গত ২ জুলাই ২০০৯ ভারতের দিল্লী হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ যুগান্তকারী এক রায়ের মাধ্যমে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমকামি সম্পর্ক’ ফৌজদারী অপরাধের তালিকাভুক্ত হবে না বলে ঘোষণা করেছে। বিচারপতি এস মুরলিধর এবং বিচারপতি অজিত প্রকাশ সাহার দেয়া সুলিখিত এই রায়টির পুরো কপি এখান থেকে ডাউনলোড করে নেয়া যাবে। ভারতীয় দণ্ডবিধি (১৮৬০) এর ৩৭৭ ধারার বিধান অনুযায়ী যে-কোনো ধরণের সমকামি সম্পর্ক এত দিন পর্যন্ত ”অস্বাভাবিক এবং অনৈতিক” ধরে নিয়ে শাস্তিযোগ্য ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো। ১৪৮ বছরের পুরনো বিধানটি এরকম:
Section 377: Unnatural offences: Whoever voluntarily has carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal, shall be punished with imprisonment for life, or with imprisonment of either description for term which may extend to ten years, and shall also be liable to fine.
Explanation: Penetration is sufficient to constitute the carnal intercourse necessary to the offense described in this section
নাজ ফাউন্ডেশনের দায়ের করা এই জনস্বার্থমূলক মামলাটির রায়ে আদালত সমকামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারাটির অপপ্রয়োগকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং অসাংবিধানিক বলে অভিমত দিয়েছে। আদালতের মতে এই প্রয়োগ ভারত সংবিধান স্বীকৃত কয়েকটি মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী, যেগুলো হল: আইনের দৃষ্টিতে সমতা (অনুছ্ছেদ ১৪), বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা (অনুচ্ছেদ ১৫), জীবনধারণ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২১)। [ভারতীয় সংবিধানটি এখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে]। রায়টির অব্যবহিত পরেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রায়টিকে স্থগিত করার জন্য সুপ্রীম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয় যা মঞ্জুর হয়নি।
রায়টির সম্বন্ধে আরও জানতে নিচের কয়েকটি ব্লগ পড়ে দেখা যেতে পারে:
— বিক্রম রাঘবন – Navigating the Noteworthy and the Nebulous in Naz Foundation – পর্ব ১, পর্ব ২, পর্ব ৩।
— নিবেদিতা মেনন – The Day After the Judgement [এখানে]
— রাহুল সিদ্ধার্থন – Is 377 now 404? [এখানে]
বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
১)
ভারতের ২৩ টি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সর্বমোট ১৮০ জন স্বাক্ষর প্রদানকারী শিক্ষক, অধ্যাপক এবং গবেষক এই রায়ের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন জানানোর পাশাপাশি একে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষিত এবং প্রগতিশীল সমাজের এতদিনকার অস্বাভাবিক নীরবতার কথা উল্লেখ করে (“We in the academic community have had a hitherto silent engagement with the pain, harassment, fear and discrimination that comes with being non-heterosexual/queer”) স্বাক্ষরকারীগণ স্পষ্টভাবে বলেছেন:
But sexual preference and identification is only one part of people’s identities. We believe that a modern democracy must respect diversity regardless of whether consensus exists in society on the desirability of each such practice, provided such practices respect the personhood of others. There need not be consensus in society, for instance, on either meat-eating or vegetarianism as desirable, provided both groups are free to follow their dietary preference.
