সুপারিশকৃত লিন্ক: অক্টোবর ২০০৯

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

২৯ comments

  1. অবিশ্রুত - ১ অক্টোবর ২০০৯ (৬:০২ অপরাহ্ণ)

    নাওমী ক্লেইন ও মাইকেল মুরের মধ্যেকার সাম্প্রতিকতম একটি কথোপকথন, যাতে তারা কথা বলেছেন মুরের চলচ্চিত্র, বর্তমান বিশ্বরাজনীতি এবং অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে। এটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য নেশন পত্রিকার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সংখ্যায়।

  2. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০০৯ (৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    ওপারের ছেলেবেলা ১৯৩১-১৯৪৭-এর লেখক জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাত ১০টা ১৫মিনিটে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি কিডনির রোগে ভুগছিলেন। খবরটি পড়ুন এখানে। তার ওপারের ছেলেবেলা তিনি শেষ করেছিলেন এভাবে:

    আমার বয়স এখন ৭৪ চলছে। সময় পেলে আমার এপারের জীবন আর তার মাঝে মাঝে বজ্রযোগিনীর নানা রূপ দর্শনের কথা বলে যাবো। কিন্তু আমার জন্মভূমি বজ্রযোগিনীর যে অবিনশ্বর ছবি আজও আমার অস্তিত্বের গভীরে জেগে আছে, সে ছবি আমার শৈশব আর কৈশোরে দেখা বজ্রযোগিনীর। যেখানে প্রকৃতির সবুজে, অশ্বথ্বের ছায়ায়, দিঘির কালো জলে আর নদীর কলতানে গড়ে উঠেছিল আমার জীবনের প্রথম পনেরো বৎসর। যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর নির্মাণ করেছিল আমার পরিবার ও সমাজ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ও অগাস্ট বিপ্লব, পঞ্চাশের মন্বন্তর, স্বাধীনতা সংগ্রাম আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। আর আমার নূতন পৃথিবীর স্বপ্ন।

    • মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০০৯ (৩:৩৪ অপরাহ্ণ)

      ওপারের ছেলেবেলা ১৯৩১-১৯৪৭-এর মুখবন্ধে তিনি লিখেছেন:

      …এই স্মৃতিকথা আমার কিছুটা বৈচিত্রময় জীবনকাহিনীর আদিপর্ব মাত্র। দ্বিতীয় পর্বে আছে এপার বাংলায় বন্যায় ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মতো আমার এবং আমাদের ছিন্নমূল বাস্তুহারা দরিদ্র পরিবারের ভীষণ কঠিন জীবন সংগ্রাম। তারপর আছে প্রথমে ভারতীয় ফরেন সার্ভিসের কূটনীতিক রূপে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষা ও মনন জগতে আমার আন্তর্জাতিক বিচরণ, ইংরেজি ও বাংলায় মননশীল ও মতাদর্শভিত্তিক গ্রন্থ রচনা, সমাজ পরিবর্তনের বিরামহীন তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উদ্যোগ, মতাদর্শের উৎকণ্ঠা ও বিবর্তন, আর প্রান্তিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ইতিহাস। সে ইতিহাস জাগতিক লাভ-লোকসানে প্রায় শূন্য। কিন্তু মননে, জিজ্ঞাসায়, অভিজ্ঞতায় ও অনুভূতিতে সমৃদ্ধ। আর তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে আছে আমার জীবিতকালে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ও বাইরে পৃথিবীর চলমান ইতিহাস। সময় পেলে সে অন্তরঙ্গ ইতিহাসের কিছুটা বলে যাবার সাধ রইলো।

      জানি না লেখক তার সাধ পূরণ করে যেতে পেরেছিলেন কি না।

  3. অবিশ্রুত - ৬ অক্টোবর ২০০৯ (৪:১৪ অপরাহ্ণ)

    বারাক ওবামা ক্রমশঃই সুস্পষ্ট চেহারায় আবির্ভূত হচ্ছেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈনিকদের নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত কোনও পন্থা হতে পারে না।

  4. মাসুদ করিম - ৬ অক্টোবর ২০০৯ (১০:৩৬ অপরাহ্ণ)

    অল্পবয়সীরাই প্রধান ক্রেতা। ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে বেশ কয়েকটি ভিসিডির দোকান। মগবাজার, পল্টন, খিলগাঁও, তেজগাঁও, মহাখালী ও গুলশানে এ ধরনের ভিসিডি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রথম আলোর রিপোর্ট রাজধানীতে পর্নো ভিসিডি তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে।

  5. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০০৯ (১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    ‘অকুণ্ঠ গদ্যে ও ঘন কবিতায় হেয়ারটা মুলার সম্পত্তি ও সম্পদ থেকে উচ্ছেদকৃত মানুষের ভুমিচিত্র নির্মাণ করেছেন’ সুইডিশ একাডেমি এভাবেই বর্ণনা করেছেন এ বছরের নোবেলজয়ী হেয়ারটা মুলারের সাহিত্যকে।

    জার্মানরা এতে খুবই আনন্দিত। কিন্তু বার্লিন দেয়াল ভাঙ্গার ও দুই জার্মান একত্রীকরণের ২০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখেই কমিউনিস্ট একনায়কতান্ত্রিকতা বিরোধী মুলারকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এই পুরষ্কার দেয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। আর চসেস্কুর একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ এই লেখককে রোমানিয়া বলেছে কমিউনিস্ট বিদ্বেষী। কলকাতার ‘গণশক্তি’র মনোভাবও তাই। পূর্ব ইউরোপের কমিউনিজমের পতনের বিশ বছরের সাথেও এই নোবেল পুরষ্কারকে কাকতালীয়ভাবে সন্নিহিত মনে করছেন অনেকে।

