রায়গোপালদা তবলা বাজাতেন। বাজিয়ে হিসেবে তেমন পরিচিত কেউ ছিলেন না। তবে নাম পরিচয়হীন একজন গুণী বাজিয়ে ছিলেন—তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সংসার চালাতেন তবলার শিক্ষকতা করে। প্রায় দেড় যুগ ধরে তবলার শিক্ষকতা করছেন। ২৭ জুলাই-ও চকরিয়া যাচ্ছিলেন তবলার শিক্ষকতার কাজে, সাতকানিয়ার রানীরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় আরো চার জনের সঙ্গে প্রাণ হারালেন। আমাদের রাস্তাগুলোতে, দিনের পর দিন, প্রাণ হারানো যেন খুবই নিয়মিত ঘটনা হয়ে পড়েছে। আমি বিষন্ন হয়েছি রায়গোপালদার জন্য, তো তার পরমুহূর্তেই আপনি হাহাকার করে উঠেছেন আর কারো জন্য। যে পরিমাণ যোগাযোগ অব্যবস্থাপনা, গাড়ির তুলনায় সড়কের যা অভাব, বেপরোয়া গাড়িচালকদের দৌরাত্ম্য—সব মিলিয়ে একে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলবার কোনো কারণ কি আর আছে? জানি না আর কতকাল অকালে এভাবে প্রিয়জন হারানোর বেদনা সইতে হবে। আমরা হয়তো যতো জন্মাই ততো মরি। কী যে জন্ম আমাদের! এদেশে কী বিকট জীবন যাপন আমাদের, অপঘাত দুর্ঘটনায় এ এক মহাদুর্যোগ। কোথায় জন্মালাম, হতাশা ছাড়া এ জীবন আমাদের কিছুই দিতে পারে না...