২)
ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটি সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংগঠনসমূহ এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে ভারত সরকারের প্রতি এর সঠিক বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
৩)
সম্ভবত প্রথমবারের মত ভারতের সকল ধর্মীয় গ্রুপ এই রায়টির বিরুদ্ধে অবস্থানের দিক থেকে একাত্ম হতে পেরেছে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: জামায়াতে ইসলামী, আর্য সমাজ, শিরমনি গুরদুয়ারা প্রাবন্ধিক কমিটি, ওয়ার্লড ফেলোশিপ অফ রিলিজিয়ন, ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স, দারুল উলুম দেওবান্দ, মুসলিম ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড, চার্চ অফ সাউথ ইন্ডিয়া, সর্বধর্ম সদ্ভাব ফোরাম, এবং বিভিন্ন জৈন বৌদ্ধ শিখ রামকৃষ্ণ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। রায়টির সমালোচনায় তাদের অবস্থান হল – (ক) সমকামিতা ধর্মীয় বিধানের পরিপন্থী, (খ) সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী, (গ) ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী, এবং (ঘ) প্রকৃতি এবং স্বাভাবিকতার পরিপন্থী। এখানে এবং এখানে দেখুন।
৪)
পাশাপাশি, ভারতের এসইউসিআই (Socialist Unity Centre of India) দিল্লী হাইকোর্টের রায়টির তীব্র সমালোচনা করে রায়টি বাতিল করার এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। [এখানে]। এসইউসিআই এর পার্টি মুখপত্রে ছাপানো প্রতিবাদটি এরকম:
Comrade Nihar Mukherjee, General Secretary, SUCI, in course of a statement issued on 3 July, 2009, said that this ruling is a transgression on the part of the judiciary to extend to a sphere which is always governed and guided by social opinion, social interest and socio-cultural ethical necessities. This judgment, Comrade Mukherjee observed, will simply open the floodgate of degraded degenerated imperialist culture that among other things instigates perversion and sexual promiscuity with the vile objective of destroying the very moral backbone of the people particularly the youth. This nefarious design of crippling the youth from within is being assiduously pursued by the ruling capitalist class with the sinister motive to disturb growth and development of revolutionary movement based on the edifice of higher ethics and culture in the country, pointed out Comrade Mukherjee. Comrade Mukherjee urged the countrymen particularly the youth not to fall prey to this heinous conspiracy of the ruling class and boldly come out to foil the same.
৫)
অন্যদিকে, মার্কসীয় ভাবধারার অপর এক সংগঠন প্রগতি এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং সুবিচার আর সমতার পথে একে একটি মূল্যবান পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে। এখানে দেখুন। সেইসাথে সংগঠনটি মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সমকামিতা এবং সাম্যবাদের রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বিংশ শতাব্দীর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আলোচনা এবং লেখার প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। ওয়ার্কার্স ওয়ার্লড এ ছাপানো এই লেখাগুলোর তালিকাসহ লিন্ক পাওয়া যাবে এখানে।
৬)
এদিকে বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রায়টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একে “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অপ্রযোজ্য” বলে অভিহিত করেছেন। (লিন্ক সংযোজন করা হবে)।