    তবে সে যাই হোক, লেখক হিসেবে তার অসাধারণত্ব মেনে নিয়েছেন সবাই। একজন ভাষাশিল্পী হিসেবে ইউরোপের বিদগ্ধ মহলে তিনি সুপরিচিত।
    কিছু লিন্ক:
    ১. জার্মান সাপ্তাহিক ‘স্পিগেল’-এর ইংরেজি সার্ভিস থেকে ‘নতুন মধ্য ইউরোপের জন্য প্রেরণা’
    ২. ব্রিটেনের ‘দি ইন্ডেপেন্ডেট’-এর খবর
    ৩. ব্রিটেনের ‘গার্ডিয়ান’-এর খবর
    ৪. আমেরিকার ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর খবর
    ৫. জার্মানির সাপ্তাহিক ‘স্টেয়ার্ন’ থেকে মুলারের ওপর ছবির আয়োজন
    ৬. হেয়ারটা মুলারের অতিসাম্প্রতিক উপন্যাস ATEMSCHAUKEL আটেমশাউকেল থেকে ইংরেজি অনুবাদের অংশবিশেষ

  6. মাসুদ করিম - ৯ অক্টোবর ২০০৯ (৫:৪০ অপরাহ্ণ)

    ওম শান্তি ২০০৯…

  7. ইমতিয়ার - ৯ অক্টোবর ২০০৯ (৭:০১ অপরাহ্ণ)

    Is it difficult, in your field, to be a woman?
    Well, I’ve never been a man, so it’s hard to judge. I don’t have the perfect control, as we say in science – I don’t have someone called Simon who is identical to me in every regard aside from his chromosomes. I think I’ve had certain problems and certain advantages. If you walk into a room of people, most of whom are men and you are a woman, that is the thing they’ll notice. So it does have an impact. You are remembered, but you are also ignored.

    সুসান গ্রিনফিল্ডের একটি মনে রাখার মতো সাক্ষাৎকার

  8. সাবরিনা ওয়াদুদ - ৯ অক্টোবর ২০০৯ (৮:৩৬ অপরাহ্ণ)

    শ্রীলংকার সেনাবাহিনী বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে
    ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯

    শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভাভুনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার শ্রীলংকান সেনাবাহিনী (এসএলএ)-র মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে আটক এক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে জখম হন এবং পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    বিনা বিচারে আটক ক্লিনোচ্চির কানাহাপুরামের বাসিন্দা শ্রী চন্দ্রমরগান সম্পর্কে প্রথমে খবর বের হয়েছিলো যে, অঘোষিত বন্দীশিবির পুনথুথাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় থেকে পালানোর চেষ্টাকালে সে সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা গিয়েছে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়লে বন্দীশিবির অশান্ত হয়ে উঠে এবং তখন কর্তৃপক্ষ ওই কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়।

    এ প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক স্যাম জারিফি বলেন, ‘বিনা বিচারে আটক ব্যক্তিদের যখন অঘোষিত স্থানসমূহে রাখা হয় এবং আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়না ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় না তখন নির্যাতন, বলপূর্বক অন্তর্ধান ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ‍মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে।’

    পুনথুথাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের মতো বন্দীশিবিরগুলো অনিয়মিত ও অস্থায়ী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ২০০৯ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই কিংবা তামিল টাইগার্স) এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যক্তিকে শ্রীলংকান নিরাপত্তা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট আধাসামরিক গ্রুপগুলো পরিচালিত অস্থায়ী বন্দীশিবিরগুলোতে আটকে রাখা হয়েছে।

    ভাভুনিয়াতে এমন কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে এবং এরা মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছে পিপলস লিবারেশন অর্গানাইজেশন অফ তালিম ইলম (পিএলওটিই), তামিল ইলম লিবারেশন অর্গানাইজেশন (টিইএলও), ইলম পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইপিডিপি) এবং তামিল মাক্কাল ভিদুথালাই পুলিকাল (টিএমভিপি)-এর উভয় অংশ।

    গত মে মাসের ২৫ তারিখে তামিল টাইগার্সের বিরুদ্ধে শ্রীলংকার সরকারি বাহিনীর বিজয় ঘোষণার ঠিক এক সপ্তাহ পরে সেনাপ্রধান সারাত ফোনসেকা ঘোষণা করেন যে প্রায় ৯০০০ তামিল টাইগার্স ক্যাডার সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমপর্ণ করেছে।

    এরপর থেকে নিয়মিতভাবে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। এই ধরনের গ্রেফতারের কিছু ঘটনা সরকারিভাবে জানানো হচ্ছে এবং সেকথা শ্রীলংকার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে এবং বাকিদের গ্রেফতার হওয়ার কথা তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে।

    আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগকে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হচ্ছে, অর্থাৎ তারা এমনকি তাদের পরিবারের সদস্য ও আইনজীবিদের সঙ্গেও দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না এবং তাদেরকে আদালতে পর্যন্ত হাজির করা হয় না।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দেশের উত্তর অংশে বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার ‍করা হচ্ছে এমন ১০টি স্কুল বিল্ডিং ও হোস্টেলের কথা নিশ্চিত করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন ধরনের আরো অঘোষিত বন্দীশিবির থাকার কথা প্রায়শ জানা যায়।

    এই ধরনের বন্দী শিবিরগুলোতে আটক ব্যক্তিদের কাছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির কোনো প্রবেশাধিকার নেই এবং তাদের নিবন্ধন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই।

    সন্দেহভাজনদের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় অনিয়মিত ও অঘোষিত স্থানসমূহে (অর্থাৎ পুলিশ স্টেশন, সরকারিভাবে ঘোষিত বন্দী শিবির কিংবা কারাগার ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান) আটক রাখার বিষয়টি শ্রীলংকাতে বারবার ঘটছে যার সঙ্গে সেখানে নির্যাতন, হত্যা ও বলপূর্বক অন্তর্ধানের মতো ঘটনাগুলোও সম্পৃক্ত।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলংকান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে সেদেশের সরকার সন্দেহভাজন যোদ্ধাদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে একথা নিশ্চিত করে যে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলের মানবাধিকার ও তাদের মর্যাদা রক্ষা পায়। সন্দেহভাজন যোদ্ধাদের খুঁজে বের করার কাজে স্বাধীন মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকা উচিৎ। সন্দেহভাজন তামিল টাইগার্সদের অবশ্যই স্বীকৃত স্থানে আটক রাখা উচিৎ এবং তাদেরকে হাজতে নেয়ার পর অনতিবিলম্বে বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির করা উচিৎ।

