বাংলাদেশের মানবাধিকার: জাতিসংঘের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার জন্য নিবেদন

বাংলাদেশঃ জাতিসংঘের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার জন্য এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কতৃক ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ অধিবেশন, ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তে নিবেদন। এই নিবেদনে, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার অধীনে তথ্য প্রস্তুতির জন্য সাধারণ নির্দেশনায় উল্লিখিত অনুচ্ছেদ খ, গ ও ঘ-এর অধীনে তথ্য প্রদান করে [...]

বাংলাদেশঃ জাতিসংঘের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার জন্য এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কতৃক ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের চতুর্থ অধিবেশন, ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তে  নিবেদন।

এই নিবেদনে, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার অধীনে তথ্য প্রস্তুতির জন্য সাধারণ নির্দেশনায়  (General Guidelines for the Preparation of Information under the Universal Periodic Review) উল্লিখিত অনুচ্ছেদ খ, গ ও ঘ-এর অধীনে তথ্য প্রদান করেঃ
•    মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি আইন ব্যবহার সম্পর্কে অনুচ্ছেদ খ-এর অধীনে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বেগ তুলে ধরে৷
•    বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার ও আটক রাখা, পক্ষপাতমূলক বিচার, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়মুক্তি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ গ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উদ্বেগগুলোকে ফুটিয়ে তোলে৷
•    অনুচ্ছেদ ঘ-তে, এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ পেশ করে৷

বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ http://bangla.amnesty.org/bn/bangladesh-submission-to-the-un-universal-periodic-review

২ comments

  1. রায়হান রশিদ - ১৫ ডিসেম্বর ২০০৮ (৩:২৫ অপরাহ্ণ)

    সংশপ্তককে ধন্যবাদ এ বিষয়ে লিখবার জন্য।

    দেশ ও বিদেশের মানবাধিকার সংগঠন এবং মোর্চাগুলোকে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে ফোকাস করতে দেখা যায়। এটি সম্ভবত সংগঠনগুলোর ম্যানডেটের এবং এজেন্ডার ভিন্নতাকেই প্রতিফলিত করে। এর একটি নেতিবাচক দিক হল, বক্তব্য বহুধা বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় সর্বোচ্চ অভিঘাত সৃষ্টিতে ব্যার্থতা তৈরী হওয়া। আবার এর ইতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন: এক সংগঠন যে বিষয়টি এড়িয়ে যায়, অন্য সংগঠন সে বিষয়টিকেই হয়তো বেশী করে ফোকাস করে। ফলে এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সব ধরণের ইস্যুই উঠে আসে, ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যার ভূমিকা অস্বীকার করার জো নেই।

    যতদূর জানি, বাংলাদেশ থেকেই দু’টি পৃথক ইউপিআর রিপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে এ বছর, পৃথক দু’টি মানবাধিকার মোর্চার পক্ষ থেকে। আবার, সে দু’টি রিপোর্টের সাথে এ্যমনেস্টির ইউপিআর রিপোর্টের (অপ্রকাশিত) কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে বলে জানি। সুতরাং নীচের এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখলে আমরা পাঠকরা আরো বেশী উপকৃত হবো বলে মনে করি:

    ১) ইস্যুভিত্তিক ফোকাসে ভিন্নতার পেছনে কি কি নিয়ামক কাজ করে?
    ২) বিশ্বজনীন মানবাধিকার আন্দোলনের পটভূমিতে এই ভিন্নতা বা মতভেদগুলোকে কিভাবে দেখা উচিত?
    ৩) সংগঠনগুলো রিপোর্ট লেখার প্রাক্কালে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির হিসেব নিকেশ দ্বারা কতটা প্রভাবিত হয়?
    ৪) রাজনৈতিক সমীকরণকে বাদ দিয়ে মানবাধিকারের কোন প্রতিবেদন কি আদৌ লেখা সম্ভব?

    সবশেষে, অনুরোধ করবো প্রতিবেদন প্রস্তুতের উল্লেখিত গাইডলাইনের “অনুচ্ছেদ খ, গ ও ঘ” এর আওতায় আসলে কি রয়েছে এবং কিভাবে রয়েছে তা একটু খুলে বলার জন্য। নাহলে বিষয়টি একটু অস্পষ্ট রয়ে যাচ্ছে মনে হয়।

  2. সংশপ্তক - ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮ (৪:৩৫ অপরাহ্ণ)

    আমার একটু সময় দরকার এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত লেখার জন্য। আমি চেষ্টা করছি খুব শীঘ্রই লিখতে।
    আমি দুঃখিত।
    ধন্যবাদ সবাইকে।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.