ব্রিটেনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট-এ গেল মে মাসের ২৪ তারিখে ছাপা সংবাদের শিরোনাম: বাংলাদেশ ইজ সেফ হেভেন ফর ব্রিটিশ ইসলামিক টেরোরিস্টস। শিরোনামের খানিকটা উদ্ধৃতাংশের মধ্যে রাখলেও ইনডিপেনডেন্ট-এর তাগিদ যে ওই উদ্ধৃতাংশকেই মানুষজনের মনে স্থায়ী করে দেয়া, বাংলাদেশকে ব্রিটিশ-ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে প্রমাণের নানা ইঙ্গিত ও ধারণা তুলে ধরা, তা বলাই বাহুল্য। উপশিরোনামে যে-বাক্যটি ব্যবহার করা হয়েছে, তার মর্মার্থ আরও উদ্বেগজনক,- পাকিস্তানে প্রতিরোধের মুখে পড়ায় এখন সেখানকার মৌলবাদীরা প্রশিক্ষণের জন্যে নতুন এক আস্তানা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্রিটেনে বাংলাদেশের একটি হাইকমিশন আছে, প্রতিদিনই প্রত্যাশা করেছি হয়তো সেখানে প্রকাশিত হবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবাদবিবৃতি। কিন্তু সেরকম কিছু আমার চোখে পড়েনি। এমনকি, সংবাদটি সম্পর্কে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নীরব [...]

কারও কি চোখে পড়েছে ব্রিটেনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট-এ গেল মে মাসের ২৪ তারিখে ছাপা হওয়া ওই সংবাদটি? প্রথম পাতায় ছাপা হয়নি বটে; তাই বলে মোটেও গুরুত্বহীন নয় ওই সংবাদ। শিরোনামেই আমরা খুঁজে পাই ওই গুরুত্বের গন্ধ : বাংলাদেশ ইজ সেফ হেভেন ফর ব্রিটিশ ইসলামিক টেরোরিস্টস। শিরোনামের খানিকটা উদ্ধৃতাংশের মধ্যে (সেফ হেভেন ফর ব্রিটিশ ইসলামিক টেরোরিস্টস) রাখলেও ইনডিপেনডেন্ট-এর তাগিদ যে ওই উদ্ধৃতাংশকেই মানুষজনের মনে স্থায়ী করে দেয়া, বাংলাদেশকে ব্রিটিশ-ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে প্রমাণের নানা ইঙ্গিত ও ধারণা তুলে ধরা, তা বলাই বাহুল্য। এরপর সংবাদটির উপশিরোনামে যে-বাক্যটি ব্যবহার করা হয়েছে, তার মর্মার্থ আরও উদ্বেগজনক,- পাকিস্তানে প্রতিরোধের মুখে পড়ায় এখন সেখানকার মৌলবাদীরা প্রশিক্ষণের জন্যে নতুন এক আস্তানা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তার মানে, এখানেও আমরা ইঙ্গিত পাই সেই নতুন আস্তানা হিসেবে বাংলাদেশের দিকে সন্দেহের তীর ছুঁড়ে দেয়ার। ব্রিটেনে বাংলাদেশের একটি হাইকমিশন আছে, আমি পরবর্তী কয়েকদিন ইনডিপেনডেন্ট খুব মনযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, প্রতিদিনই প্রত্যাশা করেছি হয়তো সেখানে প্রকাশিত হবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবাদবিবৃতি। কিন্তু সেরকম কিছু আমার চোখে পড়েনি। সংবাদটি প্রকাশের আগে ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি লন্ডনেই ছিলেন এবং কথা বলেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে পরদিন তিনি রওনা হয়েছেন সিরিয়ার পথে। এরকম এক সময়ে এরকম একটি সংবাদ প্রকাশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টনক নড়ার কথা ছিল। কিন্তু সংবাদটি সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নীরব রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের কোনও পত্রিকাও সংবাদটি ট্রান্সক্রিপ্ট করেনি, কোনও কলামিস্টও এ নিয়ে কোনও কলাম লিখেছেন বলে মনে হয় না। লোকে বলে, নীরবতা সম্মতির লক্ষণ। এ ক্ষেত্রেও কি তা হলে তাই ঘটেছে?