    আরো পড়ুন:

    শ্রীলংকান সরকার বন্দীশিবিরের তালা খুঁলে দিতে শুরু করায় শ্রীলংকার বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি (সংবাদ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)

    শ্রীলংকার সংঘাতের মানবিক মূল্য (ফিচার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)

    শ্রীলংকাতে বন্দীশিবিরগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে (সংবাদ, ৭ অগাস্ট ২০০৯)

  9. মাসুদ করিম - ১২ অক্টোবর ২০০৯ (১০:১৭ অপরাহ্ণ)

    রাজনৈতিক অর্থনীতি নয়–কারণ সেটা তো হয় দেশের জন্য, দেশ তো এখন নেই, আছে বাজার, বাজারের জন্য রাজনৈতিক অর্থনীতি হল economic governance, অর্থনৈতিক শাসন, এটাই এবারের অর্থনীতিতে নোবেলের নির্বাচন। পেয়েছেন দুজন। দুজনই বাজারের মক্কা আমেরিকার অধিবাসী। মূলমন্ত্র : বেসরকারীকরণও সমাধান নয়, সমাজতন্ত্রও সমাধান নয়–অর্থনীতির কঠিন সময়ে চাই অর্থনৈতিক শাসন। পুরস্কারপ্রাপ্ত একজনের ফেকাল্টি Political Science এবং আরেকজনের Economics, এদিক থেকে পুরস্কারটাকে মারজারও বলা যেতে পারে। আর সামনে থেকে শুধু অর্থনীতির জন্য এ পুরস্কার হয়তো আর দেয়া হবে না। Social Science, philosophy–এসবও যোগ হয়ে যেতে পারে। কারণ মহামন্দা দেখিয়ে দিল শুধু শেয়ার বাজারের সূত্র বের করে অর্থনীতির নোবেল জেতা আর সম্ভব নয়। আর শুধু অর্থনীতিবিদ দিয়ে বাজার শাসনও আর সম্ভব নয়। তাই অনেকে চেয়েছিলেন এবার অর্থনীতির নোবেল পুরস্কারটা বাদই থাকুক।
    পুরস্কারের খবরের লিন্ক : নিউইয়র্ক টাইমসগার্ডিয়ান

  10. রায়হান রশিদ - ১৪ অক্টোবর ২০০৯ (৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ)

    যুদ্ধাপরাধের বিচার-সংক্রান্ত আইন সংশোধন নিয়ে সিসিবি-তে চলমান একটি বিতর্ক

  11. মাসুদ করিম - ১৪ অক্টোবর ২০০৯ (৯:০৮ পূর্বাহ্ণ)

    গতকাল সন্ধ্যায় এবারের ফ্রান্কফুর্ট বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে, আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই বইমেলা। এবারের মেলার ‘Guest of Honor’ দেশ হল চীন। চীনের বইয়ের জগত ও এই মেলায় চীনের উপস্থিতির প্রতিক্রিয়া নিয়ে জার্মান সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘স্পিগেল’-এর ইংরেজি সার্ভিস থেকে : Controversy as Frankfurt Book Fair Fetes Beijing.

  12. মাসুদ করিম - ১৬ অক্টোবর ২০০৯ (১:৫৬ অপরাহ্ণ)

    আগুন নেভাতে আমরা শিখিনি। আগুন আবিষ্কারের পর থেকে আমরা শুধু আগুন জ্বালিয়েছি। নৈরাজ্যবাদ, ঘৃণার আগুন জ্বেলে ভালোবাসায় ফেরে? সন্ত্রাসের জোরে অধিকার আদায় করে? অন্যায়ের শেষ দেখবে বলে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করে?

    গানপাউডার, ডিনামাইট, গ্রেনেড, কালাশনিকভ, ইন্টারনেট — নৈরাজ্যের জনপ্রিয় অস্ত্র?

    ইসলামি জেহাদি — যারা নৈরাজ্যবাদীদের মতো স্বাধীনতার প্রতি চরম আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না, নারীবাদ ও সমকামীর অধিকার নিয়ে যাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই — বরং যারা চায় এদের চূড়ান্ত ধ্বংস। এই সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করতে গেলে রাষ্ট্র কী করবে?

    রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে অনেক স্বাধীনতা ও অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে নৈরাজ্যবাদ নির্মূল সম্ভব না হলেও অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে।

    কিন্তু ইসলামি জেহাদ — আরবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা… তেলের লোভ প্রশমন… — কমবে তাতে জেহাদ — নাকি ফিরে যেতে হবে কোরানের আইনে… যার কোনো বিধিবদ্ধ আকার নেই।
    পড়ুন এখানে

  13. মাসুদ করিম - ১৬ অক্টোবর ২০০৯ (৫:২৫ অপরাহ্ণ)

     শিল্পী প্রবাল চৌধুরী অসুস্থ
    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, সংগীত পরিচালক প্রবাল চৌধুরী এখন গুরুতর অসুস্থ। তিনি বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গত বুধবার রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন তিনি। তিনি এখন সংজ্ঞাহীন। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
    শিল্পী প্রবাল চৌধুরীর অবস্থা এখনো কোনো উন্নতি হয়নি। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। চিকিত্সকের উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর ছেলে ডা. মানস চৌধুরী জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
    বুধবার রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে এই শিল্পী হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুণী এই শিল্পীর সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছে তাঁর পরিবার।

