ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনই পত্রিকার পাতায় অন্য অনেক সংবাদের সাথে একটি দুঃসংবাদ পড়তে হলো পাঠকদের। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা তো বটেই, জাতীয় দৈনিকগুলোতেও সংবাদটি ছাপা হয়েছে বেশ গুরুত্বের সাথে। অনলাইন বার্তা সংস্থা বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম পরিবেশিত সংবাদটি হলো : “জামায়াতের অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাংসদ এম এ লতিফ”। এ সংবাদটি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এ ছাপা হয়েছে প্রথম পাতায় বক্স নিউজ হিসেবে। একই দিন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সংবাদটি ছেপেছে ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় সিঙ্গেল কলামে “চট্টগ্রামে জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের অনুষ্ঠানে আ’লীগের সাংসদ” শিরোনামে। দৈনিক সংবাদ-এর শেষের পাতায় শিরোনাম ছিল : “চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধীকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে বিয়ে দিলেন আ’লীগ এমপি”। এছাড়া দেশের আরো অনেক পত্রিকাতেই এই দুঃসংবাদটি ছাপা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে যৌতুকহীন বিয়ে অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী মাওলানা শামসুদ্দিন (গোল চিহ্নিত)-এর সাথে আওয়ামী লীগ সাংসদ এম এ লতিফ
চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসন থেকে নব নির্বাচিত সাংসদ ও চট্টগ্রাম শিল্প ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার-এর সভাপতি এম এ লতিফ আবারও সংবাদের শিরোনামে পরিণত হলেন। মাত্র ৫ দিনের মাথায় স্বনামধন্য (!) এই সাংসদ দেশবাসীর সামনে সাংসদ হিসেবে নিজের ক্ষমতা প্রকাশের মাধ্যমে পত্রপত্রিকার পাতায় ব্যাপক আলোচনায় আসেন । গত ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পাতায় শিরোনাম ছিল “আমাকে চিনেন, আমি সরকারি দলের এমপি”। আর দৈনিক যুগান্তর-এর প্রথম পাতায় অষ্টম কলামের শিরোনাম : “‘সাংসদের অশোভন আচরণে হতবাক বিমান যাত্রীরা”। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ অনলাইন বার্তা সংস্থা ফোকাস বাংলা-র বরাত দিয়ে তাদের প্রথম পাতায় বক্স আইটেম করেছে “অশোভন আচরণ” শিরোনামে।
সত্যিই কী বিশাল গুণ-সম্মানের অধিকারী হলেন আমাদের মহান জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সাংসদ, ব্যবসায়ী এম এ লতিফ। ৩শ’ জন সাংসদের মধ্যে ক’জন সাংসদ তাঁদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় আসতে পারেন! জনাব এম এ লতিফ তাঁর আচার-ব্যবহার দিয়ে দেশবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। ভাগ্যবানই বলতে হবে মাননীয় সাংসদকে।
একদিকে মুজিব কোট গায়ে লাগিয়ে নব্য আওয়ামী লীগ সাজা এই স্বনামধন্য সাংসদ জাতীয় সংসদে একাত্তরের ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনদাবির মুখে যে-প্রস্তাব উঠেছিল তাতে সমর্থন দিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে মুক্তযুদ্ধের সপক্ষের দাবিদার হতে চান। তিনিই আবার গত ৩১ জানুয়ারি শনিবার জামাতে ইসলামীর নেতাদের সাথে একই মঞ্চে উঠে সহাস্য বদনে ছবি তোলেন “যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠানে”! সেই অনুষ্ঠানে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী মাওলানা শামসুদ্দিন এবং আলবদর বাহিনীর সদস্য আফছার উদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা শামসুদ্দিন চট্টগ্রামের চিহ্নিত রাজাকার ও জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও জামায়াতের মজলিশে শূরার সদস্য বলেই জানি।
বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম-কে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রাম শহরের বিএলএফ কমান্ডার কাজী এনামুল হক দানু এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, “মুক্তিযুদ্ধের সময় মাওলানা শামসুদ্দিন পাকিস্তানি বাহিনীর কুখ্যাত নির্যাতন কেন্দ্র (টর্চার সেল) ডালিম হোটেলের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন।”
