এখন অমর একুশে বইমেলা নামে বাংলা একাডেমিতে আমাদের যেবইমেলাটি হয় তাতে পাঠকের কাছে বইবিক্রিটাই সারকথা, এটা একটা পুরনো ধাঁচের বইমেলা যাতে আমার তেমন কোনো উৎসাহ আর নেই [...]

এখন অমর একুশে বইমেলা নামে বাংলা একাডেমিতে আমাদের যেবইমেলাটি হয় তাতে পাঠকের কাছে বইবিক্রিটাই সারকথা, এটা একটা পুরনো ধাঁচের বইমেলা যাতে আমার তেমন কোনো উৎসাহ আর নেই, যদিও আমাদের দেশে মেলা মানেই বিক্রয় উৎসব তারপরও বই নিয়ে আমাদের অন্যরকম মেলার আয়োজন শুরু করার কথা ভাবতে শুরু করা উচিত, মানে এই মেলাটা থাকুক এটার মতো কিন্তু আরেকটি বিক্রয়মুক্ত মেলার ছক এখন থেকেই কষে ফেলা দরকার, আমি চাই বইয়ের প্রকাশক লেখক সম্পাদক পরিবেশক লিটলম্যাগাজিনেরসম্পাদক মিডিয়ারসাহিত্যসম্পাদক ছাপাখানা ডিজাইনার প্রচ্ছদশিল্পী প্রুফরিডার বাইন্ডার পরিবহনকারী বিক্রেতা এদেরকে নিয়ে একটা মেলা হোক, সেই মেলা হোক এই সবার মধ্যে ভাবনা বিনিময় ও বার্ষিক বা দ্বিবার্ষিক মিলনমেলা। এখানে সবাই তার পসরা সাজাবে বিক্রয়ের জন্য নয় এটা বলার জন্য আমি একাজটা করি এবং একাজটা করতে আমি কতজনের সাথে সম্পৃক্ত হই এবং একাজটাকে টিকিয়ে রাখতে হলে ও একাজটার উৎকর্ষ সাধন করতে হলে আমাদেরকে নিয়মিত বিরতিতে সম্মিলিত ভাবনা বিনিময়ের একটা ভিত্তিভূমির পত্তন করতে হবে। তেমন একটা মেলা মানে বইমেলার অপেক্ষায় আছি বহুবছর ধরে। আর একটা কথা, এই মেলাটি ঢাকায় হলেও আমি চাইব

যেখানেই বাংলা ভাষায় বই উৎপাদনের কাজ হয় [এক ভাষা কয়েকটি সাহিত্য কোথায় কেন্দ্র] তাদের সবাইকে এই মেলার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শীতের সন্ধ্যা। হিম-হিম হাওয়া। টিএসসি পেরিয়ে হাঁটছি বইমেলার পথ ধরে। ফেব্রুয়ারি এলে সব পথ যে পথে গিয়ে মেলে, তা হলো বইমেলা প্রাঙ্গণ। হাঁটছি আর ভাবছি। আমাদের বইমেলার মতো এতো প্রাণময় বইমেলা পৃথিবীর আর কোথাও কি আছে? [...]

শীতের সন্ধ্যা। হিম-হিম হাওয়া। টিএসসি পেরিয়ে হাঁটছি বইমেলার পথ ধরে। ফেব্রুয়ারি এলে সব পথ যে পথে গিয়ে মেলে, তা হলো বইমেলা প্রাঙ্গণ। হাঁটছি আর ভাবছি। আমাদের বইমেলার মতো এতো প্রাণময় বইমেলা পৃথিবীর আর কোথাও কি আছে? পৃথিবীর আর কেউ কি আমাদের মতো এতো আবেগ নিয়ে বইমেলায় আসে! এতো ভালবাসা বুকে নিয়ে পৃথিবীতে আর কেউ কি নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়? এইসব ভাবতে ভাবতে এগিয়ে যাচ্ছি বইমেলার প্রবেশ তোরণের কাছে। একা। চারপাশে প্রচুর মানুষের ভিড়। কেউ প্রিয় মানুষটির হাত ধরে, কেউ দল বেঁধে এগুচ্ছে বইমেলার দিকে। এদের কাউকেই আমি চিনি না। কিন্তু কেন জানি তাদের সাথে এক ধরনের নৈকট্য অনুভব করছি। কেন? কারণ এই মুহূর্তে আমাদের সবার প্রাণে বাজছে বইমেলার সুর। আমরা সবাই একই নিমন্ত্রণে যাচ্ছি। বইয়ের নিমন্ত্রণে। একা হাঁটছি। তবু একাকিত্ব অনুভূত হচ্ছে না এক ফোঁটাও! বাংলা একাডেমির গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই কয়েক ফুলশিশু এগিয়ে আসে। তাদের হাতে নানা রঙের ফুল। মন ভরে যায়! এক তাড়া ফুল এগিয়ে দিয়ে একটি শিশু বলে, ফুল কিনবেন? আমি বললাম, ফুল তো লাগবে না। — কিনলেই লাগবে। — কীভাবে লাগবে? — কিনেন আফা, কিনেন। পাশের শিশুটি বলে ওঠে। আমি ফুলগুলোর দিকে না তাকিয়ে শিশুদের দিকে তাকিয়ে থাকি। ভাবি, ফাল্গুন আসতে আর কয়দিন বাকি? কেন জানি, ফাল্গুনের জন্য অপেক্ষাটা হঠাৎ তীব্র হয়ে ওঠে! মিষ্টি এই শিশুরা সবাই রঙিন পোশাক পরেছে আজ। তাদের চোখেমুখে আমি ফাগুনের ছোঁয়া দেখি। এতো সুন্দর! ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করি। ক্লিক করতেই মহা খুশি ওরা। আনন্দে বিভিন্ন পোজ দেয়। আমিও একের পর এক ক্লিক করতে থাকি। ওরাও বুঝে গেছে, ওরা মডেল। ছবি তোলা শেষে সপ্রতিভ আবদার, এইবার টাকা দেন, নাইলে ফুল কিনেন। ফুল বেইচে ভাত খামু। ব্যাগ থেকে দশ টাকার একটি নোট বের করে দিলাম। বললাম, এটা নাও, ফুল লাগবে না। শিশুটি মলিন মুখে আমার হাতে ফুলের একটি তোড়া দিল। আমি বললাম, এই ফুলের দাম কি দশ টাকা? সে বললো, না, আরো বেশি, তবু দিলাম। আমি এবার আরো দুটি দশ টাকার নোট এগিয়ে দিয়ে বললাম, এবার হয়েছে? ফিক করে হেসে দিয়ে বললো, খুব হইসে! দশ টাকার তিনটি নোট হাতে নিয়ে এমনভাবে ছুট…

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.