  14. মাসুদ করিম - ১৭ অক্টোবর ২০০৯ (১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    শিল্পী প্রবাল চৌধুরী আর নেই
    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, সংগীত পরিচালক প্রবাল চৌধুরী আর নেই। গতকাল রাতে তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
    মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রবাল চৌধুরীর মরদেহ আজ সকালে প্রথমে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। আজ বিকেলে চট্টগ্রামের বলোয়ারদিঘি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
    গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে প্রবাল চৌধুরী হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্ত হন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের। এরপর তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তাঁর অবস্থার উন্নতি না হলে গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাঁর জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়।

  15. মাসুদ করিম - ১৯ অক্টোবর ২০০৯ (৯:১২ পূর্বাহ্ণ)

    পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গুদামে আগুন, বই ছাপানোর বিপুল কাগজ পুড়ে গেছে

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মনিটরিং করছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
    এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর পেছনে নাশকতা আছে কি না, তা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সম্ভব কি না, জানেত চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’
    তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের পর এখন আর কোনোভাবেই নির্দিষ্ট সময়ে বই সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
    এনসিটিবি ভবনে আগুন লেগেছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এনসিটিবি ভবনের আশপাশের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুত্ বিভাগ। উত্সুক মানুষ ভিড় করে এনসিটিবি ভবনের আশপাশে।
    এখানে খবরটির ভোরের কাগজের লিন্ক : পাঠ্যপুস্তকের গুদামে রহস্যজনক আগুন

  16. সাবরিনা ওয়াদুদ - ১৯ অক্টোবর ২০০৯ (৫:৫৩ অপরাহ্ণ)

    The Unheard Truth: World leaders must change debate on poverty and human rights

    15 October 2009

    In the run-up to the International Day for the Eradication of Poverty on 17 October, Amnesty International called on world leaders and policy makers to shift the debate on poverty from economics to addressing the human rights problems that impoverish and keep people poor.

    Amnesty International’s Secretary General Irene Khan stated: “Poverty is the world’s worst human rights crisis.

    “Discrimination, state repression, corruption, insecurity and violence are as much defining features of poverty as the lack of material resources. These human rights problems can’t simply be solved by raising income levels,” said Irene Khan.

    “Material benefits alone do not guarantee an end to discrimination, or improve security or give voice to those living in poverty. Investment in agriculture may boost crop yields for poor farmers but does not guarantee security of tenure against unscrupulous land owners. Building new schools doesn’t guarantee that girls will have the same access to education as boys.

    “In many countries economic growth levels may be high but people’s right to be informed and consulted in public policy is ignored; their right to express their views and be heard is curtailed. The poor are shut out and ignored.

    “Any successful poverty alleviation strategy must empower the poor to claim their rights, so that they can control their destiny and can hold decision makers to account.”

    Launching her book The Unheard Truth: Poverty and Human Rights in New York, Irene Khan argued that eradication of poverty requires respect of economic, social and cultural rights – such as health care, education and housing – alongside civil and political rights.

    “There can be no sequenced or partial approach to human rights if we want to solve poverty. Demanding participation rights is as important as directing resources to meet basic needs for food, health and shelter. Protecting people against violence is as crucial as ending discrimination. Reducing maternal mortality calls for better health care but also for the improvement of the status of women.”

    With ten chapters addressing topics such as why freedom matters, discrimination, the poverty trap, maternal mortality, slums, corporate accountability and legal empowerment, The Unheard Truth calls for justice and empowerment for the world’s poor and puts a human face to a problem that is all too often illustrated by abstract statistics.

    The Unheard Truth marks a new phase in Amnesty International’s worldwide campaign to Demand Dignity in which world leaders will be targeted and challenged to address human rights abuses that drive and deepen poverty.

    “The fight to end poverty is this generation’s greatest struggle. We will win it if we put freedom, justice and equality at its core,” said Irene Khan.

  17. মাসুদ করিম - ২২ অক্টোবর ২০০৯ (৭:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    স্কুল থেকেই সংস্কৃত ভাষা শেখার খুব ইচ্ছে ছিল। আরবি ক্লাস ফেলে কয়েকবার গিয়েও ছিলাম হিন্দু বন্ধুদের সঙ্গে সংস্কৃত ক্লাসে। আমাদের স্কুলে আমাদের বাংলা স্যারই ছিলেন সংস্কৃত স্যার, আমার সাথে তার সম্পর্ক ছিল অসাধারণ, কাজেই ক্লাসটা আমি করেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু সমস্যা তৈরি হল আরবি ক্লাস আর সংস্কৃত ক্লাস একই সময়ে হত—নিয়ম ছিল মুসলিম ছেলেরা আরবি ক্লাসে যাবে আর হিন্দু ছেলেরা যাবে সংস্কৃত ক্লাসে, কিন্তু সেটিও কোনো সমস্যা ছিল না, আমাদের হুজুরটি ছিলেন যথেষ্ট উদার। সমস্যাটা এলো এক আজগুবি জায়গা থেকে, আমাদের শ্রেণীশিক্ষক একদিন আমাকে ডেকে নোটিস বোর্ডে আমাদের ক্লাস রুটিনের একটা জায়গা আঙুল দিয়ে দেখালেন—দেখলাম ৫ম পিরিয়ডটিতে লেখা ‘সংস্কৃত ও হিন্দু ধর্ম শিক্ষা’ ও ‘আরবি ও ইসলাম ধর্ম শিক্ষা’—তার আদেশে সে ক্লাসের বুধ বা বৃহষ্পতিবারের ৫ম পিরিয়ডটি এরপর থেকে অপরিসীম বিতৃষ্ণা নিয়ে আমাকে উপস্থিত থাকতে হয়েছে আরবি ক্লাসে। এরপর আজ পর্যন্ত আমার সংস্কৃত শেখার সুযোগ হয়নি, আমার ইচ্ছে এখনও আছে, জানি না কখনো পূর্ণ হবে কিনা।
    কিন্তু আজ আউটলুকের এই লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ লাগছে আবার ভালোও লাগছে। হ্যাঁ, সত্যিই সংস্কৃত তো শুধু তন্ত্রমন্ত্রের ভাষা নয়—এতো দর্শনের সাহিত্যের বিজ্ঞানেরও ভাষা, আরবিও তো শুধু কোরান হাদিসের ভাষা নয়—তাও তো দর্শনের সাহিত্যের বিজ্ঞানের ভাষা। এত সব বিভাজন করে করে আজ আমরা সংস্কৃত শেখার সুযোগ যেমন হারিয়েছি তেমনি আরবি শেখার সুযোগও হারিয়েছি। ধর্ম এক বিকট রোগাক্রান্ত সংগঠন।