আমি নিজে কয়েক বছর আগে গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন খানের সাথে আলাপচারিতায় চট্টগ্রামের টিঅ্যান্ডটি রোডের সেই “টর্চার সেল” ডালিম হোটেলে রাজাকার আল-বদরদের নির্মম-বীভৎস অত্যাচারের কাহিনী খানিকটা হলেও জেনেছি। মাওলানা শামসুদ্দিন ছিলেন নির্যাতনকারীদের একজন নেতা। আর বর্তমানে চট্টগ্রাম জামায়াতের নেতা আফসার উদ্দিন ছিলেন আল-বদর বাহিনীর অন্যতম সোর্স ও নির্যাতনকারী। আরো জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রগতিশীল লোকজন, মুক্তিযোদ্ধা ও যুবকদের ধরে এনে পৈশাচিকভাবে নির্যাতন আর হত্যা করা হতো ওই টর্চার সেল-এ।
আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত সাংসদ এম এ লতিফ এই যুদ্ধাপারাধীদের সাথে একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সানন্দচিত্তে। এ নিয়ে যখন সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন তখন তাঁর বক্তব্য ছিল : “আমি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। যেখানে আমার ছেলেসহ ১৭ জন নবদম্পতি যৌতুকবিহীন বিবাহবন্ধনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে যাবার পর জেনেছি মাওলানা শামসুদ্দিন একজন যুদ্ধাপরাধী।”
কী সহজ-সরল আত্মপক্ষ সাফাই ব্যবসায়ী সাংসদ এম এ লতিফের! ভেবে ঘৃণায়-লজ্জায় সংকুচিত হই। যেখানে গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসী ২/৩ জন ছাড়া যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতীদের বর্জন করলো ভোটের মাধ্যমে, সেখানে সাংসদ লতিফের এত দহরম-মহরম কেন জামায়াতে ইসলামী নেতার সাথে? তাহলে কি তিনি শুধুমাত্র ভোল পাল্টিয়ে মুজিব কোট গায়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সংসদ নির্বাচন করেছেন? কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ সম্ভবত আর চাপা দিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি। এ যেন “কাকের ময়ূরপুচ্ছ ধারণ”।
এতদিন পরেও আমরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে তাঁদের এই “ময়ূরপুচ্ছধারী” সাংসদ এম এ লতিফের ‘জামায়াত প্রীতি’ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাইনি! এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের আশা নিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোট দিয়েছিলাম; আরো অনেকের মতো আমিও আজ হতাশ আর ক্ষুব্ধ না হয়ে পারছি না। জানি না আমাদের মতো নগণ্য মানুষদের হতাশা আর ক্ষোভে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বিশাল দলটির কিছু যায় কি না!
সাংসদ লতিফের আরো একটি কীর্তির কথা সম্প্রতি জানা গেল! পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কেন তাঁকে স্যালুট দেননি, তাঁকে দেখে কেন স্যার স্যার স্যার করেননি — তাই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ার কথা সবাই জানেন এখন। হায়রে সাংসদ! হায়রে স্যার! হায়রে স্যালুট! হায়রে সম্মান! কোন্ অভিধায় যে আপনাকে ভূষিত করবো জানি না মাননীয় সাংসদ?
পাঠকদের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো-তে প্রকাশিত সংবাদটির কিছু অংশ তুলে ধরছি:
একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ফ্লাইটে বসা পুলিশের একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তার সামনের আসনে বসলেন তিনি। কর্মকর্তার নাম জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে বললেন, ‘আমাকে চিনেন, আমি চট্টগ্রাম-১০ আসনের সরকারি দলের এমপি।’ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালেন। কিন্তু ঐ সাংসদ ততক্ষণে ক্ষিপ্ত কণ্ঠে জানতে চাইলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘুষসহ তিনি যে ধরিয়ে দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? অতিরিক্ত আইজিপি জানালেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে। জবাবে অসন্তুষ্ট হন ওই সাংসদ। জানতে চাইলেন ‘কাকে পাঠিয়েছেন, কী তদন্ত করেছে, আমার সঙ্গে তো কথা বলেনি।’ সাংসদ লতিফ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, ‘আপনি জানেন, আমি সাংসদ, আমাকে সালাম দেননি কেন? আপনারা জনগণের সারভেন্ট, এটা মনে রাখবেন …।
একই ঘটনা নিয়ে দৈনিক যুগান্তর-এ প্রকাশিত খবরের কিছু অংশ :
