসবুকে প্রোফাইলে কিছুদিন ছবি হিসেবে ব্যবহার করে আপনার বন্ধুদেরও এই উদ্যোগের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। হয়তো তাঁদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ ICSF-এ সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত হতে আগ্রহী হবেন। উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন, ICSF-এর বহুমুখী কাজগুলোর সফল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

– আপনার যদি নিজের কোনো ওয়েবসাইট থেকে থাকে, অথবা কোনো ওয়েবসাইটের নির্মাতা/সংগঠকদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ থাকে, তাহলে ICSF-এর ব্যাজটি সেই ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের উদ্যোগ নিতে পারেন আপনি। ব্যাজটির মাধ্যমে উক্ত ওয়েবসাইটের পাঠকরাও ICSF-এর কথা জানতে পারবেন, যাঁদের কেউ কেউ হয়তো কোনো না কোনোভাবে আমাদের উদ্যোগগুলোতে সরাসরি সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও উদ্যোগগুলোর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সাধারণ সচেতনতার সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শনযোগ্য ব্যাজটির প্রয়োজনীয় কোড ডাউনলোড করে নেয়া যাবে এই ঠিকানা থেকে।

ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে, ১৯৭১-এ, এই জাতির শ্রেষ্ঠতম গুণাবলির সম্মিলন ও সমন্বয় ঘটেছিল, যার কারণে আমরা এত প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাধীন হতে পেরেছিলাম। একটি পতাকা, একটি ভূখণ্ড, একটি মানচিত্র পেয়েছি; কিন্তু যুদ্ধটা ১৯৭১-এই শেষ হয়ে যায়নি, বাংলার মাটিতে পরাজিত শক্তির রাজনৈতিক সামাজিক অর্থনৈতিক পুনঃপ্রতিষ্ঠা যার সবচাইতে বড় প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের পেছনে যে-আদর্শগুলো ছিল মূল প্রেরণা, সে-সবের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের পথটিও পাড়ি দেয়া জরুরি। সুতরাং এই মুক্তিযুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধ কোনো সরকারের নয়, এই যুদ্ধ কোনো দলের নয়, গোষ্ঠীর নয়। এই মুক্তিযুদ্ধ আপনার আমার। এই মুক্তিযুদ্ধ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আমাদের সন্তানদের জন্য।

আসুন, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দল-মত নির্বিশেষে অন্তত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই ইস্যুতে আমরা সকলে মনে-প্রাণে সক্রিয় হই।

পোস্ট আপডেট করা হয়েছে: ১১ জুলাই ২০১০, ৩১ মার্চ ২০১১ (“ওয়ার ক্রাইমস” এর পরিবর্তে “ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস”)।

১৯ comments

  1. সাইফ শহীদ - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১১:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    দেরীতে হলেও এটা একটা মহান উদ্যোগ।
    ইংরেজীর সাথে সাথে একটা বাংলা নাম দিলে কেমন হয়।

    • মাসুদ করিম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১০:০৬ পূর্বাহ্ণ)

      ‘যুদ্ধাপরাধ বিচারপ্রক্রিয়া ফোরাম’ — যুবিফো।

      • বিনয়ভূষণ ধর - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:৩৩ অপরাহ্ণ)

        “‘যুদ্ধাপরাধ বিচারপ্রক্রিয়া ফোরাম’ — যুবিফো।”…বাহ:! নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে মাসুদ ভাই।

      • রায়হান রশিদ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:৫২ অপরাহ্ণ)

        যুতসই অনুবাদ। শুধু “যুদ্ধাপরাধ বিচার ফোরাম” হলে কেমন হয়?

        • মাসুদ করিম - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:২১ পূর্বাহ্ণ)

          যথার্থ সম্পাদনা। বিচার বহুল ব্যাপ্তিময় শব্দ। “যুদ্ধাপরাধ বিচার ফোরাম” এটাই ভাল হয়।

          • বিনয়ভূষণ ধর - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১২:২৩ অপরাহ্ণ)

            “যুদ্ধাপরাধ বিচার ফোরাম” সাধু! সাধু!! সাধু!!! যুতসই নাম ঠিক করার জন্যে দু’জনের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইলো…

  2. নওরীন তামান্না - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৩:১৮ পূর্বাহ্ণ)

    পোর্টালের লিন্ক ধরে লক্ষ্য উদ্দেশ্য পাতায় লেখা এই দৃষ্টিভঙ্গীটি নিঃসন্দেহে খুবই কার্যকর বলে মনে হল:

    Core values and approcahes:

    Democracy. Human Rights. Justice. Rooted in non-elite, non-exclusive, collective and participatory premises, the attitudes (as well as qualities) that we seek to promote within and outside the coalition are: excellence, dedication, boldness and perfection. All forms of elitist and/or self-propagating tendencies are, therefore, resisted. We believe, this is the kind of mindset that time demands of this nation in order for it to succeed in bringing the history back on track through securing long-overdue justice.