উল্লেখ করা জরুরী
১।
এই রায়টির মাধ্যমে সমকামী সম্পর্ককে ফৌজদারী আওতা বহির্ভূত করা হলেও ভারতের প্রচলিত অন্যান্য আইনে এ জাতীয় সম্পর্ক এখনো “unbecoming conduct” অথবা “disgraceful conduct of a cruel, indecent or unnatural kind” বলে বিবেচিত। যেমন: আর্মি এ্যাক্ট ১৯৫০ (ধারা ৪৫ এবং ৪৬), এয়ার ফোর্স এ্যাক্ট ১৯৫০, নেভি এ্যাক্ট ১৯৫৭। দিল্লী হাইকোর্টের রায় এই সব আইনের ওপর কি প্রভাব ফেলতে পারে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
২।
বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইন ঔপনিবেশিক আমলের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। সে কারণে বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতেও (The Penal Code 1860) সংশ্লিষ্ট বিধানটি ভারতের দণ্ডবিধির মতই। অর্থাৎ, বাংলাদেশেও ধারা ৩৭৭ এবং তার প্রয়োগ বর্তমান। [এখানে দেখুন]।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১৯ comments
মাসুদ করিম - ৩০ জুলাই ২০০৯ (৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ)
‘সমকামীতা অপরাধ নয়’ : এই রায় ধর্ম ও নীতির পরিপন্থি–এ ভাবনায় যারা অভ্যস্ত, তারা শুধু প্রকৃতি বিরুদ্ধতা বা অস্বাভাবিকতার কথা বলেই সমকামীতাকে অপরাধ বা নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে চান, কিন্তু কেন? আমাদের মানবিক ও সামাজিক জীবনে যা কিছু প্রকৃতি বিরুদ্ধ, যা কিছু অস্বাভাবিক, তার সবকিছুই কি আমরা ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করব? ধর্ম ও নীতির এমন বাড়াবাড়ি মানুষকে এভাবেই পরাধীন করে রাখে। তাই স্বাধীন ভারতের বা বাংলাদেশের অধিবাসী সামাজিকভাবে মোটেই স্বাধীন থাকেন না। ধর্ম ও নীতির অনুশাসন মেনে কারো যৌনাচারকে অপরাধ ঘোষনা করে যে সংবিধান সেই সংবিধান মানুষের স্বাধীনতার কথায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আর যারা সমাজতন্ত্রের নামে মানুষের যৌনজীবনে সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদ খোঁজেন, তারা যৌনতা বোঝেন কি না, আমার সন্দেহ আছে। মানুষের সমাজে যত ধরনের যৌনকামনা প্রচলিত আছে তার কোনটিকেই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তার চেয়ে যৌন অত্যাচার, শিশু ও কিশোরদের ওপর যৌন অভিযান, যৌনতার উদ্দেশ্যে ভ্রমন, যৌনতার উদ্দেশ্যে মানব পাচার, বিবিধ যৌনব্যবসা এসবের বিরুদ্ধে আইনকে ও তার প্রয়োগকে আরো সময়োপযোগী করে তোলাই সরকার ও সংবিধানের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
স্নিগ্ধা - ৩১ জুলাই ২০০৯ (২:২৮ পূর্বাহ্ণ)
চমৎকার পোস্ট! এসিউসিআই এর বিবৃতি সবচাইতে হাস্যকর লাগলো, এমনকি ধর্মীয় দলগুলোর চাইতেও!
রায়হান রশিদ - ৩১ জুলাই ২০০৯ (৮:১২ অপরাহ্ণ)
হাস্যকর তো বটেই। ইতিহাস নির্ধারিত পথে যাঁরা হাঁটেন বলে দাবী করেন তাদের কাছে তো আরেকটু আধুনিকতা কিংবা চিন্তার মুক্তি তো আশা করাই যায়। এঁরাও যদি ওল্ড টেস্টামেন্ট-বাইবেল-কোরাণের মধ্যযূগীয় নৈতিকতা, কিংবা নাজি জার্মানীর ফ্যাসিবাদী নৈতিকতা, কিংবা বিবেকানন্দের (ভারতীয় যুব সমাজের জন্য ঠিক করে দেয়া) অযৌন/ব্যায়ামপ্রিয় নৈতিকতার শতাব্দী পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন – তাহলে তো কিছুটা চিন্তারই কথা।