তথ্য ও পরিস্থিতির নিরিখে অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌলবাদী ও ইসলামী জঙ্গি সংগঠন এখন খুবই সক্রিয়। জোট সরকারের আমলে একযোগে দেশটির ৫০০ স্থানে বোমা হামলার ঘটনা তারই প্রমাণ। কিন্তু পাশাপাশি এটিও সত্য যে, বাংলাদেশের জনগণের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে মৌলবাদবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের। বাংলাদেশে বার বার সামরিক শাসন এসেছে, এই সামরিক শাসনের হাত ধরে এসেছে ধর্মজ রাজনীতি। সামরিক শাসন টিকে থাকতে পারেনি বটে, কিন্তু ধর্মজ রাজনীতিকে অনুপ্রবিষ্ট করে রেখে গেছে কথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভেতর। বাংলাদেশের মানুষ যেমন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, তেমনি সংগ্রাম করে চলেছে ধর্মজ রাজনীতির বিরুদ্ধেও। শুভ-অশুভের এরকম সংগ্রাম সব দেশেই আছে। খোদ জার্মানীতেও নাৎসীবাদীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই, ব্রিটিশ রাজ্যেও সক্রিয় রয়েছে বিএনপি নামের বর্ণবাদী রাজনৈতিক দল; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এসব দেশ নাৎসীবাদ কিংবা বর্ণবাদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু সত্যি হলো, তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতির ক্ষেত্রে বিষয়টিকে এরকম সংগ্রামময় হিসেবে দেখতে রাজী নয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি, তাদের প্রচারমাধ্যমগুলি। ইনডিপেনডেন্ট-এ প্রকাশিত সংবাদটিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সূত্র ব্যবহার করে পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, বাংলাদেশে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ব্রিটেনের জন্যে হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। বলা হয়েছে, ব্রিটিশ জঙ্গি মুসলিমদের বাংলাদেশ কানেকশন ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং কোনও কোনও সময় এরা তৃতীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলংকা হয়ে বাংলাদেশ সফর করছে।

আমরা জানি না, এ সংবাদে কতটুকু সত্যতা আছে। এই সংবাদটি লিখেছেন সাংবাদিক রাচেল শিল্ডস,- যিনি এর আগে কোনও রাজনৈতিক সংবাদ লিখেছেন বলে চোখে পড়েনি; বরং ইনডিপেনডেন্ট-এ দেখা গেছে, তাকে বিভিন্ন সময় বিনোদনমূলক প্রতিবেদন লিখতে। তার মানে এই নয় যে, তিনি কোনও রাজনৈতিক সংবাদ লিখতে পারবেন না; কিন্তু লেখার সময় তাঁর মনে রাখা উচিত ছিল, তিনি যেমন ব্রিটেনের স্বার্থ নিয়ে উদ্বিগ্ন তেমনি বাংলাদেশেরও অনেক মানুষ আছেন ব্রিটেন ক্রমশ ইসলামী জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে বলে শঙ্কিত বোধ করতে পারেন। সংবাদটি লক্ষ্য করুন,- ব্রিটেন থেকে ইসলামী জঙ্গিরা তাদের প্রশিক্ষণের জন্যে যাচ্ছে বাংলাদেশে; তার মানে, ব্রিটেনই এ ধরণের জঙ্গিবাদের মূল উৎস। এইসব জঙ্গিরা জন্ম নিয়েছেন ও বড় হয়েছেন খোদ ব্রিটেনেই; তারা শিক্ষাদীক্ষাও নিচ্ছেন এই দেশটিতে, তাদের গায়েগতরে যে-চর্বি জমেছে তাও ব্রিটেন নামের দেশটির জলবায়ু ও খাদ্যদ্রব্যের কল্যাণে। তার মানে খোদ ব্রিটেনেরই এখন উচিত ভালো করে তলিয়ে দেখা, তাদের রাজনৈতিক ও শিক্ষা ব্যবস্থায় কী গলদ রয়েছে, যার কারণে এরা জঙ্গিমনস্ক হয়ে উঠছে এবং অস্ত্রবাজির প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্যে এ-দেশ ও-দেশ ছুটে বেড়াচ্ছে।