    চমৎকার।
    উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।

  3. Aero - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১:৪৩ অপরাহ্ণ)

    যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার “বাংলা হ্যাকস” ব্লগে অবশ্যই এই সাইট নিয়ে একটা পোস্ট লিখব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এরকম সাইট আরো যত বেশি তৈরি করা যায়, তত ভাল। ততই নতুন প্রজন্ম নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা খুঁজে পাবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

  4. অভিজিৎ - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমার পক্ষ থেকে যে কোন সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। আসলেই দল-মত নির্বিশেষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এই ইস্যুতে আমরা সক্রিয় হতে পারি।

    কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    ১) War Crimes Strategy Forum – নামটার স্ট্রেটেজি শব্দটি একটু দ্ব্যর্থবোধক। স্ট্রেটেজি শব্দটা শুনলে সাধারণতঃ (একেবারেই সাধারণভাবে বলছি) কোন যুদ্ধ বা আনুষঙ্গিক কাজের গোপন পরিকল্পণা বলেই মনে হয়। আমাদের জন্য বিষয়টা গোপন কিছু নয়। তারচেয়ে বরং – ‘যুদ্ধাপরাধ বিচারপ্রক্রিয়া ফোরাম’ ভাল লেগেছে।

    ২) শুধু ব্লগে বা ওয়েব সাইটেই ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, এটাকে সম্পৃক্ত করতে হবে দেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এবং লোকজনের সাথে। এমনকি ব্যাপারটির নেতৃত্বে খুব চেনাজানা কোন ব্যক্তিত্বকে রাখা যায়। অবশ্য ব্যাপারটি আলোচনা সাপেক্ষ।

    ৩) যুদ্ধাপরাধীদের মামলার বিষয়ে আইনগত কি কি জটিলতা আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এবং দেশে দুই জায়গাতেই কিভাবে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা যায় – তা দেখা দরকার। দেশে রাজাকার আলবদরদের বিচার কাজের জন্য আইনী প্রক্রিয়া যেমন দরকার, তেমনি দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিচারের ব্যবস্থাও জরুরী। দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আমার ফোরামে তর্ক বিতর্ক থেকে অনেক সময়ই মনে হয়েছে, যখন আমরা পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যা ধর্ষণ কিংবা গণহত্যার বিচারের কথা বলেছি – তখন অনেকেই বলেছেন- আরে তোমরা নিজের দেশের রাজাকারদেরই বিচার করতে পারো নি! আবার যখন রাজাকারদের বিচারের কথা বলেছি – তখন আবার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অপরাধের কথা টেনে আনা হয়েছে। কাজেই আমার মতে দুটো ইস্যুকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

    ৪) বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং আণুষঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলোকে একঈ প্ল্যাটফর্মের আওতায় এনে সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি নিজে একটা সাইট চালাই যেখানে অনেকেই একাত্তুর স্বচক্ষে দেখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, এমনকি সাতই মার্চের ভাষণ, পচিশে মার্চের গণহত্যা, থেকে শুরু করে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানেও ছিলেন এমন সদস্যও আছেন। তাদের অনেকেই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সে সময়কার ঘটনাগুলো লিখেছেন, এখনো লিখছেন। সেই লেখাগুলোকে সংগ্রহ করে একটা প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে।

    বঙ্গবন্ধু হত্যার প্যত্রিশ বছর পরে যদি খুনিদের বিচার করে ফাঁসিতে ঝোলানো যায়, তবে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে না এ আমি বিশ্বাস করি না। এই কাজ সফল করার জন্য যা যা করণীয় তা অবশ্যই করবো।

    উপরের কথাগুলো পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে যুক্ত হবার জন্যও মডারেটরের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। মেইলে উত্তর দেয়া হচ্ছে।

    আমরা আশাবাদী। এমন একটি উদ্যোগের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

    • রায়হান রশিদ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:৫৫ অপরাহ্ণ)

      @ অভিজিৎ রায়,
      ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত মতামতের জন্য। বিষয়গুলো নিয়ে আসলেই বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। একটু সময় নিয়ে অংশগ্রহণের চেষ্টা করবো।