  18. মাসুদ করিম - ২৩ অক্টোবর ২০০৯ (১১:১১ পূর্বাহ্ণ)

    মাওবাদীদের ওপর ভারত সরকারের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কাছে জাতীয় ও আন্তজার্তিক স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠিতে নোয়াম চমস্কির স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে নির্মলাংশু মুখার্জির An Open Letter to Noam Chomsky.

  19. মাসুদ করিম - ২৩ অক্টোবর ২০০৯ (১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একে একে সব জঙ্গি সংগঠনকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। সেসাথে উগ্র বামপন্থী সংগঠনকেগুলোকেও নিষিদ্ধ করা উচিত, যেমন সাম্প্রতিক কালের ‘ল্যাম্পপোস্ট’–যারা ভারতের লালগড়ে মাওবাদীদের ওপর ভারতীয় যৌথবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, এবং নিজেরাও সেধরনের বিপ্লবী বিশ্বাসে পথ চলার শপথ নিচ্ছে। কোনো কোনো সংগঠন আবার আদিবাসীদের মধ্যে শসস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলার দিকেও এগোচ্ছে। রাষ্ট্রকে যেমন ধর্মীয় জঙ্গিদের ঠেকাতে হবে, ঠিক একইভাবে ‘অসমাপ্ত বিপ্লব’-এর মহানায়কদেরও ঠেকাতে হবে।

  20. মাসুদ করিম - ২৬ অক্টোবর ২০০৯ (৯:১০ পূর্বাহ্ণ)

    ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিদেশি সংশ্লিষ্টতা’ এবিএম মুসার এই কলামটি সময়মত চোখে পড়েনি।

    অবমুক্ত প্রতিবেদনে জানতে পারছি, জেল হত্যার পরপর তথা খালেদ মোশাররফের ক্ষমতা গ্রহণের দুই দিন পর হত্যাকারীদের পক্ষে মাহবুবুল আলম চাষী তাঁদের এমনকি খন্দকার মোশতাকের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে মার্কিন সহায়তা চেয়েছিলেন। অতঃপর ৩ নভেম্বরের জেল হত্যার রাতে তাঁরা ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে গেলেন। এবার আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন ব্যাংকক কেন? কারণ মনে হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধের সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ড যে মৈত্রী গড়ে উঠেছিল তারই ভিত্তিতে খুনিদের প্রাথমিক আশ্রয়ের ব্যবস্থাটি যুক্তরাষ্ট্র করেছিল। এই ধারণা নিশ্চিত করতে এই প্রতিবেদনে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য একটু পর আলোচনা করব।

    বঙ্গবন্ধু হত্যায় মার্কিন ষড়যন্ত্র তথা বোস্টারের ভূমিকা সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টার বস্তুত কিস্তিমাতের খবর নিশ্চিত করতে ১৫ আগস্টের সকালেই প্রকাশ্যে এসেছিলেন। আমার ধারণাটির যথার্থতা সম্পর্কে আমার নিজের জানা কাহিনীটি বলছি। লজ্জাকর হলেও স্বীকার করতে হচ্ছে, ১৫ আগস্ট ভোরবেলা রেডিওতে ডালিমের ঘোষণা শুনে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি। প্রাথমিক শঙ্কা ছিল হত্যাকারীরা বোধহয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুঁজবে। তাই কাপুরুষের মতো ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’ চিন্তাটির প্রতিফলনে তাত্ক্ষণিকভাবে মনে হলো পালাতে হবে। আমি তখন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, এ জন্যই শঙ্কাটি গাঢ় হয়েছিল। মোহাম্মদপুরে ইকবাল রোডের বাড়ির পেছনের দেয়াল টপকে দুই রাস্তা পার হয়ে আশ্রয় নিলাম প্রখ্যাত সার্জন অধ্যাপক আবু আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে অধ্যক্ষ চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয় যখন গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে নোয়াখালী জিলা স্কুলে পড়তাম। এই কারণে তাঁর বাড়িটি নিরাপদ মনে হয়েছিল। সেই বাড়ির আশ্রয়ে থাকার সময়ই শুনতে পেলাম বোস্টার পতাকাশোভিত গাড়ি নিয়ে মিরপুর রোডে টহল দিচ্ছেন আর চিত্কার করছিলেন ‘মুজিব ইজ মারডার্ড’। বোধহয় ৩২ নম্বরে গিয়ে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিতও হতে চেয়েছিলেন।