গত এক শতকে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী অনেক লেখা হয়েছে, অনেক গবেষণাও হয়েছে; প্রভাবশালী সে সব লেখকদের আর যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন “পশ্চিমা পূঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের যুব সমাজকে কলুষিত করার চক্রান্তের অংশ” হিসেবে মনে হয় না সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ অভিহিত করবেন। কমরেড নিহার মুখার্জিদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কিংবা দাবী – মাঝে মাঝে যুগ পরিবর্তনকারী এই ধারণাগুলোর সাথে নিজেরা পরিচিত হয়ে নিয়ে আমাদেরকেও “শিক্ষিত” করে তুলুন! আর প্রয়োজনে মাঝে মাঝে “চেনা জানা সব কিছুকে প্রশ্ন করুন” – নৈতিকতা সম্বন্ধে ধারণা, অজ্ঞতা, যৌনতা – এর সব কিছুকেই, এমনকি নিজেকেও। সমাজকে জনগণকে নেতৃত্ব দিতে হলে, তাদেরকে সাথে নিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে হলে – নেতৃত্বদানকারী দল বা গোষ্ঠীকে অন্তত চিন্তা চেতনায় প্রচলিত সমাজের ধ্যান ধারণা থেকে তো এগিয়ে থাকতে হবে। নিদেন পক্ষে সমসাময়িক চিন্তাগুলোর সাথে, বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোর সাথে – নিবিড় পরিচিতি তো থাকা আবশ্যক – এর থেকে এগিয়ে থাকা না হয় না-ই হল।
নাজ ফাউন্ডেশনের এই মামলার রায়ে এসইউসিআই এর এই অদ্ভুতুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখে ভিষণ অবাক এবং হতাশ হয়েছি আসলে। কারণ দলটির অনেক ভাল ভূমিকার কথা শুনেছি – শিক্ষা নিয়ে আন্দোলনে, নন্দিগ্রাম নিয়ে। প্রতিক্রিয়াশীলতার নামান্তর এধরণের প্রতিক্রিয়া একেবারেই আশা করিনি। আশা করছি, এই দলের বাকীরা অন্তত নিহার মুখার্জিদের মত মানুষদের থেকে চিন্তাচেতনায় অন্তত কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল – প্রতিক্রিয়ার বীজ আন্দোলন সংগ্রামে সামিল প্রগতিশীলদের মধ্যেও কিন্তু বিকাশিত হতে পারে। এমনকি জীবন বাজি রেখে, শত ত্যাগ স্বীকার করে যারা জনগণের জন্য রাজপথে, তারাও কিন্তু এই বীজের আক্রমণ থেকে নিরাপদ নন। রাজপথের আর দশটা নিত্যনৈমিত্তিক ইস্যু (যেমন: শ্রমিক-মজুরের ইস্যু, কৃষকের ইস্যু, শিক্ষার্থীর ইস্যু) বুকে নিয়ে সংগ্রামের পথ কুসুমাস্তীর্ণ – এমন দাবী কেউ করেনা। তবে, সেখানে (এ ধরণের আন্দোলনে) মনে হয় একটা অন্তত সুবিধে আছে – আর তা হল – এসব সংগ্রামে নামতে হলে আর যাই হোক নিজের ভেতরের (এ ধরণের) আচারগত-সংস্কৃতিগত-জ্ঞানগত-ধারণাগত গোঁড়ামীগুলোর মুখোমুখি হতে হয় না সাধারণত; সেগুলোকে প্রশ্ন করা জরুরী হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে, সম্পর্ক-যৌনতা-সমকাম-উভকাম-রূপান্তরকাম এর মত মানবসমাজের এই গভীর বিষয়গুলোর ব্যাপারে ব্যক্তিগত, আদর্শিক এবং সাংগঠনিক অবস্থান নিতে গেলে প্রথমেই নিজের ভেতরের এসব গোঁড়ামীর সাথে সংগ্রামে নামতে হয়। সে অর্থে একজন প্রতিবাদী সংগ্রামী মানুষ আর সব ব্যাপারে “প্রগতিশীল” হয়েও নিজের অজান্তেই সারা জীবন কিছু কিছু ইস্যুতে “progressive bigot” থেকে যেতে পারেন, সময় থাকতে সচেতন না হলে।
সৈকত আচার্য - ৩১ জুলাই ২০০৯ (১২:৪৫ অপরাহ্ণ)
সমকামীতা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কিনা, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন অভিজিৎ রায়। একটি পরিশ্রমসাধ্য বৈজ্ঞানিক ও সমাজ- মনঃস্তাত্ত্বিক আলোচনা দাঁড় করিয়েছেন তিনি। আজকের প্রেক্ষাপটে তার এই আলোচনাটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ন। এখানে পড়ুনঃ ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব এবং ৪র্থ পর্ব।
saiful2000 - ৩১ জুলাই ২০০৯ (১:২৭ অপরাহ্ণ)
সমকামকে অবদমিত রেখেছে সমাজ । স্বাভাবিক প্রবৃত্তি না হলেও জন্মসুত্রে সমকামীত্ব অনেকের মধ্যে বিদ্যমান । যদি কাম কে স্বীকৃতি দেয়া হয়, তবে সমকামকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না কেন? নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাকে বৃদ্ধি না করতে পারলে কী করে হবে । আমাদের প্রযুক্তি এগিয়েছে মানসিকতা প্রস্তর যুগের চেয়েও পশ্চাদপদ।
সবাইকে অসীম কৃতজ্ঞতা ।
======================
নিজস্ব ব্লগ: ।