  5. অমি রহমান পিয়াল - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:৩৮ অপরাহ্ণ)

    আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আমি এই কার্যক্রমে সহযোদ্ধা হওয়ার অঙ্গীকার করে গেলাম। আমার মেইল ঠিকানা দিয়ে গেলাম, যোগাযোগ করলে খুশী হবো
    omipial@gmail.com

  6. বিপ্লব রহমান - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৯:০৮ অপরাহ্ণ)

    সঙ্গে আছি। যে কোনো প্রয়োজনে ডাকতে পারেন। সাধ্যমত অংশগ্রহণ অবশ্যই থাকবে।

    জয় বাংলা!

    biplobr@gmail.com

    • রায়হান রশিদ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৪:৫৮ অপরাহ্ণ)

      @ অমি রহমান পিয়াল,
      @ বিপ্লব রহমান,
      এভাবেই প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একত্রিত হয়ে এক ইস্যুতে কাজ করতে পারলে বাংলার মাটিতে সফলভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই একদিন। অনেক ধন্যবাদ পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।

  7. কাইয়ূম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (১:১৫ অপরাহ্ণ)

    দারুন উদ্যোগটির জন্য ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। আর প্ল্যাটফর্মগুলোর পাশাপাশি যারা এটি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবেও লড়ে যাচ্ছিলেন তাদেরও সমন্বিত এই স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ এটিকে চূড়ান্ত সাফল্যে নিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
    সবাইকে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

    • রায়হান রশিদ - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:০২ অপরাহ্ণ)

      কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতিও, সাথে থাকবার জন্য।

  8. ব্লাডি সিভিলিয়ান - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (৫:১৩ অপরাহ্ণ)

    হয়তো অনুবাদের কাজে কিছুটা সাহায্য করতে পারি। এটাই আমার সীমিত সামর্থ্য।
    আর, ফেসবুক-এ ব্যাজটা ব্যবহার করতে চাইলে কিভাবে করতে হবে? কোডটা কোথায় পেস্ট করতে হয়?

  9. মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০১০ (১০:০২ পূর্বাহ্ণ)

    আজ বুধবারের কালের কণ্ঠের সাময়িকী ‘রাজকূট’-এ ছাপা হয়েছে : যুদ্ধাপরাধের বিচার ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরামের চলমান যুদ্ধ।বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  10. মাসুদ করিম - ৩০ জুলাই ২০১০ (১১:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    ‘প্রথম আলো’র ফিচার পাতা ‘প্রজন্ম ডট কম’এর নেটিজেন বিভাগে ডটকম প্রতিবেদক W[ar] C[rimes] S[tretegy] F[orum] নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন : মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট। প্রতিবেদক লিখছেন

    যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সামনে রেখে ডব্লিউসিএসএফ-এর ওয়েবসাইটে মিডিয়া আর্কাইভটি নিয়মিত হালনাগাদ করে যাচ্ছে। এতে প্রতিদিন যুদ্ধাপরাধ, যুদ্ধপরাধী-সংক্রান্ত সব খবর রাখা হচ্ছে। ইংরেজি একটি ব্লগসাইট পরিচালনা, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত প্রতিদিনের খবর সংগ্রহ করে সেসব সংরক্ষণ, নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, ব্লগ, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে খবর, ইন্টারনেটে পাওয়া খবর বা চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার কাজটিও সমানভাবে করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে এ সংগঠনের রয়েছে ইন্টারনেটে পরিচালিত ‘ই-লাইব্রেরি-’৭১’ নামের একটি গ্রন্থাগার। যেখানে রয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ-বিদেশের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে নানাভাষী বই, জার্নাল, নিবন্ধ, দলিলপত্র ইত্যাদি। এসব বিষয়ে থাকা শতাধিক লিংক থেকে ইচ্ছা করলেই যে কেউ প্রয়োজনে নামিয়ে নিতে পারবেন বিভিন্ন তথ্য। প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। আর এ কাজটি নিজ উদ্যোগে প্রতিদিনই করে যাচ্ছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। ডব্লিউসিএসএফের এ কাজে ইচ্ছে করলেই যুক্ত হওয়া যায়। ১৯৭১-এ নিজের এলাকার মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি সংগ্রহ করে যেমন যুক্ত হওয়া যাবে তেমনি আপনার নিজের যেকোনো দক্ষতা দিয়েও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে পারেন এ কাজের সঙ্গে। যুক্ত হতে পারেন দলগতভাবেও।

    ইপ্রথমআলোতে পড়ুন এখানে

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.