    ১৫ আগস্টের সপ্তাহ খানেক পর সবার অজান্তে আমি লন্ডন যাই ও বন্ধু আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বাড়িতে ঠাঁই পাই। সানডে টাইমস-এর সম্পাদক আমার একাত্তরের শুভাকাঙ্ক্ষী হ্যারল্ড ইভানসের বদান্যতায় ছয় মাসের জন্য পত্রিকাটির গবেষণা বিভাগে খণ্ডকালীন নিয়োগ পাই। ছিয়াত্তরের জানুয়ারিতে দেশে ফেরার সময় বিমানে আমার স্কুল সহপাঠী পাইলট সাইফের দেখা পেলাম। বিমানেই দুজনের মধ্যে আলাপচারিতার সময় সে আমাকে যে তথ্যটি দিয়েছিল, তারই ভিত্তিতে মনোয়ারকে সাইফের সাক্ষাত্কার নিতে পাঠিয়েছিলাম।
    পরবর্তী সময়ে কোনো এক প্রতিবেদনে পুরো সাক্ষাত্কারটির বিবরণ দেব। এখন বিশেষ কয়েকটি তথ্য পুনরুল্লেখ করছি। এক. স্বল্প পথে যাওয়ার উপযোগী ফকার বিমানটি চট্টগ্রামে যাত্রাবিরতি করে বার্মার ওপর দিয়ে রাডার এড়াতে নিচু দিয়ে উড়ে ৪ নভেম্বর ভোরে ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছালে অবাধে অবতরণের অনুমতি পায়। সিভিল এভিয়েশন বিধি অনুযায়ী এই অনুমতি প্রদান ছিল অস্বাভাবিক। বোঝা যায়, অবতরণের অনুমতিটি আগেই নেওয়া হয়েছিল। সাক্ষাত্কারে বলা হয়েছে, বিমান রানওয়ের একপাশে রাখা হলে লাফিয়ে নিচে নেমে ডালিম চিত্কার করতে থাকেন, ‘আমেরিকান অ্যামবেসির লোকজন কোথায়? তাদের জন্য আমি বোস্টারের চিঠি নিয়ে এসেছি।’ বিমানবন্দরে মার্কিন দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি ও বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, নামটি সাইফের যতদূর মনে পড়ে, নজরুল ইসলাম হাজির ছিলেন। তাঁরা খুনি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হোটেলে নিয়ে যান।
    উল্লেখ্য, তখন ব্যাংকক বিমানবন্দরে ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসাব্যবস্থা ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সংঘটিত ঘটনাবলির সঙ্গে তত্কালীন থাই সামরিক সরকার কতখানি সংশ্লিষ্ট হয়েছিল। এ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের সঙ্গে অবশ্যই তাদের আগাম যোগাযোগ ছিল, তা না হলে ব্যাংকক কেন? উল্লেখ করা যেতে পারে, সেই সময় থাইল্যান্ডে একটি মার্কিন তাঁবেদার সামরিক সরকার বহাল ছিল।

    পুরো কলামটি পড়ুন ২০ আগস্ট ২০০৯-এর প্রথম আলোতে

  21. মাসুদ করিম - ২৬ অক্টোবর ২০০৯ (৩:৪৯ অপরাহ্ণ)

    সুনীলকুমার
    ১৭৯৩-তে বিলেত থেকে বাংলায় এসেছিলেন ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে। নিজে কাজ ভুলে জড়িয়ে পড়লেন বাংলা ভাষা শিক্ষা ও সম্প্রসারণের কাজে। তারই ফলশ্রুতি শ্রীরামপুরে মিশন প্রেস স্থাপন করে শতাধিক বাংলা বই প্রকাশ। তিনি উইলিয়াম কেরি। আর এই কেরি এবং তাঁর কাজকে জানতে নিজের জীবনটাকেই উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায়। শ্রীরামপুর কলেজের কেরি লাইব্রেরিতে কাজের সূত্রেই তাঁর কেরি-প্রেম। কেরিকে বিষয় করে কাজ করতে গিয়েই এসেছে বাংলা হরফ শিল্পের পুরোধা পঞ্চানন কর্মকার, কেরির পরিজন ওয়ার্ড ও মার্সম্যান সম্বন্ধে আগ্রহ। এঁদের নিয়ে নতুন নতুন তথ্য দিয়ে বই লিখেছেন দশের অধিক। কেরি পরিবারের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড ঘুরে এসেছেন। অবসরের পরেও কেরি লাইব্রেরি তাঁকে ছাড়তে চায়নি। সম্মানীয় পদে থেকে সন্ধান করে গেছেন আরও নতুন তথ্য। জন্মেছিলেন ১৯২৮-এর ৫ মে। ৮৩ বছর বয়সে ১৭ অক্টোবর চলে গেলেন নিজের কাজ ছেড়ে, আমাদের ছেড়ে।
    আজকাল।। আয়না।।২৬ অক্টোবর ২০০৯।।

  22. মাসুদ করিম - ২৭ অক্টোবর ২০০৯ (১০:২৯ অপরাহ্ণ)

    অটিস্টিক ব্রিটিশ শিল্পী Stephen wiltshire স্মৃতি থেকে অনেক শহর এঁকেছেন : সিডনি, লন্ডন, লসএন্জেলেস… এবার তিনি স্মৃতি থেকে আকঁবেন নিউইয়র্ক। ভিডিওটি দেখুন। অটিস্টিকদের অসাধারণ ক্ষমতার কথা মনে পড়বে, Rainman ছবিটি দেখা থাকলে Dustin Hoffman- এর অটিস্টিক চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের কথাও মনে পড়বে। আর আমাদের দেশের অটিস্টিকদের অবহেলা না করে, যদি আমরা সঠিক পাঠশালায় ওদের পদ্ধতিগত শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে তাদের থেকেও এমন শিল্পী বেরিয়ে আসবে না? অবশ্যই আসবে।

  23. মাসুদ করিম - ২৮ অক্টোবর ২০০৯ (৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

    পাগলাগারদ নিয়ে ফটোসাংবাদিকতা : ইন্দোনেশিয়ায় নিকারাগুয়ায়

  24. মাসুদ করিম - ৩০ অক্টোবর ২০০৯ (১২:০০ অপরাহ্ণ)