আগ্রহ: ক্রিকেট, বিনোদন, চলচ্চিত্র, স্মৃতিচারণ ।
মুক্তাঙ্গন - ১ আগস্ট ২০০৯ (৯:৪১ পূর্বাহ্ণ)
@saiful2000
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার দেয়া ১৮+ ব্লগের লিন্কটি মুছে দিতে বাধ্য হলাম। সেটি ১৮+ বলে নয়, সেখানে স্বীকৃত একটি মানদন্ড (যেমন: child abuse) উপেক্ষিত হয়েছে বলে। আশা করি এই প্রয়োজনীয় সীমারেখাগুলোর প্রতি আমরা সবাই আরও শ্রদ্ধাশীল হতে পারবো।
রায়হান রশিদ - ৩১ জুলাই ২০০৯ (১০:২৫ অপরাহ্ণ)
হিজড়া সম্প্রদায়ের মানবাধিকার এবং তাদের জীবনমান নিয়ে রণদীপম বসু সচলায়তনে একটি পোস্ট লিখেছেন, যার সাথে এই রায়ের বিষয়বস্তু (দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা) সরাসরি জড়িত। এই আলোচনাগুলোকে যতভাবে সম্ভব মূল ধারার বিতর্কে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ মুনিম - ১ আগস্ট ২০০৯ (৪:০২ পূর্বাহ্ণ)
অভিজিত্ রায়ের লেখাটি পড়ে দারুন লাগলো। কয়েকবছর আগে এক গোঁড়া শেতাঙ্গের সাথে আলাপ হয়েছিল সমকামীতা নিয়ে। তিনিও সমকামীতাকে প্রকৃতিবিরুদ্ধ বলেছিলেন। সমকামীতা নিয়ে তেমন কিছু জানতাম না বলে কিছু বলিনি। মার্কিন সমাজে সমকামীদের সহ্য করা হলেও তাঁদের প্রায়ই বিদ্রুপ আর তাচ্ছিল্ল্যের দৃষ্টিতে দেখা হয়। সমকামীতাকে স্বীকৃতি দিলে আমাদের হাজার বছরের অনেক সংস্কার আর বিশ্বাসেরই মূলে টান পরে। আর টান পরাটাই প্রয়োজন। সমকামীতাকে স্বীকার করা মানে, সামন্তবাদী মনোভাব আর ধর্মীয় গোঁড়ামীকে বিদায় দেয়া, ধর্মের সামাজিকীকরন এবং রাজনীতিকরনও তাতে বন্ধ হয়ে যায়।
SUCI এর বিবৃতিটি দেখে Soviet Union এ সমকামীতার ব্যাপারটা জানতে ইচ্ছে হলো। Maxim Gorky সমকামীতাকে bourgeois degradation বলেছিলেন আর Stalin সমকামীতাকে penal code এর আওতায় আনেন (৫ বছর কারাদন্ড)। সমকামীতার ‘বিজ্ঞানসম্মত’ ব্যাখ্যা ছিল এটি একটি ‘অসুস্থতা’ এবং মহিলা সমকামীদের ‘চিকিৎসার’ ব্যবস্থাও রাখা হয়। এই নিয়ে একটি link এখানে।
Pingback: [Hijra] হিজড়া, প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার ! « horoppa-হরপ্পা
Nezamul Karim - ৭ আগস্ট ২০০৯ (১০:২৮ পূর্বাহ্ণ)
The urban Bangladesh perspective:
http://unheardvoice.net/blog/2009/08/07/gay-straight-or-msm/
ইনসিডেন্টাল ব্লগার - ৮ আগস্ট ২০০৯ (২:৪৫ অপরাহ্ণ)
ট্রান্স-জেন্ডারদের নিয়ে ডানকান টাকার পরিচালিত ফেলিসিটি হফম্যান অভিনীত Transamerica (2005) ছবিটি কিন্তু দেখার মত। অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এই মানবিক বক্তব্যসম্পন্ন ছবিটি সমালোচকদের সুনাম কুড়িয়েছে।
Pingback: [Hijra] হিজড়া, প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার ! « h-o-r-o-p-p-a-হ-র-প্পা
মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (৭:৪২ অপরাহ্ণ)
কিছুদিন আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে “highly immoral” বলার পর আজ ভারত সরকার বলছে সমকামিতা বৈধ এবং সরকার ২০০৯ সালের ভারতীয় হাইকোর্টের “সমকামিতা অপরাধ নয়” এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে না।
লিন্ক : Gay Sex Legal, Says India Government।
Pingback: হিজড়া « Welcome To www.Techspacebd.wordpress.com
মোহাম্মদ মুনিম - ১১ ডিসেম্বর ২০১৩ (১০:০৬ অপরাহ্ণ)
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ২০০৯ সালের রুলিং থেকে ইউ টার্ন নিয়েছে, মানে সমকামিতাকে আবার ক্রিমিনালাইজ করেছে
NEW DELHI (Reuters) – India’s Supreme Court on Wednesday reinstated a ban on gay sex in the world’s largest democracy, following a four-year period of decriminalisation that had helped bring homosexuality into the open in the socially conservative country.