কিন্তু ব্রিটেনের নীতিনির্ধারকরা নিজেদের দিকে ফিরে তাকাতে নারাজ। আর এর ফল এর মধ্যেই পেতে শুরু করেছেন তারা। জঙ্গিহামলা এখানে সশব্দে ঘটেছে, তাই অনেক আগেই তা আমাদের চোখে পড়েছে, কিন্তু চোখে পড়েনি রাজনৈতিক নেতাদের নৈতিক পতন, কেননা তা নীরবে ঘটেছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী ও সাংসদদের যে-ফিরিস্তি বের হচ্ছে তাকে ঠিক অর্থ কেলেঙ্কারী বলা চলে না, তাকে আসলে বলা উচিত অর্থ ছ্যাঁচরামি। একযোগে এত সাংসদের এরকম অর্থ ছ্যাঁচরামি করার উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল। এই অর্থ ছ্যাঁচরামিতে অভিযুক্তদের তালিকায় জ্যাকি স্মিথও রয়েছেন। ইনডিপেনডেন্ট-এর কল্যাণে আমরা জানতে পারছি যে, জ্যাকি স্মিথই গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করেছেন সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশ কীভাবে একযোগে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশে। ইতিমধ্যে এ-সংবাদও ফাঁস হয়েছে, ২০০৫ সালে এক ব্রিটিশ-বাঙালি তরুণকে বাংলাদেশে ইন্টারোগেশন করা হয়েছে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এবং জ্যাকি স্মিথেরও তা জানা ছিল। এই ব্রিটিশ-তরুণটিরও হয়তো কস্মিনকালে বাংলাদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো না, যদি না লন্ডনে সাত জুলাই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা না ঘটতো। বাংলাদেশের পত্রিকা প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, তার জমজ ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না এবং ধারণা করা হচ্ছে সে বোমা বিস্ফোরণের সময় মারা গেছে। এ হেন একটি অপকর্ম (অভিযোগ অনুযায়ী) ঘটিয়েই এই ছেলে জীবনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যায় এবং বিয়ে করে স্কুলপড়ুয়া এক মেয়েকে। বুঝুন অবস্থা। সে সত্যিই জঙ্গি কি না, তা এখন আদালতের ব্যাপার, কিন্তু এটি তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি, ব্রিটেনে লেখাপড়া করার পরও এই তরুণের বাল্যবিয়ে করতে বাধেনি, এতই দারুণ এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা!

এরকম একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকি স্মিথের ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। তিনি চান পুলিশী নিপীড়নের এমন একটি রাষ্ট্রীয় পথ পাকাপোক্তভাবে তৈরি করতে যাতে ব্রিটিশ শাসকরা ধোপদুরস্ত ভদ্রলোক হয়ে বসে থাকবে আর তাদের হয়ে নির্যাতন করে দেবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো! এই হলো ব্রিটিশ শাসকদের মানসিকতা! রাজনৈতিক নৈতিকতা যেখানে এরকম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগও বেশি, অদৃষ্টবাদের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও বেশি এবং ব্রিটেনের ক্ষেত্রে সেরকমই ঘটতে শুরু করেছে। এখানে এখন একদিকে জঙ্গিবাদ অন্যদিকে বর্ণবাদ খেলা করছে। ইনডিপেনডেন্ট তার সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করার জন্যে ব্রিটেনে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি ফয়সাল মোস্তফার প্রসঙ্গও টেনে এনেছে। প্রশ্ন হলো, যে-মানুষটির জন্ম ব্রিটেনে, যে-মানুষটির শৈশব-কৈশোর, লেখাপড়া থেকে শুরু করে সব কিছুই ব্রিটেনে, যে-মানুষটি বাংলাদেশে বসবাস করেইনি বলা চলে, সে যদি জঙ্গিমনস্ক হয় তা হলে তার জন্যে কি বাংলাদেশ দায়ী নাকি ব্রিটেন দায়ী? এরকম ফয়সাল কিংবা একাধিক ফয়সাল যদি বাংলাদেশে গিয়ে জঙ্গীপ্রশিক্ষণের অপচেষ্টা চালায়, তা হলে তার জন্যে কি বাংলাদেশ দায়ী? নাকি উল্টো বাংলাদেশেরই সুযোগ রয়েছে ব্রিটেনকে দায়ী করার?