    বিষ্ণু বসুর জীবনাবসান
    গত ৩/৪ মাস তাকে চিঠি লিখব লিখব করেও লেখা হল না। আর আজ তো তিনি নেই, গতকাল বৃহষ্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০০৯, তিনি মারা গেলেন। তিনি ডায়াবেটিক ছিলেন এবং হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশে ঢাকায়। তিনি ছিলেন তার সময়ের সেরা নাট্যবিদ। খবর গণশক্তিতে

    সাহিত্যিক আবদুল জব্বার প্রয়াত
    ‘ইলিশমারির চর’ উপন্যাসের লেখক আবদুল জব্বার গতকাল ভোরে নিজ বাড়িতে ৭৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরের লিন্ক

  25. মাসুদ করিম - ৩০ অক্টোবর ২০০৯ (১:৩৮ অপরাহ্ণ)

    আজকে সমকালের কালের খেয়ায় দুটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে : একটি সৈয়দ শামসুল হকের ও অন্যটি নির্মলেন্দু গুণের।

    সৈয়দ শামসুল হক

    আমি একটি শহরের নাম দিয়েছি জলেশ্বরীএবং একটি অঞ্চলের নামও বটে। এ কোনো মহকুমা শহর নয়, এটি একটি ছোট্ট শহর। এরকম অনেক অঞ্চলকে আমি কল্পনায় গড়ে তুলেছি। যেমন_ বুড়িরচর, নবগ্রাম, শুকুনমারী, বলধারচর, মান্দারবাড়ি, হরিসার, হস্তিবাড়ি। এগুলো সব আমার কল্পনার। এর সঙ্গে একটি নদীও আছে_ আধকোষা নদী, আধকোষা মানে অর্ধকোষ। এই যে অঞ্চলটি আমি গড়ে তুলেছি। এটি আমার কল্পনায় যদিও; তবে কল্পনায় তো লেখা যায় না, বাস্তবে এর শেকড় থাকতেই হয়_ কী মানুষ, কী পটভূমি, কী নদী, কী গ্রাম। এসব আমি কুড়িগ্রামের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তুলেছি। কেন আমি সে জায়গাটি নিয়েছি তাও বলি। কারণ, যারা বিশাল বাংলায় থাকেন (আমি মফস্বল শব্দটি পছন্দ করি না), তাদের নিয়ে যখন গল্প, কবিতা, নাটক লিখতে যাই, তো প্রতিবারই একটি নতুন শহর বা গ্রামের কথা ভাবাটা পণ্ডশ্রম। সেজন্য আমি একটি কল্পনার ভূগোল জগৎ তৈরি করে নিয়েছি।
    দেখ, বাংলাতেই আমি তিন রকম ভাষায় কথা বলি। এই তোমার সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলছি, তা তো আমার মায়ের সঙ্গে বলতাম না। আমি যখন কুড়িগ্রাম যাই, তখন সেখানে আমি কুড়িগ্রামের ভাষায় কথা বলি। ছোটবেলা, বড়বেলা নয় আমি এখনও সাবলীলভাবে সে ভাষায় যেতে পারি। ‘নুরুলদীনের সারাজীবন’ রংপুরের ঘটনা। তবে তারপরও ওই ভাষাটাকে একটা মার্জিত রূপ দিতে চেষ্টা করেছি, যাতে সবার জন্য বোধগম্য হয় আর যে ভাষাই কথা বলো না কেন, সব ভাষাই যখন তুমি ব্যবহার করছ, তা ঊর্ধ্ব কমার ভেতর কৃত্রিম, শিল্পীর রঙের মতো, সঙ্গীতজ্ঞের সপ্তসুরের মতো মতো_ এটা প্রতিদিনের ব্যবহার্য নয়। এভাবে দেখা দরকার। ‘পরাণের গহীন ভেতর’-এর ভাষার সঙ্গে আমার মায়ের অঞ্চলের যোগাযোগ আছে। আমার মা মানিকগঞ্জের, বাবা সিরাজগঞ্জের, আমি জন্মেছি কুড়িগ্রামে। ‘পরাণের গহীন ভেতর’র ভাষা নিয়েছি পাবনা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, ঢাকা এ রকম বিস্তৃত অঞ্চল থেকে। তবে বাক্য গঠনের দিকে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে। বাক্য গঠনেরও একটা ভেদ আছে। আমি সেটাসহ ব্যবহারের চেষ্টা করেছি।
    আমাদের ভেতর অনেকে আছেন, কেউ কেউ আমার বন্ধুজন, অনেকে পৃথিবী থেকে চলে গেছেন, তাদের কবিতা যতটুকু উচ্চমানের, গদ্য কিন্তু তার ধারে-কাছেও নেই। একটা কথা বলি, একজন কবির গদ্য দেখলে বোঝা যায়, তার কবিতা কতটুকু সক্ষম। আমি বিশ্বাস করি একজন বড় কবি যতটুকুই লিখেন, ততটুকুতেই তার গদ্যের চমকপ্রদতা টের পাওয়া যায়। তার গদ্য কখনও দুর্বল হতে পারে না। কোনোমতেই হতে পারে না। বরং কোনো বড় কবির গদ্য যদি দুর্বল দেখি তাহলে বুঝব তার কবিতা আমরা মাপতে ভুল করেছি। কারণ কবিতায় একটা নিজস্ব ভাষা গড়ে তোলা হয়। সেক্ষেত্রে কেন তার গদ্য দুর্বল হবে। ভাষা হচ্ছে আমাদের একটি বাহ্যিক উপকরণ, এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকেরই অনেক বেশি সতর্ক, মনোযোগী এবং আবিষ্কারক হওয়া প্রয়োজন। মূল দিকনির্দেশনা এর ভেতর থেকে আসে।
    এখন প্রচুর মানুষ। প্রচুর মানুষ হলে কলরব-কোলাহল, এর মানে সৃষ্টিশীলতা নয়। গুটিকয় মানুষ হলে কলবর খুব একটা হয় না। কোলাহল হচ্ছে, এর সঙ্গে বেশি বেশি সৃষ্টিও হচ্ছে এতে মন্দের দিকটা আছে, তবে ভালো লেখাও হচ্ছে তা ঠিক। সবাই লিখতে শুরু করেছে। চলি্লশ বছর সময় ওদের দাও, তারপর দেখা যাবে। তবে লিখতে হবে। দশটা কবিতা বা পদ্য লিখলে একটা কবিতা হবে, দশটা কবিতা লিখলে একটা ভালো কবিতা হবে, দশটি ভালো কবিতা লিখতে পারলে একটি স্মরণীয় কবিতা হবে, দশটি স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারলে একটি মহৎ কবিতা হবে। অর্থাৎ একটা চন্দন গাছের জন্য বিশাল অরণ্য তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ লিখতে হবে।