… লতিফ এডিশনাল আইজি ত্রিপুরাকে আগে থেকেই চিনতেন, তিনি তাকে দেখে চিৎকার করেই বলতে থাকেন পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাদের আবার এত ভাব কেন? দেখা করতে গেলে অনুমতি লাগে। … প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ত্রিপুরা ঐ এমপিকে সালাম দেননি বলে এমপি নিজেকে ‘মনিব’ দাবি করে পুলিশ কর্মকর্তারা যে তার কর্মচারী, তা অশ্রাব্য ভাষার মাধ্যমে জানিয়ে দেন। তার দুর্ব্যবহার নিজের সম্মান বাঁচাতে বড়ই অসহায় হয়ে পড়েন পুলিশের শীর্ষস্থানীয় এ কর্মকর্তা …।
সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে :
… আসলে আপনারা বেশি বেড়ে গেছেন। আমরা জনপ্রতিনিধি। আপনারা প্রজাতন্ত্রের সার্ভেন্ট। তিনি আরো বলেন, আমি মাস্টার, আপনি সার্ভেন্ট। মাস্টারের সাথে সার্ভেন্ট-এর কীভাবে কথা বলতে হয় তা আপনার জানা উচিত …।
সেদিন আমাদের কথিত মাননীয় সাংসদ এম এ লতিফ একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যে অশোভন, অশালীন দুর্ব্যবহার করলেন তাতে কি তাঁর নিজের সম্মান বেড়েছে, না কি দেশবাসীর কাছে তাঁর মতো একজন এমপি-র সত্যিকার চেহারাটিই উন্মোচিত হলো এতে? এ ধরনের সাংসদ যদি আওয়ামী লীগের মধ্যে থাকেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির কি কোনোই ক্ষতি হবে না? কয়েকজন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তাঁরা জানিয়েছেন, এমন কোনো নিয়ম নেই যে একজন সাংসদকে স্যালুট করতেই হবে। সাধারণভাবে সম্মান জানানো এক কথা আর বাধ্যগতভাবে স্যালুট করা ভিন্ন বিষয়। বাংলাদেশ সরকারের আইনে কোথাও বলা নেই যে একজন সাংসদকে স্যালুট করতে হবে।
আমরা যতদূর জানতে পেরেছি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা একজন সজ্জন ভদ্র মেধাবী পুলিশ অফিসার হিসেবেই পরিচিত। তাঁর কর্মদক্ষতা ও সততার জন্যই তাঁকে অতিরিক্ত আইজি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাংসদ লতিফের পরিচয় জনার পর তো নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা (এনবিকে ত্রিপুরা) যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন, যার উল্লেখ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পত্রিকায় আমরা পেয়েছি। কিন্তু সাংসদ লতিফ নিজেকে ‘মনিব’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে যে এদেশের আপামর জনগণের কাছে নিজেকে অত্যন্ত হাস্যাস্পদ করে তুললেন তা কি তিনি বুঝতে পেরেছেন? না কি নতুন ক্ষমতার দাপটে (সাংসদ, তাও আবার সরকারি দলের — তাঁর দাবি অনুযায়ী!) তিনি এতটাই দিশেহারা যে কখন কাকে কী বলতে হয়, সেই কাণ্ডজ্ঞানটুকুও বা সৌজন্যবোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন!
হয়তো এই কাণ্ডজ্ঞান, এই স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ তাঁর না থাকাই স্বাভাবিক। এদেশের ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা রাজাকার আলী আহসান মুজাহিদ গং দম্ভ করে বলেন, “এ দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই”; আর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত ইসলামীর নেতাদের সাথেই যেন নব্য আওয়ামী লীগার সাংসদ এম এ লতিফের আত্মার আত্মীয়তা! কাজেই এই সাংসদ যে এমন দাম্ভিকতা দেখাবেন এতে আর বিস্ময়ের কী আছে?!
হায়রে স্বদেশ, কী দুর্ভাগ্য তোমার! কী দুর্ভাগা এদেশের পরিবর্তনকামী আশাবাদী জনগণ, যাঁরা একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে তাঁদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন এম এ লতিফ নামে একজন যুদ্ধাপরাধী-বান্ধব দাম্ভিক ব্যবসায়ীকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তারপরও আশা নিয়ে থাকতে চাই। সুন্দর স্বপ্ন দেখতে চাই আমার প্রিয় মাতৃভূমি নিয়ে। আরো অনেকের মতো আমিও আশা করে আছি যে, সম্মানিত প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই এম এ লতিফের মতো দুর্বৃত্তসম সাংসদদের লাগাম টেনে ধরবেন — দেশের স্বার্থে, তাঁর নিজের দলের স্বার্থে। এ ধরনের লতিফদের জন্য যাতে পুরো সরকারকে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে দহরম-মহরমের এবং অন্যদের সাথে অশালীন অভব্য আচরণের দায়ভার বহন করতে না হয়। শুভস্য শীঘ্রম!