কার্যত বাংলাদেশ ব্রিটেনকে দায়ী করতে পারবে না, কেননা সে তৃতীয় বিশ্বের দেশ, কেননা দেশটি থেকে অনেক মানুষ ব্রিটেনে ইমিগ্র্যান্ট করেছে, কেননা সেখানে গণতান্ত্রিক শাসনের বদলে সামরিক শাসনই ছিল অনেক সময় জুড়ে। ব্লাক ওয়াচ গ্লোবাল সংগঠনের অ্যান্ড্রু ব্ল্যাককে উদ্ধৃত করে তাই ইনডিপেনডেন্ট লিখতে পারে যে, বাংলাদেশ নিডস টু ডেভেলপ সিস্টেমস টু ট্র্যাক ইনডিভিজুয়াল।

এখন আমাদের চিন্তা করে দেখার সময় এসেছে, বাংলাদেশকে কি এরা সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়, নাকি চায় একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করতে? সামনাসামনি যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, বলে ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ব্যক্তিঅধিকারের কথা, তারা যখন আবার এমন একটি ব্যবস্থা বিকাশ করার কথা বলে যা ব্যক্তিকে কারণে-অকারণে সনাক্তকরণের জন্যে পিছু ধাওয়া করে বেড়াবে, তখন প্রচ্ছদপটে গণতান্ত্রিকতার উজ্জ্বল রং যতই রাখা হোক না কেন, আসলে যে তারা একটি ফ্যাসীবাদী রাষ্টকাঠামোরই ওকালতি করে, তা বোধকরি বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে বিভিন্নভাবে তারা উৎসাহিত করছে সেই পথে এগিয়ে যেতে। সত্যিকার অর্থে, বলতে গেলে ব্রিটেনেরই এখন প্রয়োজন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের, এমন একটি ব্যবস্থার গোড়াপত্তনের যাতে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও আলোবাতাসের গুণে কেউ জঙ্গিতে পরিণত না হয়। দুইশ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের মাধ্যমে ব্রিটেনের রাষ্ট্রকাঠামোয় যে পাপ জমেছে, যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, যে সর্বনাশা অত্যাচার-মনস্কতা তৈরি হয়েছে, ব্রিটেনের জঙ্গিবাদও তারই একটি নতুন প্রকরণ। তা এখন ধাওয়া করতে চলেছে বাংলাদেশকে। আর ব্রিটেনের ইনডিপেনডেন্ট এর মূল না খুঁজে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে। একটি জঙ্গিপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস করা সম্ভব, কিন্তু একটি জঙ্গিমনস্কতা তৈরির কেন্দ্র ধ্বংস করা অত সহজ নয়; দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ব্রিটেন নামের দেশটিই হয়তো জঙ্গিমনস্কতা তৈরির কেন্দ্র হয়ে উঠছে, নইলে এ দেশটি থেকে জঙ্গিরা পৃথিবীর এ-দেশে ও-দেশে গিয়ে হানা দেবে কেন? জঙ্গিপ্রশিক্ষণের জন্যেই বা এখানকার নব্যপ্রজন্ম মরিয়া হয়ে উঠবে কেন?

যাই হোক, গত ২৪ মে বাংলাদেশ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটির ক্ষেত্রে দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট যে-দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে, আমরা আবারও তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আশা করি, লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন অচিরেই এ সংবাদের প্রতিবাদ করবেন। কেননা এরকম মিশনগুলির উদ্দেশ্যই হলো বিদেশে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা, বিদেশের গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পেলে মিশনের নীরবতা কারোরই কাম্য নয়।

সাবস্ক্রাইব করুন
অবগত করুন
guest

10 মন্তব্যসমূহ
সবচেয়ে পুরোনো
সাম্প্রতিকতম সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত
Inline Feedbacks
View all comments
10
0
আপনার ভাবনাগুলোও শেয়ার করুনx
  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.