In 2009 the Delhi High Court ruled unconstitutional a section of the penal code dating back to 1860 that prohibits “carnal intercourse against the order of nature with any man, woman or animal” and lifted the ban for consenting adults.
The Supreme Court threw out that decision, saying only parliament could change Section 377 of the penal code, widely interpreted to refer to homosexual sex. Violation of the law can be punished with up to 10 years in jail.
The move shocked rights activists around the world, who had expected the court simply to rubber-stamp the earlier ruling. In recent years, India’s Supreme Court has made progressive rulings on several issues such as prisoners’ rights and child labour.
“It’s a black day for us,” said Anjali Gopalan, the executive director of the Naz Foundation, a Delhi-based NGO that works on sexual health and led the consortium of advocacy groups defending the 2009 judgment.
“I feel exhausted right now, thinking that we have been set back by 100 years.”
U.S. actress Mia Farrow described the decision as “a very dark day for freedom and human rights,” in a post on Twitter.
India’s Law Minister Kapil Sibal said the government could raise the matter in parliament. The government of Prime Minister Manmohan Singh was seen to broadly support the 2009 ruling, and some ministers said they opposed Wednesday’s rollback.
But it seems unlikely the government will risk taking a stand on the issue in the short term. General elections are due by next May and the socially conservative Hindu nationalist opposition is already gathering momentum.
India’s gay culture has opened up in recent years, although the country remains overwhelmingly conservative and sex outside marriage, even among heterosexual couples, is largely frowned upon. India’s first gay pride march took place in the eastern city of Kolkata in 1999 and only around a dozen people attended.
Yet, since 2008, India’s capital Delhi, its financial centre, Mumbai, the IT hub of Bangalore and other cities have started holding much larger events. Gay film festivals and university campus groups have also sprung up.
The 2009 judgment had allowed people to organise such events far more openly by protecting gay people from being fired because of their sexuality, and has meant that doctors could no longer refuse to treat homosexuals, activists say.
“The vocabulary surrounding us was about pornography, but it became about dignity,” said Gautam Bhan, a 33-year-old consultant for a research centre in Bangalore, who came out when he was 18.
Gay rights activists have also long argued that the current law reflects British colonial standards of morality and not Indian traditions. India’s trans-gender community, known as the Hijras, have played a role in its society for hundreds of years.
It is common to see heterosexual men holding hands in India, but displays of affection between men and women are discouraged.
The 2009 ruling was the result of a case brought by the Naz Foundation, which fought a legal battle for almost a decade. After the ruling, a collective of mostly faith-based groups took an appeal to the Supreme Court.
The Naz Foundation and other groups could now seek a review or a so-called “curative petition” to overturn the Supreme Court’s ruling, but these options rarely succeed, said Arvind Narrain, one of the lawyers representing the advocacy groups.
The activists hope to have more success by using the media and protests to put public pressure on the court for a U-turn.
“The Supreme Court has honoured the sentiments of Hindus, Muslims, Sikhs, Christians and those who believe in morality,” said Baba Ramdev, a controversial but popular Hindu spiritual leader.
“Today they are talking about men having sexual relationships with men, women with women; tomorrow they will talk of sexual relationships with animals.”
Gay rights protesters held a demonstration on Wednesday in Delhi and some Indians changed their Facebook profile pictures to show two men kissing in a sign of their support for homosexuality.
In an apparent protest against the ruling, suspected hackers posted the phrase “supremecourt is so gay” on Pepsi India’s Twitter account on Wednesday. The post was deleted and Pepsi India said its account had been “compromised.”
(Reporting by Shyamantha Asokan; Additional reporting by Arnika Thakur; Editing by Frank Jack Daniel and Clarence Fernandez)
মাসুদ করিম - ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ (১:৪৮ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ (১২:২৭ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ (২:২৪ অপরাহ্ণ)