    সম্পুর্ণ সাক্ষাৎকারের লিন্ক

    নির্মলেন্দু গুণ

    ১৯৬৭ সালে শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রথম কবিতা লিখি, তিনি তখন কারাগারে ছিলেন। কারাগারে ওই কবিতাটি তাঁর হাতে পেঁৗছে দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি কবিতাটি পড়ে খুব খুশি হয়েছিলেন। আগেই বলেছি, তিনি আমার কবিতা লেখার সাহসের উৎস; এমনকি আমার কবিতার নায়কও তিনি। পাকিস্তানের মতো একটি ধর্মকেন্দ্রিক, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রকে ভেঙে নতুন রাষ্ট্র তৈরির যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা আমার প্রধান প্রেরণা। রবীন্দ্রনাথের কবিতা শেখ মুজিবের খুব প্রিয় ছিল, বক্তৃতায় তিনি রবীন্দ্রনাথের কবিতা বলতেন। ১৯৬৮ সালে যখন পাকিস্তান সরকার রেডিও এবং টিভিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার নিষিদ্ধ করে, তিনি তখন তার বিরোধিতা করেন। ১৯৬৪ সালে যখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলো, তখন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তানের অপশক্তির বিরুদ্ধে তাঁর যে দৃঢ় অবস্থান, এই অবস্থানকে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে, আমি প্রাণ থেকে তাঁকে সমর্থন করেছিলাম। তখন সংখ্যালঘু হিসেবে আমি তো রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার ছিলাম। আমি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে মুক্তির সন্ধান পেয়েছি, তাঁকে আশ্রয় করে আমি নতুন করে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করেছি। একটা বিকল্প ছিল_ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে আসা। এটা অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটেছে, অনেকেই জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। কিন্তু আমি ভেবেছি, এটা সমাধান নয়। এখানে থাকার মতো একটি দেশ আমাদের তৈরি করতে হবে। সাম্প্রদায়িক কারণে আমাদের সাতপুরুষের ভিটে ফেলে এসে ভারতের গলগ্রহ হবো- এটা আমার কাম্য ছিল না

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে যা ঘটেছে, এরকম বর্বর ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। এটি দেশে এমন একটি শোকের এবং ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল যে, মুজিবের নাম নেওয়া যাবে না_ এরকম কোনো সামরিক নির্দেশ না থাকার পরও শেখ মুজিবের নাম দীর্ঘদিন বাংলাদেশে উচ্চারিত হয়নি। তাঁকে হত্যা করার পর খুনিরা যখন উলল্গাসের সঙ্গে বেতারে প্রচার করছিল- ‘আমরা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি’- তখন মানুষের মধ্যে এমন একটা অবিশ্বাস্য ভীতির সঞ্চার হয়েছিল, যা অবর্ণনীয়। কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর অনুগত চার জাতীয় নেতা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেমন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান_ এই চারজন সেই মন্ত্রিসভায় যোগ দেননি যা খুনিদের সঙ্গে আপস করে মোস্তাকের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল। তাঁদের জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একটি পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানের পটভূমিতে নভেম্বরের ৩ তারিখ ভোরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ঢুকে এই চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাগুলো পরপর ঘটতে থাকে। সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আমিই প্রথম তাঁকে নিয়ে লেখা কবিতাটি প্রকাশ্যে পড়ি। কবিতাটি লিখেছিলাম আগেই। কিন্তু সেটি পড়ার কোনো সুযোগ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরকম শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিবেশে আমি একুশে ফেব্রুয়ারিকে বেছে নিয়েছিলাম শেখ মুজিবকে নিয়ে লেখা কবিতাটি পাঠ করার জন্য-
    ‘আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি’- এই কবিতাটি পাঠ করলাম- ‘শহীদ মিনার থেকে খসেপড়া একটি রক্তাক্ত ইট/ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।/ আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি।’
    এরপর অবশ্য আমাকে কিছু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল, তবে সামরিক বাহিনীর ভেতরেই একটা পক্ষ ছিল যারা মুজিবুরের হত্যাকা েদ্ধা-ভালোবাসা থেকে কবিতা রচনা করে, তাকে আমরা দ দিতে পারি না। ফলে আমি বেঁচে গেলাম। আমি শুনেছি, এর পেছনে জেনারেল মঞ্জুরের সমর্থন ছিল আমার প্রতি। কিন্তু ১৯৮১ সালে জেনারেল মঞ্জুর সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
    সাক্ষাৎকারের লিন্ক

  26. মাসুদ করিম - ৩০ অক্টোবর ২০০৯ (২:১৫ অপরাহ্ণ)

    দুজন বিখ্যাত ফিল্মি ভারতীয়কে নিয়ে দুটি লিন্ক। একটি গুলজারের ১০০ লিরিকসের অনুবাদ নিয়ে এবং আরেকটি কমল হাসানের ফিল্মে ৫০ বছর উদযাপন নিয়ে স্লাইডশো।

  27. মোহাম্মদ মুনিম - ৩০ অক্টোবর ২০০৯ (৭:৩৯ অপরাহ্ণ)

    বইমেলা আর বই নিয়ে প্রয়াত হুমায়ুন আজাদের একটি লেখা

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.